#ভাড়াটে_গার্লফেন্ড
।
পর্বঃ চতুর্থ ( ৪ )
।
।
।
আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি মাহি ।
মাহি এখানে কেন নাকি কিছু বলতে আসছে । আর বলতে কেনই বা আসবে না । কারণ হলো মাহির সাথে মামনি যেরকম ব্যবহার করছে সেটা তো কোন বউ বা ছেলের গার্লফেন্ডের সাথে করে থাকে ।
কিছুখন তার দিকে তাকিয়ে কেমন জানি চিন্তিত দেখাচ্ছে । আর কেনই বা চিন্তিত হবেনা সে এখন কোথায় আছে ।
কেউ কিছু বলছিনা নিরব হয়ে দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে আছি ।
আমার সব কিছু বলে দেওয়া দরকার তা নাহলে সে আমাকে ভুল বুজবে ।
---আপনাকে...
---আপনাকে...
দুজন এক সাথে বললাম ।
কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেলাম সে আগে বলুক ।
কিন্তু মাহি কিছু বলছে না । চুপ হয়ে দাড়িয়ে আছে । নাহ্ এভাবে দাড়িয়ে থাকা যাবে না আমাকে বলতে হবে ।
---আপনাকে কিছু কথা বলতে চাই ।
---আচ্ছা বলুন ।
---মানে কিভাবে বলি বুজতে পারছিনা ।
.
মাহি আমার দিকে কেমন করে তাকালো তারপর বললো ,
---আচ্ছা যেভাবে পারেন সেভাবেই বলুন ।
---মানে বলতে চাইছিলাম যে ।
---আরে সমস্যা নেই বলে ফেলুন ।
---আমার সাথে কিছু দিন প্রেমের অভিনয় করবেন মানে কিছু দিন #ভাড়াটে_গার্লফেন্ড এর অভিনয় করতে পারবেন । বিয়ে বিয়ে করতে করতে আমার মাথাটা শেষ করে দিলো ।
.
কথাটা একদমে বলে দিলাম । আমার কথাটা শুনে মাহির মুখটা ফেঁকাসে হয়ে গেলো ।
হয়তো আমার মুখ থেকে এ কথা শুনতে আশা করে নি ।
আমার দিকে তাকিয়ে আছে । কিছু বলছে না শুধু তাকিয়ে আছে ।
আমি মাথাটা নিচু করে বললাম ,
---স্যরি আমি এভাবে কথাটা বলতে চাই নি ।
---সমস্যা কি বিয়ে করে ফেলেন ।
---আসলে আমি এখন বিয়ে করবো না । আর...
---আর কি ?
---কিছু না ।
---কিছু না মানে নিশ্চয় কিছু আছে না হলে কোন ছেলে বিয়ে কথা শুনে এরকম করে নাকি ।
---(নিশ্চুপ)
---কথা বলছেন না কেনো ।
---এমনি ।
---আচ্ছা আমার সাথে শেয়ার করুন কোন সমস্যা নেই ।
---কিছু নাই শেয়ার করার । আচ্ছা আপনাকে কাল সকালে অফিসে যাওয়ার সময় নামিয়ে দিয়ে যাবো ।
---টপিক চেন্জ করলেন কেন ।
---কই টপিক চেন্জ করলাম ।
---এই যে বিয়ে আর আপনি কেন বিয়ে করবেন না সেই টপিক ।
---আসলে কি জানেন মানুষ কেন সার্থ পর হয় । নিজের সার্থের জন্য অন্যকে ছেড়ে চলে যায় । কেন অন্যকে স্বপ্ন দেখিয়ে চলে যায় । সে কি একবারও ভাবে না যাকে স্বপ্ন দেখাতে শিখেয়েছি তার স্বপ্নটাকে নষ্ট করে অন্য মানুষের সাথে নতুন করে স্বপ্ন গড়তে । সে কি একটু ভাবে না যার জন্য তিলে তিলে গড়া স্বপ্নটাকে একটু একটু বাস্তবে পরিনত করছে হঠাৎ করে সেই স্বপ্নটাকে ভেংগে চুরমার করে দিয়ে সে এখন অন্য জনের স্বপ্নের মাঝে নিজেকে সাজিয়ে রাখছে । একবারও কি সে ভাবলো না সে এখন কেমন করে বাঁচবে তাকে ছাড়া । যাকে ছাড়া এক মুহুর্ত কথা না বলে থাকতে পারে না , সে আজ দিনের পর দিন কেমন করে বেঁচে আছে । সে কি একটু ভাবে না যার কথায় না শুনে প্রতিদিন ঘুম ভাংতো না , সে এখন ফোনের আশায় থাকে যে কখন বলবে এই এখনো ঘুম থেকে উঠনি তাড়াতাড়ি উঠো বলছি । সে কি সব স্মৃতি ভুলে গেছে ।
নাকি তার সব অভিনয় ছিলো ।
জানেন নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয় যখন নিজের কষ্টগুলি সয়তে না পারি । মাঝে মাঝে নিজেকে শেষ করে দিতে চায় কিন্তুু পারি না যখন খুব চেনা দুটি মুখ সামনে ভেসে আসে ।
আমি তো তাকে ছাড়া অন্য কাউকে নিয়ে সুখে থাকতে পারবো না । তাকে যে আমি কথা দিয়েছি তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসবো না ।
এখন আপনি বলেন আমি কি করবো ।
আর আমি জেনে শুনেতো কাউকে ঠকাতে পারবো না । আমার যেরকম স্বপ্ন ছিলো তাকে নিয়ে ঠিক সেরকম তারও একটা স্বপ্ন আছে তার স্বামীকে নিয়ে ।
আমি যে সেই স্বপ্নটাকে আমি শেষ করে দিতে চাই না । তার চেয়ে বড় নিজেই নিজের কাছে কষ্টগুলি জমা করে রাখি ।
.
কথাটা বলে চোখের পানি মুঁছতে মুঁছতে তার দিকে তাকালাম । দেখি তার চোখের কোণে পানি জমে আছে । হয়তো কয়েক ফোঁটা গড়িয়ে পরেছে । নিশ্চুপ হয়ে আমার কথাগুলি শুনছিলো ।
আমার এরকম চেয়ে থাকা দেখে তাড়াতাড়ি করে চোখের পানি মুঁছে ফেলে বললো ,
---স্যরি আমি আপনাকে পুরোনো কথা মনে করিয়ে দিলাম ।
---আরে না ।
---আসলে আমি জানি না তাই আপনাকে জিঙ্গেস করলাম ।
---এটা কোন কথা হলো ।
---সে এখন কোথায় আছে ।
---কে ।
---যার জন্য বিয়ে করছেন না ।
---জানি না ।
---বুজলাম না আপনার কথা ।
---ব্রেকআপ হওয়ার কিছুদিন পর জানতে পারি সে তার স্বামীর সাথে আমেরিকায় চলে গেছে । তারপর আর কোন খোঁজ পাইনি ।
---তার নাম কি ।
---মিষ্টি ।
---খুব সুন্দর নাম আর মেয়েটা খুব সুন্দর দেখতে মনে হয় ।
---হু মেয়েটা দেখতে খুব সুন্দর । কিন্তু সুন্দর চেহারা দিয়ে কোন লাভ নাই যদি সুন্দর মন না থাকে ।
---রাইট ।
---স্যরি আমি আপনাকে #ভারাটে_গার্লফেন্ড এর অভিনয় করতে বলেছিলাম ।
---আচ্ছা অভিনয় করে কয়দিন চলবে বলেন তো এর চায়তে আম্মুর পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন আর তাকে মিষ্টিকে যেমন ভালোবাতেন সেরকম তাকে ভালোবাসবেন আর তাকে আস্তে আস্তে ভুলে যান । এতে আপনার কষ্টগুলি ভুলে থাকতে পারবেন ।
---না আমি এটা পারবোনা ।
---তাহলে কি করবেন ।
---ঠিক কাউকে #ভারাটে করতে পারবো ।
---তাতে আপনার কি লাভ ।
---তাহলে মামনি আর বিয়ের চাপ দিবে না বরং তাকে দিয়ে মামনির কাছে বলবো সে এখন বিয়ে করতে পারবেনা এখন সে ক্যারিয়া নিয়ে চিন্তিত তাই সে এখন বিয়ে করবে না ।
---কয়েক বছর পর যখন তার স্বপ্ন পুরণ হবে তারপর কি করবেন ।
---ঠিক তার আগে কিছু একটা দেখিয়ে ব্রেকআপ করে নিব ।
---তখন তো আবার বিয়ের চাপ দিবে তখন ।
---আর তাড়া তো সাড়া জীবন বেঁচে থাকবে না । আর তখন আবার কোন একটা বুদ্ধি ভের করবো ।
---তাও বিয়ে করবেন না ।
---যাকে নিয়ে স্বপ্ন বেঁধে ছিলাম কিন্তু সেটা স্বপ্ন রয়ে গেলো তাই কাউকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চাই না ।
---আচ্ছা আমি যদি #ভারাটে_গার্লফেন্ড হয়ে অভিনয় করি তাহলে আমাকে কি দিবেন ।
.
মাহির কথাটা শুনে তার দিকে তাকালাম মিটি হাসছে ।
---আপনি যা চাইবেন তাই দিবো ।
---সত্যি দিবেন তো ।
---হ্যা যদি আমার কাছে থাকে তাহলে নিশ্চয় দিবো । কারণ সে যদি আমার জন্য এতোটুক করে তার বিনিময় আমি সব দিতে রাজি বলেন বি চান আপনি ।
---ভেবে বলেন আমি যা চাই বো তাই দিবেন।।
---আরে ভাবা ভাবির কি আছে যা চাইবেন তাই দিবো । আর শোনেন আপনি ভালো করে ভেবে বলবেন কয়েক দিনের জন্য গার্লফেন্ড হওয়া এতে আপনার কোন সমস্যা নেই ।
---আচ্ছা আমাকে ২ দিন সময় দিন আমি ভেবে বলে দিবো ।
---আচ্ছা আমি ২ দিন সময় দিলাম তারপর বলবেন ।
---আচ্ছা আপনার লাভ স্টরি শুনান এখন কোথায় থেকে শুরু হয়েছে ।
---এখন না কোন এক সময় বলবো আর যখন আমার প্রস্তাবে রাজি আছেন তাহলে তো ধিরে ধিরে সব শুনতে পারবেন ।
---কি শুনতে পারবে মাহিম ।
.
মামনির কথাটা শুনে দুজনে চুমকে উঠে চোখের পানি মুঁছে পিঁছনের দিকে তাকালাম ।
---কি..কি কিছু না মামনি ।
---কিন্তু তুই তো বললি ধিরে ধিরে সব শুনতে পারবেন ।
---ও কিছু না মামনি একটা জিনিসের কথা বলছিলাম ।
---তোদের তো খুজে হয়রান তখন তোর আব্বু বললো দেখ ছাঁদে আছে তারপর ছাঁদে এসে দেখি তোরা এখানে ।
---না মানে আজকে ভালো লাগছেনা তাই ছাঁদে এসেছি ।
---আচ্ছা চল এখন ।
---কোথায় ।
---আরে ডিনার করবি না রাতে ।
---জ্বী মামনি আপনি এখন যান আমি আর মাহি আসছি ।
---তাড়াতাড়ি আসবি তোর আব্বু টেবিলে বসে আছে এক সাথে খাবার খাবে ।
.
মামনি চলে গেলো ।
তারপর মাহিকে বললাম ,
---সব কিছু ভেবে সিদ্ধান্ত নিবেন আর মামনিকে কখনো বলবেন না যে আমি আজও মিষ্টিকে ভালোবাসি । কারণ আমি মামনি আর আব্বুকে বলেছি আমি তাকে ঘূণা করি তাকে ভুলে গেছি ।
---আচ্ছা এখন চলেন ।
---চলেন ।
.
ছাঁদে থেকে চলে এলাম ডয়িং রুমে । দেখি মামনি আর আব্বু বসে আছে । আমরা যাওয়া সাথে মামনি বললো ,
---এতখন লাগে বস ।
---মাহি মা তুই আমার কাছে এসে বস ।
মাহি গিয়ে মামনির কাছে গিয়ে বসে পরলো আর আমি আব্বুর কাছে ।
তারপর খাওয়া শুরু করলাম ।
কিছুখন খাওয়ার পর আব্বু বললো ,
---কি করো তুমি ।
---জ্বী আঙ্কেল মেডিকেলে পড়াশোনা করছি ।
---আর কত দিন লাগবে ডাক্তারি পাস করতে ।
.
আব্বুর কথাটা শুনে মাহি আমার দিকে তাকালো । আমি কিছু না বলে মাথাটা নিচু করে খাওয়া শুরু করলাম । কি বলবো আমি কিছু বলার নাই।।
---এই তো ৯ মাস পর আঙ্কেল ।
---ও ভালো করে পড়াশোনা করো ।
---জ্বী আঙ্কেল দোয়া করবেন ।
---অবশ্যই দোয়া করবো আল্লাহুরর কাছে ।
.
কিছুখন কথা বললো আব্বু মাহির সাথে ।
খাওয়া শেষে মামনি আব্বুকে বললো আজকে পাশের রুমে শুয়ে থাকো আমি আর মাহি শুয়ে থাকবো আব্বু বললো আচ্ছা শুয়ে থাকো আমি পাশের রুমে থাকবো ।
.
আমি খাওয়া দাওয়া করে রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম ।
আজ খুব ট্যায়ার্ড লাগছে কারণ শপিং এ গিয়ে অনেক ঘুরেছি । আর রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে দুপুরে খাবার খেয়েছি ।
তাই একটা লম্বা ঘুম দিলাম ।।।
.
.
সকালে খেয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি । আব্বু আজকে একটু পরে যাবে সেই জন্য আমাকে আগে যেতে হবে ।
কিছুখন পর রেডি হয়ে খেতে বসলাম ।
.
রুমে গিয়ে মাহিকে বললাম ,
---হয়েছে আপনার ।
---এই তো হয়েছে আর একটু ।
---আমাকে একটু তাড়াতাড়ি যেতে হবে তাড়াতাড়ি করুন ।
---জ্বী একটু বাহিরে গিয়ে বসে থাকুন আমি আসছি ।
---জ্বী একটু তাড়াতাড়ি ।
.
আমি গিয়ে ডয়িং রুমে বসে পরলাম ।
.
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি পাঁচ মিনিট হয়ে গেলো এখনো হয়নি ।
আর একবার গিয়ে বলি । উঠে যাবো তখন দেকি বের হলো । যাক বাবা বাঁচা গেলো ।
---এখন চলেন অনেক লেট হলো আমাকে এক জায়গায় তাড়াতাড়ি যেতে হবে ।
---আন্টিকে বলে আসি ।
---তাড়াতাড়ি ।
.
মামনি এসে হাজির হলো ।
তারপর মাহি মামনিকে বললো ,
---আন্টি ভালো থাকবেন আমি যাচ্ছি ।
---আচ্ছা মা তুই কবে আসবি বলতো ।
.
কথাটা শুনে মাহি আমার দিকে তাকালো । আমি কি বলবো বুজতেছিনা ।
---বুজতে পারলাম না আন্টি কবে আসবি মানে ।
---আরে বলছি আবার কবেবে আসবি তোকে দেখতে ইচ্ছে করছিলো তাই বলেছিলাম তুই তো আসতে চাই তি না পরে মাহিম জোরর করে আনছে তাই বলছি আবার কি তুই আসবি মা ।
---আচ্ছা আসবো আন্টি ।
---কবে আসবি ।
---আপনি যেদিন বলবেন সেদিন আসবো ।
---মামনি আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে তো ।
---আচ্ছা মা যা আমি তোরর সাথে ফোনে কথা বলবো ।
---আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি আল্লাহ হাফেজ ।
---আল্লাহ হাফেজ ।।।
.
বাসা থেকে ভের হয়ে মেডিকেলের দিকে যাচ্ছি মাহিকে নামিয়ে দিতে হবে ।
।
।
।
চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।
।
।
।
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )
#ভারাটে_গার্লফেন্ড
।
পর্বঃ পঞ্চম ( ৫ম )
।
।
।
বাসা থেকে ভের হয়ে মেডিকেলের দিকে
যাচ্ছি মাহিকে নামিয়ে দিতে হবে ।
একবার মাহির দিকে তাকালাম দেখি কি যেন ভাবছে ।
আমি আর কিছু বললাম না। কিছুখন পর মেডিকেলে পৌঁছে গেলাম । মেডিকেল কলেজে এসে গাড়ি থামিয়ে দিলাম । গাড়ি যে থেমে গেছে সে দিকে তার কোন খেয়াল নেই । আমি তার দিকে তাকালাম গভীর ভাবে কিছু ভাবছে । আর এদিকে আমাকে অফিসে যেতে হবে তাই সব কিছু ভেবে মাহিকে বললাম ,
---মেডিকেলে এসে গেছি ।
---(নিশ্চুপ)
.
মাহিতো কথা শুনছে না কি করা যায় আর দেরি করা যাবেনা বেশি । তাহলে কি টাচ্ করে বলবো না তাহলে মাহি যদি খারাপ ভাবে । কি করি আর একবার বলি।
---আপনার কলেজে পৌঁছে গেছি ।
---ওহ্ হ্যা ।
---তাহলে নামুন ।
.
কথাটা শুনে আবার আমার দিকে তাকালো ।
মায়া ভরা চোখের চাহনি । আমাকে তার দিকে আকৃষ্টি করছে । তার মায়া বরা চোখে আমাকে তার ফাঁদে ফেলছে । এভাবে তাকে আমি ভালোবেসে ফেলবো না এটা হতে পারেনা আমি যে এখনো মিষ্টিকে ভালোবাসি ।
তখন বললো,
---ধন্যবাদ আপনাকে কলেজে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ।
---ওয়েলকাম ।
.
তারপর মাহি নেমে গেলো । মাহি গাড়ি থেকে নেমে কিছুখন তাকিয়ে ছিলো । তারপর যেতে লাগলো । কিছুখন যাওয়ার পর তখন কি মনে করে আমি গাড়ির ভেতর থেকে নেমে ডাক দিলাম ।
---মাহি ।
.
আমার ডাক শুনে পিছনে ঘুরিয়ে তাকালো । তারপর তার ডিপার্টমেন্টের দিকে তাকালো । সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে । আমার কেন জানি মনে হলো মাহিকে এভাবে ডাক দেওয়া ঠিক হয়নি । গাড়ির ভেতর বললে ভালো হতো ।
তারপর মাহি আমার দিকে এগিয়ে আসলো । তারপর কাছে এসে আবার আমার চোখের দিকে তাকালো । আমি আর মাহির দিকে তাকাতে পারলাম না । এ কেমন চাওনি যে তারপর চোখের দিকে আমি তাকাতে পারছিনা । আমি আর একবার মাহির দিকে তাকালাম দেখি সেই এক ভাবে তাকিয়ে আছে । আমি মাহির ডিপার্টমেন্টের দিকে আর একবার তাকালাম দেখি কয়েকটা মেয়ে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে কোন এক জাদুর খেলা দেখানো হচ্ছে । আমি আর চার দিকে তাকালাম না । কারণ এই মেডিকেল কলেজের সামনে এরকম একটা মেয়েকে গাড়ি দিয়ে নিয়ে এসে নামিয়ে দিলাম তারপর আমি নেমে তার সাথে কলছি এটা যে কেউ মাইন্ড করবে । আমার এরকম দেখে মাহি বলে উঠলো ,
---কিছু বলবেন ।
---না মানে হ্যা ।
---কি বলবেন বলেন ক্লাসে যেতে হবে ।
---আচ্ছা তাহলে জান পরে বলবো ।
---আচ্ছা সমস্যা নেই বলেন ।
---না মানে কালকের কথা কি মনে আছে ।
---কোনটা #ভারাটে_গার্লফেন্ড হয়ে অভিনয় করতে হবে ।
---না মানে হ্যা এটা ।
---আচ্ছা আমি ভেবে বলবো আপনাকে ।
---ঠিক আছে ।
---তাহলে আমি ক্লাসে চলে গেলাম ।
.
বলেই চলে যেতে লাগলো ।
আবার ডাক দিলাম ,
---মাহি ।
.।
আবার ডাক দেওয়াতে চলে এলো ।
---আরও কিছু বলবেন ।
---না মানে আপনার নাম্বারটা দেওয়া যাবে ।
.
নাম্বারের কথা শুনে আবার সেই একই চাহনি । আমি যে তার মায়াতে পরে যাচ্ছি এটা হতে পারে না । আবার বললাম ,
---না মানে নাম্বারটা না থাকলে কেমন করে বলবেন আমাকে তাই যদি দিতেন তাহলে ভালো হতো আর কথা দিচ্ছি ফোন দিবো না ।
.
কিছু বলছেনা শুধু তাকিয়ে আছে । কিছুখন তাকিয়ে থেকে বললো ,
---০১৮৬৩২১****
---ধন্যবাদ ।
---আর কিছু বলবেন ।
---যদি কিছু বলতে চান তাহলে বলতে পারেন ক্লাস শুরু হবে ।
---ঠিক আছে আর কিছু না ।
---ফোনে কথা হবে আল্লাহ হাফেজ ।
.
বলেই তাড়াহুড়া করে চলে গেলো । আমি তার চলে যাওয়া দেখছি । তারপর তার সেই বান্ধবীদের কাছে চলে যায় । তাদের কাছে যাওয়াতে মনে হয় তাকে প্রশ্ন করেছে ।
আমি নিচ থেকে তাদেরকে দেখতেছি ।
একটু পর মাহি আবার নিচের দিকে তাকালো । তাকিয়ে অবাক হয়ে যায় কারণ আমি এখনো যাই নি তারপর হাত দিয়ে টা টা দিলো আমিও দিলাম তারপর ক্লাসে চলে গেলো । কিছু সংখ্য লোক এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হয় কোন সিনেমা স্যুটিং দেখছে ।
.
মামার সাথে দেখা না করে গাড়ির দিকে এলাম । গাড়িতে উঠে অফিসের দিকে যেতে লাগলাম ।
.
অফিসে চলে এলাম অনেক দেরি হয়ে গেছে । কিছু করার নেই তাই গাড়িটা পার্ক করে অফিসে ঢুকে গেলাম ।
তারপর দেখি আব্বু চলে এসে গেছে যাক বাবা বাঁচা গেলো । আব্বুর দিকে তাকালাম দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে । তারপর আমি চাওয়াতে আব্বু আবার কাজে মনোযোগ হয় । আমি আর আব্বু কাছে গেলাম না । সোজা গিয়ে কাজ করতে লাগলাম ।
একটু কাজের চাপ কোম আছে আব্বু সব কিছু করে ।
আমার চোখে শুধু মাহির মায়াবরা চোখের চাহনি ভেসে উঠছে । এটা কি হচ্ছে আমার সাথে না এভাবে শেষ হয়ে যাবো । মাহির কথা মাথা থেকে সরাতে পারছিনা । শুধু তার মুখ চোখের সামনে ভেসে আসছে ।
এগুলি আর ভাবতে পারছিনা ।
এর মধ্যে ফোনটা বেজে উঠলো । এতো বিরুক্তি লাগছে তার ভেতর ফোন আরও মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো । ফোনটা বেজে চলছে তবুও ফোনটা দেখছিনা ও ধরছিনা । কিছুখন বেজে ফোনটা কেটে গেলো ।
আবারও ফোনটা বেজে উঠলো আবার বিরুক্তি । ফোনটার দিকে তাকিয়ে দেখি মামনি ফোন দিচ্ছে । খাইছে আমারে ধ্যাত এতো পেরা কেনো । ফোনটা রিসিভ করে ,
---হ্যা...
---ফোন ধরতে এতো সময় লাগে কি করিস হ্যা ।
---না মানে মা...
---শুনতে হবে না । বল মাহিকে তো ঠিক মতো পৌঁছে দিছিস ।
---হ্যা মামনি দিয়েছি ।
---তোর বড় মামার সাথে দেখা করেছিস ।
---না মামনি ।
---কেনো ।
---এমনি আর মামা কোথায় আছে জানি না ।
---তা একটু খুজে দেখে মাহির সাথে পরিচয় করে দিলে আরও ভালো হতো ।
---যখন রাজি হয় তখন দিবো ।
---রাজি হয় মানে ।
---কি কিছু না..
---তুই কি কিছু লুকাতেছিস ।
---না নাতো লু লুকাবো কেনো ।
---এরকম করে কথা বলছিস কেনো কিছু হয়েছে তোর ।
.
আমি তো ধরায়ে খেয়ে যাচ্ছি কি করি এখন বুজতেছিনা । আর এভাবে কথা বলা যাবে না তা হলে ধরা খেয়ে যাবো । আমাকে শক্ত হয়ে কথা বলতে হবে ।
---কি রে চুপ কেন কিছু হয়েছে বাবা ।
---না মামনি কিছু হয়নি একটু গলাটা কেমন করে কথা গুলি ভের হয়ে আসছে ।
---ও তাহলে পানি খেয়ে নি বাবা তাহলে শেরে যাবে ।
---জ্বী মামনি খেয়ে নিচ্ছি ।
---আর শোন তোর আব্বুকে বলে দিচ্ছি তোকে ছুটি দিয়ে দিবে ।
---আমি তো ঠিক আছি সমস্যা নাই ছুটি কেন মামনি ।
---আমার মন বলছে তোর কিছু হয়েছে ।
.
আপনি ঠিক বলেছেন । কেমন করে টের পান বুজি না ।
---আরে মামনি সত্যি বলছি কিছু হয় নাই ।
---ঠিক আছে তবুও বাসায় চলে যা । আমি তোর আব্বুরে বলে দিচ্ছি ।
---জ্বী ।
---আর শোন ফ্রিজে কিছু খাবার রাখা আছে খেয়ে নিস এখনি চলে যা ।
---ওকে মামনি ।
---আমি তাড়াতাড়ি চলে আসবো ।
---জ্বী মামনি ।
---বাই ।
---বাই ।
.
বলে ফোনটা কেটে দিলাম । যাক কাজ থেকে আজ একটু রেহাই পেলাম।। অবশ্য আমাকে বেশি কাজ করতে দেয় না । শুধু অফিসে মন বসাতে চায় কিন্তুু কিছু হচ্ছে না । যাক গ্গে অকথা এখন বাসায় গিয়ে শুয়ে থাকা যাবে খুব ভালো হলো ।
.
কিছু কাজ বাকি ছিলো সেগুলি কাজ করে নিলাম।। আব্বু ফোন দিয়েছিলো বাসায় যাও।।
আমি বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
.
অফিস থেকে ভের হলাম ।
ফোনটা ব্রাইব্রেটের শব্দে কেঁপে উঠছে । ফোনটা বের করে দেখি Sayem এর কল দেখতে পেলাম । ফোনটা রিসিভ করে হ্যালো বলতে না বলতে সায়েম বললো ,
---কোথায় তুই তাড়াতাড়ি আয় ।
---কেনো কি হয়েছে ।
---মিষ্টিকে দেখতে পেলাম শপিং করতে আসছে ।
.
কথাটা শুনে বুকে বাম পাশে কেমন জানি করে উঠলো । বুকের ভেতর কেমন জানি করছে । সেই ২বছরের স্মৃতি ভেসে এলো চোখের সামনে । নিশ্চুপ হয়ে গেলাম বুজতে পারলাম না কেন এরকম হলো ।
---কি রে কথা বল এরকম নিশ্চুপ হয়ে গেলি কেনো তুই ঠিক আছিস তো ।
---না রে ঠিক আছি আআমি । তুই থাকিস আমি আসতেছি ।
---তাড়াতাড়ি আয়।।
---একাই আসছে নাকি কেও সাথে আসছে ।
---যতোটুক দেখলাম বুজতে পারলাম একাই আসছে ।
---যতোটুক মানে ।
---আরে আমি অনেকখন ধরে দেখেছি সে ঘোরাঘুরি করছে একাই পরে সিয়র হতে কাছে এগিয়ে দেখি সে মিষ্টি আর একা একা শপিং করছে ।
---আচ্ছা থাক আমি ১৫ মিনিটের মধ্যে আসছি ।
---একটু তাড়াতাড়ি আয় মনে হয় অনেকখন ধরে আসছে আর কোথাও ধেরি করিস না ।
---ঠিক আছে ।
.
বলেই ফোনটা কেটে দিয়ে দ্রুত পায়ে গাড়ির দিকে এগুচ্ছি ।
গাড়ির নিয়ে রওনা হলাম বসুন্ধারা শপিং এর দিকে । সেখানে যেতে ১৫-২০ মিনিট লাগবে । গাড়ি আরও দ্রুত ব্রেগে চালাচ্ছি । সেই ২ বছরের স্মৃতি শুধু চোখের সামনে ভেসে আসছে ।
চোখের পানি কেনো যে ঝর্ণার মতো প্রবাহিত হচ্ছে বুজতে পারছিনা । এটা কিসের কাঁন্না জানি না । প্রিয় মানুষের হারানো নাকি তার সাথে দেখা হবার কথায় । আজও বুজতে পারছিনা কেনো এরকম হচ্ছে আমি তো তাকে ভুলে যেতে চাচ্ছি কেনো তার স্মৃতি আমায় পিঁছু তাড়ায় । কেনো এরকম হলো । কি অভাব ছিলো আমার মাঝে যে আমাকে ছেড়ে অন্য জনকে বিয়ে করেছে । আমিতো গিরগিটি কখন কোথায় বদলে যায় সেরকম নাকি আমি ।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি টাইম ঠিক মতো দেখতে পারছিনা । চোখের পানি মুঁছে ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখি ১৫ মিনিট পেরিয়ে গেছে । আর ৩ মিনিট লাগবে পৌঁছে যেতে ।
এতো কষ্ট আর ভালো লাগে না । কেনো যে ভুল পথে পা বাড়িয়ে ছিলাম আজ তার পাশ্চিত্ত করতে হচ্ছে ।
.
একটু পর পৌঁছেগেলাম ।
গাড়ি থেকে নেমে সায়েম কে ফোন দিলাম।।
সায়েম উপরে আসতে বললো ।
উপরে চলে গেলাম । সিঁড়ি দিয়ে উঠে পরলাম । দেখি সায়েম দাড়িয়ে আছে । আমি যাওয়াতে বললো ,
---এতো ধেরি তাড়াতাড়ি চল সামনে জুয়েলারি দোকানে ঢুকেছে।
.
আমি বললাম ,
---এতো বড় দোকানে খুঁজে পাওয়া যাবে না ।
---আরে চলতো টেনশন করিস না খুঁজে ভের করবো ।
---চল ।
.
জুয়েলারি দোকানে ঢুকে গেলাম ।
.
আমি আর সায়েম মিষ্টিকে খুঁজতেছি । এরকম মেয়েকে খুঁজে ভের ইম্পসিবুল ।
তবুও হাল ছেড়ে দেই নেই। খুঁজে চলছি । অনেক খুঁজলাম কিন্তু কোথাও পেলাম না আর এটা সাভাবিক বেপার এতো বড়ড় শপিং মলে কোন মানুষকে খুঁজে ভের করা একটা ভাগ্যের বেপার।। সায়েম চল আর খুঁজে লাভ নেই।।
আমি কিছু বললাম না । মাথা দিয়য়ে সায়েমকে সায় দিলাম চল ।
দুজনে সিঁড়ি লিফ্ট দিয়ে নামছি । হঠাৎ সায়েম বলে উঠলো ,
---কি করবি দেখা করে যে তকে ছেড়ে চলে গেছে ।
.
কথাটা শুনে কি উত্তর দিবো শুধু সায়েমের দিকে তাকিয়ে আছি দেখ ।
---কি রে বল কি বলবি মিষ্টিকে ।
---জানি না রে শুধু একটা কথা বলবো কেন ছেড়ে গেলো আমাকে আর আমার মাঝে কি অভাব আছে । কেন আমাকে স্বপ্ন দেখিয়ে চলে গেলো । কি অপরাধ ছিলো আমার । আমাকে কেন একা থাকার বদলে কষ্ট দিয়ে গেলো । আমি কেনো একা থাকতে পারিনা । কেন সেই স্মৃতি গুলি তাড়িয়ে বেরাচ্ছে । আমাকে আমার ভালোবাসা ফিরিয়ে দাও।।
.
বলেই চোখের পানি মুঁছতেছি ।
আমি জানি কথাগুলির উত্তর কেউ দিতে পারবেনা ।
সায়েম নিশ্চুপ হয়ে আছে আমি জানি ও কেন পৃথিবীর কেউ উত্তর দিতে পারবেনা ।
.
গেটের দিকে যাচ্ছি হঠাৎ চোখটা আটকে গেলো ।
সামনের দিকে এগুতে লাগলাম ।
আমি তার পিঁছু পিঁছু যেতে লাগলাম ।
আমি তার কাছে যাওয়ার জন্য আমি দ্রুত হাটছি ।
কেউ এসে ধাক্কা দিলো তাকিয়ে এক ভদ্রলোক । বয়সটা আমার থেকে কয়েক বছর বেশি হবে । ফোনে কথা বলছে কার সাথে । তার দিকে তাকাতে দেখে সে বললো ,
---স্যরি ভাইয়া আমি ইচ্ছে করে ধাক্কা দেয়নি ।
---(আমি নিশ্চুপ হয়ে দাড়িয়ে রইলাম )
আবার লোকটি বললো ,,
---ভাইয়া সত্যি আমি ইচ্ছে করে দে...
---ঠিক আছে ফোনে কথা বলুন সে মনে করছে আপনার কিছু হয়েছে নাকি ।
.
আমার কথায় ভদ্রলোকটি একটা হাসি দিলো । তারপর ফোনে বললো আমি ঠিক আছি একজনের সাথে ধাক্কা লেগেগিয়েছিলো তাই স্যরি বলছি ।
কারণ ভদ্রলোকটি ফোনের ইস্পিকার আমার কানে এসে যায় মেয়েটি বলতে ছিলো কি হলো কথা বলছোনা কেনো কিছু হয়ে তোমার , কিহলো বলো ঠিক আছো তো ।
ভদ্রলোকটি কথা বলা শেষ করে বললো ,
---আসলে আমি...
---ঠিক আছে সমস্যা নেই । ওহ্ সিট ।
---কি কিছু হয়েছে ।
---না মানে থাক...
.
লোকটি কিছু বলবে কিন্তুু তার কথা অপেক্ষা না করে চলে এলাম।।
একটু দৌড়ে বাহিরে এলাম।।
দেখি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে ।
আমি দৌড়ে গিয়ে মিষ্টির কাছে গেলাম কিন্তুু সায়েম আসলো না ।
কাছে যাওয়া মাত্র মিষ্টি আমার দিকে তাকালো ।
আমিও তার দিকে তাকালাম । দুজনে অবাক হলাম এভাবে হয়তো দেখা হবেনা ।
মিষ্টি এমন ভাবে তাকিয়ে যা আপনাদের বলে বুজাতে পারবোনা ।
আমিও মিষ্টির দিকে তাকিয়ে আছি । সেই ২ বছর পরে আমাদের দেখা ।
মিষ্টি অনেক বোদলে গেছে । চোখের কোণে কেন জানি কালো বর্ণ হতে দেখা যাচ্ছে । অনেক শুকিয়ে গেছে । ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করেনা মনে হয় । অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে ।
দূরে থেকে মিষ্টিকে যত ঘূণা করেছি কিন্তুু কাছে এসে তাকে অপরাধী মনে হচ্ছে না । হয়তো কারও জন্য বাধ্য হয়ে কাজটা করেছে । নাহলে চোখের নিচে কালো বর্ণের দাক পরবেনা ।
।
যতই ভালোবাসা/প্রিয় মানুষ/স্ত্রী/কিংবা অন্য কেউ দূরে থেকে যত ঘৃণা করুক না কেন অথবা দূরে থেকে যত মিথ্যেবাদি , হ্দয়হীনা ইত্যাদি বলে যত গালি দেয়না কেনো । কাছে গেলে সেটা বলতে পারবোনা কেউ।। হয়তো এটাই ভালোবাসা ।
।
কেউ কিছু বলছিনা । তার চোখের কোণে পানি জমে গেছে ।
পৃথিবীতে এমন কোন ছেলে/মেয়ে নাই যে মনের মানুষকে ঘৃণ্যা করুক না কেন এবং তাকে ছেড়ে চলে যাক না কেনো যদি কোন এক দিন পর দেখা হয়ে যায় । তাহলে ২ জনের চোখে পানি এসে যাবে পুরোনো স্মৃতি ভেসে আসবে চোখের সামনে । মনে পরবে সেই দিনের কথা ।
আমি কিছু বলতে পারছিনা ।
মিষ্টিকে লক্ষ করলাম চোখের পানি আড়ালে মুঁছে ফেলেছে । আরে কতোবার মুঁছতে পারবে ও নিজে জানে না ।
কারন চোখের পানি আজ থামবে না ।
আমিও চোখের পানি মুঁছে ফেললাম ।
অনেক সময় পেরিয়ে গেছে তবুও দুজনের মধ্যে কেউ কথা বলছিনা ।
আর কি বলবো সব যে ভুলে গেছি । কারও মুখে কোন কথা নেউ।।
সেই কখন থেকে মিষ্টির দিকে তাকিয়ে আছি। মিষ্টি আমার দিকে অপলোক দৃষ্টিতে । চোখের ভাষা বুজতে পাররছিনা ।
এভাবে দাড়িয়ে থাকা ঠিক হবেনা । আমাকে আগে কিছু বলতে হবে । কি বলবো আমি সব যে মিষ্টিকে দেখে সব ভুলে গেছি । তবুও আমি চেষ্টা করছি বলতে কিন্তু পারছিনা ।
।
।
।
চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।
।
।
।
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )
#ভারাটে_গার্লফেন্ড
।
পর্বঃ ষষ্ঠ ( ৬ষ্ঠ )
।
।
।
আমি শুধু তার দুচোখের দিকে তাকিয়ে আছি । কেন আজ মিষ্টিকে জমে থাকা সব গালি অপমান করতে চেয়েছিলাম সেগুলি কেন আজ বলতে পারছিনা ।
কেন আজ তাকে দেখে সব কিছু থেমে গেলো কেনো । আমাকে বলতে হবে সেগুলি কথা । আমি বলতে যাবো তখন মিষ্টি বললো ,
---কেমন আছো ।
.
দীর্ঘ দুই বছর পর সেই কণ্ঠ শুনতে পেলাম । এখন কেমন জানি কথায় মায়া নেই আগের মতো ।
মিষ্টির কথাটা শুনে কি বলবো বুজে উঠে পারছিনা । বাক্যরুদ্র হয়ে গেলাম আমি । মাথায় কিছু কাজ করছেনা ।
তবুও বলার চেষ্টা করলাম ,
---প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে যেরকম সবাই থাকে সেরকম আছি ।
---এখনও আমাকে ভালোবাসো ।
---জানিনা কিন্তুু তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবতে পারিনা ।
---আমাকে পাবে না জেনে তবুও আমাকে ভালোবেসে কেন নিজেকে শেষ করে দিচ্ছো ।
---জানিনা তোমাকে পাবো কিনা কিন্তুু স্বপ্নের মাঝে তোমাকে পাই ।
---কেন নিজেকে শেষ করে দিচ্ছো এর চাইতে তুমি বিয়ে করে নাও ।
---সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার ।
---তা আর কিছু বলতে চাও ।
.
বলতে তো চাই অনেক কিছু কিন্তু বলতে তো পারছিনা ।
---কি হলো চুপ করে দাড়িয়ে আছো কেনো ।
---এমনি তোমার কোন তাড়া আছে নাকি ।
---না আছে আব্বু তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে বলেছে তার এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত খেতে সাথে নিয়ে যাবে ।
---একটা কথা বলার ছিলো ।
---আচ্ছা বলো কিন্তুু এমন কথা বলোনা যাতে আমি উত্তর না দিয়ে চলে যেতে বাধ্য হই ।
---আচ্ছা যাও তাহলে ।
---কেন এমন করো তুমি ।
---তা জানিনা কিন্তুু সেই কথাগুলি আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে । আমাকে সব সময় কষ্ট দিচ্ছে । আমি আর পারছিনা । নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করে কিন্তুু দুজনকে কথা দিয়েছি তাই আর নিজেকে শেষ করে দিতে পারছিনা ।
---তাহলে আজ আর একটা কথা রাখতে হবে ।
---কি কথা ।
---তুমি কাউকে বিয়ে করে তাকে আমাকে যেরকম ভালোবাসতে সেভাবে তাকে ভালোবাসবে ।
---তোমাকে সেদিনও বলেছি আজও বলেছি এবং এখনো বলছি আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে ভালোবাসতে পারবেনা ।
---কেন বুঝছোনা ।
---আমি বুঝতে চাই না ।
---আচ্ছা তুমি কি সেই আগের মতো থেকে যাবে ।
---আমি তো চাইনা পরিবর্তন হতে ।
---এভাবে বাঁচা যায়না ।
---কে বলেছে বাঁচা যায় না । আমিতো বেশ সুখে আছি ।
---আমি দেখতে পাচ্ছি ।
---সেটা তোমার দৃষ্টি অগোচরে ।
---না আমি এমন তো চাইনি ।
---সৃষ্টিকর্তা হয়তো চেয়েছিলো ।
---আমি যে আর পারছিনা ।
---আচ্ছা তোমার মেয়ের নামকি ।
---তুমি জানতে চাইলে না কেন হঠাৎ করে ও কথা বললাম ।
---আমি শুনে ঠিক থাকতে পারবোনা ।
---আমার মে....
.
কথাটা পুরোপুরি শেষ না হতে ফোনটা বেঁজে উঠলো ।
---এক মিনিট আব্বু ফোন দিয়েছে কথা বলে নেই ।
---হুম ।
.
মিষ্টি তার আব্বুর সাথে কথা বললো । কথা বলার সময় কিছু কথা বলে উঠলো ।
কথা বলা শেষ হলে বললো ।
---আমাকে একটু তাড়াতাড়ি যেতে হবে ।
---আচ্ছা যাও ।
.
মিষ্টি কিছু বললোনা । আমার দিকে একটু এগিয়ে এসে হাত দিয়ে কিছু অগোছালো চুলগুলি হাত দিয়ে ঠিক করে দিলো ।
দীর্ঘ দুই বছর পর আবার মিষ্টি চুলগুলি ঠিক করে দিলো । আগে প্রায় ঠিক করে দিতো ।
আমার দিকে কিছুখন তাকিয়ে থাকলো । তারপর চোখের পানি মুঁছে হাটা দিলো । আমি তার এই দৃশ্য দেখে কি বলবো বুজতে পারিনি ।
তার দিকে তাকালাম দেখি একটু দূরে চলে গেছে । আমি তাকে ডাক দিলাম । দেখি দাড়িয়ে গেছে । কাছে যাওয়াতে চোখের পানি মুঁছে ফেললো ।
---কিছু বলবে ।
---না মানে কিছুনা ।
---যদি কিছু বলতে চাও তাহলে বলো ।
---না মানে ।
---তাহলে ডাকলে যে ।
---আচ্ছা ঠিক আছে যাও ।
.
আবার মিষ্টি যেতে লাগলো ।
তার দিকে তাকিয়ে আছি । কি যেন তাকে বলতে গিয়ে থেমে যাচ্ছি ।
এগুলি কথা ভাবতে ভাবতে অনেক দূর চলে গেছে ।
আমি আবার মিষ্টিকে ডাক দিলাম ।
---মিষ্টি ।
.
আবার মিষ্টি দাড়িয়ে গেলো ।
কাছে গেলে মিষ্টি বললো ,
---কিছু কি বলতে চাও ।
---না মানে কিছুনা ।
---তাহলে যে ডাক দিলে ।
---আচ্ছা যাও ।
---আচ্ছা তুমি কি পরিবর্তন হবে না ।
---জানি না ।
---আর কিছু বলতে চাও ।
---না ।
এর মধ্যে একটা রিক্সা এসে গেলো । মিষ্টি রিক্সা উঠে চলে যেতে লাগলো ।
আমি কিছু না ভেবে আবার ডাক দিলাম ।
---মিষ্টি ।
.
মিষ্টি রিক্সাওয়ালাকে থামাতে বললো ।
আমি দৌড়ে গিয়ে রিক্সার কাছে গেলাম ।
তখন মিষ্টি বললো ,
---কিছু বলতে চাও কি ।
---না মানে ।
---আরে বলো সমস্যা নেই ।
---শুক্রবারে কি দেখা করতে পারবে ।
.
কথাটা শুনে মিষ্টি আবার আমার দিকে তাকালাম ।
---না মানে কাল তো পারবেনা তুমি ফোনে তো বললে তাই তারপরের দিন ।
---ঠিক আছে কখন আসতে হবে ।
---বিকেল ৩ টা লেকের পারে ।
---ঠিক আছে ।
.
আসলে ভালোবাসার যতবার ডাক দিক না কেনো রাগ করেনা ।
আর কিছু না বলে চলে গেলো । সে জানে আমি প্রায় দেখা করতে বলতাম সে অবশ্য আসতো । জানি কাল আসবে কারণ প্রিয় মানুষটির আবদার পুরন করবে যেকেউ । তাকে পাক আর না পাক । আমি জানি সে আজও আমাকে ভালোবাসে কিন্তুু কেন সে বিয়ে করেছে তা অনেক বার জিঙ্গেস করে উত্তর পাইনি ।
আজও বলতে চেয়েছিলাম কিন্তুু সে জানে তাই তখন সে কথা বলেছে ।
.
আমি হাটতে লাগলাম শপিং মলের দিকে । সেখানে Sayem আছে ।
.
কিছুখন পর শপিং মলে পৌঁছে গেলাম । তাকে দেখতে পেলাম ফোনে কথা বলছে । কাছে চলে গেলাম যেতে বললো ,
---আন্টি ফোন দিয়েছে কথা বল ।
.
আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি বলতে চাচ্ছি মিষ্টির কথা বলেছিস । আমার তাকানো দেখে বললো ।
---আন্টিকে বলি নাই কথা বল টেনশন করছে তোর ফোনটা অফ করেছিস কেনো ।
.
আমি ফোনটা নিয়ে বললাম ।
---হ্যালো মামনি ।
---কোথায় রে তুই বাসায় আয় তাড়াতাড়ি কথা আছে ।
---আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসছি ।
---তোর কণ্ঠ এরকম কেন নাকি আবার ।
---কই মামনি আমি ঠিক আছি তুমি না করেছো তারপর থেকে আমাকে দেখছো কি মিষ্টির কথা ভাবতে তাকে তো ভুলে গেছি ।
---হু আমি তোকে জন্ম দিয়েছি আমি জানি ।
---সত্যি মামনি ।
---সত্যি মিথ্যে দেখতে হবেনা তুই তাড়াতাড়ি বাসায় আয় ।
---জ্বী মামনি ।
.
ফোনটা কেটে দিলাম । মামনি তুমি এক মাত্র ব্যক্তি যে আমাকে বুজতে পারো ।
.
সায়েমকে বললাম ,
---চল বাসায় যাই ।
---চল।।
.
গাড়ির দিকে যাচ্ছি। কে যেন ডাকছে পিছন থেকে আমি পিছনে তাকাচ্ছি না । কারন আমাকে ডাকলে নাম ধরে ডাকবে তাই গাড়ির দিকে এগুচ্ছি ।
কে যেন দৌড়ে এসে বললো ,
---আপনি কি কানে শোনেন না ।
.
কথাটা শুনে তাকিয়ে দেখি মাহি ।
আমি তো অবাক হলাম । এ মেয়ে এখানে কেন ।
---আরে ওমন করে তাকিয়ে আছেন কেনো ।
---আপনি এখানে মানে ।
---কলেজ থেকে চলে এসেছি ।
---কেনো ।
---বন্ধুরা সবাই চলেগেছে বাসায় ।
---আপনি জান নাই ।
---হু আমিও গিয়ে ছিলাম ।
---তাহলে ।
---বাসায় না আন্টির বাসায় ।
---কোথায় ।
---সামনে মোড় দেখছেন না ওগলির সামনের বাসা ।
---তা আমাকে দেখলেন কেমনে ।
---একটা মেয়ের সাথে কথা বললেন তখন আমি দেখছিলাম ।
---বুঝলেন কেমনে আমি ওইটা ।
---আরে গাধা আপনি যে ট্রি শার্ট পরেছেন সে টা দেখে আপনার হাইট দেখে ।
---তা এখন কোথায় যাবেন ।
---বাসায় ।
---গাড়িতে উঠেন ড্রপ করে দেই ।
---নো থ্যাংকস ।
---সমস্যা নেই গাড়িতে উঠেন ।
---না মানে ।
---আরে সমস্যা নেই ।
---ঠিক আছে ।
---পিছনে গিয়ে বসেন ।
---সায়েম সামনে বস ।
.
মাহি গিয়ে পিছনে বসে পরলো ।
আমি গাড়ি চালাচ্ছি আর সায়েম সামনে বসে আছে ।
.
কেউ কথা বলছে না ।
আমিও কিছু বলছি না ।
.
কিছুখন পর বললো ,
---সামনের বাসার কাছে গাড়ি থামাবেন ।
---ওকে ।
---আচ্ছা আপনি এরকম কেন ।
---কি রকম ।
---কোন কথা বলেন না দরকার ছাড়া ।
---নিয়তি এমন বানিয়েছে ।
---ঠিক বুঝলাম না আপনার কথা ।
---কিছুনা আপনার বাসার সামনে এসে গেছি ।
---ধন্যবাদ ।
.
মাহি গাড়ি থেকে নেমে দাড়ালো ।
আমি মাহির দিকে তাকালাম । মনে হয় কিছু বলবে । আমি তখন বললাম ,
---ভেবেছেন ।
---কি ।
---সেই ক...
---এখনও একদিন সময় আছে ।
---ও ।
---জ্বী ।
.
আমি গাড়ি চালাতে শুরু করলাম । একটু এগিয়ে আবার গাড়ি থামালাম । লুকিং গ্লাসের দিকে তাকাতে দেখি হাসছে । আমি আর দেরি না করে চলতে থাকলাম ।
.
সায়েমের বাসার কাছে এসে ।
---যাবি আমার সাথে ।
---না রে দোস্ত আম্মু বাসায় একা আছে আব্বু ছোট ফুপির বাসায় হেছে ।
---আচ্ছা ঠিক আছে ।
---আল্লাহ হাফেজ ।
.
সবাইকে পৌঁছে দিয়ে বাসায় ঢুকতে দেখি ৫ঃ২৫ বাজে ।
আজকে মামনির বকা খেতে হবে না মনে হয় । এতো বড় হয়েছি তারপরে বকা দেয় ।
বাসায় ঢুকে শুনতে পেলাম ,
---এখন আসার সময় হলো এতখন কোথায় ছিলি ।
---ওই তো ওদের সাথে ছিলাম ।
---কাদের সাথে ।
---মাহি আর সায়েমকে নামিয়ে দিয়ে আসলাম ।
---ও তা ফোনে বললে হতো আমি মাহির সাথে ছিলাম ।
---না মানে ম্যাডামরা একটু বেশি বুজতে পারে ।
---হু এখন যা ফ্রেশ হয়েনি ।
.
আমি চলে গেলাম রুমে ।
শুয়ে আছি আর ভাবছি মিষ্টি অনেক পরিবর্তন হয়েগেছে । একটু শুকিয়ে গেছে । তার মুখে কোন হাসি নেই । চোখে মায়া নেই ।
এগুলি ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম ।
.
সকালে মামনি ডেকে গেলো ।
উঠে ফ্রেশ হয়ে খেতে গেলাম ।
.
খাবার খাচ্ছি । প্রায় খাবার শেষের দিকে তখন মামনি বললো ,
---মাহিম একটা কথা বলতে চাই ।
.
মামনির দিকে তাকালাম । দেখি আব্বু তাকিয়ে আছে ।
---জ্বী বলেন ।
---যদি কিছু মনে না করিস বিকালে মাহিকে নিয়ে আমার সাথে আমার বান্ধুবীর বাসায় যাবো ।
---আসলে মামনি অফিস আর ।
---সমস্যা নেই তোর আব্বু দেখবে আর তোকে নিয়ে যাবো তো ।
---আমি সেটা বলছিনা ।
---তাহলে ।
---মাহি যদি যেতে না চায় ।
---তুই ফোন দে আমি কথা বলে দেখি ।
.
আমি মামনিকে কি করে বলি ওতো আমার গার্লফেন্ড না ।
---কিরে চুপ কেন ।
---এই নিন কথা বলেন ।
.
আমি ফোনটা ভের করে মাহির কাছে ফোন দিলাম ।
আর আমি ভাত খেতে লাগলাম ।
মামনি মাহিকে রাজি করিয়ে ছাড়লো । ভার্সিটির ম্যাডাম বলে কথা ।
.
খেয়ে রুমে শুয়ে আছি ।
মামনির ডাকে ঘুম ভাংলো । কিরে যেদিন অফিস নাই সেদিন শুধু ঘুম আর ঘুম । চোখে ঘুম দিয়ে বর্তি । তবুও ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখি ৪ঃ৪০ বাজে । টাইম দেখে ঘুমটা শেষ ।
.
---কি রে মাহিকে নিয়ে আয় ।
---আমি আর যাওয়ার সময় ওখান খেকে নিয়ে যাবো ।
---এতো বেশি কথা বলতে নেই । আমি মাহিকে রেডি হয়ে থাকতে বলেছি যাবার সময় ফোন দিয়ে যাস । ।
---ঠিক আছে ।
---উঠ তাড়াতাড়ি ।
.
আমি উঠে ফ্রেস হতে গেলাম । ঘুম বাবুর মতো খালি ঘুমাই ।
.
এখন মাহির বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
।
।
।
চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।
।
।
।
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ