āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4724

গায়ে হলুদের শাড়ি
.
মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, টিনের চালের জন্য শব্দটা দারুন শোনা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকানোর ঝলকানিতে ঈষৎ অন্ধকার প্রকৃতি অচেনা এই বাড়িটা সহ কিয়ৎক্ষনের জন্য আলোকিত হয়ে উঠছে। কেমন জানি ছমছমে প্রকৃতির বাড়িটা একদম ফাঁকা।
.
এক জরুরি কাজে বাইরে যাচ্ছিলাম অনতিদূরে এক গ্রামের মেঠো পথ ধরে। কিন্তু পথিমধ্যে এই ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে একাকার। গত দুদিন ধরে হালকা করে জ্বর যাচ্ছে যাকে মা সরু জ্বর নামে আখ্যায়িত করে। আকাশ খারাপ দেখে অনেক বারণ করেছিলো মা কিন্তু বারণ ভেঙ্গে বাইরে বের হয়ে এসেছি আর এ অবস্থায় পড়লাম। খুব ঠান্ডা লাগছে, এখুনি বৃষ্টির প্রকোপ থেকে না বাঁচলে বড় ধরনের একটা যে ব্যামো বাধাবো তা নিশ্চিত। তাই রাস্তার অল্পকিছু দূরে এই গৃহস্থ বাড়িতে এসে একটু আশ্রয় তথা সাহায্যের আশা করেছিলাম কিন্তু এত বড় বাড়িতে লোকজনের কোনো চিহ্নই পাচ্ছিনা।
.
অনেক ডাকাডাকি করেও লাভ হলোনা কেননা বৃষ্টির আর গগনবিদারী বজ্রপাতের শব্দে আমার অসুস্থ ক্ষীণ কন্ঠ কারো কানে পৌছাচ্ছেনা। তাই বাধ্য হয়ে ঘুরে চলে আসতে শুরু করলাম কিন্তু পিছন থেকে মেয়েলি ডাকে চমক ফিরে পেলাম। পরনে গায়ে হলুদ এর শাড়ি পরা ও মাথায় গোলাপ ফুলের মুকুটে সাজা মেয়েটিকে চোখ ভরা বিস্ময় নিয়ে দেখে দ্বিতীয় বারের মত চমকে গেলাম।
-কাউকে খুজছেন?
-না মানে আমি একটু অসুস্থ তো
-অসুস্থ তো ভিজতেছেন কেনো আসুন আসুন
.
ভেতর থেকে তোয়ালে নিয়ে আসলো মেয়েটা। মেয়েটির মায়াভরা চোখের দিকে তাকাতে ইতস্তত বোধ করছি। হুট করে অজানা লোকের বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় নেওয়াটা বুঝি ঠিক হলোনা। কিন্তু এত বড় বাড়িতে গায়ে হলুদের জন্য প্রস্তুতকৃত কনে কে রেখে বাড়ির আর সব মানুষ গেলো কই! গায়ে হলুদের আবহাওয়া কই বাড়িতে! এসব বিস্ময়ে বিস্মিত হয়ে মেয়েটির দিকে খেয়াল করছি আর বাড়ির হাব ভাব আঁচ করার বৃথা চেষ্টা করছি। ভেজা জামাকাপড় চ্যাঞ্জ করতে বলে মেয়েটি ভেতরে চলে গেলো। মাথার ফণা আকৃতির খোপা দেখে অভিভূত হলাম, এত বড় খোপা তাহলে চুল কি হাটু অবধি!  এই ভাবতে না ভাবতেই ভেতর থেকে মেয়েটি একটি কাঠের চেয়ার নিয়ে আসলো।
.
বৃষ্টি থেমে গেলো, ভাবলাম এবার হয়তো বাড়ির আর সব লোককে দেখতে পাবো। কিন্তু না কাউকে দেখছিনা। চেয়ারে বসেছিলাম আর বৃষ্টির শব্দে হালকা করে তন্দ্রাবিলাস করছিলাম। বৃষ্টি থামার সাথে সাথে সচকিত হয়ে মেয়েটি ও মেয়েটির পরিবারের লোকদের দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলাম।
.
কিন্তু একি গোটা বাড়ির সব দরজায় তালা ঝোলানো কিন্তু এ দরজায় তালা নেই। কৌতুহলবসত ভেজানো দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলাম কিন্তু মাকড়সার জাল এ মুখ ভর্তি হয়ে গেলো। সব আসবাব পত্রে ধুলি জমেছে অনেকদিন থেকে পরিষ্কার না করার ফলে, পুরো ঘর জুড়ে বিকট গন্ধ এর জন্য। আলমারির কাঁচের ওপারের গায়ে হলুদের শাড়ি আর লাল চুড়িতে দৃষ্টি আটকে গেলো। কাছে গিয়ে আলমারির মরিচা ধরা ছোট্ট তালাটি দেখে দুচোখ ভরা বিস্ময় ও একরাশ ভয় নিয়ে অচেনা বাড়ির ঘর থেকে একপ্রকার দৌড়ে বের হয়ে আসলাম।
.
বাড়িটা থেকে একটু দূরে আসতেই একজনের সাথে দেখা হলো, বাড়িটার কোনও লোককে চেনে কিনা এ কথা জিজ্ঞাস করলে সাথে সাথে একপাটি দাঁত বের করে লোকটা বলছে - হে হে তাইলে আপনারেও ওই হইলদা শাড়ি পরা মেয়েটা ভয় দেখাইছে?
.
অবশেষে জানতে পারলাম যে দু বছর আগে মেয়েটি বিয়ের আগের রাতে  মারা গিয়েছে। ঠিক মারা যায়নি, ভালবাসার মানুষকে ছেড়ে অন্যজনের সাথে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো মেয়েটি। পরে নানারকমের ভৌতিক ও ভীতিপ্রদ ঘটনার কারনে বাড়িটাতে আর কেউ থাকেনা। তবে আমার মত অনেকেই মাঝে মাঝে হলুদ শাড়ি পরা মেয়েটার ভীতিপূর্ণ ছলনার স্বীকার হয় বলে জানতে পারলাম।
.
.
লিখাঃ আমিম এহসান
...............................................................

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ