আমার শ্বশুরমশাই
তাসনিয়া আজমী
------------------
আমি আমার শ্বশুরকে একেবারেই সহ্য করতে পারিনা। শুধু আমিই না, আমার স্বামী, দেবর, বাচ্চারা কেউই তাকে দেখতে পারেনা। নিশ্চয়ই খুব অবাক হচ্ছেন, তাইনা?
খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। শ্বশুরবাড়িতে এসে ভেবেছিলাম আমার বাবাকে বুঝি ফিরে পেলাম। কিন্ত না, প্রথম দিন থেকেই বুঝে গেলাম যে এমন বদমেজাজি মানুষ এই পৃথিবীতে আর নেই। কোন এক অসুখে ভুগে তিনি পঙ্গু হয়ে গেছিলেন। সারাক্ষণ হুইল চেয়ারে বসে চেঁচামেচি, পান থেকে চুন খসলেই অকথ্য ভাষায় গালাগালি। একদম স্বার্থপর একটা মানুষ। এমনকি এই বয়সেও তিনি আমার শাশুরি মায়ের গায়ে হাত তুলতেন। তাও আমার সামনে। শুধু একটা সময়ই তার মুখে হাসি দেখা যেত। রাতের খাবারের সময়। রাতে তিনি শুধু মুগডাল দিয়ে ভাত খেতেন। কিন্তু সেই মুগডাল হতে হবে আমার শ্বাশুড়ি মায়ের রান্না করা। তাই শাশুড়ি মা রোজ তার জন্য মুগডাল রান্না করতেন। সেটা চেটেপুটে খাওয়া শেষ করে তখনই তিনি একটু তৃপ্তির হাসি হাসতেন।
আমার শাশুড়ি মা ছিলেন মাটির মানুষ। সত্যি বলতে, তিনি আমার মা ই ছিলেন। শ্বশুরমশাই আমাকে বকাঝকা করলে তিনি আমাকে আরো বেশি করে আদর করতেন। আমাকে আমার প্রিয় খাবার রান্না করে খাওয়াতেন, চুলে তেল দিয়ে দিতেন। আমি উনাকে মা বলে ডাকতাম। জানেন, মায়ের মুখে একদিন ও হাসি দেখিনি। সারাদিন বিষণ্ণ হয়ে থাকতেন। উনার স্বামীর মুখ থেকে সারাদিন মন্দকথা শুনতে শুনতে উনার মনটাই বিষিয়ে গেছিলো। হঠাৎ এক রাতে হার্ট আ্যটাকে আমার শাশুড়ি মা মারা যান। আর আমার জীবন হয়ে যায় দুর্বিষহ।
শ্বশুরমশাই সারাক্ষণ খিটখিট করেন, কাজের লোকদের ছেলেদের গালিগালাজ। পরিস্থিতি দিনদিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিলো। সবচেয়ে বড় ঝামেলা বাঁধতো রাতের খাবারের সময়। আমার হাতের রান্না করা মুগডাল উনার কাছে নাকি জঘন্য লাগতো। একদিন তো বাটি থেকে ডাল আমার মুখে ছুড়ে মারলেন। এরপর কি আর সহ্য করা যায়!
এভাবেই দিন চলতে লাগলো। দিনদিন বাড়িতে অশান্তি আরো বাড়তে লাগলো। এক বিকেলে ঘরে শুয়ে আছি, হঠাৎ মনে পরলো, মায়ের অনেক সুন্দর সুন্দর শাড়ি তোরঙ্গে রাখা আছে। শাড়িগুলো একটু নেড়েচেড়ে দেখি। যেই ভাবা সেই কাজ। তোরঙ্গ খুলে শাড়িগুলো দেখতে লাগলাম। উপরের একটা শাড়ির নিচেই একটা কাচের শিষি। হাতে নিয়ে দেখি বিষের শিষি! মানে কি! মা কি তবে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন? বিষের শিষিটা তোরঙ্গে রেখে দিলাম জায়গামতো। কিন্তু তোরঙ্গ এনে রেখে দিলাম আমার ঘরে।
সারারাত ঘুমাতে পারলাম না। নির্ঘুম হয়ে ছটফট করছি, এমন সময় মনে হলো, আমার শ্বশুরের খাবারে বিষ মিশিয়ে দিলে কেমন হয়! বুড়োটার মুখ দিয়ে ফেনা বেরোবে, ওর গলা বুক জ্বলে যাবে, যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে ও মারা যাবে! সবাইকে বলবো বুড়ো ফুড পয়জনিং হয়ে মরে গেছে। কেউ বেশি কথাও বলবে না। বুড়োকে কেউ দুচক্ষে দেখতে পারেনা। কি মজাটাই না হবে! শ্বশুরমশাই কে খুন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘুমোতে গেলাম। আহা, এত ভালো ঘুম বহুদিন হয়নি!
পরদিন রাতে মুগডালে বিষের শিষি থেকে বিষ নিয়ে মিশিয়ে দিলাম। তারপর সুন্দর করে শ্বশুরমশাই এর সামনে পরিবেশন করলাম। তিনি খাওয়া শুরু করলেন। আমি চোখের সামনে বুড়োকে বিষ খেতে দেখছি। কি যে আনন্দ হচ্ছে আমার। খুশিতে আমার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে!
খাওয়া শেষ করে বুড়োটা আমার দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে হাসলো। বললো, "এতদিনে মুগডাল রাঁধতে শিখেছো তাহলে। আজকের ডালটার স্বাদ ঠিক তোমার শ্বাশুড়ি মায়ের রান্না করা ডালের মতো!"
(সমাপ্ত)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4775
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ēā§Ž PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ