"গ্যাঁজা দাঁতের হাসি"
.
বারান্দার শীতল পাটিতে বসে কুড়ুম কুড়ুম করে মুড়ি খাচ্ছে আর মাঝে মাঝে ঝাঁঝালো পেয়াজ টাতে কামড় বসাচ্ছে অনন্ত। মুড়ি শেষ হয়ে গেলে কলপাড়ে গিয়ে গলা অবধি শীতল পানি পান করে পরিতৃপ্ত হলো, রাজ্যের যত খিদে দশ মিনিটের মধ্যেই ভেনিশ করে ফেললো।
.
বেশি করে পানি খাওয়ায় পেট টা টলমল করছে তার, সেদিকে তোয়াক্কা না করে ঘরের চৌকির নিচে রাখা ডজন খানিক মার্বেল পকেটে করে বেরিয়ে পড়লো। অনন্তের নিত্ত নৈমত্তিক কাজ হলো মার্বেল খেলা। বাবা নেই মা আছে কিন্তু মায়ের আঁচলের মধ্যে নেই অনন্ত। কেননা সেই যে সকালে তার মা চেয়ারম্যান বাড়ি যায় কাজ করতে, ফিরে দশটা নাগাদ। আর এই সুযোগের সদ্ব ব্যবহার করতে অনন্ত মার্বেল খেলা থেকে শুরু করে ফল চুরি, মারামারি, মাছ ধরা এমন যাবতীয় সৎকর্ম প্রায়শই করে। পড়াশুনা চালিয়ে গেলে হয়তো সে আজ ক্লাস নাইন টেনে পড়তো, কিন্তু পড়া লেখার থেকে অবাধ্য ছেলে হয়ে দুরন্তপনাই তাকে অনেক ভাল লাগে।
.
তবে ইদানীং তার মাছ ধরার নেশাটা বড্ড বেড়ে গেছে তবে সেটা মাছের জন্য নয়। বিলের ধারের পেয়ারা গাছটার নিচে ঠিক আসর ওয়াক্তের পরে একটা মেয়ে প্রতিদিন এসে বসে আর অনন্তের মাছ ধরা দেখে। যেদিন অনন্ত এর বর্শিতে খুব মাছ ধরা পরে সেদিন মেয়েটা খুব খুশি হয়, ভুবন ভুলানো গ্যাঁজা দাঁতে হেসে ওঠে মাঝে মাঝে হাত তালি দিয়েও বসে। আর যেদিন মাছেরা টপই গিলেনা মিনিটের পর মিনিট, সেদিন মেয়েটারও মন খারাপ থাকে, চেহেরায় বিষন্নতার ছাপ দেখা যায়। অনন্তও খুশি হয় তবে নিজের জন্য না, মেয়েটির খুশি হওয়া দেখে সেও খুশি হয়। অনন্ত রও মন খারাপ হয় তবে মেয়েটির মন খারাপ হওয়া দেখে।
.
মেয়েটির গ্যাঁজা দাঁতের হাসিই যেনো অনন্তের সব কিছু। তার ওই হাসি দেখতে দেখতে জনমের পর জনম কাটিয়ে দিতে পারবে সে। কিন্তু মেয়েটির সাথে তার এখনও একদিনও কোনো কথা হয়নি কিন্তু তারা কত কালেরই না পরিচিত মনে হয়। তাই তো আজকে গায়ে জ্বর নিয়েও বিলের পাড়ে চলে গেলো অনন্ত।
.
অসুস্থ শরীর তাই কেমন কেমন জানি লাগছে অনন্তের তবুও বড়শি হাতে মাছের টোপ খাওয়ার অপেক্ষায় আছে আর মেয়েটির দিকে খেয়াল করছে। নীল জামা পরে আছে মেয়েটি আর কি সুন্দর করে বেণি দুটো সামনে ঝুলিয়ে রেখেছে। দুজনের মধ্যে মাঝে মাঝে চোখাচোখিও হয়। নাম না জানা মেয়েটির জন্য অন্যরকম ভাল লাগা কাজ করে অনন্তের মধ্যে। অনন্ত চেয়ে আছে মেয়েটির দিকে মেয়েটির কপালের টিপ টা দেখার চেষ্টা করছে যে টিপ টা কোন রঙের। কিন্তু একটু দূরে থাকায় বোঝা যাচ্ছেনা, এভাবে বৃথা টিপ দর্শন করতে করতে সে মেয়েটিকে ঝাপসা দেখতে পেলো। অসুস্ততার জন্যই মনে হয় তার চোখ বন্ধ হয়ে আসছিলো শরীরের আড়ষ্টতায় তাই তো ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করে একপ্রকার বিলের ধারের সবুজ ঘাসে গা এলিয়ে শুয়ে পড়লো। পুরোপুরি অবচেতন হওয়ার আগে সে শুধু মেয়েটির ক্ষীণ কন্ঠে শুনতে পেলো - এই ছেলে কি হলো তোমার, এই ছেলে....
.
চোখেমুখে পানির ছিটায় অনন্ত চেতনা ফিরে পেলো। মেয়েটি অনন্তের মাথাটা নিজের কোলের উপর নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলছে- এই পাগল ছেলে এত জ্বর নিয়ে কেউ মাছ ধরতে আসে? আমি যদি না থাকতাম তাহলে কিছু যদি একটা হয়ে যেতো তখন আমার কি হতো শুনি? কাঁদো কাঁদো কন্ঠে অতি কাছের মানুষ হিসেবে মেয়েটি বকা দিতে দিতে অনন্তের মাথায় ভেজা ওড়না দিয়ে জলপট্টি দিচ্ছে। অনন্ত কি শুনতে পাচ্ছে আর না পাচ্ছে অনন্ত নিজেও তা জানেনা। অস্পষ্টভাবে শুধু এটুকু বললো যে- তোমার নাম কি? তোমার জন্যই আমি অসুস্থ থাকা সত্বেও বিলে মাছ ধরতে এসেছি। মেয়েটি বলছে- হয়েছে তোমাকে আর কষ্ট করে কথা বলতে হবেনা চুপ করে থাকো।
.
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। একটু ভালভাবে হাতটা ধরতেই অনন্ত উঠতে পারলো, মেয়েটির ঘাড়ের উপর হাত রেখে একটু কষ্ট করে হাটতে লাগলো অনন্ত। অনন্তকে বাসায় পৌছে দিয়ে মেয়েটি নিজের বাসায় চলে গেলো। পরের দুদিন মেয়েটির সেবা শুশ্রূষায় অনন্ত এখন পুরোপুরি সুস্থ। এই সুস্থতাকে কেন্দ্র করে মিলি আর অনন্তের মাঝে একটা সুস্থ ও সুন্দর, মধুর প্রনয় সম্পর্ক স্থাপিত হলো।
.
প্রায় পাঁচ বছর পর তাদের প্রেম বিয়েতে রুপান্তরিত হলো। মিলির বাবা বেকার জামাইকে একটা অটোবাইক কিনে দিলেন। ভাল বাসাবাসিময় পৃথিবীতে তাদের দুজনের ভালবাসা অটুট ও দৃঢ় হলো। অনন্ত আর মাকে কাজে যেতে দেয়নি। শাশুড়ি বউমার মাঝেও সুন্দর সম্পর্ক স্থাপিত হলো। তাদের পরিবারের অগাধ ভালবাসাকে বাড়িয়ে দিতে মিলির কোল জুড়ে এলো অনু।
.
ইয়া বড় এক মাছ নিয়ে বাড়িতে ঢুকেই অনন্ত বলছে- দেখো মিলি বাজারের সবচেয়ে বড় রুই মাছটাই নিয়ে এসেছি।
আর এদিকে তাদের দুই বছরের মেয়ে অনু বলছে- আতকে মাত কাবো মাত....
.....................................................
লিখাঃ আমিম এহসান
.......................................................
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4723
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ē⧍ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ