āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4756 (2)

অভিমানী বউ

পর্বঃ চতুর্থ ( ৪ )



দরজা বাহির থেকে লক করা হয়েছে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে । নাকি মিম তার বাপের বাড়ি চলে গেছে । এটা তো হতে পারে না মিম তো কখন আমাকে না বলে চলে যেতে পারে না । নাকি অভিমান করে চলে গেছে হয়তো তাই হতে পারে ।
আচ্ছা বুঝতে পারলাম না কি হলো হঠাৎ এরকম কেন হলো ।
এরকম ভাবে এখানে ভাবা যাবে না । কেউ দেখে ফেললে খারাপ ভাববে ।
এই বলে আমার কাছে চাবি আছে সেটা দিয়ে খুলে ফেললাম ।

এতো অন্ধকার কেন । কিছুই তো দেখতে পাচ্ছি না । ওহ্ সিট এটা কি হলো । ফোনটা বের করে দেখি পায়ের সাথে লেগে একটা টপটা ভেংগ্গে গেছে ।
সব গুলির লাইটের সুইচ অন করে দিলাম ।
এ কি টেবিলের উপরে ভাত কেন ।
বুঝেছি দুপুরে খাবার সে খাইনি । দুপুরে ফোনে টাই করেছিলাম কিন্তু ফোন অফ ছিল । হয়তো বড্ড বেশি অভিমান করেছে ।
শপিং গুলি রেখে ।
বউকে খুঁজতে লাগলাম । সব রুমে খোঁজা শেষ । কোথায় গেল মিম বুঝতে পারছি না । মাথায় কোন কাজ করছে না ।
ওহ্ দেখি মিমদের বাসায় খোঁজ করে দেখি আছে কিনা ।
ফোনটা বের করে কল দিলাম মিমদের বাসায় ,
---হ্যালো । (মিমের মা)
---হ্যালো আম্মা । (নাসির)
---হ্যা বাবা । কেমন আছো । আর বিয়াই বিয়ান কেমন আছে ।
---জ্বী আম্মা ভালো । মা বাবা ভালো আছে । আপনারা কেমন আছেন ।
---জ্বী বাবা সবাই ভালো । আচ্ছা বাবা তোমার কন্ঠ এরকম শোনা যাচ্ছে কেন । কিছু হয়ছে কি বাবা ।
---না মানে আম্মা ।
---কি হয়ছে বাবা বল ।
---না মানে মিমকে বাসায় দেখছি না তো তাই । ভাবলাম হয়তো আপনাদের ওখানে গেছে নাকি তাই ফোন দিলাম ।
---ও । কিছু কী হয়ছে তোমাদের দুজনের মধ্যে ।
---না আম্মা কিছুই হয় নি ।
---আচ্ছা তুমি চিন্তা করো না ঠিক হয়ে যাবে । দেখ পাশের বাসায় গিয়েছে কিনা ।
---জ্বী আম্মা দেখতেছি । ভালো থাকবেন ।

এই বলে ফোনটা রেখে দিলাম । ওতো কখন কাহারও বাসায় যায় না । দেখি পাশের রুমে ভাবির বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
দরজায় নক করলাম ।
দেখি দরজা খুলে বলল ,
---আরে নাসির সাহেব । কি মনে করে । (ভাবি)
---না মানে । (নাসির)
---আরে নাসির সাহেব ভিতরে এসে চা খেতে খেতে কথা বলি ।
---না ভাবি । মানে মিমকে তো খুঁজে পাচ্ছি না । ওকি আপনাদের এখানে আছে ।
---না তো । কেন কিছু হয়েছে কি ।
---না ভাবি কিছুই হয়নি । সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে দেখি দরজা বাহিরে থেকে লক করা হয়েছে । তারপর দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে সব রুমে খুঁজেছি কোথাও নেই ।
---হয়তো বাড়িতে চলে গেছে একা একা তোমাকে একটু বোকা বানানোর জন্য ।
---না ভাবি মিমদের বাড়িতে ফোন করেছিলাম কিন্তু সেখানেও যাইনি ।
---আজব বেপার তো ।
---হুমমম ভাবি ।
---আচ্ছা তুমি কি ছাদে দেখেছো খুঁজে ।
---না ভাবি ।
---আচ্ছা ছাদে যাচ্ছি দেখি আছে কিনা ।
---তাইলে ভিতরে আসলে না ।
---আরে না অন্য একদিন আসবো ভাবি ।
---আচ্ছা অন্য একদিন এসে কিন্তু আমার বাসায় খেয়ে যেতে হবে ।
---আচ্ছা ভাবি অন্য একদিন খাব ।

এই বলে এখান থেকে রওনা দিলাম ।
গন্তব্য ছাদের দিকে ।
সিঁড়ি দিয়ে ছাদের দিকে যাচ্ছি । মাঝে মাঝে ভয়ও হচ্ছে যদি ছাদে না থাকে । এতো ভয় হচ্ছে কেন আমি নিজেই জানি না ।
মাঝ পথে থেমে গেলাম ।

আমি কি জবাব দিব মিমের মা বাবাকে আর তাদেরকে পরিবারকে ।
বিশেষ করে আমার মা বাবাকে কি বলব । মা বাবা মিমকে তো নিজের মেয়ের মত মনে করে । আমি আমার মা বাবার কাছে তো জবাব দিতে পারব না । কিভাবে উধাও হলো । কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না । এতো টেনশন আর ভালো লাগে না ।

সালার বিয়েটা করা ভুল ছিল ।
সালা সিঙ্গেল জীবনটাই সুন্দর ছিল ।
ছিলনা কোন টেনশন ইচ্ছা মতো ঘুরাঘুরি ।
সালার বিয়ে করে আরেক টেনশন এ পরলাম ।
আগে নিজেকে নিয়ে এতো টেনশন ছিলনা আজ যে টেনশন করছি । কেন যে বিয়ে করলাম ।

মেয়েদের একটাই দোষ ।
বোঝে কম বোঝায় বেশি ।
শোনে কোম বলে বেশি ।

কেন যে মানুষ বিয়ে করে ।
আগে জানলে আর বিয়ে করতাম না ।

এখনি যে প্যারা আছি না জানি বাকি দিন গুলির সামনে আরও কত প্যারা আছে ।
আল্লাহ তুমি বাঁচাও । তোমার অধম বান্দাকে বাঁচাও ।

ধ্যাত আমি বসে আছি ক্যা সিঁড়ির উপর ।
তারাতারি ছাদে যাই । যদি বেশি রাত হয়না তাইলে আমি আর একা ছাদে যেতে পারব না ।
ভূত দেখে অনেক ভয় খায় ।
আচ্ছা এতো ভাবলে চলবে না ।
ধীরে ধীরে সিঁড়ি দিয়ে ছাদের দিকে যাচ্ছি । প্রায় এসে গেছি ছাদের কাছে ।
ফোনটা ব্রাইভেট এর শব্দ করে কাঁপছে ।
আমিতো ভয় খেয়ে গেলাম ।
পকেটে থেকে ফোনটা বের করে দেখি ম্যাসেজ আসছে ।
ধ্যাত ম্যাসেজর গুষ্টি কিলাই সালার আসার সময় পায় না ।
ফোনটা পকেটে রেখে ছাদের উপরে পা রাখলাম ।
অমনি গাটা জ্বারা দিয়ে উঠলো ।
তবুও ছাদে গেলাম ।
জ্ম্যোসনা ভরা রাত । এখনও জ্ম্যোসনা ওঠে নাই আবছা আবছা আলো আর আকাশের তারার আলো বেশ ভালো লাগছে পরিবেশটা ।
চারদিকে একবার তাকালাম কোথাও নেই ।
আরে ওখানে কেএ কে ।
আরে ভূত বসে আছে নাতো ।
বাঁচতে চাইলে পালাই ।
আরে দৌর দিতে গিয়ে চোখটা আটকে গেল ।
আরে ভুতরা তো জুতা পরে না ।
আর ভূতের তো পা আধহাত উপরে থাকে ।
আর ওর পা তো ছাদের সাথে ।
আরে আমি কি ঠিক দেখতে পাচ্ছি ।
ওখানে ভূত নাকি মিম ।



চলবে পঞ্চম পর্বে ।


লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( বখাটে )

অভিমানী বউ

পর্বঃ পঞ্চম ( ৫ম )



আচ্ছা কাছে গিয়ে কী দেখব নাকি ওটা ভূত না মিম । আচ্ছা ওটা ভূত হলে তো এখনো আমি ঠিক নাই । আসলে তো তাই । মনের সাথে কথাগুলি বললাম ।
একটু খানি সামনে গেলাম ।


---ও ও খা খানে কে এ কে । [ভয়ে ভয়ে] (নাসির)
---(কোন কথা শোনা আসল না) 
শুধু চুরির রিম জিম শব্দ শোনা গেল ।
মানে চোখের পানি মুছে ফেলল ।
বুঝতে পারলাম এটাই ভূত না মিম ।
আরও বুঝতে পারলাম কান্না করতেছে । সারাদিন মনে হয় কান্না করেছে ভাত ও খাইনি ।

---এই যে মহা রাণী আপনাকে খুঁজতে খুঁজতে আমি তো হয়রান । আর আপনি এখানে । (নাসির)
---আমার দিকে ঘুরে একবার তাকালো । (মিম)
---আরে কি হলো কথা বলছো না ক্যা । আর তোমার ফোনটা অফ কেন ।
---(কথা বলছে না শুধু শুনে যাচ্ছে )।

বুঝতে পারলাম আমার বউটা না বড্ড বেশি অভিমানী বউ ।
আমি গিয়ে ওর পাশে বসলাম একটু দূরত্ব বজায় রেখে ।
আরে ও মানে আমার অভিমানী বউ ।
আচ্ছা ও কি সত্যি সত্যি অভিমান করেছে ।
মিমের দিকে তাকালাম দেখি অন্য দিকে তাকিয়ে আছে ।
চোখের কোণে পানি আছে তা আবছা আবছা আলোতে বোঝা যাচ্ছে ।
রাতে সবার রুমের আলো জানালা বেদ করে ছড়িয়ে গেছে ।
আকাশের তারা গুলি হাসছে আবছা আবছা আলো এই রাতে এক সুন্দর পরিবেশ  ।
আবার মিমের দিকে তাকালাম দেখি মুখটা গম্ভীর করে রেখেছে ।
এতো সুন্দর একটা মেয়ে এতোটা গম্ভীর থাকতে পারে আমার জানা নাই ।
মিমের পাশে বসতে মনটা চায়ছে তবুও কেন জানি সংকোচ করছে ।
যদি কিছু মনে করে এটা ভাবলাম ।
ধ্যাত নিজের বউ এর কাছে বসতে এতো সংকোচ কেন ।
একটু খানি সরে গিয়ে মিমের একদম পাশে গিয়ে বসলাম ।।
মিমের হাতের উপর আমার হাতটা রাখলাম ।।।
আচ্ছা মিম তার হাতটা সরিয়ে নীল কেন ।
আবার ওর হাতটা ধরলাম এবার মিম হাতটা ছাড়িয়ে নিতে চাইল কিন্তু তা ব্যর্থ হলো ।
আমি ওর হাতটা শক্ত করে ধরে আছি ।।।
---তুমি কি রাগ করে আছো ।
---(আমার দিকে ছোট বাচ্চাদের মতো তাকালো মিম)
---আরে কি দেখছো । আমি কি কোন অন্যায় করেছি ।
---(বাচ্চাদের মত মাথা নারালো )
---আচ্ছা কথা বলছোনা কেন । আমি কি খুব গুরুত্ব অপরাধ করেছি হ্যা ।
---আমাকে মাফ করে দাও ।
---আরে তুমি কাঁদছো কেন প্লিজ কেঁদনা ।
---আমি অনেক বড় অপরাধ করেছি ।
---আরে পাগলী কে বলেছে তুমি অপরাধ করেছো । আমি কি কখনো বলেছি হু ।
---আরে আমি ইচ্ছে করে ও কথা বলতে চাইনি । আমার মাথায় কাজ করছিল না তখন । বাচ্চাদের মতো কেঁদে কেঁদে বললো ।
আমার বুকের মাঝে মাথা গুঁজে কথা গুলো বলল মিম ।।।
---আরে পাগলী আমি তো একথা ভুলেই গেছি । আরে প্লিজ কেঁদো না ।
---আরে তুমি অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বললে আমার অনেক খারাপ লাগে তখন মনে হয় তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে ।
---আরে তোমাকে ছেড়ে যাব কে বলেছে হু ।
এটা কেনো ভাবো ।
---আমি জানি না । তুমি প্রমিস করো আমাকে ছেড়ে যাবে না ।
---প্রমিস ।
ওটাই বলে একটা কিস করলাম ।
---এই তুমি কি করলা ।
---ওই কখন কি করলাম ।
---দেখাচ্ছি মজা কি করলা হুম ।
---মান.....

কথাটা শেষ করতে না দিয়ে ঠোঁটে কিস করলো ।।।

---এই এখন ছাড়ো তো কেউ আসলে দেখে ফেলবে ।
---দেখুক সমস্যা কি আমি কি অন্য কারও সাথে ।
---ওই কি করছো আর এসব কি বলছো পাঠকরা যারা পড়বে তারা পরলে কি ভাববে হু ।
---ও তাই তো এটা তো কখনো ভাবি নি ।
---জ্বী স্যার । চলেন এবার রুমে দেখাব মজা আজকে ।
---থাক তুমি যাও আমি যাবো না । আজকে যদি কিছু হয় তাইলে আমার কোন অভিমান করো ।
---হিহিহি ।
---হাহাহাহ ।
---ইস্  ।
---কি হয়ছে ।
---খুব ক্ষুধা লেগেছে চলতো আজ কে আমাকে খাইয়ে দিতে হবে ।
---তাই ।
---হ্যা গো তাই চলো তো ।
---ওকে চলেন যাই এখন ।

এই বলে ছাদে থেকে দুজন সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাচ্ছি রুমের দিকে ।।।

রুমে এসে ও রান্না ঘরে সব কিছু রান্না করে নিয়ে আসল ।

তার পর মিম ওয়াশ রুমে থেকে ফ্রেশ হয়ে আসল ।
ও রান্না ঘরে রান্নার সময় আমি ফ্রেশ হয়ে নিয়েছি ।

কিছুখন পর টেবিলে সব রান্নার আইটেম গুলি  ভাত , আলু ভর্তা , রুই মাছ ভাজা আরও অনেক কিছু আছে সাথে ।।।
এগুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে ।
এগুলি আমাদের জন্য তবুও সয়ছে না ।


---এই কি দেখছো । (মিম)
---রান্নার আইটেম গুলি । (নাসির)
---খুব খেতে ইচ্ছে করছে তাই না
---হু ।
---আর একটু ওয়াইট কর ।

অত্যঃপর
---কি দেখছো । খাইয়ে দাও ।
---তোমাকে দেখছি একটু খানি মন ভরে দেখতে দাও তো ।
মিম আমার কথায় লজ্জা পেয়েছে ।
---আমি কিন্তু কান্না করে দিব ।
---না গো না কান্না করো না । এই নাও হা করতো ।
---আচ্ছা হা । তুমিও খাও ।
আমি মিমকে এক লোকমা করে খাইয়ে দিচ্ছি আমিও খাচ্ছি ।
আহ্ কি সুন্দর লাগছে মিমকে । যেন কোন এক অপ্সরী । নাহ্ এ যেন জান্নাতের হুর ।

---কি হলো কি ভাবছো ।
---ওহ্ কিছুনা ।
---এই তোমার ফোন বাজছে ।
---ওহ কোথায় ।
---আরে মশাই বউকে অনেকখন পরে পেয়ে সব কিছু ভুলে গেলেন নাকি ।
টেবিলের উপর ।
---ওহ্ ।
---ও আচ্ছা আমি রিসিভ করি ।
---ওকে পাগলী ।

মিম ফোনটা রিসিভ করে কিছু বললো না ,

---নাসির তুমি কালকে বিকালে একটু আসতে পারবে । আজকে তো ভালো করে ঘুরতে পারলাম না । আর রেস্টুরেন্টে ও ঠিক মত কথা বলতে পারলে না খুব গভীর চিন্তায় ছিলে । (মিষ্টি)  ।
মিমের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম কিছু একটা হয়েছে ।
তার পর মিম বললো ,
---মানে আজ সারাদিন নাসির তোমার সাথে ছিল । (মিম)

কথাটা শুনে বুঝতে পারলাম আজকে একটা কিছু হবে ।

---না মানে বিয়ের জন্য শপিং করতে গিয়ে ছিলাম । (মিষ্টি)
---কার বিয়ে ।
---আমাদের বিয়ে মানে । আমার আ.. ।
---স্টপ আর বলতে হবে না । আমি বুঝে গেছি । (কান্না করতে করতে বলছে মিম)

এটা শুনে আরও ভয় পেয়ে গেলাম ।
মিম কার বিয়ের কথা শুনে এরকম করছে ।



চলবে ষষ্ঠ পর্বে ।।।




লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( বখাটে )

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ