গল্প:: এক্সপায়ার্ড
নাসির খান
এক.
যেদিন সবাই জানতে পারলো আমার অসুখটা ভয়ঙ্কর এবং আমি আর চারমাস মত বাঁচবো, সেদিন থেকেই আমাকে দেখতে হাসপাতালে লোক আসতে শুরু করলো। আমি যতটা সহজে বললাম যে আমি আর চার মাস বাঁচবো, ব্যাপারটা আসলে অত সোজা না।
আমি সত্যিই মারা যাচ্ছি। এতদিন ছেলেমানুষি করে যেভাবে ছুটে চলেছি, তাতে করে আমি আর আমার পরিচিতরা বুঝতেই পারেনি, এই ছেলেটা পৃথিবীতে আর অল্প কিছুদিন থাকবে।
আমাকে দেখতে সবার আগে এলেন ছোটচাচী। সোমবার সকাল সকাল হাতে ফুডবক্স আর দোলনকে নিয়ে তিনি আসলেন। আমি ছোটচাচীকে দেখে বললাম, "বক্সে কি ছোটমা? খাবার এনেছেন?"
আমি ছোটচাচীকে ডাকি ছোটমা। মা যখন বেঁচে ছিলেন তখন আমাকে ধমক দিয়ে মা বলতেন, "চাচী আবার কি ডাক? এখন থেকে ছোটমা ডাকবি। বল ছোটমা।"
আমি লজ্জায় মরে গিয়ে বলতাম ছোটমা। এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।
ছোটমা আমার কেবিনের ছোট্ট টেবিলটায় বক্স রাখতে রাখতে বললেন,
"খিচুড়ি আর মোরগ রান্না করে এনেছি। তোর প্রিয় খাবার।"
আমি বসা থেকে শুয়ে পড়লাম। চোখ চিটমিট করছে। হয়তো কান্নার পূর্বাভাস। ছোটমা আমাকে দু'চোখে দেখতে পারতেন না। মা মারা গেলেন। কদিন পর বাবাও চাকরি থেকে রিটায়ার্ড হলেন। একান্নবর্তী পরিবারে আমি আর বাবা হয়ে পড়লাম জঞ্জাল।
আমার মনে আছে, একবার ছোটমার বড় বোন এলেন ঢাকা থেকে। সেদিন ছিলো শুক্রবার। আমি জুমা'র নামায পড়ে দোলনকে ডাকতে ছোটমার ঘরে গেলাম। দেখলাম খিচুড়ি আর মোরগ রান্না হয়েছে। এটা আমার প্রিয় খাবার জানা সত্ত্বেও ছোটমা আমাকে খেতে ডাকলেন না।
আমি বেশ লজ্জা পেয়ে গেলাম। ঘরে এসে মন খারাপ করে বসে থাকলাম। এ নিয়ে সেদিন আমার বৃদ্ধ বাবার সাথে ছোটমা'র তুমুল ঝগড়া বেঁধে গেল। এক পর্যায়ে বাবা অতিরিক্ত রাগে ছোটমাকে মারতে ছুটে গেলেন। এবং ছোটমার কাছে পৌঁছানোর আগেই বাবার ছোট-খাটো একটা স্ট্রোক হয়ে গেল।
আমি শুয়ে থাকা অবস্থায় ছোটমা প্লেটে করে খাবার নিয়ে বসে গেলেন। উদ্দেশ্য আমাকে খাইয়ে দেয়া। খিচুড়ি মুঠো পাকিয়ে ছোটমা পরম মমতা নিয়ে বললেন-
"দেখি মিঠু, হা কর।"
আমি হা করতে পারলাম না। মুখ যেন বন্ধ হয়ে গেলো আমার। চোখ খুলে দিল আবেগের দরজা। সারা শরীর কাঁপতে লাগল আমার কান্না থামানোর প্রচেষ্টায়।
এক পর্যায়ে আমি বাঁধভাঙা কষ্টে ছোটমাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মত হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলাম। কেবিনে লোক জমে গেল। আমি থামলাম।
চার বছরের দোলনের চোখে পানি দেখে আমার প্রচণ্ড বাঁচতে ইচ্ছা হলো। এক পর্যায়ে দোলন স্যালাইনের প্যাকেটের দিকে তাকিয়ে বলল,
"তুমি কি মারা যাচ্ছ মিঠু ভাইয়া?"
আমি দোলনের হাত ধরে কাছে টেনে বললাম,
"হ্যাঁ দুষ্টি মেয়ে, মারা যাচ্ছি। এখন থেকে কেউ আর তোর পুতুলের কাপড় দিয়ে জুতো মুছবে না।"
দোলন কি বুঝলো কে জানে, বারবার চোখ মুছতে লাগল। অবুঝ, শান্ত, ভালাবাসাময় দুটি স্নিগ্ধ চোখ।
আমি শুধু শুধু হেসে ফেললাম।
জীবনকে ব্যঙ্গ করতেই হয়তো।
যাওয়ার আগে ছোটমা আমার কানে কানে একরকম ফিসফিস করে বললো,
"মিঠু, আমাদের উপর কোন রাগ রাখিস না। মাফ করে দিস।"
আমি চুপ থাকলাম। কিছু বলার শক্তি পেলাম না। কারণ ছোটমা যে উদ্দেশ্যে এসেছেন, তা হাসিল করতে মৃত্যুপথযাত্রী এই আমাকে আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন যে, আমি সত্যি মারা যাচ্ছি।
দুই.
একদিন সন্ধ্যার দিকে আমার বাবা এলেন। চোখমুখ শুকনো করে বাবা আমার পাশে বসে থাকলেন।
আমার বড় মায়া লাগতে লাগল। আমি না থাকলে বাবাকে দেখার মত কেউ থাকবে না পৃথিবীতে। রাতে ঘুম ভাঙিয়ে বাবা আর কাউকে বলতে পারবেন না, "মিঠু আমার পায়ে আবার বাত বেড়েছে। পায়ের উপর উঠে একটু হাঁটবি?"
আমি এত বড় হয়ে গেছি, তবু বাবার পায়ের উপর আমাকে একপা দিয়ে চেপে চেপে হাঁটতে হয়। কতবার বলেছি, "বাবা ডাক্তার দেখান।"
কিন্তু তিনি একটা টাকাও খরচ করবেন না।
আমার বাবার সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, উনি বেশ কৃপণ। টাকা খরচ করতে তার খুব অনীহা। বাবাকে কতবার বলেছি, "বাবা আমার দুইশ টাকা লাগবে। একটা বেল্ট কিনতে হবে প্যান্টের। "
বাবা কোনোদিনও দেননি।
আমিই প্রথম কথা বললাম, "বাবা আপনি কষ্ট করে আসতে গেলেন কেন? বাতের ব্যথাটা কমেছে?"
আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বললেন-
"কেবিনে থাকছিস, টাকা পাচ্ছিস কোথায়?"
আমি হেসে বললাম, "টাকা তো তেমন লাগছে না বাবা। আমার এক পরিচিত আছেন এই হাসপাতালে। তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে টাকা পয়সা তেমন লাগে না।"
বাবা আবার থম মেরে গেলেন। আমিও কিছু বললাম না। কিছুক্ষণ পর বাবা আমার কাঁধে হাত রেখে অপরাধীর মত বললেন-
"তোকে সেদিন দুইশ টাকা দিতে পারিনি বলে খুব খারাপ লাগছেরে মিঠু। তুই কোনোদিন টাকা চাস না আমার কাছে। অথচ তোকে দিলাম না।"
আমি কণ্ঠে শীতল ভাব এনে বললাম, "বেল্ট তো আমি কিনেছি। আপনি মন খারাপ করবেন না। এখন বাসায় যান। নিয়মিত ওষুধ খাবেন।"
বাবা আমার কথা চুপ করে শুনলেন। এবং আমকে অবাক করে দিয়ে বললেন-
"মিঠু, আমার কাছে চৌত্রিশ হাজার টাকা আছে। কাল এসে তোকে দিয়ে যাব। তুই খরচ করিস।"
আমার মনটা ভয়ঙ্কর কষ্টে ভরে গেলো। বাবার জন্য প্রচণ্ড মায়া লাগলো আমার। কিন্তু আমি চাইনি তার টাকা আমি খরচ করে ফেলি। টাকা খরচ করলেও যা হবে, খরচ না করলেও তাই হবে।
শুধু শুধু বাবার টাকা খরচ করার কোনো মানে নেই। আমি বাবাকে না করে দিলাম।
তিনি কোনও উচ্চবাচ্য করলেন না। আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিচে নেমে গেলেন।
তার পাঁচ মিনিট পরেই হাসপাতালের রশীদ ভাই আর একজন মিলে বাবাকে ধরে আমার কাছে দিয়ে গেলেন।
বাবা নাকি নীচতলার বারান্দার গ্রীল ধরে বাচ্চাদের মত কাঁদছিলেন। আমার চোখের জল উপচে পড়লো গাল বেয়ে। পৃথিবীর উপর তীক্ষ্ণ এক অভিমান চেপে ধরল আমাকে। বিড়বিড় করে বলতে লাগলাম, "এত কষ্ট জীবনে। আমি এত দুঃখী কেন!"
তিন.
কয়েকদিনে হাসপাতাল নামক দুর্গন্ধময় পৃথিবীটা আমার কাছে অত্যন্ত আপন হয়ে গেলো। কেবিন থেকে বেড়িয়ে যখন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াই, মৃত্যুপথযাত্রী রোগীগুলোকে কত আপন লাগে তখন। তাঁদের ঘাড়ে হাত রেখে কথা বলি। তারা এত খুশি হন। আমার মানসিক প্রশান্তিও সীমা ছাড়িয়ে যায়। মনে মনে ভাবি এদের অনেকের সাথেই হয়তো আবার দেখা হয়ে যাবে অচেনা এক জগতে। পৃথিবীতে আমি যেমন সবসময় ছেলেমানুষি করেছি, হয়তো সেখানে গিয়েও পরিচিত কাউকে দেখে ঘাড়ে হাত রেখে বলব, "ভাইসাহেব, আপনার কোথায় জায়গা হয়েছে? যত যাই বলেন, আমার কিন্তু দোযখে থাকার ইচ্ছা। জান্নাতের এত সুখ দিয়ে আমি কী করব? আমার বাবা পৃথিবীতে একা একা আমাকে ছাড়া এত কষ্টে আছেন।"
আমার কেবিনে বেডের নীচে তিনটা বিড়াল থাকে। তিনটাই দেখতে সুন্দর। একটা মা আর দুইটা বাচ্চা। ওদের বাবাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করে আমার।
হাসপাতাল থেকে দেয়া খাবারের বেশিরভাগই আমি ওদের দিয়ে দেই। আমাকে ওরা ভয় পায় না। নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে থাকে। ছোট বাচ্চা দুটো খাবার খায় আর আমার দিকে তাকিয়ে মিঁউ মিঁউ করে। হয়ত বলতে চায়, "সব খাবার তো আমাদেরই দিয়ে দিলেন। আপনি খাবেন কী?"
খাওয়া নিয়ে আমার চিন্তা নেই। আমার খাবার নিয়ে প্রত্যেক বেলা যে আসে, সে হলো আমার বন্ধু সাদাত। হাসপাতালে আমাকে দেখতে ওই সব থেকে বেশি আসে। আমার মৃত্যু নিয়ে সবার থেকে, এমনকি আমার থেকেও বেশি চিন্তিত আর ব্যথিত এই সাদাত।
অথচ ওর কি ক্ষতিটাই না আমি করেছি। বন্ধু হিসেবে বিশ্বাস করে আমাকে বলেছিল ওর ভালবাসা মিথিলাকে একটু সাহায্য করবার জন্য। ওর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আমি প্রেমে পড়ে যাই মিথিলার। মিথিলাও সুড়সুড় করে আমার প্রেমে পড়ে যায়।
থাক, এসব কথা বলতে ইচ্ছা করছে না। মৃত্যুপথযাত্রী একজনের মুখে প্রেমের এসব গৎবাঁধা প্যাঁচাল মানায় না।
চার.
একবার রাতে সাদাত আমার সঙ্গে কেবিনে থেকে গেল। উদ্ভ্রান্তের মত সে রাত ও সারা হাসপাতাল ঘুরে বেড়ালো। সৃষ্টিকর্তা এই ছেলেকে কেন এত আবেগ দিয়ে তৈরী করেছে আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে। আমি করলাম কী এক টুকরো কাগজে কিছু কথা লিখে সাদাতের হাতে দিলাম।
প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়া বাচ্চাদের মত শব্দ করে আমার সামনেই পড়তে লাগলো সাদাত।
লেখাটা এমন-
"আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত যে চারজন আমার সাথে দেখা করতে আসবে না-
১. মিথিলা।
আমি ওকে আর ভালোবাসি না এখন। ও একটা স্বার্থপর মেয়ে। তাছাড়া ও আমার সামনে আসলে নিজেকে আমার মহাঅপরাধী মনে হয়। সাদাত, তুই কি চাস আমি অপরাধী হয়ে মারা যাই?
২. রেনু।
যে মেয়ে আমাকে পাগলের মত ভালোবাসে। যেদিন আমি ওকে ফিরিয়ে দিলাম, সেদিনই ও একগাদা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেললো। জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে এসে পরিবারের গুচ্ছ প্রশ্নের উত্তরে এই মেয়ে নির্বিকার ভাবে বলল, "মিঠুকে ছাড়া আমি বাঁচবো না।"
সাদাত, তুই কি একটু বলবি, আমার কী দেখে এই মেয়েটা এত ভালোবাসে? কী আছে আমার?
এখন ও বাঁচবে কেমন করে?
৩. আমার বাবা।
বাবা যদি আমার আগে মারা যেতেন, তবে হয়তো আমি এতিম হতাম না। কিন্তু বাবার আগে আমি মারা গেলে আমার বাবা এতিম হয়ে যাবে সাদাত।আমি খুব কষ্ট পাই আমিহীন বাবাকে ভেবে।
৪. সাদাত।
পৃথিবীতে এই একটি মাত্র ছেলে, যাকে আমি বন্ধু করেছি। আমি মারা গেলে ও কীভাবে কাঁদবে, এটা কল্পনা করলে আমার বুক ভেঙে কান্না আসে।
এই চারজন যেন আমার সামনে না আসে, এই ব্যবস্থা তুই করবি। কারণ এদের জন্যই আমার এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বাঁচতে ইচ্ছা করে।"
সাদাত যখন পড়া শেষ করেছে তখন ওর চাপদাড়ি ভিজে গেছে চোখের জলে। ঠোঁট কাঁপছে কান্নায়। আর আমি অবাক হয়ে অসম্ভব মায়াময় এই মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে আছি।
পাঁচ.
সাদাত আমার অনুরোধ রাখেনি। এই চারটা মুখকেই আমার সামনে ও ইচ্ছা করে বারবার হাজির করেছে।
আমি শুকনো মুখ আর মৃত চোখ নিয়ে হাসতে হাসতে ওকে বলেছি-
-"এসব কী হচ্ছে সাদাত? মজা করিস আমার সাথে?"
ও তখন রাগে, অভিমানে, কষ্টে আমার গলা টিপে ধরে বলে, "কী হচ্ছে মানে? নিজেকে তুই ভেবেছিসটা কী?"
চার মাস হতে খুব বেশি দেরি নেই। আমার শরীরটাও ভেঙে গেছে খুব। ছেষট্টি কেজি ওজনের এই আমার ওজন কত হয়েছে শুনবেন? তেতাল্লিশ কেজি। ফারুক ভাই শুনলে হয়ত হেসে গড়াগড়ি খেতো। ফারুক ভাইয়ের সাথে সব সময় আমার কথা হত ওজন আর উচ্চতা নিয়ে। সাদাতকে বললাম ফরিদপুরে খবর পাঠাতে। ফারুক ভাই যেন একবার এসে আমাকে দেখে যায়।
সত্যি সত্যি নতুন বিয়ে করা বউ নিয়ে ফারুক ভাই একদিন আমাকে দেখতে চলে এলো। আমাকে দেখেই চোখ যতদূর সম্ভব কপালে তুলে বলল,
"এটা কে? অসম্ভব !"
আমি ভাঙা গলায় হাসতে হাসতে বললাম, "ভাই, আপনি তো সবসময় আমার বিপক্ষে বলতেন। আমি উত্তর বললে আপনি বলতেন দক্ষিণ। আপনার কথা মাঝে মাঝে সত্যিও হত। কিন্তু আজ কী বলবেন? চার-পাঁচ দিনের ভেতর আমি মারা যাচ্ছি। আজও চলে যেতে পারি অজানা গন্তব্যে।"
ফারুক ভাইয়ের মুখে রাজ্যের অন্ধকার। বিদায় নেয়ার আগে দরজা থেকে ফিরে এসে কী মনে হতে আমার মাথায় হাত রেখে বললেন, "তুই মারা যাচ্ছিস না। দেখিস।"
আহারে! ফারুক ভাইয়ের কী প্রচেষ্টা সান্ত্বনা দেয়ার। আমি কীভাবে বোঝাবো, আমি মারা যাচ্ছি সেই কারণে আমার কোনো কষ্ট নেই। আমার কষ্ট কিছু মানুষের ভালবাসার জন্য।
ছয়.
চারমাস পার হয়ে গেলো। আমি মারা গেলাম না সত্যি সত্যি। মানুষের প্রবল ভালবাসা নিয়ে হয়তো জীবন প্রদীপটা দপদপ করছিলো। যেকোন সময় নিভে যেতে পারে সে প্রদীপ। এটা হলো বোনাস। শরীরের দিকে তাকিয়েও আমার আরো বাঁচতে ইচ্ছা হলো অনেকদিন।
ভালবাসার প্রশ্নে আমি অনেকের কাছে ঋণী। ঋণ শোধ করার প্রবল ইচ্ছা আমার। হয়তো প্রকৃতি চায় না ভালোবাসার ঋণ শোধ হোক।
মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে এখন আমি বাড়িতে থাকি।বাবা আমার সাথে সারাক্ষণ হেসে হেসে গল্প করে।
বাবার ধারণা আমি সুস্থ হয়ে গেছি।
ছোটমা প্রতিদিন ভোরে রুটিন করে আমার কাছে এসে জানতে চায় আমি কেমন আছি। ছোটমা কী উত্তর আশা করে আমি জানি না। আমি বড় বড় শ্বাস টেনে বলি-
"ভাল আছি ছোটমা।"♦
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ