#গুন্ডী_মেয়ে
।
পর্বঃ সপ্তম ( ৭ম )
।
।
।
প্রায় স্টেশনের কাছাকাছি এসে গেছি তখন লুকিং গ্লাসে চোখ পরতে না পরতে আমার বুকের ভেতর কেমন জানি করে উঠলো ।
ওটা শ্রাবণী না....
হ্যা এটাই শ্রাবণী গাড়িটা সাইড করে গাড়ি থেকে বের হলাম ।
।
ওহ্ সিট গাড়ির ভেতর ফোনটা রেখে আসছি ।
ওই যে শ্রাবণী আর শ্রাবণীকে ধরতে হবে ।
হঠাৎ করে একটা লোকের সাথে ধাক্কা লাগে আর তার ফোনটা মাটিতে পরে যায় ,
---চোখে দেখেন না দিনের বেলায় । (লোকটি)
---না মানে সরি আমি দেখতে পাইনি হঠাৎ করে লেগে গেছে । (নাসির)
---হুম ইট ইজ ওকে । লোকটির ফোন তুলতে নিচ্ছে ।
---এই নিন আপনার ফোন কিছু হয়নি । ফোনটা তুলে হাতে দিলাম
---হুম এখন থেকে দেখে চলার চেষ্টা করবেন ।
।
এই বলে লোকটা চলে গেল ।
আরে শ্রাবণী কে দেখতে পাচ্ছি না ।
এদিক ওদিক তাকালাম কোথাও নাই ।
শ্রাবণী যেখানে দেখেছিলাম লোকটির সাথে কথা বলতে বলতে সেখানে নেই চলে গেছে ।
ফোন ও আনা হয়নি যে ফোন দিব গাড়িতে মনের ভুলে রেখে আসছি ।
যখন কোন কিছু সমস্যা হলে না সব দিক দিয়ে সমস্যা হয় ।
শ্রাবণী কোথায় গেল ।
।
এই যে ভাইয়া আপনি কি কানে শোনেন না নাকি কানে কোম শোনেন এতো হর্ন দেওয়ার পর সরে যাচ্ছেন না ।
মেয়েটির কথা শোনে চুমকে উঠলাম ।
---না মানে একটু টেনশনে আছি ।
---তাহলে এখন সরেন তো । (মেয়েটি)
---ওহ্ হ্যা ।
আমি সরে গেলাম হঠাৎ চোখটা আটকে গেল গাড়ির কালো গ্লাসের উপর কে যেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
কেমন জানি মনে হলো এটা শ্রাবণী তখনি ভালো করে দেখতে যাবো তখনি গাড়িটা চলে গেল ।
।
অতঃপর
।
ওহ্ এতখনে মনে হয় মিম চলে এসেছে ।
গাড়ির কাছে চলে এলাম ।
গাড়ির স্টার্ট দেব তখনি আবার মনে হলো আচ্ছা ওই গাড়ি যে চালাচ্ছে ওই মেয়ের সাথে শ্রাবণীর চেহারা কিছুটা শ্রাবণীর মতো তাহলে ওই মেয়েটা কি শ্রাবণীর কিছু হয় আর ওটাই ছিল নাকি ধ্যাত কি যে ভাবি না আমি কি শ্রাবণীকে ভালোবেসে ফেলেছি হ্যা ভালোবেসেছি ফেলেছি কিন্তু এ ভালোবাসা কোন মূল্য নেই যেখানে মামনি আর আব্বুর অন্য জনের সাথে বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে ।
।
অতঃপর
।
গাড়িটা স্টার্ট করে চালাতে লাগলাম ।
ফোনটা ব্রাইভেট এর শব্দে কেঁপে উঠছে ।
ফোনের দিকে তাকাতে দেখি ১০ বার কল করেছে আজকে আমার খবর আছে যে রাগি মানুষরে বাবা একাই তো চলে যাই নি তো তাহলে আমার খবর আছে ।
।
স্টেশনে পোঁছে মিম কে ফোন দিলাম ,
---কোথায় রে তুই খুঁজে পাচ্ছি না তো । (নাসির)
---দেখ টিকিট কাউন্টারের কাছে বসে আছি । (মিম)
---আচ্ছা তুই থাক আমি দুই মিনিটের মধ্যে আসছি ।
---ওকে আয় ।
।
ফোনটা কেটে মিমের কাছে যাচ্ছি ।
---এতো দেরি কেন হলো আসতে আর তোকে এরকম দেখাচ্ছে কেন কিছু হয়ছে নাকি । (মিম)
---আগে বাসায় যাই তারপরে বলবো । (নাসির)
---আরে এখানে বললে কি সমস্যা ।
---অনেক কথা এখানে বলে শেষ হবে না ।
---ও এমন কি কথা বলে শেষ হবে না আচ্ছা চল বাসায় গিয়ে শুনবো ।
---হুম ।
।
অভাবে অনেক কথা হলো ।
।
অতঃপর
।
বাসায় এলাম ।
।
কলিং বেল বাজিয়ে দাড়িয়ে আছি । মামনি এসে দরজা খুলে দিল ।
---কেমন আছেন আন্টি । (মিম)
---আলহামদুল্লিল্লাহ ভালো আছি । তোমার আব্বু আম্মু কেমন আছে মা । (আম্মু)
---জ্বী আব্বু আম্মু ভালো আছে আন্টি ।
মামনি অনেক প্রশ্ন করেছিল এতো দেরি হলো কেন ।
কিন্তু মিম সেটা সুন্দর ভাবে কাহিনিটা বলে দিল ।
আরে আপনারা ভাবছেন যে সেই ঘটনা হাহাহা আরে তা না ।
বানাইয়া বানাইয়া পরেছিল ।
---ভিতরে আই ।
---জ্বী আন্টি ।
---কি রে তোকে কি ভিতরে আসতে বলতে হবে নাকি ।
---আরে এখন কি আমার কথা মনে থাকবে একজন ডাইনি আইছে না । (অন্য দিকে তাকিয়ে মিমকে রাগানোর জন্য বললাম )
---কি আমি ডাইনি হুম । (কোমরে হাত রেখে চোখ বড় বড় করে)
---হুম ডাইনি তো ।
---আন্টি দেখেছেন নাসির কি বলছে ।
---চুপ কর ও ডাইনি হতে যাবে কেন ও তো লক্ষী মেয়ে । (মিমের মাথায় হাত বিলিয়ে দিয়ে বলল মামনি )
---হু লক্ষী একটা ডাইনি বুড়ি ডাইনি ডাইনি ডাইনি । (বলে আমার রুমের দিকে দৌড় দিলাম)
---দ্বারা দেখাচ্ছি মজা আমি ডাইনি বুড়ি ।
।
যদি আমাকে ধরতে পারে তাহলে নির্গাত মাথা ফাটিয়ে দিবে ।
তাই রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলাম।
বাইরে থেকে কিছুখন চিৎকার চেঁচামেচি করে বলছে তোর বউ এর মাথা ফাটামু দেখিস তুই আমাকে ডাইনি বলছিস হ্যা ।
আমি বললাম তুই কিছুই করতে পারবিনা আমায়।।।
তাইলে একবার বাহিরে এসে দেখ ডাইনি কি করতে পারি বাহিরে আয় ।।
।
অতঃপর
।
এশার নামাজ পড়ে এসে রুমে চলে এলাম ।
অনেক কথা বলেছি গাড়ির ভেতর এবার একটু রেশ নিতে হবে তাই একটু শুয়ে আছি ।
।
এমন সময় মিম এসে পাশে এসে বসলো আর বললো,
---কি রে কি করিস। ( মিম )
---কিছু না, কিছু বলবি তুই। ( নাসির )
---না রে ভালো লাগছে না।
---কেন শরীর খারাপ নাকি।
---না।
---তাহলে কি তখনকার জন্য রাগ করেছিস নাকি।
---নারে তার জন্য না।
---তাহলে।
---এমনি।
---ও।
---আচ্ছা কি যেন বলতে চাইছিলি।
---ও থাক অন্য দিন বলবো।
---না আজকে বল।
---আমি না একটি মেয়েকে ভালোবাসি।
---ও তাই তার পর ।
---সে আমাকেও ভালোবাসে কিন্তু।
---কিন্তুু কি ।
---মানে ও না অন্য রকম।
---মানে অন্য রকম বুজলাম না।
---ওনা গুন্ডী মেয়েরর মতো আর ছেলেদের পোশাক পরে।
---ও তাই।
---হুম কিন্তুু মামনি বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে তার বান্ধুবীর মেয়ের সাথে আর আমাকে দেখতে এসেছিল।
---কি বলিস আর আন্টিকে কিছু বলিস নাই।
---না আর তুই তো জানিস মামনিকে ভয় পাই।
---তা আমাকে কিছু বলিস নাই তো কখনো।
---মানে যদি কিছু বলিস তাই।
---থাক আমি আন্টিকে বলে দেখি।
---না বলিস না প্লিজ তাহলে মামনি অনেক কষ্ট পাবে আর আমি চাই না মামনি কোন কষ্ট পাক।
---তোর যে কষ্ট হবে তিলে তিলে শেষ হয়ে যাবি।
---না তা নাহয় শেষ হবো তবুও আমি মামনিকে কষ্ট দিবো না।
---হুম আচ্ছা যদি আমি বলে দেখি আন্টিকে।
।
তখনি মামনি বল,
---কি বলবি আন্টিকে । ( আম্মু )
---না মানে নাসিরকে নিয়ে যাবো তাই।
---ও আচ্ছা যদি নাসির যেতে চাই তাইলে নিয়ে যাইস।
---জ্বী আন্টি।
---তোরা আয় খেতে।
---আপনি যান আমরা আসছি আন্টি।
---ওকে তারাতারি আয় তাইলে।
এই বলে মামনি চলে গেল।
---ইস্ আর অল্পের জন্য তাই শুনে ফেলতো ।
---হুম।
---চল খেতে যাই অন্য দিন বলবো।
---চল।
এই বলে দুজন খেতে গেলাম।
।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে আবার গল্প করলাম।
আসলে ও আমার নিজের বোন না তবুো তাও আমার দুষ্টুমি সহ্য করে।
আমরা অনেক ফ্রি।
ও আপনাদের তো পরিচয় করিয়ে দেই নি।
মিম হলো আমার মামাতো বোন।
সেম ইয়ার এ পড়ি।
থাক আর বলতে পারছি না ঘুম আমাকে ধরে ফেলেছে পরে এক সময় বলে দিব।
এখন আমি ঘুমাবো।
।
।
মিম বললো,
---চল আজকে একটু ঘুরে আসি। ( মিম )
---হুম রেডি হয়ে আস। ( নাসির )
---হুম আমি রেডি হয়ে আসি।
---যা।
---যাচ্ছি।
কিছুখন পর মিম আসলো।
বাহ্ মিমকে না দারুন লাগছে মনে হচ্ছে অপ্সরী।
---ওই ছাগল কি দেখছিস। ( মিম )
---হুম একজন অপ্সরীকে দেখছি। ( নাসির )
---ওই ছাগল তাহলে ওর কি হবে।
---হু সেই জন্য তো ক্রাস খাচ্ছি না।
---ও তাই তাহলে আমি ওকে বলে দিব যে তুই আমাকে ক্রাস খাইছিস।
---কি যে কস না তাহলে আমাকে আর জিন্দা রাখবে না।
---কে কাকে জিন্দা রাখবে না রে মিম। ( মামনি )
---আরে মামনি তুমি বুজবে না।
---বাহ্ অনেক সুন্দর লাগছেরে তোকে মিম।
মিম একটু লজ্জা পেলো।
---দেখ মামনি মিম লজ্জা পেয়েছে।
---বলবো নাকি।
---না।
---কি বলবিরে মিম।
---আরে মামনি কিছু না ওই চল ।
---হুম চল।
---তারাতারি আসিস কিন্তুু।
---জ্বী আন্টি।
এই বলে মিম আর আমি সেই লেকের পারে দিকে যাচ্ছি।
এখানে আমি প্রায় আসি এখানে আমার খুব ভালো লাগে।
।
অতঃপর
।
লেকের পারে মিম আর আমি দুজনে বসে আছি।
---কেমন লাগছেরে মিম এখানে। ( নাসির )
---অনেক ভালো লাগছেরে এখানে কি সুন্দর পরিবেশ। একদম নিরিবিলি জায়গা। বেশ ভালো লাগছে। ( মিম )
---হুম অনেক সুন্দর তাই মাঝে মাঝে এখানে আসি।
---হুম।
হঠাৎ করে শ্র্যাবণীর কথা মনে পরে গেলো।
আর এখানে আসলে শ্র্যাবণীর কথা মনে পরে যায় ।
---কিরে কি ভাবছিস।
---কই কিছু না।
---মিথ্যা বলিস ক্যান থাক আমি চলে গেলাম ।
মিম উঠে দারালো,,
আমিও এবার বললাম,
---না মানে হঠাৎ করে শ্র্যাবণীর কথা মনে পরে গেলো তো তাই ।
---হুম তাহলে প্রথমে মিথ্যে বলছিলি ক্যা আর তোর সাথে কথা বলবো না যা ।
---সরি, আর এমনি বলছিলাম আর একথা বাধ দে তো।
---হুম আর কোন দিন মিথ্যে বলবি আমাকে বল।
---না আর বলবো না।
---আমার হাত ধরের প্রমিস কর আর কোন দিন বলবি না ।
---প্রমিস আর কোন দিন বলবো না।
ঠাসসসসসস...
হুট করে কোথায় থেকে শ্র্যাবণী এসে আমাকে.....
।
।
।
চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।
।
।
।
মহাপর্ব পড়তে গল্পের সাথে থাকুন।।।
।
ইনশা আল্লাহ শীঘ্রই আসবে পরবর্তী পর্ব।।।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদির আব্বু )
#গুন্ডী_মেয়ে
।
পর্বঃ অষ্টম ( ৮ম )
।
।
।
ঠাসসসসসস...
হুট করে কোথায় থেকে শ্র্যাবণী এসে আমাকে ঠাস করে গালে লাগিয়ে দিল।
আমি গালে হাত দিয়ে আছি কি বলবো বুঝতে পারছিনা।
আর শ্র্যাবণী বলতে লাগলো,
---হাতে হাত রেখে প্রমিস করা হচ্ছে তাই না। অনেক গরম হয়ে ( শ্র্যাবণী )
---আরে কি বলছো... ( নাসির )
---চুপ সালা কথা বলবি না সালা লুচু মেয়ে দেখলে প্রেম করতে চাস।
---আরে আপনি কি বলতেছেন। ( মিম )
---ওই মেয়ে তুই চুপ থাক আমাদের মাঝ খানে কথা বলবি না বলে দিলাম। ( আঙ্গুল তুলে মিমকে বললো )
---আপনি ভুল বুঝতেছেন , আপনি আমার কথাটা শুনুন...
---ওই মেয়ে তোর কথা কি শুনবো হ্যা লেকের পাড়ে এসে প্রেম করতেছিস আর কি বলতে চাস হ্যা তোর সরম করে না।
---আরে শ্র্যাবণী তুমি ভুল বুঝতেছো ও....
---চুপ ও আমার হবু বউ...
---আরে আপনি কিন্তু...
---ওই তোরে না বলছি কথা না বলতে।
---শ্র্যাবণী সব কিছুর কিন্তুু..
---লিমিটেড আছে তাইনা...
---না মানে।
---আর বলতে হবে না।
---ও তো আমার...
---হুম হবু বউ আর ওর মাঝে যা কিছু আছে আমার মাঝে তাই নাই ।
কিন্তু আমি তো ওর মতো হতে পারবো না তাই তুই।
আমি বুঝে গেছি আমি তো গুন্ডী মেয়ে আমার মাঝে কোন ভালোবাসা নাই আমি তো তোর ভালোবাসার যোগ্য না।
আর আর আমি তো থাক বলবো না কিছু।
শোন তুই ভালো থাকিস এই দোয়া করবো।
আমি জানি না তোকে ভালোবাসি কিনা।
কিন্তু তোকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা ।
কিন্তু যদি তোকে না পাই তাহলে আমি আমার জীবন রাখবো না। ( কেঁদে কেঁদে নাসিরের শ্যার্টের কলার ধরে শ্র্যাবণী বললো )
।
শ্র্যাবণী কথাটা বলে আমার শ্যার্টের কলার ছেড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে।
।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিনা শ্র্যাবণী সব কথা না শুনে এরকম করছে ।
।
আমি শ্র্যাবণীর দিকে তাকালাম দেখি দাড়িয়ে আছে।
।
কি যেন ভেবে শ্র্যাবণী আবার মিমের দিকে আসছে ।
আবার মনের ভেতর ভয় করছে মিমের তো কিছচু করবে না।
।
---সরি । ( মিমের হাত ধরে শ্র্যাবণী )
মিম শ্র্যাবণীর দিকে তাকাল
শ্র্যাণী আবার বলতে লাগলো ।
---আমি না ওকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি তাই সহ্য করতে পারিনি অন্য কারও সাথে কথা বলতে এবং এরকম বসে থাকতে । ( কেঁদে কেঁদে কথার মাঝে মাঝে চোখেরর পানি মুছে ফেলছে )
---( মিম কিছু বলছে না শুধু শুনে যাচ্ছে )
শ্র্যাবণী আবার বলতে লাগলো,
---আমি তোমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি । আমাকে পারলে ক্ষমা করে দিও । ( কেঁদে কেঁদে )
---( মিম কিছু বলছেনা )
---আর একটা কথা বলি যাকে বিয়ে করবে তাকে জিঙ্গেস করো যে, সে বিয়েটা তার পছন্দ মতো হচ্ছে কিনা নাকি ফ্যামেলির জন্য করতে হচ্ছে আর জিঙ্গেস করে নিও তার কোন পছন্দ মেয়ে আছে কিনা ।
আর যদি তার ফ্যামেলির জন্য বিয়ে করে তাহলে তুমি সুখী হতে পারবে না কারণ সে অন্য কোন মেয়েকে পছন্দ করে , তুমি যতই সুন্দরী হওনা কেন তার চোখে তুমি তার থেকে তুমি কিছুই না ।
আর তোমাকে বিয়ে করবে ঠিক কিন্তু তোমাকে স্ত্রী মর্যাদা দিতে পারবে না ।
আর কিছু বলবো না । ( একটানা বলে দিল শ্র্যাবণী ) ( চোখ দিয়ে পানি পরছে )
---( মিম কিছু বলছে না )
---আর হ্যা ওনা অনেক ভালো তোমাকে অনেক ভালোবাসবে তুমি কখনো ওকে ছেড়ে যেওনা । ( কেঁদে কেঁদে বললো )
।
এটা বলে শ্র্যাবণী ধৌড়ে চলে গেলো ।
আমি অবাক হয়ে শ্র্যাবণীর চলে যাওয়া দেখছি ।
মেয়েটা এতো ভালোবাসে আমাকে ।
।
মিম বললো,
---কি রে বাসায় যাবি না । ( মিম )
---হুম । ( নাসির )
আমি কথা বলতে পারছিনা ।
---কি রে যাবি না ।
---ও হ্যা চল ।
।
আচ্ছা মিম তো বাসায় কিছু বলবে না ।
---ওহ্ ( ল্যাম্পপোষ্টের সাথে ধাক্কা লেগে) ( নাসির )
---কি রে ব্যথা পেলি নাকি। ( মিম )
---না ঠিক আছে ।
---তুই না, বাসায় চল ।
।
সেখান থেকে বাসায় চলে এলাম।
।
শুধু শ্র্যাবণীর কথা মনে পরছে ওতো কিছু করে ফেলবে নাতো ওকে দিয়ে বিশ্বাস নাই কিছু করে ফেলে।
---কি রে রুমে চল । ( মিম )
---হু । ( নাসির )
---কিছু ভাবছিস।
---হু।
---শ্র্যাবণীর কথা।
---হুম।
আর কিছু না বলে মিম রুমে চলে গেল ।
আমিও চলে গেলাম রুমে।
।
রাতের খাবার খেয়ে ছাদে বসে আছি ।
আজকে জ্যোৎস্না আলো কেমন জানি অসত্বি লাগছে তবুও বসে আছি।
কিন্তু মনের ভেতর কেমন যানি শ্র্যাবণীর কথায় ঘটকা লাগছে ওতো কিছু করে ফেলবেনা তো ।
এরকম করছে কেন মনের ভেতর।
ফোন ভের কররে কল দিচ্ছি ,
আপনার কাঙ্খিত নাম্বারটি এই মূহুর্তে বন্ধ আছে ।
আরও দুই তিন বার ট্রাই করলাম কিন্তু একই কথা বলছে ।
মনের ভেতর আরোও বেশি ভয় করছে।
আর ভাবতে পারছি না।
চোখের কোণে এসে গেলো।
কে যেন আসছে বুঝতে পেরে চোখের পানি মুছে ফেল্লাম।।
---কি রে তুই এখানে। ( মিম )
---হুম কেন। ( নাসির )
---না এমনি আরে তুই কাঁদতেছিস ।
---কই না তো ।
---আবার মিথ্যে বলছিস।।
---
---কি রে কথা বল ।
---সরি ।
---হুম আর বোনকে কেউ সরি বলে নাকি পাগল ।
---না ।
---তাহলে সরি বলিস ক্যা আর বলবি না ।
---হুমম। আর শ্র্যাবণী কথায় কিছু মনে করিস না রে তুই ওনা অন্য টাইপের মেয়ে ।
---আরে আমি কিছু মনে করি নাই আমি কি তোর বউ যে মনে করবো আর শ্র্যাবণী ক্যা যদি আমি হতাম তাহলে আমিও ওর মতো করতাম তখন বুঝলি বুদ্দু।
---আমি খুব টেনশনে ছিলাম যে তখন তুই বাসায় এসে কিছু করে ফেলিস।
---আরে আমি ওরকম মেয়ে না আর আমি জানি যে যেটা সত্য সেটা প্রকাশ হবে আর সেটা যদি বুঝতে পারে তখন দেখবি শ্র্যাবণী আমার কাছে এসে কেমন করবে ।।
---হুম তা ঠিক যদি এর আগে শ্র্যাবণী কিছু করে ফেলে যদি শ্র্যাবণী নিজেকে কিছু করে ফেলে তাহলে তখন কি হবেরে।
---আসলে তো এখন যদি শ্র্যাবণী কিছু করে ফেলে আচ্ছা তুই ফোন দেতো ওকে আমি কথা বলি ।
---দিয়েছিলাম কিন্তু ফোন বন্ধ বলে।
---ওর বান্ধুবীর নাম্বার নাই।।
---না তাহলে এখন কি করবি এখন।
---আমার মাথায় কাজ করছে না এখন।
---আচ্ছা তুই ওদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করে আসবি।
---ভয় করে রে।
---কি ভয় করে হাহাহাহাহা।
---হাসিস না আর বেশি ভয় করে মামনিকে যদি জানতে পারে তাহলে অনেক কষ্ট পাবে রে আর আমাকে দিয়ে মামনি অনেক বিশ্বাস করে আর এটা জানতে পারলে তাহলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না ।
---আরে এতো কিছু ভাবিস না তাহলে যদি ওর ম...
---চুপ এই ভয় দেখাস না প্লিজ।
---তাহলে তুই না কাল ওদের বাসায় গিয়ে দেখা করে আয় আন্টিকে আমি সামলাবো।
---সত্যি বলছিস।
---হু এখন খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পর আমি ভেবে দেখবো কি করা যায়।
---আচ্ছা চল।
।
ছাদ থেকে নেমে আসলাম
।
অতঃপর
।
খেয়ে শুয়ে রইলাম।
।
অনেক ঘুমানোর চেষ্টা করছি কিন্তু ব্যাথ।
কেন যে কাল ঘুরতে গেলাম।
সাত পাঁচ করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি জানি না।
।
।
রাত প্রায় শেষের দিকে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো ।
তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৩ টা বাজে ।
আবার ঘুমানো চেষ্টা করলাম কিন্তু ঘুম আসছে না ।
যদি মাথায় টেনশন থাকে আর রাতের শেষের দিকে ঘুমটা ভেঙ্গে যায় তাহলে আর ঘুম আসে না ।
কিছুখন ভাবলাম কি করি কিছুই বুঝতে পারছি না ।
তাই তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে নেই ।
।
অতঃপর
।
তাহাজ্জুদের পড়ে কিছুখন আল্লাহুর কাছে কিছু চাইলাম ।
আমি শুনেছি এই গভীর রাতে আল্লাহ তা আলা শেষ রাতে প্রথম আসমানে আসেন আর এসময় আল্লাহুর কাছে চাইলে আল্লাহ তা আলা তা দিয়ে দেয় তাই আমিও কিছু চাইলাম ।
।
অতঃপর
।
কিছুখন কোরআন শরিফ তেলোয়াত করলাম ।
।
( আর পাঠক/পাঠিকা এমন কিছু চাওয়া যাবে না যেটা গুণা হবে ।
যেমনঃ #প্রেমিক প্রেমিকা অথবা ভালোবাসার মানুষটিকে ।
আরও অনেক কিছু আছে যা চাওয়া যাবে না ।
।
কারণ আপনার জন্য একজনকে জীবন সঙ্গী করে আপনাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে আর তাকে ছাড়া অন্য কেউ আপনার জীবন সঙ্গী হতে পারবে না । আরও কিছু আছে আমি হুজুর না তাই বলতে পারলাম না আর জানার ইচ্ছে থাকলে হুজুরের কাছে জেনে নিবেন ।
।
আর হ্যা আল্লাহুর কাছে চাওয়া যাবে ।
যেমনঃ আল্লাহ তুমি আমার জীবনসঙ্গীকে নেক্কার স্ত্রী হিসাবে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিবো ।
ইত্যাদি ইত্যাদি ইসলামিক অনুযায়ী চাওয়া যাবে )
।
।
অতঃপর
।
ফজরের নামাজের আজান দিল ।
তারপর নামাজ পড়ে আসলাম ।
।
---কি রে কখন যাবি । (মিম)
---এই তো এখন বের হয়ছি । (নাসির)
---হুম দেখে যাস আর আমাকে ফোন দিস ।
---আচ্ছা আর মামনি জিঙ্গেস করলে বলিস কলেজের দরকার আছে সেজন্য আজকে সকাল সকাল চলে গেছে ।
---হুম চিন্তা করিস না যা ।
---হুম ।
এই বলে বাসা থেকে বের হয়ে শ্রাবণীর বাসার দিকে যেতে থাকলাম ।
।
এখন শ্রাবণীর বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি ।
ভাবতেছি আমি যাবো কি নাকি যাবো না ।
না আমাকে যেতে হবেই ।
।
---আঙ্কেল এটা কি নেতা আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বাড়ি । (নাসির)
---হ্যা এটা স্যারের বাড়ি কে আপনি । (দারোয়ান)
---না মানে একটা কথা বলার ছিল ।
---কি বাবা ।
---আচ্ছা শ্রাবণীকে কি এখন পাওয়া যাবে ।
---না বাবা কালকে সন্ধ্যার সময় কোথায় থেকে যেন এসে রাতে নানার বাড়ি চলে গেছে ।
---মানে শ্রাবণীর কি কিছু হয়েছে ।
---বাবা তোমার কথা বুঝলাম না ।
---কিছু না আঙ্কেল আর শ্রাবণীর নানার বাসার ঠিকানা কি দেওয়া যাবে ।
---না বাবা আমি জানি না আর শুনেছিলাম পাশেই নাকি শ্রাবণী দাদু নানার বাসা ।
---ও আচ্ছা তাহলে আমি যাই আঙ্কেল ।
---বাবা তুমি কে আর শ্রাবণী দাদু কি হও ।
---আমি শ্রাবণীর বন্ধু হই আমি তাহলে যাই ।
---আরে বাবা নামটা বললে না যে ।
---আমার নাম নাসির ।
---আচ্ছা আমি শ্রাবণী দাদু কে বলবোনি ।
---না আঙ্কেল শ্রাবণীকে বলার দরকার নাই ।
---আচ্ছা বাবা বলবো না ।
---তাহলে আমি আসি আঙ্কেল ।
---আচ্ছা বাবা যাও ।
।
আমি শ্রাবণীর বাসার গেটে থেকে চলে আসলাম বাসায় ।
।
রুমে এসে বসে আছি আর ভাবছি শ্রাবণী বোধ হয় আমাকে ভুলে যাওয়ার জন্য নানার বাসায় চলে গেছে । আর কেনোই বা যাবে না তার পছন্দের মানুষের সাথে তার বিয়ে হবে না ।
এর মধ্যে মিম এসে বললো ,
---কি রে তোকে না বলছি পোঁছে আমাকে ফোন দিতে । (মিম)
---শ্রাবণী বাসায় নাই তাই ফোন দেই নাই । (নাসির)
---কেন কোথায় গেছে ।
---নানার বাসায় ।
---ও তা সেখানে যাস নাই ।
---না যাবো না আর হয়তো আমাকে ভুলে থাকার জন্য শ্রাবণী তার নানার বাসায় গেছে ।
---হুম তা জানি না কিন্তু ।
---কি ।
---ও তোকে সত্যি ভালোবাসে আর তার জন্য তোকে ভুলতে পারবে না ।
---তা জানি না ।
---হুম আচ্ছা থাক আমি আন্টির কাছে যাই ।
---আচ্ছা যা ।
।
আমি এখন কি করবো বুঝতে পারছি না ।
।
আজকে অনেক কষ্ট হচ্ছে কেন তা জানি না কিন্তু বার বার মনে হচ্ছে শ্রাবণী কি আমাকে সত্যি ভুলে যেতে পারবে নাকি আমি পারবো ।
আর কেনই বা পারবেনা আমার মতো এমন একজনকে ভালোবাসে যে কিনা ফ্যামেলিকে তার পছন্দের মেয়ে আছে এইটা বলতে পারে না তাকে ভুলে থাকা ছাড়া কিছুই করার নাই ।
আজ নিজেকে নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে যে ফ্যামেলিকে বলতে পারছি না যে আমি এ বিয়ে করতে পারবো না আমার পছন্দের মেয়ে আছে ।
।
আজকে নামাজ পড়ে এসে রুমে বসে আছি । আজকে কোরআন তেলোয়াত করলাম না তারাতারি বাসায় চলে এলাম কেমন জানি শ্রাবণীকে দেখতে মন চাইছে ফোন দিব কি না থাক ফোন দিয়ে মনটা নষ্ট করে দেওয়ার দরকার নাই তাই ভাবতেছি ছনিয়াকে ফোন করে একটু খবর নেওয়া যাবে না থাক দুপুরের দিকে ফোন দিব ।
।
আজ কলেজে গেলাম না । আমার আমার বদ অভ্যাস আছে বাসায় থাকলে শুধু ঘুমাই । তাই আজকেও শুয়ে পরলাম একটু ঘুম ঘুম আসছে তখনি আনকমন নাম্বার এ ফোন আসলো তাই ফোনটা রিসিভ করে বললাম ,
---হ্যালো । (নাসির)
---নাসির ভাইয়া । (ছনিয়া)
---জ্বী কে আপনি ।
---ছনিয়া ।
---শ্রাবণীর বান্ধবী ।
---হ্যা ।
---কি জন্যে ফোন দিয়েছেন ।
---আজকে না শ্র্যাবণী...
---কি হয়েছে শ্র্যাবণী...
।
।
চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।
।
।
।
পরবর্তী পর্ব পড়তের গল্পরে সাথে থাকুন।।।
।
।
ইনশা আল্লাহ শীঘ্রই আসবে পরবর্তী পর্ব।।।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদির আব্বু )
#গুন্ডী_মেয়ে
।
পর্বঃ নবম (৯ম)
।
।
।
---কি হয়েছে শ্র্যাবণীর । (নাসির)
---শ্রাবণী.. (ছনিয়া)
---আরে আপনি কাঁদছেন কেন আর শ্রাবণীর কি হয়েছে বলেন ।
---শ্রাবণী সুইসাইড করেছে ।
কথাটা শুনে ফ্লোরে ধপ করে বসে পরলাম এটা কি হলো কেনো এটা করলো শ্রাবণী ।
আমি চোখের পানি আটকে রাখতে পারছিনা ।
---হ্যালো ভাইয়া শুনতে পাচ্ছেন কি ।
---জ্বী ।
---আরে ভাইয়া কথা বলেন ।
।
আমি কি বলবো বুঝে উঠে পারছিনা ।
---ভাইয়া আপনি কি ঠিক আছেন ।
---হুম আর শ্রাবণী কোন হসপিটালে আছে এখন ।
---আপনি এরকম ভাবে কথা বলছেন কেন আপনি তো ঠিক আছেন ভাইয়া ।
---হ্যা আগে বলেন শ্রাবণী এখন কোন হসপিটালে আছে ।
---শ্রাবণী আপনাকে বলতে না নিষেধ করেছে ।
---আরে বলেন তো শ্রাবণী এখন কোথায় আছে ।
---ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে আছে আর শ্রাবণী অনেক সিরিয়াস ।
---কি বলেন এই সব কখন সুইসাইড করেছে ।
---আজকে সকালে ।
---কি বলেন বাসায় কেউ ছিলো না ।
---ছিল দেখাই তো বেঁচে গেলো না হলে...
---চুপ এই কথা বলবেন না আর শ্রাবণীর কখনো কিছু হবে না আল্লাহুর কাছে দোয়া করেন আমি আসছি ।
।
বলেই পিছনে তাকালাম দেখি মামনি আর মিম এসে হাজির তখনি চোখটা মুছে ফেললাম ।
।
---কি রে পরে গেলি কেনো । ( মামনি )
---পা পিছলে পরে গেছি । (নাসির)
---ব্যথা পেলি নাকি আর তোর চোখে পানি কেন এরকম করে কথা বলছিস কেন আজ ।
---না মানে কই এমন করে কথা বলছি মামনি পরে গিয়ে একটু লেগেছে তো তাই এই জন্য ।
---ও থাক আমি ওষুধ এনে দিচ্ছি ।
---না মামনি কিছু লাগবে না আর আমি বাহিরে যাবোতো মেডিসিন এর দোকানে আমি মেডিসিন লাগিয়ে নিব ।
---আরে বাহিরে যেতে হবে না প্রথমে বাধা পরেছে না জানি কি হয় ।
---আরে টেনশন করো না কিছু হবে না আর জরুরি যেতে হবে মামনি প্লিজ যেতে দাও ।
---টেনশন যে কেনো করি তুই বুঝবি না ।
---মিম মামনিকে রুমে নিয়ে যাতো ।
---হুম নিয়ে যাচ্ছি , আন্টি চলেন রুমে যাই নাসিরের কিছু হবে না ।
---দেখে যাস বাবা আর একটু তারাতারি আসবি ।
---নিয়ে যা মিম মামনিকে ।
---চলেন আন্টি ।
---চল মা ।
।
মামনিকে নিয়ে যাওয়ার সময় মিম পিছনে তাকিয়ে চোখের ভাষায় বললো কি হয়েছে ।
আমিও ইশারায় বললাম পরে বলবো ।
মিম মামনিকে নিয়ে গেলো আমি তারাতারি রেডি হয়ে রুম থেকে বের হলাম ।
আর যাওয়ার সময় বললাম ,
---মামনি আসতে একটু লেট হতে পারে আপনি চিন্তা করেন না জেনো ।
।
এটা বলেই তারাতারি করে বাসা থেকে বের হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হসপিটালের দিকে রওনা হলাম ।
আজকে গাড়িও পাচ্ছি না ।
বিপদ যখন হয় তখন সব কিছু সময় মতো পাওয়া যায় না । কি করা হেঁটেই রওনা দিলাম বাস স্টানের দিকে ।
পুরো বিশ মিনিট হেঁটে তার পর বাস স্টেশনে পোঁছে গেলাম ।
বাসের জন্য অপেক্ষা করছি সময় মতো কিছু পাচ্ছি না আর শ্রাবণীর কি হলো বুঝতে পারছিনা কেন এরকম করলো ।
ভালোবেসে এরকম করা কোন মানে হয়না এটা বোকামি ।
।
এখান থেকে সরাসরি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে যাওয়া যায় না ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হয় তাই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ।
।
অতঃপর
।
বাসে উঠে বসে আছি ।
আবার জ্যামের মধ্যে আটকা পরলাম কি যে করি মাথায় কাজ করছেনা কিছুখন পর আবার গাড়ি চলা শুরু করলো ।
প্রায় আধঘন্টা পর বাস থেকে নামলাম ।
।
অতঃপর
।
হসপিটালের কাছে এসে ছনিয়াকে ফোন দিলাম ।
।
---হ্যালো । ( ছনিয়া )
---এখন শ্রাবণী কোথায় । ( নাসির )
---আই সি ইউ তে আছে ।
।
ফোনটা কেটে আই সি ইউ এর দিকে গেলাম ।
।
---ছনিয়া কি খবর শ্রাবণীর ।
---এখনো ডাক্তার বের হয়নি তাই কিছু বলা যাচ্ছে না ।
---আচ্ছা কি ভাবে শ্রাবণী এতো পাগলামী করেছে ।
---রেজওয়ান ভাইয়া বলছে যে কাল সন্ধ্যার সময় কোথায় থেকে এসে ঘরের কিছু জিনিস ভেঙ্গে ফেলে আর অনেক পাগলামী শুরু করে পরে আঙ্কেল আর রেজওয়ান ভাইয়া এসে অনেক কষ্টে শান্ত করে ফেলে কিন্তু তার পর শ্রাবণী তার নানুর বাসায় চলে যায় ।
---ওহ্ নো তারপর ।
---তার পর শ্রাবণীর নানু আমাকে ফোন দিয়ে বলে শ্রাবণী সব কিছু ভেঙ্গে ফেলে তার হাত কেটে অনেক রক্ত ঝরে আর শ্রাবণীর অব্যস্থা খুব খারাপ তখন শ্রাবণীকে হসপিটালে আনা হয়েছে তাই ভাবলাম আপনাকে ফোন দেই অবশ্য শ্রাবণী আগে বলেই ছিল শ্রাবণীর কোন ব্যাপার আপনাকে না বলতে তবুও বললাম ।
---এতো পাগলামী করে কেনো সুস্থ হোক দেখাবো মজা ।
।
এর মাঝে শ্রাবণীর ভাই রেজওয়ান আসে আর বলে ,
---তুমি নাসির না । ( রেজওয়ান )
---জ্বী হ্যা । ( নাসির )
---শ্রাবণী আর তোমার মাঝে কিছু হয়েছে ।
।
কথাটা শুনে ভয় পেয়ে গেলাম কি বলবো বুঝে উঠে পারছিনা ।
।
---কি হলো বল ।
---না মানে কাল সন্ধ্যার...
।
এর মাঝে এক নার্স এসে বললো ,
---রেজওয়ান কে । ( নার্স )
---আমি । ( রেজওয়ান )
---দুই ব্যাগ রক্ত লাগবে তারাতারি জোগার করেন ।
---আচ্ছা আমি চেষ্টা করছি ।
---আচ্ছা যা করার তারাতারি করেন ।
।
এটা বলেই নার্স চলে গেল রুমে ।
।
---আচ্ছা পরে কথা হবে এখন রক্ত জোগার করতে হবে ।
---আচ্ছা ভাইয়া পরে কথা হবে ।
।
রেজওয়ান ভাইয়া চলে গেলো ।
আমিও আর কিছু বলছি না । কয়েক বার কে যেন ফোন দিয়েছিল তখন আর ধরি নাই ।
আল্লাহুর কাছে শ্রাবণীর জন্য দোয়া করলাম ।
।
অতঃপর
।
রেজওয়ান ভাই এক ব্যাগ রক্ত জোগার করে এনেছে কিন্তু আর এক ব্যাগ রক্ত জোগার করতে পারে নাই ।
হসপিটালে রক্ত নাই শ্রাবণীর গুরুপের যা ছিল দুই জনকে দিয়ে দিছে তাই আর নেই এখন কি করা যায় ভাবতেছি ।
।
---আচ্ছা তোমার রক্তের গুরুপ কি । ( রেজওয়ান )
---কে । ( নাসির )
---আরে আমি ।
---ও সরি ।
---তোমার রক্তের গুরুপ কি ।
---A নেগেটিভ কেন ।
---ইস্ ।
---কেন শ্রাবণীর রক্তের গুরুপ কি ।
---O নেগিটিভ ।
---সো সাড ।
।
আচ্ছা মিমের রক্তের গুরুপ কি তাহলে ফোন দেই । ফোনটা বের করে দেখি মিম পাঁচ বার ফোন দিয়েছিল ।
।
---হ্যালো । ( নাসির )
---কি রে কয় বার ফোন দিলাম রিসিভ করলি না ক্যা । ( মিম )
---আরে অনেক ঝামেলার মাঝে আছি ।
---কি হয়েছে ।
---শ্রাবণী সুইসাইড করছে ।
---কি বলিস ।
---হ্যা রে সত্যি বলছি ।
---আন্টি কথা বলবো কথা বল ।
---হ্যা মামনি বলো ।
---তুই এখন কোথায় রে বাবা ।
---আছি আছি ।
---আছি আছি কি বলছিস হ্যা বল কোথায় আছিস ।
---না মানে শপিং করতে আসছি মামনি ।
---ও তাই বল একটু তারাতারি আস বাবা কেমন জানি মনটা ভালো লাগছে না ।
---আচ্ছা মামনি আপনি কোনো টেনশন করবেন না আমি যত তারাতারি আসতে পারি আসবো মিমের কাছে ফোনটা দেনতো ।
---হুম বল ।
---মামনির কাছ থেকে একটু দূরে সরে যা তো ।
---হুম দূরে সরে আসছি বল ।
---তোর রক্তের গুরুপ কি ।
---o নেগেটিভ কেন ।
---সত্যি বলছিস ।
---হ্যা কেনো কি হয়ছে ।
---শ্রাবণীর জন্য রক্ত দরকার এক ব্যাগ জোগার হয়েছে কিন্তু আর এক ব্যাগ লাগবে তা হসপিটালে নাই ।
---না মানে ।
---প্লিজ মানে মানে বলিস না তোকে হাত জোর করে বলছি প্লিজ ।
---আরে আমি আসছি আর আন্টি ।
---মামনির কাছে দে ।
---কি বলবি বাবা ।
---মামনি শপিং করবো কিন্তু চয়েস হচ্ছে না যদি আপনি মিমকে বলতেন তাহলে মিম চয়েস করে কিনে দিতো ।
---আচ্ছা আমি মিমকে বলে দিচ্ছি ।
।
---মা নাসির না শপিং মলে আছে তাই তুই একটু গিয়ে চয়েস মতো কিছু কিনে দিবি ।
---জ্বী আন্টি আমি যাবো ।
।
---নাসির মিম যাবে বলছে তুই কথা ক মিমের সাথে ।
---আচ্ছা দেন ওকে ।
---কোথায় আসবো ।
---ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে আয় আধঘন্টার মধ্যে আয় ।
---আচ্ছা আমি আসছি ।
---একটু তারাতারি আয় ।
।
।
---আর এক ব্যাগ রক্ত লাগবে । (নার্স)
এটা বলেই রুমে গেলো ।
।
---কি রে রক্ত পাইলি । (রজওয়ান)
---না ভাই এই হসপিটালে ও রক্ত নাই । (লোকটি)
---তাহলে অন্য হসপিটালে যা আধঘন্টার মধ্যে রক্ত লাগবো আর না হলে বাঁচানো সম্ভব না ।
---জ্বী ভাই আমি অন্য হসপিটালে যাচ্ছি ।
।
---ভাইয়া । (নাসির)
---হ্যা বল । (রেজওয়ান)
---টেনশন করবেন না ।
---আরে আর এক ব্যাগ রক্ত কোথায় পাবো ।
---মানে রক্তের জোগার করেছি ।
---কোথায় ।
---মানে আমার এক বোনের রক্তের গুরুপ এক তাই ওকে ফোন করে দিয়েছি সে আসতেছে ।
---সত্যি বলছো তো ।
---হ্যা ।
---আল্লাহুর কাছে লাখ লাখ শুকুরিয়া ।
।
অতঃপর
।
মিমের রক্ত পরীক্ষা করে । মিমের রক্ত নেওয়া হলো ।
এখন সবাই শান্ত ডাক্তার বলেছে ভয়ের কোন কারণ নেই এখন সুস্থ আছে ।
তাই আমি আর মিম রুমের ভেতর গেলাম ।
দেখি শ্রাবণী শুয়ে আছে আর আমাদের দেখে শ্রাবণী বললো ,
---তুই এখানে কেনো যা এখান থেকে । (শ্রাবণী)
---না মানে তোমাকে দেখতে এসেছি । (নাসির)
---কিহ্ আমাকে দেখতে এসেছিস হ্যা নাকি আমাকে এই করুণা করতে এসেছিস ।
---আরে তুমি ভুল বুঝতেছো ।
---আরে কীসের ভুল হ্যা কালকে পর থেকে আমি ওকে ভুলে গেছি ।
---এইসব কি বলছো আসলে..
---আমি ঠিকই বলছি আঙ্কেল ওদের চলে যেতে বলো না হলে আবার আমি কিন্তু...
---না মা আমি ওদের চলে যেতে বলছি ।
---তারাতারি যেতে বল ।
---প্লিজ আপনারা আমার সাথে আসুন ।
।
কিছু বললাম না ভয় হচ্ছে মিমকে নিয়ে আমি আবার ডেকে এনে অপমান করলাম ওতো বাসায় যাবে না ।
।
---বাবা কিছু মনে করো না মা মরা মেয়েটা আমার এরকম । হয়তো আমার নিজের মেয়ে না কিন্তু আমি ওকে নিজের মেয়ে মনে করি তাই বাবা হয়ে বলছি এখন ভিতরে যেওনা প্লিজ । (শ্র্যাবণীর চাচা)
---আচ্ছা আঙ্কেল আমি ভিতরে যাবো না । (নাসির)
।
শ্রাবণীর আঙ্কেল মিমের কাছে গেলো ।
।
মিম একটু দূরে গেলো হয়তো রাগ করেছে আর রাগ করা সাভাবিক আমি তাকে এনে অপমান করেছে ।
।
---মা কিছু মনে করো না মা । মা মরা মেয়ে আমার হয়তো আমার নিজের মেয়ে না কিন্তু আমি ওকে নিজের মেয়ে মনে করি তাই বাবা হয়ে তোমার কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চাইছি প্লিজ ক্ষমা করে দিও ।
---আরে আঙ্কেল কি করছেন বাবা হয়ে মেয়ের কাছে মাফ চাওয়া লাগেনা আর আমি কিছু মনে করিনি কারণ শ্রাবণী হয়তো সত্যিটা জানে না তাই । (শ্র্যাবণীর চাচা)
---হুম । (মিম)
---আচ্ছা আঙ্কেল তাহলে আমরা আসি ।
---আচ্ছা মা যাও ।
।
এই বলে বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
বাসায় গিয়ে মামনির নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিল মিম ।
পরের দিন আবার চলে গেলাম হসপিটালে ।
গিয়ে জানালা দিয়ে দেখে আসতাম ।
রুমে যাইনা বাহিরে থেকে দেখা যায় ।
এভাবে প্রতিদিন একবার করে দেখে যাই শ্রাবণীকে ।
এভাবে কাটতে থাকে দিন ।
কয়েক দিন পর শ্রাবণীকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
তাই আর দেখতে যাই না ।
।
এভাবে আরও দুই দিন চলে গেলো ।
।
।
---আজকে না তোকে দেখতে আসবে মারিয়ার দাদা কালকে আমরা দেখে আসার সময় বলে দিয়েছে । (আম্মু)
---মামনি ছেলেকে এতো বারে বারে দেখে নাকি । (নাসির)
---না মানে মারিয়ার দাদু আগে তোকে দেখবে তাই ।
---ও ।
---কোথাও জেনো যাস না বিকালে ।
---হুম ।
।
মেজাজটা খারাপ করে দিল ধ্যাত আমি কি বিয়ে করছি নাকি ওই পক্ষের ছেলে বিয়ে করাইতেছে বুঝতে পারছিনা ।
।
দুপুরের খাবার খেয়ে শুয়ে আছি ।
এর মধ্যে ফোনে ম্যাসেজ আসলো আনকমন নাম্বার ,
বিকেল ৪টা রাস্তার মোড়ে দেখা করবে ।
বেশি দেরি করোনা ।
।
আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।।
তার পর চলে গেলাম সেখানে ।
।
---কি রে নাসির কোথায় মিম মারিয়ার দাদু এসে গেছে । (আম্মু)
---আমি দেখি ওর রুমে আছে কিনা। (মিম)
---একটু তারাতারি দেখ রুমে আছে কিনা।
---ওকে আন্টি।
।
---আন্টি নাসিরকে তো দেখছিনা ।
---কি বলিস।
---হ্যা আন্টি সত্যি বলছি।
---ওর বন্দুদের ফোন দে দেখ ওখানে আছে কিননা।।
---জ্বী আন্টি দিচ্ছি ।।
।
---হ্যালো । (মিম)
---জ্বী বলেন। (সায়েম)
---নাসির কি তোমাদের ওখানে আছে।
---না আর নাসিরের কি হয়ছে।।
---জানি না আজ দুপুর থেকে খুঁজে পাচ্ছি না।
---ও।
---আচ্ছা বাই।
।
---আন্টি বন্দুর বাসায় যাই নাই।
---তাহলে গেল কোথায়।
---আচ্ছা আর এক জায়গায় ফোন দেই।
---আচ্ছা দে মা তারাতারি।
।
---হ্যালো। (মিম)
---আপনি মিম না। (শ্র্যাবণী)
---হ্যা ।
---আপনি ফোন দিছেন ক্যা হ্যা আপনার কি লজ্জা করে না এতো অপমান কররছি তাও আবার ফোন দিছেন।
আর কি জন্যে ফোন দিয়েছেন।
---না মানে নাসিরকে দুপুর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
---কি বলেন আপনি কোথায় গেছে বলতে পারেন না ।
---হ্যা সত্যি বলছি।
---ও সরি আমাদের এখানে নাই।
---ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
।
।
---আন্টি ওখানেও নেই।
---তা হলে গেলো কোথায়।
।
।
।
চলবে পরবর্তী পর্বে।।।
।
।
।
পরবর্তী পর্ব পড়তের গল্পরে সাথে থাকুন।।।
।
।
।
ইনশা আল্লাহ শীঘ্রই আসবে পরবর্তী পর্ব।।।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদির আব্বু )
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ