āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4746 (7)

#ভাড়াটে_গার্লফেন্ড

পর্বঃ উনিশ ( ১৯তম )



সকাল সকাল ঘুমটা ভেংগ্গে গেলো । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৯ টা বাজে । একবার ৭ টার সময় ঘুম ভেংগ্গে ছিলো । অফিসে যাবো না বলে আবার ঘুমিয়ে ছিলাম ।
ফোনটা হাতে নিলাম দেখছি মাহি ফোন দিয়েছিলো নাকি কিন্তু না এখনো কোনো ফোন আসেনি । তাহলে এখনো বের হয়নি ।
বিছানা থেকে উঠে ওয়াশ রুমে চলে গেলাম ।
.
রুম থেকে বের হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে খাবারের টেবিলের দিকে যাচ্ছি ।
নেমে দেখি মাহি বসে আছে । মামনির সাথে কথা বলছে ।
আমি সিঁড়ি থেকে নেমে দাড়িয়ে ভাবছি । হঠাৎ করে মাহি আর এতো সকালে আমাদের বাসায় বুঝতে পারলাম না । আজ মাহিকে খুব ভালোলাগছে । কিছু চুলগুলি সামনে দিয়ে রেখেছে । এটা আমার কাছে অনেক ভালোলাগে ।
আমি দাড়িয়ে আছি মামনি সেটা বুঝতে পেরে বললো ,
---টেবিলে গিয়ে বস আমি আসছি ।
---জ্বী ।
.
আমি খাবারের টেবিলে চলে এলাম ।
আমার দিকে মাহি একবার তাকিয়ে ছিলো । আমিও তাকিয়ে ছিলাম । এখন কেমন জানি মাহিকে আর চোখে দেখি । মাহিকে খুব ভালো লাগে । মাহির কিছু কথা এতো ভালোলাগে বুঝতে পারছিনা । আগে লাগতো না কিন্তু ইদানিং কেমন জানি ভালো লাগে ।
একটু পরে মাহি আর মামনি চলে আসলো ।
---মা তুই বস ।
---না আন্টি আমি খেয়ে আসছি ।
---আরে বস তো ।
---তা হলে কিন্তু...
---বেশি কথা না বলে বস তো ।
.
মাহি চেয়ারে বসে পরলো ।
মামনি প্লেটে খাবার দিয়ে দিলো ।
আমাকে দিলো মাহিকে দিলো আর মামনি প্লেটে খাবার নিলো ।
আমি খাবার খেতে লাগলাম ।
তখন মাহি বলে উঠলো ,
---আন্টি প্লিজ এতো খাবার খেতে পারবোনা  ।
---আরে খা তো মা ।
---না আন্টি আমি পারবোনা প্লিজ কোম করে দিন ।
.
তারপর মাহি খাবার কোম করে নিলো ।
আমি মাঝে আর চোখে দেখি মাহিকে ।
আমাকে দেখছে লুকিয়ে ।
.
খাবার খেয়ে রুমে এলাম ।
রেডি হচ্ছি মাহির বান্ধুবীর বাসায় যাওয়ার জন্য ।
একটু পর রুম থেকে বের হলাম ।
দেখি আবার বসে গল্প করছে ।
কাছে এসে বললাম ,
---এখন চলো ।
.
তখন মাহি আমার দিকে তাকালো ।
আমার দিকে কিছুখন তাকিয়ে আছে । আমি বুঝতে পারলাম না এরকম ভাবে তাকিয়ে আছে কেনো ।
মামনির দিকে তাকালাম । দেখি মামনি মুচকি মুচকি হাসছে । কেনো হাসে আমাকে দেখে । আমি আমার শরীরের দিকে তাকালাম । সব ঠিক আছে তাহলে কেনো হাসছে ।
---মামনি আপনি হাসছেন কেনো ।
.
আমার কথাটা শুনে দুজনে আরও একটু জোরে হেসে উঠলো ।
বারে আমি কি কথা বলছি যে এতো  হাসছে । মেজাজটা মুহূর্তে গরম হয়ে গেলো । কিছু বলতে পারছিনা । আমার এরকম মুখের অবস্থা দেখে মামনি বললো ,
---মাহি যা আর গাড়ির ভেতর ঠিক করে লাগিয়ে দিস ।
.
মাহি হেসে উঠে বললো ,
---ঠিক আছে আন্টি ।
.
আমি আবারও নিজের দিকে তাকালাম কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না ।

আবারও নিজের প্যান্টের চেনের দিকে তাকালাম । চেন খোলা আছে নাকি কিন্তু নেই । যাক বাবা বাঁচা গেলাম মান সম্মান বেঁচে গেলো । যদি চেন খোলা থাকতো তাহলে শেষ হতাম । তাহলে কেনো হাসছে বুুঝতে পারছিনা ।
.
---কি হলো চলো ধেরি হয়ে যাচ্ছে তো ।
---ও হ্যা চলো....মামনি আমরা তাহলে আসি ।
---যা মাহিম ।
.
গাড়ির ভেতর বসে আছি । কিন্তু যাচ্ছি না মামনির সেই কথায় ।
আমি জিজ্ঞেস করতে পারছিনা কেনো মামনি ও কথা বললো  । যদি সেটা মান সম্মান এর ব্যাপার আছেনা ।  যদি এমন কিছু ঘটে থাকে যেটা আমার ইজ্জতের বেপার ।
তখন মাহি বলে উঠলো ,
---আমি কি সামনে আসতে পারি ।
.
আমি পিঁছনের দিকে তাকালাম । মিষ্টি মিষ্টি হাসছে বুুঝতে পারছিনা ।
---আচ্ছা ঠিক আছে আসেন ।
.
তারপর মাহি সামনের সিটে এসে বসলো ।
---আমি আপনাকে একটা কথা বলতে চাই ।
---আমি জানি তুমি কি বলতে চাও ।
---আপনি কি জানেন ।
---তোমার আম্মা যেটা বলেছে সেটা জিজ্ঞেস করবেন তাই না ।
.
আমি কথাটা শুনে থ্র হয়ে গেলাম । কেমন করে বুঝলো আমি এই কথা জিজ্ঞেস করবো ।
---কি হলো কি ভাবছো ঠিক বলেছি কেমন করে তাই না ।
---না মানে ।
---আমি তোমাকে এই কয়দিনে চিন্তে পেরেছি তুমি কি রকম ।
.
বাব্বাহ্ এতো দেখছি ডাক্তার না বটে । এ দেখছি মনোবিজ্ঞানী হয়ে গেছে । মনের সব কথা বলে দিচ্ছে ।
---আমি কি রকম চিন্তে পেরেছেন  ।
---হ্যা চিন্তে পেরেছি ।
---আচ্ছা কেনো হাসছিলেন বলেন এখন ।
---তোমার শার্টের বোতাম দেখো  ।
---মানে ।
---তোমার শার্টের বোতাম কোনটার সাথে লাগিয়েছো ।
.
আমি আবার শার্টের দিকে তাকালাম । ও এটার জন্য হাসি বুুঝতে পারছিলাম না । একটার বোতাম অন্যটার সাথে লাগছিলাম তাই এরকম করে হাসা লাগবো ।
যাক বাবা মনে করছিলাম ইজ্জতের কোন জায়গায় ইয়ে টিয়ে আছে নাকি ।
---এই জন্য হাসতে হবে ।
---আরে আমি আগে হাসি নি তোমার আম্মা আগে হেসে উঠলো ।
---আর সাথে আপনিও ।
---আরে তখন তোমাকে জোকারের মতো লাগছিলো ।
.
কথাটা শুনে মেজাজটা গরম হয়ে গেলো । আমার এরকম দেখে বলে উঠলো ,
---আচ্ছা বাদ দিন সে কথা ।
---ঠিক আছে ।
---আর শোনেন তিশাদের বাসায় গিয়ে আপনি আপনি করে কথা বলবেন না ।
---আচ্ছা চেষ্টা করবো ।
---চেষ্টা করবো মানে । বলতে হবে কোনো চেষ্টা না বুঝলেন ।
---ঠিক আছে ।
---এখন তাহলে বোতামটা লাগান মিঃ ।
---ওকে লাগাচ্ছি ।
---যদি কিছু মনে না করো আমি ভালো করে লাগিয়ে দিতে পারি ।
.
আমি মাহির দিকে ভালো করে তাকালাম । কেনো এরকম করছে বুুঝতে পারছিনা । সে কেনো লাগিয়ে দেবে । আমি তো পারি ।
---আচ্ছা ঠিক আছে দিন ।
---আপনি একটু এদিকে এসে বসুন ।
.
আমি তার কাছে গেলাম ।
আমার শার্টের বোতামটা খুলে লাগালো । তার হাতের আঙ্গুলের স্পর্শে আমার গা সিওরে উঠলো । কেমন জানি অন্য রকম অনুভূতি প্রকাশ পেলো ।
---এখন সরে বসুন ।
.
আমি আবার আগের স্থানে আসলাম ।
তারপর মাহির বান্ধুবীর বাসার উদেশ্যে রওনা হলাম ।
.
আধ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছেগেলাম ।
.
তারপর বাসার ভেতর চলে গেলাম ।
আমাদের জন্য হালকা নাস্তার ব্যবস্থা করা হলো ।
.
অনেক রিকুয়েস্ট করলো খেতে কিন্তু খেলাম না । তারপর মাহি বললো ,
---দোস্ত এখন যেতে হবে ২ দিন পর পরীক্ষা  আমার অনেক পড়া বাকী ।
---বললাম যে ভাইয়াকে সাথে নিয়ে আসছিস দুপুরের খাবার খেয়ে তারপরে যা ।
---আরে ও না  সমস্যা নাই অন্য একদিন আসবো সেদিন খেয়ে যাবো ।
---অল্প করে খেয়ে যা ।
---আরে তুই বোঝার চেষ্টা কর ওদের বাসায় খেয়ে বের হয়ছি ।
---ঠিক আছে ভাইয়াকে নিয়ে আবার আসবি কিন্তু ।
---ঠিক আছে আসবো ।
---ভাইয়া আসবেন তো ।
---ইনশা আল্লাহ আসবো ।
---তাহলে আসি রে দোস্ত ।
---ঠিক আছে পরীক্ষার ভেতর দেখা হবে । আর বাসায় পৌঁছে ফোন দিস ।
---ঠিক আছে দিবো ।
.
তিশার আব্বা-আম্মাকে বলে চলে আসলাম ।
.
এমনিতে আমি এখন কম কথা বলি । বিশেষ করে মেয়েদের সাথে আরও বলি না । কেমন জানি আর বলতে ইচ্ছে করেনা ।
.
তিশাদের বাসা থেকে রওনা দিলাম ।
মাঝ পথে এসে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম ।
মাহি কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছিলো এখানে কেনো । আমি কিছু বলিনি মাহিকে ।
.
রেস্টুরেন্টে বসে আছি । ম্যানু দেখে অডার দিলাম খাবারের ।
.
আমি মাহির দিকে তাকাচ্ছি বারে বারে কেমন জানি আজ মাহিকে লুকিয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে । আর কেমন জানি মজা পাচ্ছি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা । সেটা মাহি বুঝতে পেরেছে যে আমি তার দিকে বারে তাকাচ্ছি । মাহি কিছু বলছে না । কিন্তু মাঝে মাঝে কি জেনো ভেবে মনে হেসে উঠে ।
একটু পরে খাবার এসে গেলো ।
তখন দুজনে খাবার খেতে লাগলাম ।
---আচ্ছা মাহি একটা কথা বলতে পারি ।
.
কথাটা শুনে খাবার আর মুখে দিলো না ।
---আচ্ছা বলো ।
---আপনি আমাদের বাসায় এসেছিলেন  মানে ।
.
আমার এই কথা শুনে একটু হেসে বললো ।
---এই কথা তোমার আম্মু ফোন করেছিলো । আমাকে নাকি তার দেখতে খুব ইচ্ছে করছে তাই চলে এলাম আর এমনি তে তোমার সাথে আমার বান্ধুবীর বাসায় যেতে হবে তাই ভাবলাম তোমার বাসায় যাই এতে আমাকে দেখতে পারবে আর তোমাকে আমাদের বাসায় যেতে হবে না এখান থেকে যেতে পারবো ।
---ও গুড ।
---হুমমম ।
.
আমি আর কিছু বললাম না ।
.
রেস্টুরেন্টে বিল দিয়ে বাসার উদেশ্যে রওনা দিলাম ।
মাহিকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমি বাসায় দিকে রওনা দিলাম ।
অতঃপর
বাসায় এলাম ।
.
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ।
৯ টার দিকে অফিসে চলে এলাম ।
আর সন্ধ্যায় সময় বাসায় আসি ।
এভাবে দিন কেটে গেলো ।
পরের দিন শুয়ে আছি । মাহিকে খুব মনে পরছে  । ফোন দিতে পারছিনা কাল সকালে পরীক্ষা । আর এখন ফোন দিলে পড়াতে মন বসবে না । তাই সব কিছু ভেবে ফোন দিলাম না ।
চোখটা বুজেছি ঘুমানোর জন্য তখন ফোনটা বেজে উঠলো । ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি মাহি ফোন দিছে । ব্যাপার কি আজ ফোন করেছে । কিছু হয়েছে নাকি টেনশন হচ্ছে ।
ফোনটা রিসিভ করে ,
---হ্যালো ।
---( কাঁন্নার শব্দ )
---আরে আপনি কাঁন্না করছেন কেনো ।
---( কাঁন্না করে যাচ্ছে )
---তাও কাঁন্না করে যাচ্ছে কি হয়েছে বলেন । না হলে কিন্তু কথা বলবোনা ।
---খুব ভয় করছে ।
---পাশে ছোট বোন নেই ।
---আরে সে ভয় না ।
---তাহলে ।
---পরীক্ষা কাল কি হবে আল্লাহ ভালো জানে কেমন হবে ।
---আমার বিশ্বাস আছে আর আমি জানি আল্লাহুর রহমতে পরীক্ষাআপনার ভালো হবে । কোনো টেনশন করবেন না আর কাঁন্না করবেন  প্লিজ ।
---তাই জেনো  হয় ।
---এখন মন দিয়ে পড়েন আর একদম কাঁন্না আর টেনশন মাথায় না নিয়ে পড়েন ।
---ঠিক আছে ।
---এবার একটু হাসেন ।
---না হাসতে পারবোনা ।
---প্লিজ স্মাইল ।
---হিহিহিহি ।
---হাহাহাহাহা এখন ফোনটা রেখে মন দিয়ে পড়েন আর রাতে ফোন করে বলবেন কেমন হয়েছে পরীক্ষা ।
---হুমমমম ।
---গুড নাইট ।
---গুড নাইট ।
.
ফোনটা কেটে দিলাম । কারণ না কেটে দিলে আধঘন্টা অথবা ১ ঘন্টা কথা চলতে থাকতো কোনো না কোনো বিষয়ে । আর এতে মাহির পড়া হতোনা তাই ফোনটর কেটে দিলাম ।
তারপর ঘুমিয়ে পরলাম ।
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে খেতে গেলাম  ।
তারপরে অফিসে চলে গেলাম ।
আর সন্ধ্যায় বাসায় আসি ।
রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে পরেছি তখন মাহি ফোন দিলো ,
---হ্যালো ।
---কি করো ।
---এই তো খেয়ে এসে শুয়ে পরলাম । আপনি ?
---আমিও ।
---তা পরীক্ষা কেমন হলো ।
---আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো ।
---বলেছিলাম না আল্লাহুর রহমতে ভালো হবে ।
---সব আল্লাহুর ইচ্ছা । কিন্তু আর গুলি কেমন হবে তাই চিন্তন আছি ।
---ইনশা আল্লাহ বাকী গুলি আল্লাহুর রহমতে ভালো হবে ।
---অাল্লাহ জেনো তাই করে বাকী গুলি ভালো হয় ।
---এখন কি করবেন ।
---এই তো একটু বিশ্রাম নিয়ে পড়তে বসবো । তুমি ?
---আমি একটু তাড়াতাড়ি করে ঘুমিয়ে পরবো আজ তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হবে ।
---তাহলে ঘুমিয়ে পরো ।
---হুমমম আর শোনেন ।
---জ্বী বলো ।
---না মানে বলছি যে যেদিন পরীক্ষা হবে । সেদিন পরীক্ষা দিয়ে এসে রাতে ফোন করে বলবেন কেমন হয়েছে ।
---আচ্ছা ঠিক আছে ফোন করবো ।
---তাহলে একটু বিশ্রাম নিয়ে পড়তে বসেন ।
---আল্লাহ হাফেজ ।
---অাল্লাহ হাফেজ ।
.
ফোনটা কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম । আজ একটু তাড়াতাড়ি উঠতে হবে । অফিসের কিছু কাজ আছে । তাই ঘুমিয়ে পরলাম ।
.
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিসের কাজ করলাম ।
একটু পরে খেয়ে এসে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম ।
সন্ধ্যায় বাসায় আসলাম ।
রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে থেকে মাহির সাথে ফোনে কথা হয় ।
.
এভাবে কাটতে থাকে দিন ।
যেদিন পরীক্ষা দিয়ে আসে সেদিন রাতে একটু বেশি কথা হয় ।
এভাবে কেটে যায় দিন ।
.
এদিকে এক এক করে মাহির পরীক্ষা শেষ গেলো ।
.
মাহির প্রতি আরও দূর্বলতা কাজ করে এখন ।
এখন আর বেশি মিষ্টির কথা মনে পরে না ।
প্রতিদিন কথা না বলে কেউ থাকতে পারেনা ।
মাহিম তখন বুুঝতে পারে মাহিকে ভালোবেসে ফেলেছে । কিন্তু একটা বিষয় হচ্ছে মাহি যে #ভাড়াটে_গার্লফেন্ড  সেজন্য কিছু বলছেনা ।
কিন্তু মনের ভেতর একটা প্রশ্ন জেগে উঠে । আমি যদি মাহিকে বলি মাহি আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি তুমি কি আমাকে পছন্দ করো ।
কিন্তু ভয় করে যদি বলে সে আমি অন্য জনের রিলেশন ছিলো তাকে আমি ভালোবাসবোনা । আমি এমন কাউকে চাই যে আমাকে প্রথম ভালোবেসেছে আর অন্য কাউকে না ।
এটা ভেবে আর বলা হয় না । নিজেকে কেমন জানি অসহায় লাগছে । তাই কেমনে বলি চিন্তা করি কিন্তু সেটা ভেবে আর বলিনা ।
.
কয়েকদিন পর মাহি ফোন দিলো ,
---হ্যালো  ।
---কোথায় তুমি আর কি করো ।
---আরে এমন করে কথা বলছেন কেনো ।
---এমনি আগে বলো ।
---কেনো তুমি জানো না আমি এখন অফিসে আর অফসের কাজ করছি ।
---আজ দেখা করতে পারবে ।
---কেনো ।
---কিছু কথা আছে ।
---আচ্ছা কখন আর কোথায় যেতে হবে ।
---বিকেল ৫ টায় লেকের পারে দেখা করবে ।
---ঠিক আছে আসবো ।
---মনে থাকে যেনো ।
---আচ্ছা ।
.
টুত টুত টুত...
---হ্যালো.. হ্যালো ।
.
ধ্যাত ফোনটা কেটে গেলো ।
আজ হঠাৎ এমন করে কথা বললো । কি হয়েছে মাহির কিছু হয়েছে নাকি । চিন্তা না করে অফিসের কাজে মন দিলাম ।
.
বিকালে ৫ঃ১০ মিনিটে পৌঁছেগেলাম লেকের পারে ।
দেখি মাহি বসে আছে । কাছে চলে গেলাম ।
আমি বসে পরলাম মাহির পাশে ।
---আচ্ছা কি জন্যে ডেকেছো ।
.
কথাটা শুনে আমার চোখের দিকে তাকালো ।
---এমন করে কি দেখছো ।
---তোমাকে ।
---মানে আমাকে কেনো ।
---আচ্ছা তোমাকে কিছু প্রশ্ন করি আশা করি উত্তর দিবে ।
---আচ্ছা বলো ।
---তুমি কি আমাকে ভালোবেসো ।
---হঠাৎ এ প্রশ্ন ।
---যেটা বলছি সেটার উত্তর দাও ।
---না মানে জানি না কিন্তু এখন আর মিষ্টিকে বেশি মনে পরে না । তোমাকে কেনো জানি ভালোলাগে , তোমার সাথে কথা বলতে এখন ভালোলাগে । তোমার সাথে প্রতিদন না কথা বলে থাকতে পারিনা । আর তোমাকে খুব মিস করি । জানি না এরকম হবে তাহলে তোমাকে #ভাড়াটে_গার্লফেন্ড হিসাবে ব্যাবহার করতাম না । আর এই মিথ্যে নাটক করতে করতে কখন যে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি বুঝতে পারি নাই ।
.
আমি একবারে সব বলে দিলাম ।
আমার কথা শুনে মাহির চোখ দিয়ে পানি পরছে ।
---আরে কাঁন্না করছো কেনো ।
.
চোখের পানি মুঁছে বললো ,
---একটা কথা বলার ছিলো ।
---হ্যা বলো ।
---আমিও তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি । অনেক আগে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি । তোমার যে ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে । তোমার চরিত্র দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি । তোমার ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েগেছি ।
---তাহলে কাঁন্না করছো কেনো ।
---আব্বু আমার জন্য বিয়ে ঠিক করেছে ।
.
কথাটা শুনে কেমন জানি বুকের ভেতর ঝড় ভয়ে গেলো ।
এ কি বলছে নাকি মিথ্যে বলছে ।
বুকের ভেতর কাচের মতো ভেংগে  গেলো ।
.
মাহি বসা থেকে উঠে দাড়ালো । আমিও দাড়ালাম ।
মাহি কাঁন্না করে যাচ্ছে ।
তখন আবার বললো ,
---যদি পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও আর কাউকে #ভাড়াটে  না করে তাকে বিয়ে করে সুখি হও আর তোমার আম্মাকে সুখে রাখো ।
.
বলে চলে যেতে লাগলো ।
তখন হাতটা ধরে বললাম ,
---আমি তোমার আব্বার সাথে আম্মাকে পাঠিয়ে দিবো ।
---কাজ হবে না । কাল সকালে আমাদের গ্রামের বাড়িতে যাবো আর আগামি শুক্রবারে আমার বিয়ে । সেখানে সব ঠিক করে রেখে দিয়েছে ।
.
কথাটা বলে হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে  দৌড়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো ।
আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না  বসে গেলাম । এমন কেনো আমার জীবন কাউকে পেলাম না । যাকে ভালোবাসি সেই চলে যায় । এরকম কেনো হচ্ছে আমার সাথে বুুঝতে পারছিনা ।
আমি কি কারও ভালোবাসার যোগ্য না ।
চোখ দিয়ে পানি আসছে না । কিন্তু মনের ভেতর ঝর্ণার মতো ভয়ে যাচ্ছে ।
.
সেখান থেকে বাসায় আসলাম ।
মামনিকে বুঝতে দেওয়া যাবেনা ।  আমি কাঁন্না করছি ।
বাসায় ঢুকে দেখি বসে ফোনে কার সাথে কথা বলছে ।
আমি আর দেরি না করে রুমের দিকে যেতে লাগলাম তখন মামনি ডাক দিলো ,
---মাহিম ।
.
আমি আর রুমের দিকে না গিয়ে মামনির কাছে এলাম ।
মামনি আবার বললো ,
---তোর মন খারাপ ।
.
কন্ঠটা সাভাবিক রেখে বললাম ,
---না মামনি ।
---তাহলে মুখটা ওমন করে আছিস কেনো ।
---এমনি মামনি । আর কিছু বলবেন ।
---কেনো ।
---আমার ভালো লাগছেনা ।
---কেনো কিছু হয়েছে ।
---না মামনি ।
---ও তোকে একটা কথা বলতে ভুলে গেছি মাহির সাথে তোর বিয়ে এই মাসে দিবো । এখন শুধু মাহির আব্বার সাথে কথা বলে দিন তারিখ ঠিক করবো ।
.
কথাটা শুনে চোখের পানি চলে এলো । মামনিকে বলতে হবে না হলে যদি ওদের বাড়ি গিয়ে জানতে পারে মাহি আমার #ভাড়াটে_গার্লফেন্ড তাহলে মামনির কিহবে বুঝতে পারছি । আমাকে আজ বলতে হবে ।
একটু ঘুরে চোখের পানি মুছে অন্য দিকে তাকিয়ে বললাম ,
---মামনি একটা কথা বলার ছিলো ।
---আচ্ছা বল ।
---না মানে কথাটা কিভাবে যে বলবো বুুঝতে পারছিনা ।
---আচ্ছা তুই যেভাবে পারিস বল ।
---মাহি ।
---মাহি কি বল ।
---মাহি আমার #ভাড়া করা গার্লফেন্ড ।
.
কথা শুনে মামনির দিকে তাকালাম ।
দেখি বুকে হাত দিয়ে বসে পরলো । এটা কি হলো মামনি স্ট্রোক করেছে ।
---মামনি  ( জোরে চিৎকার দিয়ে )



এই পর্বটা অনেক বড় করে দিলাম ।
দুই পর্ব এক সাথে দিলাম ।



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।



ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )

#ভাড়াটে_গার্লফেন্ড

পর্বঃ বিশ ও শেষ পর্ব  ( ২০ - সমাপ্ত )



---মামনি ।  ( জোরে চিৎকার দিয়ে ।
---নিশ্চুপ ।
.
আমার দিকে তাকিয়ে আছে । চোখ দিয়ে পানি পরছে ।
---মামনি ।
---আব্বু ...  আব্বু ।
.
আব্বু রুম থেকে বেরিয়ে এলো ।
কাছে এসে এ অবস্থা দেখে বললো ,
---মাহিম তুই তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে চল ।
.
মামনিকে নিয়ে এলাম হসপিটালে । ICO তে নিয়ে যাওয়া হলো মামনিকে ।
হসপিটালের রুমের পাশে দাড়িয়ে আছি । আব্বু হসপিটালের চেয়ারে বসে চিন্তা করছে । আমার চোখে পানি ঝড়ছে  । এটা কি হলো আমি মামনিকে মেরে ফেললাম ।
আমি জানতাম এরকম কিছু একটা হবে ।
বন্ধুদের ফোন দিয়েছি একটু পর চলে আসবে ।
আব্বু কাছে এগিয়ে এলো  । আমার কাধে হাত দিলো আমি চমকে উঠলাম । আব্বুর দিকে তাকালাম তার চোখে পানি ।
একবার স্ট্রোক করলে বাঁচার সম্ভবনা থাকে কিন্তু ৩ বার হলে না । মামনির টেনশন করতে নিষেধ । হার্টের রুগি কখন কি হয় বলা যায় না  । কিন্তু আজ আমি মামনি এমনি করে দিলাম । আসলে জানি না আল্লাহ তা'আলা কি করবে ।
জানি আজ যদি মামনি মারা যায় সব দোষ আমার ।
আব্বু আমার এরকম মুখ দেখে বললো ,
---মাহিম চিন্তা করিস না ঠিক হয়ে যাবে ।
.
আব্বুর মুখের দিকে তাকালাম । সে কি আমাকে সান্তনা দিচ্ছে । সে কি জানে না মানুষ ৩ বার স্ট্রোক করলে মানুষের বাঁচার কোনো গ্যারান্টি থাকে না ।
---আরে সত্যি বললাম ঠিক হয়ে যাবে ।
.
আব্বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম । জানি আমাকে সান্তনা দিচ্ছে ।
---আব্বু আমি ছোট নেই আর ।
---আরে কাঁদিস না দেখ আমি তো কাঁদতেছি না । ধর্য দর আর এভাবে ভেংঙ্গে পরলে আমাকে কে কন্ট্রোল করবে ।
---আব্বু আমি পারছিনা ...  আব্বু আ...আমি মামনিকে মেরে ফেলেছি । আমি মেরে ফেলেছি আমাকে ক্ষমা করে দিও আব্বু ।
.
অঝরে কেঁদে যাচ্ছি ।
---আরে কে বলেছে তুই মেরে ফেছিস হুমম এখন ডাক্তার কিছু বলেনি । প্লিজ কন্ট্রোল কর নিজেকে এভাবে কাঁদলে হবে না । আল্লাহুর কাছে দুহাত তুলে দোয়া কর । আল্লাহ চাইলে আবার আগের মতো করে দিতে পারে ।
---আব্বু...ও আব্বু আমার যে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না । আমি জানি আর কাজ হবে না । আমি মামনিকে মেরে ফেলেছি আমি মেরে ফেলেছি আব্বু আমি মেরে ফেলেছি  ।
---আরে প্লিজ কন্ট্রোল কর নিজেকে আর আল্লাহুর কাছে দোয়া কর ।
---আব্বু যদি মামনি মারা যায় তাহলে আমি বাঁচনা । আমি আর বাঁচবনা  মামনিকে ছাড়া । সব দোষ আমার আব্বু আমি মামনিকে মেরে ফেলেছি । আমি ইচ্ছে করে করি নি । আব্বু আমি এটা কখন চিন্তা করি নি পরে কি হবে । আমি ভাবতাম পরে কাউকে আবার ঠিক করতে পারবো  কিন্তু এমন হবে জানতাম না আব্বু । আব্বু আমি যে মিথ্যে বলে আপনাদেরকে অভিনয় করে গেছি আজ তার ফল পেলাম । ( আব্বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে )
---আমি সব জানতাম ।
.
আব্বু কথা শুনে আমি নিশ্চুপ হয়ে গেলাম ।
---আব্বু জানতে মানে ।
---তোর বন্ধুদের কাছে জেনে ছিলাম । তাড়া বলতে চাইনি পরে জরাজরি করাতে বলতে বাধ্য হয়েছে ।
---আপনি সব জানতেন কিন্তু কিছু বলেন নি কেনো ।
---আমি যদি তখন বলতাম তোর অবস্থা কি হতো সেটা চিন্তা করে আর কিছু বলিনি ।
---তার জন্য আপনি সব কিছু বুজে না বোঝার চেষ্টা করতেন ।
---হুমমম ।
---শোন এভাবে জীবন কাটে না । আমি জানি বললে কাউকে ভোলা যায় না । কিন্তু সময়ের পরিস্থিতে নিজেকে পরিবর্তন করতে হয় । তার জন্য কেনো নিজের জীবন নষ্ট করবি । তোমারও তো ইচ্ছে ছিলো একটা স্বপ্নের মতো করে সংসার করার কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তনে সেটা হয় নি । কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখবে তুমি যদি কারও জীবনের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারো । কিন্তু সে যদি তোমার জন্য তার জীবন না বিলিয়ে দেয় তাহলে তুমি কেনো তার জন্য দিবে বলো ।
---নিশ্চুপ ।
---আমি জানি সৃষ্টিকর্তা তার বান্দারের কখনো খারাপ চায় না । কিন্তু তুমি এটা জানো আগুনে হাত দিলে হাত পুড়ে যাবে কিন্তু সেটা জেনো যদি তুমি আগুনে হাত দাও এতে সৃষ্টিকর্তা কিছু করার নেই । সৃষ্টকর্তা তোমার আকুল জ্ঞান দান করেছেন  ( সঠিক জ্ঞান )  তোমাকে চিন্তে করে দেখতে হবে আমি কি করছি , আমার কি করার উচিত  । এখনো সময় আছে নিজেকে সেভ করো এতে তোমার ভালো হবে ।
---নিশ্চুপ ।
.
নিশ্চুপ ভাবে আব্বুর কথাগুলি শুনে যাচ্ছি । কি বলবো কিছু বলার নেই । যা বলছে সব ঠিক বলছে ।
---একটা কথা ভালো করে শুনে রাখো । সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে দুই দিনের দুনিয়াতে পাঠিয়েছে পরীক্ষা করার জন্য । কিন্তু এসে আমরা কি করছি সেটা চিন্তা করা বিশেষ দরকার ।  আর সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে পাঠিয়েছেন তার এবাদত করার জন্য । যদি আমরা তার  এবাদত করি , তার আদেশ নিদেশ মেনে চলি , তার হুকুম মেনে চলি  হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর দেখানো পথে চলি তাহলে জান্নাত দিবে আর না করি তাহলে জাহান্নাম দিবে । বান্দা যদি নেকি করে তাহলে জান্নাত পাবে আর না করলে জাহান্নামে যাবে এতে সৃষ্টিকর্তা কিছু হবে না । তাহলে কেনো অন্য জনের জন্য নিজেকে এরকম করছো । এখন সময় আছে নিজেকে সেভ করো ।
---আব্বু এখন থেকে যা বলবেন তাই করবো কিন্তু মামনি সুস্থ হোক ।
.
ডাক্তার ভের হলো । আব্বু ও আমি ডাক্তারেরর কাছে চলেগেলাম ।
আব্বু বললো ,
---ডাক্তার ।
---আল্লাহুর রহমতে সুস্থ আছে কিন্তু ।
---কিন্তু কি ডাক্তার ।
---আর একবার যদি স্ট্রোক করে তাহলে বুঝতে পারছেন ।
---ডাক্তার এখন কি ভিতরে যেতে পারবো ।
---হ্যা তবে ।
---কি ডাক্তার ।
---রুগিকে কোনো প্রকার টেনশন ফিল করতে দেওয়া যাবেনা । আর রুগির একটা রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে যেটার ফলে রুগির ব্রেন ক্যান্সার হতে পারে । মানে রুগি  তো এমনি লেকচার মানুষ এমনিতে অনেক টেনশন করতে হয় সেদিকে আর এদিকে ফ্যামেলির । সো এখন থেকে বেশি খেয়াল রাখবেন কোনো প্রকার টেনশন না করে । যা বলে তা করার চেষ্টা করুন সেটা না পারলে মুখের উপর বলে দিবেন না ।
---ঠিক আছে ।
---আচ্ছা তাহলে ভেতরে যান কিন্তু কিছু বলবেন না এই মুহুর্তে ।
---ঠিক আছে ।
---গো ।
.
বন্ধরা চলে এলো । 
বন্ধরা আমি আব্বু রুমের দিকে চলে এলাম ।
রুমে এসে দেখি  মামনি শুয়ে আছে বেডে । মুখটা একদম শুকনো লাগছে । আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না । দৌড়ে মামনির পা দুটি জড়িয়ে কাঁন্না করতে লাগলাম ।
মামনি আমাকে ক্ষমা করে দাও । মামনি আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো । আর কোনো কিছু করবোনা আপনি যেটা চান সেটা হবে ।
---প্লিজ পেসেন্টকে এরকম করবেন না । যদি জ্ঞান ফিরে দেখে এরকম কাঁন্নাকাটি করছেন তাহলে পেসেন্টের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে । প্লিজ ইউ  কন্ট্রোল মি ।
.
তখন আব্বু বললো ,
---সায়েম , আবির মাহিমকে একটু বাহিরে নিয়ে যাও ।
---জ্বী আঙ্কেল ।
---মাহিম বাহিরে আয় তো ।
.
আমাকে সায়েম আর আবির বাহিরে নিয়ে এলো ।
আমি কেঁদে যাচ্ছি ।
---আরে কাঁদতেছিস কেনো ।
---তুই একটু ধর্য ধর মাহিম দেখবি আন্টি আবার সুস্থ হয়ে উঠবে ।
---জানিস আমি না মামনিকে মেরে ফেললাম।। জানিস তোদের কথা সত্যি হয়েছে ।
---আরে ডাক্তার তো বলেছে সব ঠিক হয়ে যাবে ।
---কিন্তু যদি বাক শক্তি হারিয়ে ফেলে তাহলে ।
---আরে কোনো টেনশন করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে ।
---তাই জেনো হয় রে ।
---তুই কোনো চিন্তা করিস না ।
.
আমি কিছু বললাম না ।
বসে পরলাম হসপিটালের চেয়ারে । সায়েম আবির আমার পাশে বসে আছে ।
হসপিটালে অনেক মানুষ জন আছে । কারও মুখে হাসি কারও মুখে ভয়ের ছাপ , কারও চোখে কাঁন্না ।
.
কিছুখন বসে থাকলাম । একটু পর আব্বু এসে ডাক দিলো ।
---সায়েম ।
---জ্বী আঙ্কেল ।
---এখানে একটু আসবে ।
---জ্বী আসছি আঙ্কেল ।
.
সায়েম চলে গেলো আব্বুর কাছে ।
.
একটু পর সায়েম বললো ,
---তোরা এখানে থাক আমি ঔষুধ নিয়ে আসছি ।
---আমি সাথে যাই ।
---না তোর যেতে হবেনা । তুই আবিরের সাথে বসসে থাক । আমি যাবো আর আসবো ।
---ঠিক আছে তুই যা ।
.
সায়েম চলেগেলো । আমি আর আবির বসে থাকলাম । অনেক টেনশন হচ্ছে । মামনিকে সুস্থ করতে হবে যে করে হোক । আর যা বলবে তাই করতে হবে না হলে আবার । কিন্তু এতে সব সহ্য হচ্ছে না ।
প্রায় ২০ মিনিট পর সায়েম চলে এলো ।
ভেতরে চলে গেলাম ।
ঔষুধ নিয়ে নার্সটিকে দেওয়া হলো ।
তখন মামনিকে  ইনজেকশ দেওয়া হলো ।
তখন নার্সটি বলে উঠলো ,
---এখন আর কাঁন্নাকাটি করবেন না । আমি ইনজেক্শন দিয়ে দিছি কিছুখন পর জ্ঞান ফিরবে । আমি আবার একটু পর আসবো ।
.
বলেই নার্সটি চলে গেলো ।
আমরা বসে রইলাম ।
কিছুখন পর মামনির জ্ঞান ফিরলো । সবাইকে কেমন করে যেনো দেখছে । এরকম করে সবাইকে দেখা দেখে কেমন জানি মনের ভেতর করে উঠলো । মনের মাঝে নানা রকম প্রশ্ন জেগে উঠলো ।
একটু পর নার্সটি চলে এলো তখন আবার আর একটা ইনজেক্শন দিয়ে দিলো ।
তারপর হার্ডবোডে কলম দিয়ে কি যেনো লিখলো ।
আমি মামনির কাছে বসে গেলাম ।
নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে । কেনো তখন ওভাবে ওকথা বললাম । মামনির দিকে তাকিয়ে আছি কিছু বলবো কিন্তু সাহস পাচ্ছি না । কি বলবো নিজেই ভেবে পাচ্ছি না । তবুও একটু জোর করে চেষ্টা করে বললাম ,
---মামনি এখন কেমন লাগছে ।
---নিশ্চুপ ।
---কি হলো কথা বলছেন না কেনো ।
---নিশ্চুপ ।
---আচ্ছা ঠিক আছে কথা না বললেন আমি চলে যাচ্ছি ।
.
কিন্তু তবুও কথা বলছে না । তখন কেমন জানি রাগ হয়ে গেলো । তখন ওখান থেকে চলে অাসতে চাইছি । কিন্তু তবুও আমাকে আটকাচ্ছেনা । তাহলে কি রাগ করেছে । আর ঠিক আছে আমি এখান থেকে চলে যাই । মনে মনে ভেবে উঠে ধারালাম কিন্তু তবুও মামনি কিছু বলছে না ।
আমি আর দেরি করলাম না বাসার দিকে চলে আসলাম ।
.
হসপিটাল থেকে চলে এলাম বাসায় ।
এসে সোজা রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম । আজ চোখ দিয়ে পানি না বলেই ঝরে পরছে ।
সব আমার দোষ আমি যদি এগুলি না করি তাহলে এসব ঘটে যেতো না ।
শুয়ে থেকে ভাবতে থাকি । তখন ফোনটা কেঁপে উঠলো । ফোনের দিকর তাকিয়ে দেখি মাহি ফোন দিয়েছে । এখন ফোন দিচ্ছে কেনো ভাবতে ভাবতে ফোনটা কেটে গেলো তবুও রিসিভ করছিনা  । কি বলবো তার সাথে কথা । তাই আবার ফোন দিলো মাহি । এবারও ধরলাম না তখন কার মতো কেটে গেলো । এভাবে ফোন ফোন দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু রিসিভ করলাম না ।
ড্রয়ারের ভেতর থেকে ঘুমের ঔষুধ বের করে খেয়ে নিলাম । ফোনের কাছে এসে দেখি আরও কয়েকবার ফোন দিয়েছিলো বেজে কেটে গেছে ।
এদিকে চোখটা বার হয়ে আসছে । খাটের উপর শুয়ে পরলাম ।
.
ফোন ব্রাইব্রেটের শব্দে ঘুমটা ভেংগে গেলো ।
ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি আব্বু ফোন দিচ্ছে । ফোনটা বেজে কেটে গেলো । চোখে ঘুম দিয়ে ভর্তি । চোখ খুলে থাকতে পারছিনা । আবার ঘুম দিলাম ।
.
ঘুম থেকে উঠে ফোনের দিকে তাকিয়ে অবাক হলাম । ৫ বাজে একটু পর মাগরিবের আজান দিবে । আবার ঘুম দিতে হবে ।
অনেকগুলি কল এসেছে প্রায় ৩০-৩৫ টা হবে ।
আমি উঠে ফ্রেশ হতে ওয়াশ রুমে চলে এলাম ।
গোসল করে ভের হয়ে এলাম । শরীরের কন্ডিশন কেমন খারাপ বুঝতে পারলাম ।
অতিরিক্ত ঘুম পারা হয়ে গেছে । প্রায়। ৩৮-৪০ ঘন্টা ঘুমিয়ে ছিলাম ।
আব্বুকে ফোন দিলাম । কিছুখন রিং হওয়ার পর কেটে দিলো । হয়তো বিজি তাই আর ফোন দিলাম না ।
.
ফ্রিজে থেকে খাবার বের করতে গেলাম ।
কিন্তু ফ্রিজে তো খাবার নেই । এখন কি করতে হবে । নিজে তেমন রান্না করতে পারি না । কি আর করা বাজারের দিকে চলে গেলাম । পেটে অনেক ক্ষুধা আর শরীরের অবস্থা ভালো না ।
বাজার থেকে কিছু খাবার কিনে আনলাম ।
খেয়ে শুয়ে আছি ভালো লাগছেনা । আর মামনি কথা বলছে না আমার সাথে । খুব খারাপ লাগছে । এতো অভিমান করেছে । আমার কি দোষ তার জন্য এসব করেছি । আর সেদিন যদি সে কথা না বলতো তাহলে আজ এরকম হতো না ।
ফোনটা বেজে উঠলো ,
---হ্যালো আব্বু ।
---কোথায় ছিলি সারাদিন ।
---কেনো আব্বু আজ সারাদিন শুয়ে ছিলাম ।
---জানি শুয়ে থাকবি ।
---তা কি জন্যে ফোন দিয়ে ছিলেন ।
---তোর আম্মু বললো ছেলেটা রাগ করে চলেগেলো  একটু ফোন দাও তো ।
.
কথাটা শুনে চোখটি ভিঁজে গেলো । এতো ভালোবাসে আমাকে আর আমি কি না এসব কি করলাম ।
---কি রে কথা বলছিস না কেনো ।
---এমনি । মামনির কাছে ফোনটা দিন তো ।
---তোর আম্মু ঘুমিয়ে পড়েছে ।
---তাহলে পাশে থেকে কে বললো বলো ঘুমিয়ে গেছে ।
---ওই তো...তোর আন্টি ।
---ঠিক আছে কথা বলতে হবে না ।
.
বলে ফোনটা কেটে দিলাম ।
আবার আব্বু ফোন দিলো ।
---আবার কেনো ফোন দিয়েছেন ।
---একটা কথা বলতে ।
---কি কথা বলেন ।
---তোর আম্মু বলেছে যদি তার কথা শুনিস মানে তার কথা রাখিস তাহলে সে কথা বলবে ।
---আচ্ছা বলেন তাকে তার সব কথা শুনতে রাজি ।
---আর যদি না শুনিস তাহলে ঔষুধ ও ইনজেক্শন কিছু নিবে না আর বলেছে তার ভালো হওয়ার কোনো দরকার নেই । ভালো হয়ে কি হবে এর চাইতে ভালো না হওয়া ভালো ।
---আচ্ছা ঠিক আছে তার সব কথা শুনবো যা বলবে তাই করবো ।
---আচ্ছা ঠিক আছে । ডাক্তার বলেছে কাল বাসায় নিয়ে যেতে পারে কিন্তু ইনজেক্শন নিতে হবে আর ৩ দিন ।
---আচ্ছা কাল গাড়ি নিয়ে আসবো ।
---আচ্ছা কাল ১০ টার সময় চলে আসবি ।
---ঠিক আছে ।
---এখন খেয়ে ঘুমিয়ে পর বাই ।
---বাই ।
.
ফোনটা কেটে দিলাম । চোখের কোণে পানি জমে গেলো । এমন কি করতে বলবে মামনি যেটা আমার পক্ষে সম্ভব না কিন্তু মামনির জন্য সম্ভব করতে হবে ।
কেনো কাউকে #ভাড়াটে করেছিলাম । অামি জানি মাহিকে ভালোবেসেছি কিন্তু তা সম্ভব হলোনা বলা । Time And Tide ।
এর চাইতে কাউকে বিয়ে করলে এরকম দিন দেখতে হতো না । এসব ভেবে কোনো লাভ হবে না ।
.
সকাল ১০ টার সময় হসপিটালে পৌঁছেগেলাম ।
মামনিকে নিয়ে আসলাম বাসায় ।
.
এখন কোনো কথা বলেনি মামনি আমার সাথে ।
খুব খারাপ লাগছে । আজ পযন্ত এরকম ভাবে মামনি অভিমান করেনি । কিন্তু এমন কি হয়ে গেলো আজ কথা বলছে না । শুধু একটা মেয়ের জন্য আমার জীবন এরকম হয়ে গেছে । থাক সেসব কথা । আমি মামরির রুমের দিকে চলে এলাম ।
.
রুমে ভেতর সোজা চলে এলাম ।
আব্বু খাটের সাথে হেলান দিয়ে পেপার পড়ছে আর মামনি শুয়ে আছে ।
আমি গিয়ে মামনির কাছে বসে গেলাম । মামনি একবার আমার দিকে তাকালো আবার চোখ ফিরিয়ে আব্বুর দিকে তাকালো । আমি কি বলবো বুুঝতে পারছিনা ।
---মামনি ।
---নিশ্চুপ ।
.
আবার আমার দিকে তাকালো ।
---আচ্ছা আপনি যা বলবেন তাই করবো ।
.
আবার আমার দিকে তাকালো ।
---কি হলো কথা বলেন । আমারর কিন্তু রাগ হচ্ছে ।
---কি বলবো ।
---আর একবার সুজুক দিন ।
---সেটা আর দরকার নেই ।
---এমন করে কথা বলছেন কেনো ।
---কি বলবো ।
---আপনি যা করতে বলবেন তাই করবো ।
.
কথাটা শুনে আবার আমার চোখের দিকে তাকালো ।
---পারবি না ।
---কেনো পারবোনা আর আমাকে পারতে হবে ।
---আমি জানি তুই পারবিনা ।
---একবার বলেন কি করতে হবে ।
.
আমার দিকে তাকিয়ে আবার বললো ,
---পারবি আমার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে । আমি জানি তুই পারবিনা ।
.
কথাটা শুনে বুকের ভেতর কেমন করে উঠলো । আমি যেটা ভেবেছিস সেটাই হলো ।
---কি হলো কিছু বলছিস না যে । আমি জানি তুই এটা পারবিনা ।
---হুম আমি পারবো আপনি যেটা চান সেটা হবে ।
.
কথাটা বলে রুমে চলে এলাম ।
একবার আব্বু ডাক দিয়েছিলো কিন্ত মামনি বললো ওকে যেতে দাও । ওকে কাঁদতে দাও তাহলে নিজেকে হালকা মনে করবে ।
রুমে এসে শুয়ে পরলাম । আজ চোখ দিয়ে পানি ঝরছে । আজ আর পানি মুঁছতেছিনা । আজ চোখের পানি জরুক । মামনি বলেছে কাঁদলে নাকি মানুষ হালকা লাগে ।
.
কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়েছি মনে নেই ।
সকালে খাবারের টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছি তখন মামনি বলে উঠলো ,
---মাহিম একটা কথা বলবো ।
---হ্যা বলেন সমস্যা নেই আপনার যা খুশি তাই বলেন আমি সব করতে রাজি ।
---মানে কাল রাতে বলেছিলাম না বিয়ের কথা তাই বিয়ের দিন ঠিক করেছি শুক্রবারে তোর বিয়ে ।
.
কথাটা শুনে আর খাবার গলার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে না ।
---দুই দিন পর বিয়ে এতো তাড়াতাড়ি কেনো ।
---কেনো তোর কোনো সমস্যা আছে ।
---আপনি তো এখন সুস্থ না তাই বললাম ।
---যদি তোর কোনো সমস্যা থাকে তাহলে বল আমরা আবার পরামর্শ করে দিন ঠিক করবো ।
---আপনি যেদিন বলেছেন সেদিন হবে ।
---কি রে খেয়ে যা ।
---না আর খাবো না পেট ভরে গেছে ।
.
চলে এলাম রুমে । আসার সময় শুনতে পেলাম আব্বু বললো ছেলেটা খেয়ে নিলে তার পর বলতে পারতে । তখন মামনি বললো যেতে দাও একদিন না খেলে চলবে আগে ঠিক হতে দাও ।
কিছু করার নেই বলেছি মামনি যা বলবে তাই হবে । সে যদি বলে আজকে বিয়ে করতে তাহলে আজকে বিয়ে করতাম ।
সারাদিন শুয়ে থাকলাম । রাতে খাবার খেয়ে আবার শুয়ে পরলাম ।
এ কয়দিন ঘুম ছাড়া আর কিছু করার নেই ।
.
আজকে খাবার খেয়ে শুয়ে আছি তখন মামনি রুমে চলে এলো । চোখটা মুঁছে নিলাম দেখার আগে ।
---কিছু বলবেন ।
---হ্যা বলতে আসছি ।
---বলেন ।
---মেয়েটার সাথে দেখা করতে পারিস আজ ।
---লাগবে না ।
---দেখা করলে বুঝতি আমি তোর জন্য করছি আমার জন্য না ।
---আপনার পছন্দ হয়েছে এতে আমার পছন্দ ।
---ঠিক আছে তোর ইচ্ছা । এখন একটু রেস নিয়ে আমার সাথে শপিং এ যাবি  । আমি সায়েম কে ফোন দিয়েছি তারাও আসবে কি কি কিনতে হবে সেটা কেনাকাটা করবি ।
---হুমমম ।
.
মামনি চলে গেলো ।
আপনি আমার জন্য ভালো চাইতেন তাহলে এরকম করতেন না ।
কি আর করা একটু রেস নিয়ে শপিং মলের উদেশ্যে রওনা হলাম ইচ্ছা না থাকা সত্যে ।
শপিং করে বাসায় এলাম ।
সারাদিন শপিং করে ক্লান্ত মনে হচ্ছে তাই শুয়ে পরলাম ।
রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পরলাম ।
আজ মাহিকে খুব মিস করছি । তার সাথে প্রতিদিন কথা বলা । সব কিছু মিস করছি ।
মাহি আমাকে ক্ষমা করে দিও । আমি অভিনয় করতে করতে তোমাকে ভালোবেসি কিন্তু সেটা বলা হলো না ।
কেনো এমন হলো সব কিছু । কেনো আমার জীবন এমন হলো । আমিও তো মানুষ তারাও তো মানুষ কিন্তু তাড়া তাদের মতো সুখে জীবন যাপন করছে কিন্তু আমি কেনো পারছি না ।
কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি ।
.
আজ বর সেঁজে বিয়ে করতে যাচ্ছি ।
প্রায় কয়েক ঘন্টা পর বিয়ে বাড়িতে পৌঁছেগেলাম ।
..
বিয়ের সব আয়োজন করা হয়েছে । সবার মুখে হাসি কিন্তু আমার মনের মাঝে কেমন অশান্তি বিরাজ করছে ।
বিয়ের সব কাজ শেষ করে বিয়ে পড়ানো হলো ।
অতঃপর
বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
কয়েক ঘন্টার পর বাসায় পৌঁছেগেলাম ।
.
অতঃপর
.
বাসর ঘরে বউকে রেখে ছাঁদে চলে গেলাম ।
মনের ভেতর কেমন জানি করছে ।
সব কিছু অসহ্য মনে হচ্ছে । কেনো পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা পাঠিয়েছিলো । আর পাঠিয়েছে ভালো করেছে কিন্ত অন্যদের মতো করে পাঠালো না কেনো । এসব কিছু ভাবতে ভাবতে কারও কন্ঠে শুনতে পেলাম ।
পিছনে তাকিয়ে দেখি সায়েম , আবির আর মারজিয়া । চোখটা মুঁছে ফেললাম ।
---ভাইয়া ভাবিকে রেখে একলা একলা ছাঁদে কেনো হু ।
---আমার ভালো লাগছেনা ।
---ভেতরে যা ভালো লাগবে । দেখ ভাবিকে দেখে মনটা ভালো হয়ে যাবে ।
---হ্যা দোস্ত ভেতরে গেলো বুঝবি ।
---এখনো দাড়িয়ে আছে চলতো ।
---দোস্ত আমার ভালো লাগছে না । আজকের দিনটা ছাঁদে কাটিয়ে দিবো ।
---পাগল হলে নাকি ভাইয়া । কেউ কি বাসর রাতে ছাঁদে রাত কাটায় নাকি ।  চলতো ভাইয়া ভাবি মনে হয় একলা একলা ভালো লাগছেনা ।
---দোস্ত চল ।
---আরে বেটা দাড়িয়ে আছিস কেনো চল তো ।
.
আমাকে জোর করে ছাঁদে থেকে নিয়েগেলো বাসার ঘরের দিকে ।
তারপরে বাসার ঘরে রেখে বললো ,
---ভাইয়া বিলাই সাবধানে মারো কিন্ত....  আর ভাবিক ভাইয়াকে সামলাও ।
---মারজিয়া এখন চলো ।
---হ্যা সায়েম ভাইয়া চলো ।
---কি রে বেটা এখানে দাড়িয়ে কেনো ভাবির কাছে যাও ।
.
কথাটা বলে আমাকে খাটের সামনে নিয়ে রেখে দিলো । আর দরজা লক করে দিয়ে গেলো  ।
কিছুখন দাড়িয়ে থাকলাম ।
এখনো ভালো করে তার দিকে তাকায় নি । একটু তার দিকে তাকায় ।
ইয়া বড় একটা ঘমটা দিয়ে বসে আছে খাটের মাঝখানে  । আর কি দেখবে কিছু দেখার নাই । তাই আমি আমার কিছু কথা বলতে থাকলাম ।
.
আমার কিছু কথা শুনে রাখো ।
শোনো মেয়ে আজ থেকে তুমি আমার স্ত্রী । কিন্ত তোমাকে আমি স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবোনা । আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি । কারণ আমি অন্য কাউকে ভালোবাসতাম সে আমাকে ছেড়ে চলেগেছে তখন একজনকে #ভাড়াটে_গার্লফেন্ড হিসাবে চুক্তি করেছিলাম । তখন ভাবতাম সময় মতো চুক্তি শেষ হলে আবার কাউকে #ভাড়া করবো কিন্তু সেটা আর হলো না ।
তার সাথে অভিনয় করতে করতে তাকে ভালোবেসে ফেলেছি । আমি দ্বিতীয় বার ভালোবেসেছি সো তৃতীয় বার কাউকে ভালোবাসতে চাইনা তাই তোমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবোনা । আর একটা কথা শুনে রাখো যদি তোমার কোনো পছন্দের মানুষ থাকে তাহলে বলবে আমি তার কাছে পৌঁছে দিবো । আর এই কথাগুলি মামনিকে কখনো বলবেনা বুঝলে ।
.
কথাটা বলে তার দিকে তাকালাম । কিছুই বললোনা আর এমন কথা বলে যে কেউ কষ্ট পেয়ে কাঁন্না করতো কিন্তু সে কাঁন্না করছেনা । নাকি বিয়েতে তার ইচ্ছে  মতো হয়নি ।
একটু পর ফোনটা বের করে দিলো আমার দিকে ।
কি বেপার ফোন আমার দিকে দিচ্ছে । নাকি তার পছন্দের মানুষের ছবি বের করে দিলো আমার কথাটা শুনে । আজব বেপারতো ।
তাই ফোনটা নিলাম । দেখি ম্যাসেজ বক্সে লিখেছে ।
অামার ঘুম পাচ্ছে তাই তাড়াতাড়ি করে ওযু করে এসে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন ।
.
যেটা ভেবেছিলাম সেটা না ।
কি আর করা আমার বক বকনি তার কাছে অসহ্য মনে হচ্ছে তাই নামাজ পড়ে শুয়ে থাকবে ।
আমি বললাম ,
---আমার সাথে আসেন ।
.
আমি ওয়াশ রুমের দিকে গেলাম । পিছনে তাকে আসতে দেখলাম ।
অতঃপর
ওযু করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করে নিলাম ।
নামাজ পড়ে আবার খাট গিয়ে ইয়া বড় ঘমটা দিয়ে বসে পরলো ।
তাই আমি ভাবলাম আমার জন্য মনে হয় ঘুমাতে পারছেনা । তাই আমি বললাম ,
---তুমি খাটে শুয়ে পরো আমি ছোঁফায় গিয়ে শুয়ে থাকি ।
.
কথাটা বলে ঘুরে দাড়িয়ে পা টা তুলবো তখন কে যেনো পান্জাবির কলার ধরে ফেললো । আমি তো ভয় খাচ্ছি কে ধরেছে ভুত নাকি নতুন বউ । পিছনে তাকাতে ভয় খাচ্ছি । যদি ভুত হয় তাহলে ঘাড় মটকাবে । আরে এখন ভুত আসবে কেনো ।
সাহস করে পিছনে তাকাতে টাসকি  খেলাম ।
মাহি কেনো নাকি আমি চোখে ভুল দেখছি ।
না ঠিক দেখছি মাহি । এখানে কেনো আর নতুন বউ কোথায় ।
কোমরে বিয়ের শাড়ী গুজে নিয়েছে । পুরো #দাজ্জাল বউ এর মতো লাগছে । এভাবে কেউ কলার ধরে থাকে নাকি ।
---কি রে এমন করে কি দেখছিস ।
---তু..তুমি কি মাহ...মাহি ।
---হ্যা আমি মাহি ।
---নাকি অন্য কাউকে মনে করছিস ।
---আরে এরকম করে কথা বলছো কেনো ।
---তোর সাথে কেমন করে কথা বলবো ।
---আরে তোমার তো আজ অন্য জনের সাথে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু আমার সাথে কেনো ।
---হুমম আমার কপালের দোষ এক ছেঁকা খাওয়া প্রেমিকের সাথে বিয়ে হয়েছে ।
---ঠিক আছে ডিভোর্স চাইলে নিতে পারো ।
---কিহ্ বললি তুই ।
---আচ্ছা এটা কেমন করে হলো ।
---শুধু তোর জন্য ।
---আমার জন্য মানে ।
---সেদিন তোর আম্মুকে বলেছিস তখন তোর আম্মু স্ট্রোক করলো । তারপরে হসপিটালে নিয়ে গেলি  । তোর আম্মু জ্ঞান ফিরে এলো তখন তুই কথা বললি কিন্ত তোর আম্মু বললোনা তারপরে তুই রাগ করে চলে এলি । সেদিন রাতে আব্বুর সাথে তোর আম্মু কথা বলে সেই বিয়ে ভেংঙ্গে দিলো । আর তখন বললো সেই দিনে তোর সাথে বিয়ে । হায়রে কপাল কি দিয়ে কি হলো আমি তোকে চাইনা আর তোরর সাথে বিয়ে ।
.
পুরো কথাটা মাহির চোখের দিকে তাকিয়ে শুনছিলাম ।
---ঠিক আছে আমাকে না চাইলে আমাকে ডিভোর্স দিবো । তাহলে এখন আমাকে ছাড় আমি ছোঁফায় গিয়ে শুয়ে থাকবো ।
---কিহ্ বললি ডিভোর্স মানে ।
---হ্যা ।
---আমি যে কেঁদেছি তার প্রতিশোধ নিবো তারপরে সব চিন্তা করবো ।
.
মাহির চোখে দুষ্টুমির ছাপ পাচ্ছি ।
---প্রতিশোধ মানে  ।
---দেখাচ্ছি প্রতিশোধের মানে ।
.
কথাটা বলে আমাকে খাটের উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো । তারপরে মাহি আমার উপরে পরলো ।
আমার বুকের উপর শুয়ে পরলো  ।
কিছু বলছেনা চোখ দুটি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে । চোখ দুটি দুষ্টামির ছাপ পাচ্ছি । মাহি এগুলি কি করছে বুঝতে পারছিনা । প্রতিশোধ মানে আর কাঁন্না করবে কেনো ।
কিছু বলবো তবুও সাহস পাচ্ছি না ।
মাহি আমার হাত দুটি তার দুহাত দিয়ে ধরলো । এটা কি করছে মাহি ।
কিছু বলতে যাবো তখন মাহির ঠোঁট আমার ঠোঁট এক হয়ে গেলো ।
কিছুখন পর ।
---এটা কি হলো ।
---তোর জন্য ভালো করে প্রতিশোধ নিতে পারি নি । এবার সুধে আসলে প্রতিশোধ নিবো ।
---কিন্তু একটা নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে সে জন্য আমার প্রতিশোধ আমি সুধে আসলে নিবো ।
---না না এটা হবে না আমার প্রতিশোধ আমি নিয়েছি সো তোর কোনো কিছু করি নি ।
.
কথা বলে বুকের উপর থেকে উঠে যেতে লাগলো তখন আমি উঠে যেতে দিলাম না ।
---ছাড় আমাকে না হলে আবার কিন্তু প্রতিশোধ নিবো ।
.
আমি মাহিকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলে বললাম ,
---আমি যে প্রতিদিন কেঁদেছি সেটার প্রতিশোধ না নিয়ে তোকে ছাড়ছিনা ।
---সেটা হবে...
.
কথাটা বলতে না দিয়ে মাহির ঠোঁট আর আমার ঠোঁট এক করে দিলাম । সুখের সাগরে ভেসে গেলাম দুজন ।



★★★সমাপ্ত★★★



ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ