আমার কাজিন অন্তরা আর আনিকা দুবোন।
অন্তরা আপুর দুদিন পর বিয়ে। দাওয়াত পেয়ে দুদিন আগেই চলে এসেছি আনিকার জোরাজুরিতে, কেননা তার সাথে যে আমার একটা ব্যাপার সেপার আছে।
আনিকার সাথে দেখা হলো, সে অনেক খুশি আমায় দেখে। কিন্তু আমি আবার অন্যভাবে খুশি হলাম আনিকার বান্ধবি তাসনিম কে দেখে। প্রথম দেখায় তো আমি তার মায়া ভরা চোখের পানে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে আছি। আনিকা আমাকে একটা ভেংচি কেটে তাসনিম এর হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো। তাসনিম ঘাড় ঘুরিয়ে আমার চোখে চোখ রেখে শুভ দৃষ্টি সম্পন্ন করলো।
ধ্যাৎ, আনিকার জন্য কিছুই হবেনা। ও থাকলে তাসনিম এর সাথে আমি কথাই বলতে পারবনা, পুরা সন্দেহের মধ্যে রাখবে আমাকে আর রাগে জ্বলবে।
সারাটাদিন গেলো তাসনিম এর সাথে একটুকুও কথা বলার সুযোগ হয়নি, যা হয়েছে সব চোখে চোখে। তবে চোখে চোখে যতটুকু কত হয়েছে তা কম না, চোখের ভাষা, মনের ভাষা সব বোঝাবুঝি কম্পলিট।
সন্ধ্যাবেলা একটা জিনিস আনতে দিয়েছিলো খালা, হুন্ডা চালিয়ে নিয়ে আসলাম কিন্তু চোখে বালি না পোকা কি জানি পড়েছে। চোখ ঘষতে ঘষতে আনিকার রুমে ঢুকলাম আর বলতেছি, ধ্যাৎ চোখে যে কি পড়লো ইসসস...
তাসনিম আনিকা দুজনই ওড়না নিয়ে একসাথে বলে উঠলো কই দেখি দেখি...
আনিকা পিছিয়ে গেলো, তাসনিম আমাকে স্পর্শ করে চোখ থেকে একটা ছোটখাটো পোকা তুলে দিয়ে বললো, এখন দেখো তো আছে কিনা? আমি তো প্রেমের সাগরে ভাসছি আর দরজার কাছে তাসনিম আড়চোখে তাকিয়ে রাগে জ্বলছে।
পরের দিন বিয়ে বাড়িতে ঘুরাফিরা করছি, রাতে গায়ে হলুদ ছোট খাট দায়িত্ব আমার উপরে। তাসনিম এর সাথে কথা হচ্ছেনা, এমনকি আনিকার সাথেও না।
সন্ধ্যাবেলা তাসনিম হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললো আসবে অবশ্যই আর হ্যা আনিকা খুজছে তোমাকে। আনিকাকে খুজে পেতে সময় লাগলোনা,
আমিঃ আনিকা তুই নাকি আমাকে খুজতেছিস
?
আনিকাঃ আমিম শোন, তোর সাথে আমার এত্তগুলা কথা আছে..
আমিঃ হ্যা, তো বল...
আনিকাঃ এখন না, গায়ে হলুদ হতে অনেক রাত হবে, তুই পুরোপুরি একটার দিক ছাদে আসবি। বল আসবি তো?
আমিঃ আচ্ছা। অবশ্যই যাবো সুইট বেবি।
আনিকাঃ মনে থাকে যেনো, না আসলে তোর সাথে কোনওদিন আর কথা বলব না।
কি আর বলবে আনিকা, প্রেম পিরিতি ভালবাসা, ঘুরতে যাওয়ার কথা বলবে হয়তো না হলে কোনও গিফট। এসব কথা ভাবতে ভাবতে পকেট থেকে তাসনিমের দেওয়া কাগজটা বের করে দেখলাম তাতে লিখা,
আমিম ১২ টার দিক ছাদে আসবা অবশ্যই অবশ্যই। প্লিজ। -তাসনিম
এইটা কি হইলো, ব্যাপার তো সাংঘাতিক হতে যাচ্ছে। এক ঘন্টা ফারাক আছে দেখে খুব একটা টেনশন নিলাম না, বরং মনে মনে খুব খুশিই হলাম।
রাত বারোটা। তারাতারি ছাদে গিয়ে দেখি হালকা জোৎস্নার আলোয় তাসনিম দাড়িয়ে। পাশে গিয়ে দাড়ালাম, অনেক সুন্দর অনুভুতি হচ্ছে।
তাসনিমঃ চোখে চোখে তো অনেক কথা বলেছো এখন মুখে কিছু বলবে তো...
আমিঃ কেন তুমি কি আমার চোখের ভাষা বুঝতে পারোনি? আমি তো তোমার চোখের ভাষা খুব ভালই বুঝেছি।
তাসনিমঃ বুঝলে দশ মিনিট লেট করতেনা।
আমিঃ আচ্ছা বাবা আচ্ছা, তা শাস্তিস্বরুপ কি করতে হবে শুনি?
তাসনিমঃ হুম অবশ্যই, তুমি এখন আমার হাত ধরে চাঁদের আলোয় গল্প শোনাবে। ( সে অলরেডি আমার হাতের উপর হাত রেখে দিয়েছে)
এভাবে গল্প করতে করতে কখন যে এক ঘন্টাকাল কেটে গেছে বুঝতেই পারিনি, আনিকার কথা একদম মনে নেই, তার পরিনতি স্বরুপ আনিকা আমাদের দেখে ছাদের দরজায় কয়েকটা গোলাপ ছুড়ে ফেলে দিয়ে ঘুড়ে চলে গেলো।
নাহ! এটা কেমন হলো? আনিকাকে হার্ট করা টা ঠিক হয়নি। এখন তাসনিম কে হার্ট করি কিভাবে? নাহ! আনিকাই বুঝি আমায় বেশি ভালবাসে! কি হচ্ছে আমার সাথে এসব? ধ্যাৎ আমিই তো হার্ট হয়ে যাচ্ছি।
তাসনিম পরের দিন সকালেই চলে গেছে, বিয়ে পর্যন্ত থাকেনি সে।
বিয়ের পরের দিন আমি আর আনিকা পার্কে বসে হাত ধরে গল্প করছি আর হ্যা এখন আমরা দুজন দুজনকে তুমি ডাকার অভ্যাস করছি।
-আমিম এহসান
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ