āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4751 (2)

#গুন্ডী_মেয়ে

পর্বঃ চতুর্থ  ( ৪র্থ )



ফোনটা কেটে জানালা দিয়ে নীচের দিকে তাকালাম দেখি বাইক থেকে নেমে দাড়িয়ে আছে ।
রাতে মামনি কোথাও যেতে দেয়না আজ কি বলে নিচে যাব ধ্যাত এতো দেরি করা যাবে না তা নাহলে আবার বাসায় ভেতর ঢুকে যাবে ।
অত্যঃপর
রুম থেকে বের হয়ে দেখি মামনি বসে আছে সোফায় যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত পহায় ।
---এতো রাতে কোথায় যাওয়া হচ্ছে । (আম্মু)

দেখুন ভাইয়া/আপ্পি রাত এখন ৮টা বাজে তাই বলছে এতো রাত ।
---জ্বী মামনি সায়েম এর কাছে একটা নোট আছে সেটা এনে পড়তে হবে । (নাসির)
---তুমি থাকো আমি এনে দিচ্ছি ।

এখন আমি কি করি কি করি ,
---মামনি আপনার যাওয়ার দরকার নাই আর একটা দরকার ছিল সায়েম এর সাথে ।
---আচ্ছা যাও ।
---হুম যাচ্ছি ।

এই বলে দরজা খুলে বের হব তখন আবার ডেকে বলল ,
---তারাতারি এসো কিন্তু ।
---জ্বী মামনি ।

ইস্ আর একটু হলে শেষ হয়ে যেতাম ।
সিঁড়ি দিয়ে সোজা নিচে গিয়ে গেট খুলে কাছে গেলাম ।
---এতখন লাগে আসতে হুম । (শ্রাবণী)
---আরে আমি তো আর আপনার মতো স্বাধীন না যে যখন ইচ্ছে তখন বের হবো । (নাসির)

কথাটা শুনে কিছু বললো না ।
কিছুখন পর ।
---এটা ওখানে লাগিয়ে নিও ।
---মানে ।
---এটা মেডিসিন । (এগিয়ে দিয়ে)

( এ এখন দরদ দেখাতে এসেছে সালার গুন্ডী মেয়ে যেন কোথাকার কথা গুলি মনে বললাম )
---কি হলো ধর এটা ।
---ও হ্যা । হুম তাহলে আমি যাই ।
---না ।
---কেন আর মামনি দেখে ফেললে অসুবিধা হবে ।
---কিছু হবে না ।
---মানে ।
---তোর এতো মানে জানা লাগবে না বাইকে ওঠ ।
---না আমি কোথাও যাবো না ।
---তাহলে আমি তোর বাসায় যাচ্ছি ।

এই বলে যেতে লাগলো ।
আমি পেছন থেকে হাতটা ধরে ফেলি ।
এই প্রথম বার কোন মেয়ের হাত ধরেছি ।
আমি হাত ধরাতে থেমে গিয়ে আমার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে ।
আমি বললাম
---ওহ্ সরি সত্যি বলছি আমি ইচ্ছে করে আপনার হাত ধরেনি রেলি ।

শ্রাবণী আরও কেমন করে তাকিয়ে আছে ।
আমি আবার বললাম ,
---সরি ভুল হয়ে গেছে আর বাসায় গেলে আমাকে মেরে ফেলবে আমি মুখ দেখাতে পারবো না মামনির কাছে ।

এইটা শুনে মনে মনে কেমন যেন হাসল ।
তারপর শ্রাবণী বাইকে উঠে বললো ,
---বাইকে ওঠ ।
---না মানে ।
উঠে পরলাম বাইকে ।
---এমন করে বসে আছো কেন ভালো করে বস ।
---এমনি আর আমি কখন মেয়ে মানুষের বাইকে উঠি নাই তো তাই ।
---ও আর কোন মেয়ের বাইকে চড়ার ইচ্ছে আছে নাকি ।
---না মানে এটা বলছি না তো ।
---ও ।
---গাড়ি থামালে কেন ।
---ভালো করে বস ।
---আচ্ছা ।
---আরে আমাকে ঝরিয়ে ধরে বস ।
---হয়াট ।
---কিছু না ।
---ও ।
অত্যঃপর
রাস্তার মোড়ে এক মেডিসিন দোকানের কাছে গিয়ে থামালো ।
আমাদেরকে দেখে কেমন চোখে তাকালো বুঝতে বাকি নাই যে এই খবর টা মামনি পাবে না ।
---এই কি ভাবছো হ্যা তখন থেকে ।
---আরে কিছু না আপনি আগে যান আমি আসছি ।

এই কথাটা শুনে আরও বড় বড় করে তাকালো যার অর্থ আপনি করে বলছি আর তাকে আগে যেতে বলছি ।
আমি গাড়ি থেকে নেমে শ্রাবণীর পাশে দারালাম ।
---চলো ।
---জ্বী চলেন । ওহ্ সরি চলো ।

এই বলে দুজনে মেডিসিন দোকানে গেলাম ।
কেমন জানি লাগছে আর চিন্তা হচ্ছে মামনির কথায় তারাতারি যেতে বললো ।

ভাইয়া নাপা , ডাইক্লোফেন ইত্যাদি  ওষুধ দিন ।
ওর কথা শুনে চুমকে গেলাম বাহ্ দেখি ডাক্তার মতো ওষুধ এর নাম জানে ।

---আরে ম্যাডাম টাকা লাগবে না ।(লোকটি)
---আরে টাকা লাগবে না মানে । (শ্রাবণী)
---না মানে আপনার ভাইয়া যদি শোনে ।
---আরে এটা নিন কোন সমস্যা হবে না ।

শ্রাবণী টাকাটা দিয়ে আবার গাড়িতে উঠে আমাকে উঠতে বললো ।
আমি আবার বাইকে উঠলাম ।

---শুনুন ওই ওষুধ ভাত খাওয়ার আগে খাবেন আর ওই টা খাবার এর খাওয়ার পর ।
---জ্বী ।
---হুম এখন বাইক থেকে নামেন ।
---ও হ্যা ।
---আর ।
---কি ।
---কিছু না যাও ।
---ওকে বাট আপনি এতো রাতে কেমনে যাবেন ।
---আরে ওখানে দেখ । (হাত দিয়ে দেখিয়ে)
---ও ।
---আমি আসার সময় বলেছিলাম এখানে আসতে ।
---ও ।
আর বেশি কথা না বলে সিঁড়ি দিয়ে উঠে দরজায় কাছে বেল বাজিয়ে দাড়িয়ে আছি ।
কিছুখন পর মামনি এসে দরজা খুলে দিয়ে শুরু ,
---এতো দেরি হলো যে ।
---আন্টি খেতে দিয়েছিল সেজন্য ।
বলে রুমে গেলাম আর এদিকে শুরু হলো রেডিও সেন্টার ।


আজ কলেজে যেতে শ্রাবণী কে দেখলাম না ।
আর সেদিন কেন যে আবারও বলতে গেলাম যে বউ আছে ।
---কি রে ওদিকে কি দেখিস ।(সায়েম)
---কই কিছু না ।(নাসির)
---হুম বুঝেছি ।
---কি ।
---পরে কমু নি ।
এরকম অনেক কিছু বলতে বলতে কলেজে পোঁছে গেলাম ।

এভাবে দুই দিন কেটে গেল ।

শুয়ে শুয়ে ভাবছি শ্রাবণীর কোন দেখা পাচ্ছি না । আচ্ছা শ্রাবণী কি কোথায় গেছে নাকি কোন সমস্যা হয়েছে ।
ধ্যাত এটা কি ভাবছি আমি ।
আমি কি শ্রাবণীকে না আমি তো এরকম মেয়েকে পছন্দ করি না বাট এটা মনে হলো কেন ।
এরকম ভাবছি কেন ।
একটু ঘুমাতে চেষ্টা করলাম ।
ধ্যাত ঘুম আসছে না তো ।
এরকম পাঁচ সাত ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি মনে নাই ।

সকালে মামনির ডাকে ঘুম ভেংগ্গে গেল ।
---কি রে নামায পড়ে কি একটু বই নিয়ে বসতে পারিস না ।(মামনি)
---মামনি প্রতিদিন এভাবে ঢেকে যাও ভালো লাগে না ।(নাসির)
---কি ।
---কই কি কি ই কিছু না ।
---আচ্ছা তারাতারি উঠে ফ্রেশ হয়ে খেতে আয় ।
---জ্বী মামনি আপনি যান আমি আর একটু ঘুমিয়ে পরে উঠি ।
---কি একটু ঘুমিয়ে মানে ।
---না কিছু না এই যে উঠেছি । (খাটে থেকে নেমে)
---তারাতারি আয় খেতে অনেক কাজ আছে ।
এই বলে চলে গেল মামনি ।

আমি ওয়াশ রুমে ফ্রেশ হতে গেলাম ।

অত্যঃপর

ফ্রেশ হয়ে খেতে গেলাম ।

---আরে আজকে ছুটি বলে নামায পড়ে লম্বা ঘুম দিতে হবে একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে পারিশ না । (আব্বু)
---তা উঠবে ক্যানো ঘুম পারা ছাড়া কিছু বোঝেনা । (মামনি)
---মামনি এ কথা বাদ দাও তো । (নাসির)
---আর শোন আজকে মেহমান আসবে বাসায় থেকো ।
---মানে কে আসবে আব্বু ।
---আরে তুমি কিছু বলোনি ।
---ও হ্যা বলেনি মনে ছিল না কাল রাতে বলতে ।
---কি মামনি ।
---ওই যে একদিন বলেছিলাম না যে আমার বান্ধবী আছে ।
---হ্যা তাই ।
---ওর মেয়েকে বিয়ে দিবে ।
---হুম কিন্তু সবে মাত্র কলেজে পরে ।
---হ্যা কিন্তু ।
---কিন্তু কি মামনি ।
---ওর দাদু নাকি বেঁচে থাকতে নাতিন জামাই দেখতে চায় ।
---ও সেজন্য ।
---হুম ।
---রাতে কি বলতে চাইছিলে মামনি ।
---ওরা দেখতে আসবে ।
---ওরা কারা মানে কে কাকে দেখতে আসবে মামনি ।
---মানে তোর আন্টি তো....



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।



শীঘ্রই আসবে পরবর্তী পর্ব ।।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদির আব্বু )

#গুন্ডী_মেয়ে

পর্বঃ পঞ্চম ( ৫ম )



---মানে তোর আন্টিরা তোকে দেখতে আসবে । (আম্মু)
---মানে আমাকে দেখতে আসবে কেন । (নাসির )
---কি বলছো আর আমি..
আমাকে কথাটা বলতে না দিয়ে মামনি বলতে লাগলো ,
---তোর পড়ার কোন ক্ষতি হবে না আর এখন তো বিয়ে হবে না শুধু এনগ্রেজ মেন হবে যখন তোদের পড়াশোনা শেষ করে তোদের বিয়ে হবে ।
---মানে এগুলি কি বলছো আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না ।
---তোর কিছু বুঝতে হবে না তারাতারি খেয়ে নি ।

আমি আর কিছু না বলে খেয়ে রুমে এলাম ।
এটা কি হচ্ছে বুঝতে পারছিনা ।
আচ্ছা শ্রাবণী কি আমাকে পছন্দ করে নাকি নাকি ভালোবাসে ।
ধ্যাত এটা আমি কি ভাবছি এটা কখনো হতে পারে না । আর আমার মতো কালো ছেলেকে পছন্দ করবে বা কেন ।
আমিও কি না এটা হবে না মামনি এরকম মেয়ে একদম পছন্দ করে না আর কখনো ওই মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিবে না ।
ধ্যাত আমি আর ভাবতে পারছিনা ।

আর বিয়ের খবর যদি শ্রাবণী জানে তাহলে আবার পাগলামী করবে মনে হয় ।
না এখন এগুলি ভাবলে চলবে না ফ্যামেলি যেটা সিদ্ধান্ত নেয় সেটা করতে হবে । আর মামনি কে কখন কষ্ট দিবো না ।
কখন যে ঘুমিয়ে গেছি মনে নাই ।
মামনির ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম ,
---কি রে আজকে কি হয়ছে আর নামাজ পড়তে যাবি না । ( আম্মু )
---না মামনি কিছু হয়নি আর এখন গোসল করে নামাজ পড়তে যাবো । ( নাসির )
---আর নামাজ পড়ে তারাতারি আসবি ।
---কেন মামনি ।
---ওরা নামাজ পর আসবে আর কিছু কাজ আছে সেটা করতে হবে ।
---হুম চেষ্টা করবো আসতে ।
---চেষ্টা করবি মানে আসতে হবে ।
---আচ্ছা এখন যান আসবো ।

আর কিছু বললো না ।
আমি বিয়ে করবো না এটা কি করে বলি ।

অতঃপর

নামাজ পড়ে আসলাম ।
বাসার সামনে একটা গাড়ি দেখতে পাচ্ছি মনে হচ্ছে মেহমান আসছে ।
আমি বাসায় ঢুকে গেলাম ।
বাহ্ অনেক মেহমান ।
আমি সোজা রুমে চলে গেলাম ।
আমি আবার লজ্জা বেশি পায় ।

অতঃপর

ছেলেকে দেখানো হলো মানে আমাকে ।

আমি সবার মাঝে বসে আছি ।
কেমন যেন লাগছে আমার ।
এমনিতে লজ্জা লাগছে ।

একটা মহিলা বলল ,
---তোমার নাম কি বাবা ।  ( মহিলাটি )
---জ্বী মোঃ রাসেল ইসলাম নাসির  । ( নাসির )
---কোন ক্লাস এ পড় ।
---জ্বী অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ ।
---ও খুব ভালো আচ্ছা লজ্জা পাচ্ছো ।
---জ্বী না মানে ।

আরও কিছু কথা জিঙ্গেস করল সব কিছু বলে দিলাম ।

অতঃপর

---এখন তুমি রুমে যাও বাবা ।
---জ্বী যাচ্ছি ।
সালাম দিয়ে চলে এলাম ।

আরে আগে জানতাম না যে ছেলেদেরকে এত প্রশ্ন করে ছেলে দেখতে আসছে নাকি মেয়ে তখন মেজাজ টা অনেক খারাপ হয়ে গেছিল ধ্যাত বিয়ে নাকি ইন্টারভিউ ।

আরে আপনারা ভাবছেন যে মেয়ে না দেখে ছেলে দেখতে আসছে ।
আরে তা না আব্বু আর মামনি তারা নাকি মেয়েকে দেখে এসেছে ।

আমার নাকি দেখার প্রয়োজন নাই ।

আমিও বলেছিলাম থাক আমার দেখা লাগবে না ।
এভাবে কেটে গেল দিনটা ।

পরের দিন কলেজে যাচ্ছি কিন্তু শ্রাবণীকে দেখতে পাচ্ছি না কেন যে শ্রাবণীকে মিস করছি কেন ।
আর শ্রাবণীর বান্ধবীদের বলতেও পারছিনা যে শ্রাবণী কোথায় গেছে গত কয়েক দিন ধরে । ধ্যাত কেন যে বলতে পারছি না ।

প্রতিদিন গুন্ডী মেয়ের জারি আর রাগি চোখের ভাষা মিস করে করে এভাবে কেটে যাচ্ছে দিন গুলি ।

---কি হয়েছে নাসির আজ কলেজে যাবি না । ( মামনি )
---না মামনি আজকে যেতে ইচ্ছে করছে না । ( নাসির )
---কেন কি হয়ছে শরীর খারাপ নাকি ।
---না মামনি এমনি ।
---ও । তোর ফোন বাজছে ।
---ও হ্যা । আচ্ছা আপনি যান আমি কথা বলি ।
---ওকে যাচ্ছি ।

মামনি চলে গেল তখন অবধি ফোনটা কেটে গেল ।
ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি আনকমন নাম্বার কে দিতে পারে ফোন এটা ভাবতে আবার ফোনটা বেজে উঠলো ওমনি ধরে ফেলি ।
---হ্যালো । ( নাসির )
---ওই ছেমরা ফোন ধরতে এতো লেট কেন আর প্রথম বার ফোন ধরলি না ক্যা । (  শ্রাবণী )
কথাটা শুনে বুঝতে পারলাম এটা শ্রাবণী ।

---না মানে ।
---না মানে কি হুম । আর হ্যা শোন এটা আন্টির নাম্বার বুঝলি ফোন দিবি না।
---জ্বী ।
---কেমন আছিস ।
---আলহামদুল্লিল্লাহ ভালো আপনি ।
---ভালো না ।
---কেন কি হয়েছে ।
---একা একা ভালো লাগছেনা ।
---তাহলে এবার একটা বিয়ে করেন ।
---কি বিয়ে আর একবার বল ।
---কই কি বলছি কিছু না ।
---ও তাহলে কে বলল ।
---কই কে বলেছে আমি জানি না ।
---হুম কলেজে যাও ।
---না আজকে যায় নাই ।
---কেন ।
---এমনি ।
---শরীর খারাপ নাকি ।
---না এমনি ভালো লাগছে না তাই ।
---ও ।
---আচ্ছা আপনি কোথায় এখন গত কয়েক দিন ধরে দেখতে পাচ্ছি না যে ।
---না মানে নানুর বাড়ি আসছি নানুর অনেক শরীর খারাপ তাই ।
---তা আসবেন কবে ।
---আমি অলরেডি বের হয়েছি ।
---বের হয়েছেন মানে ।
---আরে গাধা বের হয়েছি মানে আমি বাড়ি আসতেছি ।
---ও ভালো ।
---আর শোন বিকালে ওই লেকের পাড়ে দেখা করিস ।
---আমি দেখা করতে পারবো না ।
---মানে তুই আসবি না ।
---না ।
---তুই আসবি তোর বাপ আসবে আর যদি না আছিস তাহলে আমি তোর বাসায় গিয়ে তোর আম্মুরে বলবো যে আমার সাথে প্রেম করিস ।
---কি বলছো এ এগুলি হ্যা ।
---আসবি কি না বল ।
---হ্যা আসবো ।
---ওকে গুড বয় । বিকেল ৪টায় মনে থাকে যেন ।
---হুম গুন্ডী ।
---কো কই কিছু না ।

এই বলে ফোনটা কেটে দিলাম ।
হাহাহা খেপে গেছে ।
এখন একটু ভালো লাগছে শ্রাবণীর সাথে কথা বলে ।

আচ্ছা আব্বুকে কি শ্রাবণীর কথা বলবো নাকি ওই মেয়েকে বিয়ে না , না এটা সম্ভব না ওই মেয়েকে বিয়ে করা ।
সব কিছু মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে কিছু বুঝতে পারছি না ।
না এখন একটু ঘুম দিতে হবে না হলে মনটা ফ্রেশ হবে না ।
একটু ঘুম দিলাম ।

অতঃপর

বিকালে লেকের পাড়ে একা একা বসে আছি ।
৪টা বেজে ১০ মিনিট এখনো আসার কোন নাম গন্ধ নাই ।
ধ্যাত আর দশ মিনিট লেট করে চলে যাবো ।

---এতো লেট কেন হ্যা মামনি ফোন দিতেছে কখন থেকে । ( নাসির )
---চুপ বিয়েটা কার । ( শ্রাবণী )
---মানে কাকে কি বলছেন ।
---ওই চুপ তোর বিয়ে করা বের করছি সালা...



চলবে পরবর্তী পর্বে ।



ইনশা আল্লাহ পরের পর্বটি শীঘ্রই আসবে ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম

#গুন্ডী_মেয়ে

পর্বঃ ষষ্ঠ ( ৬ষ্ঠ )



---ওই চুপ তোর বিয়ে
করা বের করছি সালা । (শ্রাবণী)
---মানে বিয়েটা আ... । ( নাসির )
কথাটা বলতে দিল না তার আগে শ্রাবণী বললো ,
---চুপ সালা বিয়ে করা বের করছি আর যদি বিয়ে করিস না তাহলে দেখবি আমি কি করি সালা । (চোখ গুলি বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে)
---আরে আপনি এতো রেগে যাচ্ছেন কেনো ।
---আপনি হ্যা ।
---না মানে সরি তুমি এতো রেগে যাচ্ছো কেন ।
---ওই আমি রেগে যাচ্ছি কেন বুঝিস না সালা ।
---না তো ।
---ওই তোর বোঝা লাগবে না ।
---আর তোমাকে বলছে কে বিয়ের কথা ।
---যেই বলুক না কেন তুই যদি বিয়ে করিস না সালা তাহলে দেখবি আমি কি করি হুম । আর তোর হবু বউ এর নাম্বার দে ।
---আরে তুমি পাগল নাকি হ্যাঁ আমি বিয়ে করলে তোমার কি নাকি তুমি আমাকে ভালোবাসো ।
---হ্যা আমি পাগল কিন্তু ।
---কিন্তু কি ।
---ভালোবাসে কেমনে আমি বুঝি না শুধু তোকে দেখার পর আমি তোমাকে ছাড়া একা একা অনুভব হয় ।
---হাহাহা ।
---ওই সালা হাসিস ক্যান ।
---না মানে এমনি ।
---ওই শোন ।
---জ্বী বলেন ।
---কি এটা দেখছোস । (পিস্তল দেখিয়ে)
---স.. স.. সরি ।
---তুই সত্যি করে একটা কথা বল ।
---কি ।
---আমাকে তোর পছন্দ হয় ।
---না মানে ।
---না মানে কি বল ।
---না মানে তোমাকে পছন্দ হয় কি তা জানি না কিন্তু ... ।
---কিন্তু কি বল ।
---তোমাকে ভালো লাগে কিন্তু..
---কিন্তু কি ।
---মামনি এগুলি পছন্দ করে না আর মামনির কথার উপর আমি কথা বলতে পারি না আমি মামনিকে অনেক ভয় পাই ।
---তার মানে তুই বিয়ে করবি তোর মামনির পছন্দের মেয়ে কে তাই না । (কিছুটা কান্না কন্ঠে)
---না মানে আমি মামনির কথা...
কথাটা বলতে না দিয়ে শ্রাবণী বলল ,
---আমি কখনো মামনির কথা অবাধ্য হয়নি আর এবারও হবো না তাই তো । (কেমন জানি নীরব কন্ঠে বলল)
---আসলে ..
---থাক আর বলতে হবে না শোন আমি জানি না ভালোবাসা কাকে বলে আর ভালোবাসতে হয় কেমনে এটাও জানি না কিন্তু তোকে দেখার পর থেকে আর তোর কথা গুলি শোনার পর থেকে কেমন জানি তোকে ভালো লাগে তোকে সব সময় অনুভব করি মিস করি আর কেন করি তা জানি না কিন্তু যদি এটাই ভালোবাসা হয় তাহলে আমি তোকে ভালোবাসি ।
আর হ্যা আমি একটা গুন্ডী মেয়ে আমার মাঝে কোন ভালোবাসা নাই ।
আমি দোয়া করি বিয়েটা ভালোভাবে হয় আর তুই সুখী হও ।  (কান্না কন্ঠে)

এই বলে শ্রাবণী কাঁদতে কাঁদতে চলে যাচ্ছে ।
আমি শ্রাবণীর চলে যাওয়া দেখছি ।
আমি শ্রাবণীর কথাটা শুনে আমি একদম কেমন জানি হয়ে গেছি ।
শ্রাবণীকে আর দেখা যাচ্ছে না ।
মেয়েটা হয়তো আমাকে পছন্দ করে আর আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে ।

এখন পশ্চিম আকাশে সূর্যটা লুকিয়ে পড়েছে চতুর দিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে ।
একটু পর থেকে এক এক করে আলো জ্বলে উঠবে ।

হঠাৎ করে মাথার উপর ল্যামপোষ্ট আলো জ্বলে উঠলো ।

অতঃপর

বাসায় আসলাম ।
বাসায় ঢোকার সাথে মামনি বলল ,
---কি রে কি হয়েছে তোর । (আম্মু)
---কই কিছু হয় নাই তো আ.. আমি ঠিক আছি তো । (নাসির)
---এরকম ভাবে কথা বলছিস কেন ।
---কই না তো আমি তো ঠিক মতো কথা বলছি ।
---না বাবা আমার যেন কেমন লাগছে কিছু হয়েছে যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে বলতে পারিশ ।

---( হুম মামনি সবার চোখে ফাঁকি দিতে পারি কিন্তু মামনি তোমার চোখে ফাঁকি দিতে পারবো না মনে মনে ভাবছি )
---কি ভাবছিস বাবা ।
---কই কিছু না ।
---আমার মন বলছে তুই কিছু ভাবছিস ।
---আসলে মামনি আপনারা আমাকে কতো ভালোবাসেন যদি এমন কিছু করে ফেলি যেটা  আপনারা কষ্ট পান সেজন্য ।
---হাহাহা আমি জানি তুই এমন কিছু করবি না যেটা আমরা কষ্ট পাই ।
---না মানে যদি সত্যি সত্যি এমন কিছু করে ফেলি ।
---তুই না কি যে বলছিস আর আমার বিশ্বাস আছে আমি জানি তুই এমন কিছু করবি না যেটা আমরা কষ্ট পাই ।
---সত্যি বলছো মামনি ।
---তোর কি হয়েছে বল তো আমায় ।
---কিছু না মামনি ।
---এখন রুমে যা আর তারাতারি নামাজ পড়ে আসবি আজকে ।

আমি আর কথা না বলে রুমে চলে আসলাম ।
কিছুখন পর আজান হলো আমি নামাজ পড়তে গেলাম ।

অতঃপর

নামাজ পড়ে আসলাম ।
অবশ্য আব্বুকে নামাজ পড়তে বলেছিলাম কিন্তু গেলেন না ।
আব্বু একটু নামাজ কম কম পড়ে তো তাই থাক একথা ।

এখন রুমে বসে আছি শ্রাবণীর ওই কথা গুলি বেশি বেশি মনে পড়ছে ।
কেন এতো শ্রাবণীর কথা মনে পড়ছে আচ্ছা আমিও কি শ্রাবণীকে ভালোবেসেছি ।
না এটা তো হতে পারে না ।
মামনি আমাকে দিয়ে বিশ্বাস করে আমি তাদেরকে কখনো কষ্ট দিবো না ।
আমি আর ভাবতে পারছিনা ।
মামনির কথায় চুমকে উঠলাম ,
---কি রে সেই কখন থেকে ডাকছি আমরা কোন কথা বলছিস না ।
---কই কখন থেকে ডাকছো ।
---আরে পাঁচ বার ডেকে কোন উত্তর না পেয়ে ভাবলাম ঘুমিয়ে গেছিস নাকি তাই রুমে চলে আসলাম ।
---ও আচ্ছা আপনি জান আমি আসছি ।
---তারাতারি আয় ওদিকে তোর বাবা বসে আছে ।
কথা বলে চলে গেল ।
তার পর আমি খেতে গেলাম ।

---কি রে ভাত খাওয়া বাদ দিয়ে কি ভাবছিস । (আব্বু)
---ও হ্যা ।
---দেখো না ছেলেটার কি হয়েছে সেই কাল থেকে কি যেন ভাবে কিন্তু কিছুই বলছেনা আর যদি বলি কি হয়েছে বলে কিছু না ।  (আম্মু)
---কি হয়েছে আব্বু এতো ভাবছো যে তোমার আম্মু বলছে । (আব্বু)
---কই কিছু হয়নি এমনি ।
---শোন যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে বল আমাদের আমরা সে সমস্যা সমাধান করবো আমাদেরকে বন্ধু ভেবে সব বলতে পারিস ।

আব্বুর কথা শুনে আমি আব্বুর দিকে তাকালাম মিষ্টি হাসি দিল ।
---না আব্বু তেমন কিছু না ।
---ও যদি কিছু মনে না করিস আমাকে বলতে পারিস আর এখন না বললি পরে বলিস এখন ভাত খাও ।
---জ্বী আব্বু ।

রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবছি আব্বুকে বলবো না আব্বুকে বলা যাবে না কারন আব্বুর কাছ থেকে মামনি শুনতে পারে আর তখন আমার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে যাবে এটা করা যাবে না ।
কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই ।
শেষ রাতে আজান শুনে ঘুম ভেংগ্গে গেল ।
উঠে ওযু করে মসজিদে গেলাম ।

অতঃপর

কলেজে যাচ্ছি ।
আমি থেমে গেলাম সেই জায়গায় যেখানে শ্রাবণী প্রতিদিন বসে থাকতো ।
হঠাৎ বুকের বাম পাশে কেমন জানি ব্যথা অনুভব করছি ।
আমি সেখান থেকে কলেজে আসি ।
আজকে কলেজ করতে ভালো লাগছেনা কেমন জানি নিজেকে একা একা লাগছে ।
সবাইকে দেখতে পাচ্ছি কিন্তু শ্রাবণীকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না ।
কাল থেকে ফোন অফ বলছে ।
কিছু হয়নি তো শ্রাবণীর আর শ্রাবণীর কিছু হলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না ।
মনের ভেতর ভয় কাজ করছে ।

কিছুটা ভয় আর মিস করে যাচ্ছি শ্রাবণীর জন্য ।
এভাবে কেটে যাচ্ছে দিন গুলি ।

এভাবে কেটে গেল দুটি দিন ।

দুপুরে খেয়ে শুয়ে আছি তখনি মামনি এসে বলল ,
---নাসির এখন কি কোন কাজ আছে তোর । (মামনি)
---না নেই কেন । ( নাসির )
---আজকে নাকি মিম আমাদের বাসায় আসার জন্য বের হয়েছে যদি একটু রিসিভ করে নিয়ে আসতি খুব ভালো হতো ।
---হুম কখন রওনা দিয়েছে ।
---তোর মামি বললো যে এই মাত্র বের হয়েছে তুই একটু তারাতারি যাতো ।
---ওকে যাচ্ছি ।

আমি বের হলাম ম্যাডামকে আনতে ।
ম্যাডাম বলে আপনারা চিনবেন না ও হলো মিম আমার মামাতো বোন মামনি ওর কথা বলছিল তখন ।
যাই হোক মনের কথা বলার জন্য এক জনকে পাইলাম মানে পাইবো কিছুটা হালকা হতে পারবো ।

আমি নিজে ড্রাইভ করছি । সেই রেল স্টেশন যাওয়ার জন্য ।
গাড়িটা আপন মনে চালাচ্ছি আর তাহছানের গান শুনছি ।
কেউ না জানুক আমিতো জানি আমি তোমার..
কেউ না জানুক তুমি তো জানো তুমি আমার ।

কারন আজকে কেমন জানি মনটা ভালো লাগছে ।
প্রায় স্টেশনের কাছাকাছি আসছি তখন লুকিং গ্লাসে চোখ পরতে না পরতে আমার বুকের ভেতর কেমন জানি করে উঠলো ।
ওটা শ্রাবণী না....




চলবে পরবর্তী পর্বে ।



ইনশা আল্লাহ পরের পর্বটি শীঘ্রই আসবে ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম (মাহাদির আব্বু)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ