চন্দ্রনা, নিষিদ্ধ পল্লির মেয়ে। আমি আদর করে , ভালোবেসে চন্দ্র ডাকি। অন্যদিনের মতো আজও অফিস থেকে সোজা ব্রোথেলে এসেছি। চন্দ্র কে খুঁজতেছি অনেক সময় ধরে পাচ্ছিনা। ওদের মাসি কে জিজ্ঞেস করে তেমন উত্তর পেলাম না। বলার মধ্যে শুধু বললো চন্দ্রনা মাগি আছে হয়তো কোন নাগরের কাছে। বাবু আপনি একাই তো আর তার নাগর না! খুব কষ্ট পেলাম তা না, কারণ চন্দ্রর এটা ব্যবসা। চন্দ্রনা কে প্রথম দেখি সংসদ ভবনের সামনে, বৃষ্টির মধ্যে আমগাছের ঘন অন্ধকারে দাঁড়িয়ে খদ্দের খুঁজছে। আমি ফার্মগেট নেমে হেটে আসছি সংসদ ভবনের দিকে। অফিসে খুব ঝামেলা হয়েছে তাই মন খারাপ। আমার কাছে ছাতা নেই, টিপটিপ বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছি। হঠাৎ মনে হলো মাটিফুড়ে কেউ একজন এগিয়ে আসলো ছাতা নিয়ে, এসেই বললো বাবু লাগবে নাকি! ইশারা দিয়ে কাছে ডাকলাম। বললাম ছাতা লাগবে! হেসে ফেললো, বললো পেটে ক্ষিদে ছাতা দিলে তো ভিজে যাবো, আর সবাই বিনামুল্যে মজা নিবে! তা হবেনা! চন্দ্রনা কে দেখতে হলে পয়সা লাগবে বাবু!
বৃষ্টি থেমে গেছে, আমি আর চন্দ্রনা সংসদ ভবনের সামনে বসে আছি। চন্দ্রনাকে বলেছি টাকা দিবো আসো কিছু সময় গল্প করি। চন্দ্রনা দেখতে স্মার্ট, এরকম স্মার্ট আর সুন্দরী মেয়ে এই পেশায় কেন এসেছে এটাই জানার ইচ্ছে।
সে অনেক কথা চন্দ্রনার বাড়ি টাংগাইল, মির্জাপুর শাহ পাড়া। বাবা মারা গেছেন যখন চন্দ্রনার বয়স ১৫। কাকাদের সংসারে বড় হতে থাকে। চন্দ্রনার মেঝ কাকির ছেলে অনিল,চন্দ্রর দাদা একদিন জোড় করে......এই ঘটনা চন্দ্রকে খুব আহত করে। এ কথা মেঝ কাকিকে বললে, মেঝ কাকি কিছুতেও বিশ্বাস করেনা। উল্টো চন্দ্রকে বলে এমন গতর আর যৌবন থাকলে একটু এরকম হয় ই!! এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে মামা বাড়ি চলে যায়। বড় মামার ছেলে সুশান্ত ও অনেক চেষ্টা করেছে অসভ্যতা করার। মামি কে বলে লাভ হয়নি, মামি বলেছেন সুশান্ত সোনার টুকরা ছেলে! এমন হতেই পারেনা।
কিন্তু এর চেয়েও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছিল চন্দ্রনার জন্য। সেদিন মামি বাবার বাড়ি গেলেন সুশান্তকে নিয়ে। মামা সেইদিন রাতে....টানা ১ সপ্তাহ চলে এমুন দৈহিক নির্যাতন। বাধ্য করে এবং বাধ্য হয়ে পিল খাই। এরপর শুরু হয় ব্লিডিং।
পালিয়ে ঢাকায় আসি, কোথাও থাকার জায়গা নেই। এক রিকশাওয়ালার সাহায্যে কাজ নিই বনানীর একটি বাসায়। কাজ করি খাই, খাওয়া নিয়ে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বাসার মালিক যাকে আমি খালু বলি তিনি মাঝেমধ্যেই গা ঘেঁষে...খালা কে জানিয়েছি, খালা বলেছেন চন্দ্রনা তুই কাজ ছেড়ে দে। দিলাম কাজ ছেড়ে, এবার এক বিউটি পার্লার এ কাজ নিলাম। সেখানেও বিপত্তি! মালিক ইচ্ছে করে দেরি করায়, নানা ধরনের অশ্লীল ইংগিত করে। পার্লারে আসা যাওয়ার সময় পরিচয় হয় এক মেয়ের সাথে, বলতে পারেন ওর প্ররোচনায় এই পথে আসা। এই পথে বেশি দিন আসিনি। পরিবারের কারও সাথে যোগাযোগ হয়না। চন্দ্রনার অশ্রুসিক্ত চোখ। হাতের মধ্যে কিছু টাকা দিয়ে বিদায় করে দিলাম।
আমার সাথে চন্দ্রনার প্রায়ই দেখা হতো কথা হতো। আর আমিও এক প্রকার জোড় করে মাঝেমধ্যে কিছু টাকা দিতাম। জোড় কেন বলছি কারণ চন্দ্রনা নিতে চাইতো না। চন্দ্রনাকে অনেক বার বলেছি এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যাওয়া যায় কি না। চন্দ্রনার উত্তর অনেক চেষ্টা করেছি, সবাই শুধু সুযোগ খুঁজে! একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম, সংসার করার ইচ্ছে নেই বা হয় কি না? হেসে বলেছিল বাবু আমার মতো নষ্টা মেয়েকে কে বিয়ে করবে!! দুই একজন করতে চায় মাঝেমধ্যে এরপর আর যোগাযোগ রাখেনা। যখন চন্দ্রনার দেহের মজা স্বাদ নিতে চায় তখন মরদগুলো এই ছলনার কথা বলে! চন্দ্রনা এও জানালো যে তার একটি ব্যাংক একাউন্ট আছে সেখানে বেশ বড় একটি এমাউন্ট আছে, এটার প্রতি মাসির নজর পরেছে,তাই বিভিন্ন লোক দিয়ে চেষ্টা করে।
আজ আমার মনের অবস্থা খুব খারাপ জব চলে গেছে। অফিসের নোংরা রাজনীতির সাথে আমি পেরে উঠিনি, একাউন্টস সেকশন নিয়মিত চুরি করে, আমি প্রতিবাদ করতেই আমার জব চলে গেছে। সংসদ ভবনের সামনে যেতেই চন্দ্রনা এগিয়ে এলো, আমার মন খারাপ দেখে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে, জানালাম জব চলে গেছে। খিলখিল করে হেসে চন্দ্রনা বললো আমি যেন তার মতো পেশা বেছে নিই! এখন নাকি মেইল এস্করট সার্ভিসিং খুবই জনপ্রিয়! বাবু আপনিতো অনেক লম্বা আপনাকে দেখেই নিয়ে নিবে! আরও জানালো গুলশান,বনানী, বারিধারায় অনেক বড় বড় অফিসারের বউয়েরা এই সার্ভিস ব্যবহার করে মোটা অংকের টাকা দেয়! দুইজনই হাসলাম। আমি আছি মহা চিন্তায়, বাড়িতে টাকা পাঠাবো কি করে, মা আছেন, চাকরী চলে গেছে শুনলে চিন্তা করবে।
সকালে ঘুম ভেঙে মোবাইল হাতে নিতেই দেখি বিকাশ দশ হাজার টাকা! আমি জানি এটা চন্দ্রনা ছাড়া কেউ দেইনি। চন্দ্রনাকে ফোনে ধমকালাম। কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি, সে টাকা নিবেনা। নতুন করে জবের চেষ্টাও করছিনা, মন উঠে গেছে। সন্ধার দিকে হাঠতে হাঠতে সংসদ ভবনের সামনে গেলাম। চন্দ্রনাকে পেলাম না। বাসায় গেলাম, দেখি শুয়ে আছে, গায়ে অনেক জ্বর, গা পুরে যাচ্ছে। বললো শুধু নাপা খেয়েছে, কমছেনা, সারা শরীর ব্যথা। চন্দ্রনাকে ডা: এর কাছে নিয়ে গেলাম, ইনজেকশন দিয়ে আর বেশ কিছু ওষুধপত্র নিয়ে বাসায় দিয়ে গেলাম। চন্দ্রনাকে বাসায় দিয়ে জিয়া উদ্যানে কিছু সময় বসে আবার বাসায় চলে আসলাম। ভালো লাগছেনা কিছু। চন্দ্রনার ফোনে ঘুম ভাঙল, গভীর রাত, ২ টা বাজে, চা আর বাখরখানি খেতে খুব ইচ্ছে করছে। এত রাতে কোথায় পাবো! তবু বের হলাম, নাজিমুদ্দিন রোডে গেলাম ৩০০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে। এক দোকানে পেলাম বাখরখানি। চন্দ্রনার সামনে বাখরখানি আর চা দিলাম। খুব তৃপ্তি সহকারে খেল। কপালে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বর নেমেছে কিছুটা। আবার ওষুধ খাওয়ায়ে চলে আসলাম।
জব নাই কি করবো না করবো ভেবে সারাদিন ঘুরি রাস্তায় রাস্তায়। একটি কফিশপ দিবো ঠিক করি, কিন্তু আমার কাছে তো কোন সেভিংস নেই। এদিকে চন্দ্রনার জ্বর কমছেনা।আজ সন্ধায় ল্যাব এইডে নিয়ে যাবো। বাসায় যেয়ে দেখি মাথায় পানি ঢালছে ওদের মাসি বললো চন্দ্রনার অবস্থা ভাল না। দ্রুত সিনএনজি নিয়ে সেন্ট্রাল হসপিটাল ধানমন্ডি নিয়ে গেলাম। অনেক গুলা টেষ্ট দিল, রক্ত দিয়ে ওকে নিয়ে কেবিন নিলাম। সারারাত ছটফট করে ভোরে দিকে আমাকে বললো আমার কাঁধে মাথা রাখতে চায়...ভোর সাড়ে পাঁচটায় চন্দ্রনা আমার কাঁধেই মারা যায়। চন্দ্রনার দাফন কাফন নিয়ে সমস্যা। আমি জানি চন্দ্রনা হিন্দু ছিল, এখন কি করবো। চন্দ্রনার বাড়ির ঠিকানা বলতে শুধু জানি মির্জাপুর শাহা পাড়া। এখন আমি যদি খবর দিই তাহলে আমার আবার কোন বিপদ হয়। মাথায় পেইন শুরু হলো। হ্যা হসপিটালে ভরতি ফ্রমে আমি স্বামী এমন কথা উল্লেখ করেছিলাম। ওদের মাসি কে ডাকলাম, সব বললে, জানালো লাশ পল্লিতে নিয়ে হিন্দু নিয়মে দাহ্য করবে। আমি আর মাসি মিলে লাশ নিয়ে পল্লিতে গেলাম। হিন্দু নিয়মে মুখাগ্নি করতে হবে। আমিই করলাম সব কিছু...নিজ হাতে চন্দ্রনাকে পুড়িয়ে দিলাম! আমার কাঁধে তখনো চন্দ্রনার ছোঁয়া....
লেখা: বোহেমিয়ান
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4789
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ģā§Ģ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ