পাশের বাসায় নতুন এক ভাবি এসেছেন। পরিচিত হওয়ার জন্য কলিংবেল এ চাপ দিলাম।
- কাকে চাই?
- ইয়ে এক প্লেট বিরিয়ানি হবে?
- কি?
- হুম। শুনলাম আপনি নাকি সেরা রাঁধুনি পুরস্কার পাইছেন?
- আরেএএ! ভিতরে আসো।
ভাবি ভীষণ খুশি। একটা বিষয় খেয়াল করলাম। ভাবীরা অল্পতেই খুশি হয়। শুধু জায়গা মতো টোঁপ ফেলতে হয়।
ভিতরে এসে বসলাম। ভাবির পছন্দ আছে বটে। রুমটুম একেবারে ঝকঝকা। দেয়ালে ঝুলানো একটা ছবি দেখছিলাম।
- ঐটা আমাদের বিয়ের ছবি।
- ওয়াও! সো গর্জিয়াস!
- আরে না। সিম্পলই। তোমার ভাই সামান্য পুলিশ অফিসার।
আমি ঢোক গিল্লাম। শেষ পর্যন্ত হাজতে ঢুকে পড়লাম নাকি। ভিতর থেকে ছয় ফুটের একটা লোক এলো।
- স্লামালিকুম।
- ওয়ালাইকুম। ঐ কেডা তুই?
- আরিফ।
- কোথাকার আরিপ্পা!
- এই যে পাশের বাসার।
- এখানে কেন? উদ্দেশ্য কি?
- ইয়ে! মানে!
- ইয়ে মানে কি? কথা ক!
- ইয়ে পরিচিত হইতে আসছি!! ভাবি দেখেন না। ভাইয়া কি করছে!
এ্যাঁই! তোমার কি হয়েছে! এমন করছো কেন? আসলে ও আমার রান্নার ভক্ত। সেজন্যই ছুটে এসেছে।
- ও তাহলে এই অবস্থা! তলে তলে জল অনেক দূর গড়াইছে?
- ছি : ছিঃ ! তুমি এসব কি বলছো?
- খাবার আদান প্রদান চলে কবে থেকে? আর কি কি করছো?
- তুমি এত ছোট মানসিকতার কেন?
- ওওও! এখন আমি ছোটলোক! আর তুমি যে?
- কি? আমি কি? বলো?
- থাক। আর বলতে হবে না।
আমি ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া গেলাম। সব পুলিশই এমন নাকি! সামন্য বিষয় নিয়া কতদূর জল গড়িয়ে নিছে। অবশ্য আমাকে দেখলেই লাভার বয় মানে প্রেমিক পুরুষ লাগে। তারপরও পুলিশ হিসেবে বুঝা উচিৎ ছিলো আমি শুধু এক প্লেট বিরিয়ানি চাইছি। আর কিছু না।
- ভাবি আমি সরি। আমি তাহলে যাই।
- না। তুমি থাকো। তুমি বিরিয়ানি খেয়ে যাবা। দেখি এ পুলিশ ব্যাটা কি করে।
- না। থাক ভাবি।
- না। আমি এখনই রান্না করবো। তুমি এখনই খেয়ে যাবা।
পুলিশ বেচারা এখন একটু ঘাবড়ে গেছে। কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। যত বড় পুলিশ আর হারামি গুন্ডা হোক না কেন। স্ত্রীর কাছে এসে বিড়াল সাজতে হয় এ কথা সত্য। কিন্তু এ ব্যটা একটু অদ্ভুত!!
- ইয়ে ভাইয়া। আমি কি থাকবো নাকি যাবো?
- তুই বস। আমি আমার পিস্তলটা নিয়ে আসি।
আমি বসে আছি। আর ভাবছি কালকে পত্রিকায় কি হেডলাইন আসবে...
- বিরিয়ানির খাওয়ার অপরাধে পুলিশ গুলি করলো এক মাছুম বাচ্চাকে...!!!
নাকি শালা এটাকে পরকিয়া কেইসের অন্তর্ভুক্ত করে দিবে...
- স্বামীর অনুপুস্থিতি বিরিয়ানি নিয়ে মাস্তি! খুন হলো বিরিয়ানি প্রেমিক!
না। বিপদের মুখে বসে থাকা ঠিক হচ্ছে না। পুলিশকে বিশ্বাস করতে নেই। আমি দৌড় দিলাম। সালা পিছন থেকেই গুলি করে দিলো। ভাগ্যিস গুলিটা গায়ে লাগে নি।
আমি শুয়ে পড়েছি। একটা ব্যপার হলো গুলির শব্দটি অদ্ভুত। দরজায় বিরক্ত হয়ে কেউ জোরে জোরে ঘুসি মারলে যেমন শব্দ হয় তেমন।
আমি উঠে পড়লাম। উঠে দরজা খুললাম। বুয়া দাঁড়িয়ে আছে। বুয়া রেগে আছে। রাগান্বিত স্বরে বললো - মরছুইন? কতক্ষুন ধইরা পিটতে আছি দরজা? সরুন চাই। আমার কি এত টেরাইম আছে? কত বাসায় কাজ আমার।
শালার আমি তাহলে আজাইরা। শুয়ে শুয়ে ভাবির হাতের বিরিয়ানি খাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলাম! মরণ!
-Muhammad Arif Hossain
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ