āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4779

ধরি তার নাম নুসরাত।
নুসরাত একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। এমন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে মেধা বলতে গেলে লাগেই না।টাকা দিলেই ভর্তি হওয়া যায়।

নুসরাত সারাদিন ফেসবুকে পড়ে থাকে। ফেসবুকে তার প্রধান কাজ নিজের ছবি আপলোড দেয়া। দিনে তিন চার বার নিজের
ছবি আপলোড করে সে।

ছবিগুলো সব নানা পোজে তোলা। সে বড়লোকের মেয়ে,কাপড় চোপড়ের কোন অভাব নেই তার।
একেকটা ড্রেসে একেক পোজে বারংবার নিজের ছবি তোলায় সে। তার ভার্সিটিতেই বেশ কয়েকটা ছেলের ডিএসএলআর আছে। ওদের সাথে সঙ্গত কারণেই নুসরাতের ভালো খাতির।

ছবি তোলার পর তার প্রধান কাজ হয় ছবির উপর ফটোশপের সার্জারি চালানো। গত বছর তার সেই সময়কালীন বয়ফ্রেন্ড তাকে ফটোশপের কাজ শিখিয়েছিল, একবার শিখে যাবার পরে নুসরাতকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয় নি।
এমনিতে সে অনেক ফর্সা, ছোটবেলা থেকেই তার আম্মা তার গালে কমলার ছোলা ভর্তা, শসা আর ফেয়ার এন্ড লাভলির মিক্সচার এমনভাবে মেখেছেন যে ঐ গাল কালো করতে হয়তো স্বয়ং বিধাতাও লজ্জা পাবেন।প্রতিটা ছবি সময় নিয়ে এডিট করে ফেসবুকে ছাড়ে নুসরাত।

তার প্রতিটা ছবিতে প্রায় দুইশ করে লাইক পড়ে, একশ করে কমেন্ট পড়ে, এদের মধ্যে পঞ্চাশটা কমেন্ট থাকে ছেলেদের। নুসরাত খুব মনোযোগ দিয়ে ছেলেদের
কমেন্টগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ে। “আহ, সো হট”, “ইউ আর
সো কিউট” ইত্যাদি কমেন্ট তার রক্তে ঝংকার সৃষ্টি করে।

প্রত্যেকটা ছবি দেবার পরে ইনবক্সে প্রায়
পঁচিশটা করে মেসেজ প্রায় নুসরাত। তাদের মধ্যে প্রায় সবকয়টাই ছেলেদের। নুসরাত প্রোফাইল চেক করে দেখে, এই
মেসেজদাতাদের মধ্যে ক্লাস নাইনে পড়া বালক
থেকে রিটায়ার্ড আর্মি অফিসার পর্যন্ত আছেন। আরমেসেজের সে কি ভাষা। “তুমি একদম আমার বড় আপুর মত”,
“আপনাকে যদি আমার জীবনসঙ্গী হবার প্রস্তাব দিই,
রাজি হবেন?”, “জীবনে কাউকে দেখে আমি মুগ্ধ হই নি,
আপনিই প্রথম”, “এই তুমি কি সিঙ্গেল?
চলো না বিয়ে করি”, “এই তোমার নাম্বারটা দেয়া যাবে?”,
“পৃথিবীতে সুন্দর বলে যদি কিছু থাকে, তবে সে তুমিই” টাইপ
মেসেজ। নুসরাত পড়ে আর হাসে। হাসে আর পড়ে। তার
রক্তে বেজে ওঠে পুরনো ঝংকার। নুসরাত কারো মেসেজ
রিপ্লাই দেয় না। সব শালা লুল।

প্রায় দুইশ ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট জমে আছে। নুসরাত প্রোফাইল
দেখে দেখে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, টিচার ইত্যাদি শ্রেণীর
ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে। নেহায়েত পরিচয়বিহীন
কারো রিকু সে একসেপ্ট করে না।

এডিট করার ফাঁকে ফাঁকে ক্লান্ত হয়ে গেলে নুসরাত
একটা কাজ করে। খুঁজে খুঁজে সে সেলিব্রেটিদের ফ্রেন্ড রিকু
পাঠায়। সেলিব্রেটি মানে যারা প্রতি স্ট্যাটাসে পাঁচশর উপর
লাইক পান, এরকম সেলিব্রেটি। ছেলে সেলিব্রেটি।

ছেলে সেলিব্রেটিদের একটা কমন বৈশিষ্ট্য হল এরা গরু ছাগল
মুরগি গাধা সবার ফ্রেন্ড রিকু একসেপ্ট করেন। কিছু না দেখেই
একসেপ্ট করেন। এর এক নাম্বার কারণ তার
লেখনী বা গানে বা অন্য কোন কারণে মুগ্ধ হয়ে অনেক অনেক
মানুষ তাকে ফ্রেন্ড রিকু পাঠায়, সবার প্রোফাইল তো আর
খুলে দেখা সম্ভব না, আর দুই নাম্বার কারণ হচ্ছে একসেপ্ট
না করাও সম্ভব না, কারণ লিস্টে ফ্রেন্ড চার পাঁচ হাজার
না হলে সেলিব্রেটি হবে কি করে! ফলাফল, একসেপ্ট।

নুসরাতের রিকু একসেপ্ট হয়। নুসরাত সেলিব্রেটির
একেকটা স্ট্যাটাস পড়ে আর লাইকসংখ্যা দেখে হাঁসফাঁস করে।
নিজের ছবির দুইশ লাইক তার কাছে তখন নেহায়েত তুচ্ছ ও
নগন্য বলে প্রতীয়মান হয়।

নুসরাত সেলিব্রেটিকে ইনবক্স করে, “ভাইয়া, ভালো আছেন?
আপনার কবিতা/লেখা/গল্প আমার খুব ভালো লাগে।
আমি অবসরে নিয়মিত আপনার ওয়াল চেক করি। আমার খুব
ভালো লাগে আপনার লেখা পড়তে। শামসুর রাহমানের পর
আপনিই একমাত্র কবি/হুমায়ূন আহমেদের পর আপনিই
একমাত্র লেখক যার লেখা আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
আপনি তো সেলিব্রেটি মানুষ, আমার কথার রিপ্লাই
হয়তো আপনি দেবেন না। না দিলেন, আমার মেসেজ
আপনি পড়লেই আমি খুশি”।

ছেলে সেলিব্রেটি তো আর রোবট প্রজাতির কেউ না,
মানুষই। রিপ্লাই না দিলেও তিনি কিছুক্ষণ পর পর
ফেসবুকে ঢুকে ফ্যানদের মেসেজ পড়েন। সেই সমস্ত মেসেজের
মধ্যে এমন একটা মেসেজ, যেটার সেন্ডারের প্রোফাইল
পিকচার আবার এরকম হট, তার মস্তিষ্কে সেরোটোনিন
ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। তিনি অনেকটা নিজের কাছে পরাজিত
হয়েই মেসেজের রিপ্লাই দেন।

নুসরাত চ্যাট করে। একসাথে দশ পনেরজন সেলিব্রেটির
সাথে চ্যাট করে সে। খুবই নরমাল ধরণের চ্যাট।

নরমাল চ্যাট একদিন “আচ্ছা তোমার কি বয়ফ্রেন্ড আছে?”
পর্যন্ত গড়ায়। “আচ্ছা তোমার কি বয়ফ্রেন্ড আছে?”
একদিন “তোমার ছবিগুলো না খুব সুন্দর – যাহ
ভাইয়া কি বলেন, আমি তো দেখতে একদম পচা!” পর্যন্ত
গড়ায়। “তোমার ছবিগুলো না খুব সুন্দর – যাহ
ভাইয়া কি বলেন, আমি তো দেখতে একদম পচা!” একদিন
“তোমার নাম্বারটা দেয়া যাবে? – ভাইয়া নাম্বার
নিয়ে কি করবেন?” পর্যন্ত গড়ায়। নাম্বার চাওয়া চাওয়ি আর শেষ হয় না, চলতেই থাকে। নুসরাতের কাছে নাম্বার চান পাঁচজন ছেলে সেলিব্রেটি। নুসরাত তাদের সমানে “না” “না”
বলে যেতে থাকে।

অবশেষে একজনের মুখোশ খোলে। নুসরাতকে নিয়ে নিজের
স্বপ্ন বর্ণনা করে বিশাল এক মেসেজ ফেঁদে বসেন এদের
মধ্যেই একজন সেলিব্রেটি। নুসরাত হাসে। অমুক
সেলিব্রেটি আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছে – ঘটনাটি তার
মেয়েলি হৃদয়ে গভীর সুখের উদ্রেক করে।

নুসরাত তার বন্ধুমহলে এইসব মেসেজ দেখায়। মেয়েদের
কাছে তার দাম বেড়ে যায় অনেকগুণ। মেয়েরা তাকে ঈর্ষার
দৃষ্টিতে দেখা শুরু করে। ওদিকে আস্তে আস্তে মুখোশ
খুলতে শুরু করে আরও দু একজন সেলিব্রেটির। তাদের
প্রত্যেকেরই ধারণা, নুসরাত নামের আইডি শুধু তাদের
নিজেদের জন্যেই দিওয়ানা।

অতঃপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কোন কারণে বারবার
নাম্বার চেয়ে ছ্যাকা খাওয়া সেলিব্রেটি “মাগী” বা “বেশ্যা”
ইত্যাদি বলে গালি দিয়ে বসেন নুসরাতকে। নুসরাতের
ইনবক্সে আর ছবির কমেন্টে বহু সেলিব্রেটির সাথে ঢলাঢলির
খবর কোনভাবে তার কানে আসে।

নুসরাত হেসে ফেলে ফিক করে। ঐ সেলিব্রেটির সাথে সম্পর্ক নেই, আবার তার সাথেও বেশি মেসেজ চালাচালি হয় নি, এমন
এক সেলিব্রেটিকে খুঁজে বের করে সে।
ইনবক্সে কেঁদে ভাসিয়ে দেয়, “ভাইয়া দেখেন
উনাকে আমি বিশ্বাস করে রিকু দিয়েছিলাম, আর উনি আমার কাছে বারবার নাম্বার চাইছে, এখন দেখেন আমাকে গালিও
দিছে, আমি কি করছি ভাইয়া, ভ্যা ভ্যা ভ্যা ব্যা ব্যা ব্যা”।

সেলিব্রেটির মহৎ হৃদয় লাড়াচাড়া দিয়ে ওঠে। নুসরাত
সেলিব্রেটিকে স্ক্রিনশট দেখায়। সেলিব্রেটি বিশ্বাস করেন না। নুসরাত অবশেষে বিশেষ শর্তে পাসওয়ার্ড দিয়ে ঐ সেলিব্রেটিকে নিজের ইনবক্স দেখতে বাধ্য করে। সেলিব্রেটির
মহৎ হৃদয় ঐ রসালো মেসেজগুলো দেখে আবারও
লাড়াচাড়া দিয়ে ওঠে।

অতঃপর, লুল সেলিব্রেটির লুলামির কাহিনী ছড়িয়ে যায় পেজে পেজে। অন্যান্য সেলিব্রেটিরা এই ঘটনায় গভীর শোক ও লজ্জা প্রকাশ করেন। নুসরাত পেজে পেজে পেয়ে যায়
সাহসী নারীর খেতাব। এমনকি অনেক সেলিব্রেটিও চুপ মেরে যান, কারণ তারা অনেকেই নুসরাতের কাছে নাম্বার
চেয়েছিলেন। এদের মধ্যে দু বাচ্চার বাপও আছেন।

আর ঠিক এভাবেই, প্রিয় পাঠক, নুসরাত একজন সাধারণ ফেসবুকার থেকে ছাগীব্রেটিতে রূপান্তরিত হয়। “আপু আপনি খুব সাহসী”, “আপু আপনি দেখিয়ে দিয়েছেন”, “সব লুলদেরই এভাবে ধরিয়ে দেয়া উচিৎ”, “আপু আপনি ফেসবুকে মেয়েদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর”ইত্যাদি রবে ছেয়ে যায় তার ইনবক্স।

কোন এক মহান মনীষী একবার বলেছিলেন, “আমাদের সমাজব্যবস্থা মেয়েদের অসতী বলতে এক পায়ে খাঁড়া, কিন্তু ছেলেদের জন্য এরকম কোন শব্দ তাদের অভিধানে নেই।নারী পরগামি হলে অসতী হয়, পুরুষ পরগামি হলে কিছুই হয় না”।

আর আজ, নুসরাত নামক ছাগীব্রেটি, প্রমাণ করে দিলেন,
“দুনিয়াতে শুধু ছেলেরাই লুল, মেয়েরা লুল না। মেয়েদের অভিধানে লুল বা সমার্থক কোন শব্দ নেই”।

এই স্ট্যাটাসটি, ফেসবুকের সকল লুল নারীদের
উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হলো ৷

~~~লিখা:  সালেহ তিয়াস ~~~

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ