āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4747 (1)

#শহরের_মেয়েটি

লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদির আব্বু )

পর্বঃ প্রথম  (১ম)



মামনির হাতের স্পর্শে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো ।
একটু ঘুম পারতে দেয়না সকালে ,  সকাল সকাল ম্যাজাজটা গরম করে দিলো।
কিছু বলতে পারিনা কারণ মামনি হয় , কিছু বললে আমি বেশী কষ্ট পাই ।
নিজেই যখন  কষ্ট পাই সেজন্য আর কিছু বলি না।
আর কোনো মা কি চায় তার সন্তানকে কষ্ট দিতে ।
আমি ফজরের নামাজ পড়ে আসার পর একটু ঘুমাতে দেয় না ।
আমার মামনি আমার ভালোর জন্য আমাকে হয়তো সূর্য ওঠা না পযন্ত সকালে ঘুমাতে দেয় না ।
---আব্বু আপনি উঠেন । ( আম্মু )
---মামনি পরে উঠবো এখন আপনি জান তো ঘুম পারতে দেন । ( নাসির ) [ ঘুম ঘুম চোখে ]
---আব্বু উঠেন আর বাজার করে আনেন আজকে ।
---আব্বু তো আছে তাকে বলেন ।
---আপনার আব্বু তো আজকে কোথায় যেন গেলো আর বলে গেছে আজকের সকালের বাজারটা আপনি যেন করে আনেন । ( মাথা বিলিয়ে দিয়ে )
---আব্বু জানে না যে আমি বাজার করতে পারি না ।
---হুম জানে কিন্তু আপনি বলেন , যখন আপনার আব্বু আর আমি থাকবো না তখন কে বাজার করবে বলেন তো ।

মামনির কথাটা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো ।
চোখের কোণে ঝাপসা হয়ে এলো ।
আমি কিছু বলছি না , শুধু মামনির মুখের দিকে তাকিয়ে কান্না করতে মন চাইছে , আর চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে আমি আমার জান্নাতকে কখনো চোখের আড়াল হতে দিবো না ।
মামনি একথা গুলি কেনো বলেন , আমি কতো বার না করার পরেও বলেন কেনো ।
---আপনি রাগ করেছেন আব্বু ।
---( নিশ্চুপ )
---সরি সরি সরি আর বলবো না আব্বু এই কান ধরছি ।
---আমি আপনাকে কতো বার বলেছি একথা যেন কখনো মুখে আনবেন না । ( কেঁদে কেঁদে )
---আরে আব্বু কাঁদছো কেনো । ( নাসিরের চোখের পানি মুছে দিয়ে )
---আপনি তো কাঁদালেন । ( একটু উঠে মামনিকে জড়িয়ে ধরে বললাম )
---আর বলবো না । এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে বাজারে যাও আমি বাজারে লিষ্ট করে রেখেছি ।
---জ্বী মামনি উঠতেছি ।
---আমি টেনে তুলতেছি ।
.
কথাটি বলেই মামনি আমাকে বিছানা থেকে উঠিয়ে দিল ।
---মামনি বিছানার কম্বল গুছিয়ে রাখি তার পর ফ্রেশ হতে যাই ।
---না তোমার ঠিক করতে হবে না ।
---তাহলে একটা পাপ্পি দাও মামনি । ( একটু ছোট হয়ে গালটা এগিয়ে দিয়ে )
---উম্মা । এখন তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও অনেক দেরি হয়ে গেলো । ( মাথার চুল গুলি এলোমেলো করে দিয়ে )

আরে আপনারা ভাবছেন যে প্রথমে আপনি আপনি করে কথা বললো আবার তুমি করে ।
আমার মামনি খুব রাগি । আর যখন রেগে যাবে তখন তুমি করে চোখ বড় করে কথা বলবে ।
আর মামনি খুব ভালো আমাকে আজ পযন্ত  একটা টোকা দেই নি ।
কিন্তু আব্বু আমাকে অনেক মেরেছিল সে যেমনি রাগি তেমনি আমাকে ভালোবাসে ।

থাক এসব কথা অন্য এক সময় বলবো ।
আমি ওয়াশ রুমে চলে গেলাম ।
কিছুখন পর রুম থেকে বের হয়ে মামনির রুমের দিকে গেলাম ।
---মামনি বাজারের লিষ্ট আর ব্যাগ দিন ।
---এই নি ব্যাগ আর বাজারের লিষ্ট ।

বাজারের লিষ্ট আর ব্যাগটা হাতে নিয়ে যাচ্ছি তখন মামনি বলে উঠলো ,
---আব্বু ব্যাগ আর লিষ্ট নিয়ে গেলে কি আপনার শোশুর কি টাকা ছাড়া সব দিয়ে দিবে ।
---ওহ্ মনে নাই মামনি দেন টাকা দেন ।
---এই নি টাকা ।
---মামনি আমি গেলাম ।
---আচ্ছা দেখে যাস ।

আমি টাকা আর ব্যাগ আর বাজারের লিষ্ট নিয়ে বাজারের দিকে রওনা হলো ।
আমাকে দিছে বাজার করতে । যে কি না মামনি ছাড়া আজ পযন্ত নিজের শ্যার্ট , প্যান্ট , জামা কাপড় ইত্যাদি ইত্যাদি কিনতে পারি না সে আজ বাজার করতে যাচ্ছে মনে মনে নিজের প্রতি নিজে হিংসা হচ্ছে ।

বাসা থেকে কিছু দূর হেঁটে চলে এলাম ।
কি দিয়ে কি বাজার করবো বুঝতে পারছিনা । বাজারের লিষ্ট হাতে আছে বেশি সমস্যা হবে না ।
কিন্তু লজ্জা লাগছে পঁচা জিনিস কিনে আনি কিনা , নাকি ভালো জিনিস কিনে আনি ।
ভাবতেছি আর হাঁটতেছি এর মধ্যে ব্রাইভেটের শব্দ পকেট কেঁপে উঠছে ।
ম্যাজাজটা গরম হয়ে গেলো । সালার যাচ্ছি বাজারে এখন কে ফোন দিল । যদি বলি আমি বাজারে যাচ্ছি তখন সে মজা নিবে ।
বিরক্তি হয়ে পকেট থেকে ফোনটা বের করে দেখি আর কেউ না জোকার বন্ধু সায়েম । কি আর করা ফোনটা রিসিভ করে বললাম ,
---হারামজাদা এখন ফোন দেওয়ার টাইম হলো । ( নাসির )
---কি রে দোস্ত তোকে ফোন দেওয়ার জন্য টাইম খুঁজতে হবে । ( সায়েম )
---না যখন আচ্ছা তখন ফোন দিবি , বল কেমন আছিস ।
---এই তো ভালো আছি । তুই ।
---আলহামদুল্লিল্লাহ ভালো । 
---বড় মা কেমন আছে ?
---খুব ভালো । ছোট মা আর মিম কেমন আছে ?
---সবাই ভালো আছে ।
---তোকে বললাম গ্রামে আয় কিন্তু আসলি না ।
---ভালো লাগে না রে গ্রামে যেতে ।
---দেখ এখানে অনেক মজা করছি । সবাই মিলে টং এর দোকানে আড্ডা দেই তুই থাকলে আরও ভালো জমতো রে ।
---সত্যি ।
---হুম সত্যি ।
---আচ্ছা দুই দিন পরে আমি আসছি ।
---সত্যি বলছিস ।
---হ্যারে সত্যি । কি করিস ।
---বাজারে যাচ্ছি ।
---কিহ্ তুই বাজারে যাচ্ছিস হাহাহা ।
---হারামজাদা একদম হাসবিনা ।
---হাহাহা আমা হাহা আমার হাসি থামছে না ।
---ম্যাজাজ কিন্তু গরম করবি না ।
---আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে তুই পঁচা পঁচা সব জিনিস কিনে আনবি হাহাহা ।
---চুপ হাসবি না ।

ধ্যাত ম্যাজাজটা গরম হয়ে গেলো ।
এতখন যার সাথে কথা বললাম সে হলো আমার চাচাতো ভাই সায়েম , মানে ছোট চাচ্চুর ছেলে ।
হারামজাদা অনেক ফানি করে আমার ওকে খুব ভালো লাগে ।
যেখানে যাই না কেনো আমরা দুজনে এক সাথেই যাই ।
আমি আর সায়েম সম বয়সী শুধু তাই না যা করি দুজন ভাগে করি ।
থাক এসব কথা ।

এখন বাজারের দিকে যাই ।
কিছুখন যাওয়ার পর একটা গাছের কাছাকাছি এসেছি ।
তারপর গাছটি পাশ দিয়ে যাচ্ছি ।
তারপর তখন মনে হলো কেউ আমাকে ডাকছে ।
তখন পিছন দিকে ফিরে তাকালাম ।
তাকাতে তো থ্ মেরে গেলাম ।
আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি বাস্তবে দেখছি ।
এটাতো অপ্সরী । এতো সুন্দর চেহারা টানা টানা হরিণের মতো দুটি চোখ , চুল গুলি কিছু গোল্ডেন কার্লার করা , মুখটি গোল আকার , ঠোঁটের নিচে একটি তিল আছে বাহ্ সব মিলিয়ে পারফেক্ট ।
---এই যে কি দেখছেন । ( মেয়েটি )
আহ্ কিহ্ কি মিষ্টি কন্ঠ ।
---কি দেখছেন এমন করে ।
---কি কিছু না ।
---উহ্ ।
---কি হয়েছে ।
---দেখতে পাচ্ছেন না চোখের ভেতর কি যেন ঢুকে পরেছে ।
---আমি কেমনে করে দেখবো আপনি তো চোখ ধরে আছি ।
---প্লিজ পোকাটা বের করে দেন আমার খুব কষ্ট হচ্ছে ।
আহ্ এমন করে কথা বলছে যে কেউ প্রেম পরতে দ্বিধাবোধ করবে না ।
---আচ্ছা হাতটা সরান আমি বের করে দিচ্ছি ।
আমি আমার পকেটে থেকে রুমাল বের করে ।  মেয়েটির চোখের কোণে পোকা দেখতে পাচ্ছি ।
---আহ্ খুব লাগছে ।
---আর একটু সহ্য করুন ।
---পারছিনা তো ।
---আর একটু , আর একটু হ্যা বের হয়েছে ।

মেয়েটির চোখ  মুখ লাল হয়ে গেছে । চোখ দিয়ে পানি পরছে ।

কোথায় থেকে একটা মেয়ে এসে ঠাসসসসসস করে লাগিয়ে দেয় নাসিরকে ।
আমি গালে হাত দিয়ে থ্ হয়ে দাড়িয়ে আছি আর ভাবতেছি এই মেয়েটিকে আর কেনো ঠাসসস করে মেরে দিলো ।



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।

#শহরের_মেয়েটি

পর্বঃ দ্বিতীয়  (২য়)



---ফাজিল ছেলে মেয়েদের দেখলে দিষ্টাব করতে ইচ্ছে করে ।
---রাত্রী আসলে ও ।
---তুই চুপ কর আমি কি করি দেখ ।
---আপনি এগুলি কি বলছেন ।
---আমি নিজের চোখে দেখত পারছি নিহা কাঁদতে নিশ্চয় তুই কিছু করেছিস যেটা সহ্য না করে কাঁদতেছে ।
---আপনি কিন্তু ভুল বুঝছেন ।
---চুপ আবার কথা কস তোদের মতো ছেলেকে আমার ভালো করে চেনা ।

মনে হচ্ছে মেয়েটিকে মাথায় তুলে দেই একটা আছাড় । আছাড় দিলে রাগ মিটবে না কুচি , কুচি করে কেটে মাছ দিয়ে খাওয়াতে মন চাইছে ।
কথা গুলি কয় কি । কিছু না শুনে , না জিঙ্গেস করে এসে বড় বড় কথা বলছে ।
আমি আর দেরি না করে ওখান থেকে চলে আসলাম ।
আসার সময় ( মানে সেই মেয়েটি যার চোখে পোকা ঢুকে গিয়েছিল ) নিহা অনেক ডেকেছে কিন্তু পিছনের দিকে না তাকিয়ে সোজা বাজারে এলাম ।

বাজারে এসে আরও রাগ উঠে গেলো , কোনটার দাম কি আমি তো জানি না ।
অতঃপর
মামনির সেই লোকের কথা বলেছিলো । আমি তার কাছে গেলাম তারপর সে আমাকে দেখিয়ে দিল কি ভাবে বাজার করতে হয় আর কোনটার দাম কত বলে দিল ।

তারপর বাজার করে আনলাম ।
মাথাটা এখনো গরম আছে । বাজার করতে এতো ঝামেলা কাজ জানতাম না ।
বাজার নিয়ে বাসায় ঢোকা মাত্র আমার দিকে তাকিয়ে বললো ,
---গালে কি হয়েছে ।
---কো কোথায় ।
---গাল লাল হয়েছে যে ।
---কি বলি এখন মামনিকে । মনে মনে
---কি হলো কথা বলছিস না যে ।
---না মানে একটা মশা গালে পরেছিল তখন মারতে গিয়ে লেগে গেছে ।
---আমার ডয়ারে মেডিসিন আছে লাগিয়ে নিস ।
---জ্বী মামনি ।

বলেই  রুমে চলে এলাম । ভাবতে লাগলাম নিহা কত সুন্দর করে কথা বলে আর রাত্রী ডাইনি মত ।
নামটা বলেছিল শুনে ছিলাম তখন ।

পরের দিন বিকালে ,
বিকালে টং এর দোকানে আড্ডা দিচ্ছি । দোকানটা রাস্তার সাথে নিরিবিলি জায়গা , হালকা বাতাস , চারপাশে প্রাকৃতি দৃশ্য , আসে পাশে বাড়ি ঘর নেই সব মিলিয়ে বেশ পারফেক্ট জায়গা ।
সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম সায়েম এসেছে আজকে । হঠাৎ করে গান ছেড়ে সবাই চুপ হয়ে গেলো , তাই আমি বললাম ,
---কি রে সবাই চুপ হয়ে গেলি যে , আর পিছনে হা করে কি দেখছিস ।
সায়েম বললো ,
---পিছনে দেখ ।
---পিছনে দেখ মানে ।
বলেই পিছনে তাকালাম । আমি দেখে চোখ ফেরাতে পারছিনা । দেখি কালো একটা পেত্নি দাড়িয়ে আছে ।
আরে ভাবছেন পেত্নি ।  আসলে পেত্নি না কারণ কালো কালারের একটা জামা পরেছে , ঠোঁটে হালকা গোলাপি কালারের লিপিষ্টিক নিয়েছে , মুখে এক বস্তা ময়দা মেখেছে সব মিলিয়ে সুন্দর দেখাচ্ছে ।
---এই যে শুনছেন । (নিহা)
আমি পিছনে ওদের দিকে তাকালাম আর বললাম ,
---আবির তোকে ডাকছে মনে হয় যা । (নাসির)
---আমাকে ডাকছেন । (আবির)
---আপনাকে না ।
বলেই আমাদের কাছে আসলো । আমার কাছে এসে আমার হাতটা ধরে বললো ,
---চলেন সামনে একটু হেঁটে আসি ।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিনা ।
আবার বললো ,
---চলেন তো ।
বলেই হাতটা ধরে আমাকে নিয়ে চলে এলাম । গন্তব্য কিছুখন এই বিকালে হাঁটবে ।
আসার সময় শুনতে পেলাম ওরা যার যার মতো মন্তব্য করছে দেখ নাসির এমন ভাব নিলো যে মেয়েটিকে চেনেনা , তলে তলে এতো দূর দেখাবো নি , দেখ এতো দিন আমাদের গার্লফেন্ডকে নিয়ে মজা করতো হারামজাদা কালকে আসুক মজা দেখাবো ইত্যাদি ইত্যাদি ।

দুজনে হাঁটতে রাস্তা দিয়ে । হালকা হালকা বাতাস ভয়ছে । নিহা একটু বাদে বাদে তার সামনের কিছু চুল গুলি সরাচ্ছে । বাতাস এসে নিহার কিছু চুল এলোমেলো করে দিচ্ছে ।
আমি নিহার দিকে তাকাচ্ছিনা কিন্তু আর চোখে দেখছি । আমার ইচ্ছে করছে চুল গুলি সরিয়ে দেওয়ার ছলে কপালটা একটু ছুঁয়ে দেই ।
না এটা ঠিক না নিহা তো আমার কিছু হয়না । কেনো এগুলি ইচ্ছে করছে নিহাকে তো ভালো করে চিনিনা জানিনা , এটা মনে হচ্ছে কেনো আমার ।
তখন নিহা বললো ,
---কিছু চিন্তা করছেন ।
---না কিছু না ।
---তাহলে মুখ পেঁচার মতো করে আছেন কেনো ।
---না মানে ।
---আমার এরকম নীরব ভালো লাগে না কিছু বলেন তো ।
---আমি না নিজে থেকে কিছু বলতে পারিনা ।
---হাহাহা ।
কথাটা শোনার পর হাসতে লাগলো ।
বাহ্ অসাধারণ লাগছে । আগে কাউকে এতো কাছে থেকে হাসতে দেখি নি তো তাই ।
---অমন কি করে দেখছেন ।
---ক কই কি কিছু না ।
---হাহাহা ।
আবার হাসতে থাকে ।
আবার বললো ,
---কি করেন ।
---আব্বুর টাকা ধংস করছি ।
---মানে ।
---কিছু করি না । আপনি ।
---অনার্স ফাইনাল বর্ষ । কেনো পড়াশোনা করেন না , নাকি জব করেন ।
---পড়াশোনা শেষ করেছি । এখনও চাকরিতে জয়েন করি নি ।
---কেনো চাকরি করবেন না ।
---হুম করবো ছোট আঙ্কেলের অফিস তো তাই কয়দিন ইচ্ছে মতো ঘোরাফেরা করছি । চাকরিতে জয়েন করলে তো আর ইচ্ছে মতো ঘোরাফেরা করা যাবে না ।
---ও এতো বৃদ্ধি মাথায় ।
---হুম । আপনার বাসা কোথায়।
---ঢাকা শাপলা চোক্কর। কেনো।
---এমনি।
---আচ্ছা প্রেম করেন নাকি ।
---কি যে বলেন না ।
---কেন ।
---এখনো পাইনি মনের মতো কাউকে ।
---তা কেমন মেয়ে পছন্দ আপনার ।
---আমার মামনিকে এবং আব্বুকে নিজের আম্মু আব্বুর মতো ভালোবাসতে হবে । আমাকে কোম ভালোবাসলে হবে কিন্তু মামনিকে আর আব্বুকে বেশি ভালোবাসতে হবে ।
সে আমাকে কখনো ভুল বুজবে না,  বাট যদি ভুল বোজো তাহলে আমাকে ভুল সংসদন করতে সময় দিবে আরও অনেক কিছু।
পরে এক সময় যদি দেখা হয় বলবো।
---খুব ভালো তো আপনি।
---কেনো ।
---আপনার আম্মু আব্বুকে খুব ভালোবাসেন।
---হুমম চেষ্টা করি কষ্ট না দেওয়ার জন্য।
আমার দিককে কেমন করে তাকালো কথাটা শোনার পর।। আর বললো,
---তা আপনার হাতটা ধরতে পারি একটু।
---মানে।
---ক কই কিছুনা।
---মিথ্যে বলেন ক্যানো।
---আরে কই ,  আমাকে একটু বাড়ি পৌঁছে দিবেন।
---আচ্ছা চলেন সন্ধা হচ্ছে এখন যাওয়া যাক।
---আচ্ছ চলো।

পশ্চিম আকাশে সূর্যটা লুকিয়ে পরেছে।
একটু একটু অন্ধকার হয়য়ে আসছে।
ভালো লাগছিল রোমনির সাথে হাঁটতে।
যেকেউ হাঁটলে ভালো লাগবে।
সেখান থেকে তাদেরর বাসার দিকে রওনা হলাম।
উদেশ্য তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ।

তাদের বাসার সামনে কাছাকাছি এসেছি।
আমি নিহার পিছনে আছি।
তাদের বাসার ছাঁদের দিকে চোখ পরতে দেখি সে মেয়েটি।
মেয়েটি বললে ভুল হবে নিহার চেয়ে অনেক বড়।
আমাকে দেখে ছাঁদ থেকে নেমে আসছে।
আজকে হয়তো কিছু বলবে না।
তাদের গেটের সামনে দাড়িয়ে পরলাম।

আমি নিহাকে বলাম ,
---আচ্ছা আপনি যান এখন।
---চা খেয়ে যান।
---না থাক অন্য দিন খাবো ,  আমি এখন যাই।
তখনি নিহা পিছন ফিরে যাবে তখন আর যেতে পারছে ।
কারণ তখন ভুল বসতে তার চুমকির করা ওরনাটা আমার শ্যার্টের হাতার বোতামের সাথে আটকে যায়।
সেটা দেখে ফেলে গেট থেকে বের হয়ে ।
.
---ঠাসসসসসসসসস......



চলবে পরবর্তী পর্বে।।।

#শহরের_মেয়ে

পর্বঃ তৃতীয়  (৩য়)



---ঠাসসসসসসসসস......
গালে হাত দিয়ে ভাবতে লাগলাম এইটা কি হলো আজকেও ঠাসসস ।
গালটা কি সরকারি সম্পদ পাইছে নাকি যখন কিছু ঘটবে শুধু মার খেতে হবে ।
---এই ফাজিল ছেলে সেদিন মার খেয়ে লজ্জা হয় না আজকে পিছু পিছু এসে আবার ওড়না ধরে থাকিস ।
---আপনি কিন্তু আবারও ভুল করছেন আমি কিন্তু ইচ্ছ....
---চুপ কর তোদের মতো ছেলেকে আমার ভালো করে চেনা আছে ।
---আপু ওনা আমাকে বাড়ি পযন্ত...
---তুই চুপ কর । আমি ছাঁদে থেকে দেখে বুঝতে পেরেছি তোর পিছু নিয়েছে ।
---আপনি কিন্তু পুরো কথা না শুনে কিন্তু মাথা গরম করছেন ।
---পুরো কথা শুনতে হবে না । তোদের মতো ছেলেদেরকে দেখে বোঝা যায় কি করতে পারিস ।
---আপু ও পিছু নেই নি..

আমি আর কথা না বলে সেখান থেকে চলে এলাম ।
আসার সময় শুনতে পেলাম নিহা বললো আমি থাকবো এখানে ।
ম্যাজাজটা গরম হয়ে গেলো । মেয়ে নাকি #গুন্ডী_মেয়ে বুঝতে পারছি না ।
কিছু বলতে পারছি না মেয়ে বলে কথা ইভটিজিং ক্রেস এ ফাঁসিয়ে দেয় ।

বাসায় এসে সোজা রুমে গিয়ে ডিপ বাতি জ্বালিয়ে দিলাম । কারণ গালে তো আজকেও চিহ্ন আছে । যদি আজকেও মামনি দেখে তাহলে কি বললো ।
মিথ্যে বললে তো মামনি যদি জানতে পারে তাহলে তো আমাকে শেষ করে ফেলবে ।
---কি রে আজ নামাজ পড়তে যাসনি । আর ঘরে লাইট বন্ধ করে কি করিস ।
মামনি লাইটের সুইচ অন করতে যাচ্ছে ।
এখন কি করি যদি দেখে তাহলে কি হবে ।
কি করি কি করি এখন ।
---মামনি আমার ভালো লাগছে না লাইট দিয়েন না ।
লাইট না দিয়ে আমার কাছে এসে বললো আর বললো ,
---কি হয়েছে তোর ।
---কই কি কিছু না ।
---আপনার কি হয়েছে । (রাগি কন্ঠে)
কাম সারছে রাগ উঠেছে মামনির ।
---জ্বী মাথা ব্যথা করছে ।
---জ্বর আসছে তো । (কপালে হাত দিয়ে)
---ও কিছু না মামনি এমনি সেরে যাবে ।
---চুপ থাক , সায়েম কোথায় ।
---জানি না । হয়তো টং এর দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে ।
---আচ্ছা থাক আমি সায়েমকে ফোন করেছি মেডিসিন আনতে ।
---জ্বী ।
---আমি ক্রিম নিয়ে আসছি কপালে লাগিয়ে দিচ্ছি ।
চলে গেলো ক্রিমের জন্য ।
তারপর এনে যে কথা সেই কাজ লাগিয়ে দিচ্ছে ।
যাওয়ার আগে বলে গেলো ,
---এখন জানি ল্যাপটপে গেম খেলোনা ।
---কেনো মামনি ।
---স্কিনের আলোতে আরও বেশি মাথা ব্যথা করবে । সো আমি চলে যাওয়ার পর ঘুমিয়ে পর আধঘন্টা পর ডেকে তুলে খাইয়ে দিবো ।
---জ্বী মামনি ।
---আচ্ছা আমি বাহিরে থেকে দরজা লাগিয়ে দিচ্ছি ।
বলেই চলে গেলো ।
.
দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললাম বাঁচা গেলো ।
---বাঁচা গেলো মানে । মামনি দরজা খুলে উঁকি দিয়ে
---ক কই কি কিছু না মামনি ।
---পাগল একটা । (মিষ্টি হাসি দিয়ে)

ওহ্ বাঁচা গেলো । আল্লাহ তুমি বাঁচালে ।
মেয়েটা শেষে হাত ধরতে চাইলো কেনো । আর আমি কোন প্রেম করিনা শুনে ওমন করে তাকালো কেনো । আর এরকম হাসছিল কেনো ।
সে কি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে নাকি ।
ধ্যাত কি যে ভাবিনা আমি সে তো অতিথি আর আমার যে চেহারা ও কেনো কালো মেয়ে পছন্দ করবেনা ।
এগুলি ভাবতেছি এর মধ্যে লাইটের আলোতে ভাবনার ছেদ পরলো ,
---লাইট জ্বালালী কেনো ।
---কেনো লাইট জ্বালানো জন্য তোর পারমিশন নিতে হবে নাকি ।
---না ।
---তাহলে , আর গালে কি হয়ছে রে । (হাসতে হাসতে)
---তাড়াতাড়ি দরজা লাগা মামনি আসতে ।
---কেনো ছোট মা আসলে কি হবে ।
---কথা না বলে দরজা দে ভাই ।
---দিচ্ছি ।
.
---এখন বল গালে কি হয়েছে ।
---চড় মেরেছে গালে ।
---কেনো আকাম কুকাম করছিলি নাকি ।
---না রে কিছু হয়নি ।
---তাহলে ।
---নিহা মারেনি ।
---বাহ্ নামটা তো সুন্দর । কিন্তু কে মেরেছে ।
---এর নাকি আপু হয় সে মেরেছে ।
---হাহাহা কেনো তাকে কি...
---আরে সেটাও না প্রথম দিন ও মেরে ছিলো আজকেও ।
---মানে দুই বার মার খেয়েছিস ।
---হুম খুব রাগি ।
---মনে হয় তুই আকাম কুকাম করছিস ।
---ম্যাজাজ গরম করিস না যদি মামনি শোনে তাহলে খাওয়া দাওয়া বন্ধ ।
---হাহাহা ।
আমি চোখটা বড় বড় করলাম তবুও হাসি থামছে না ।
এর মধ্যে মামনি ডাকতে এলো ।
---খেতে আয় ।
---আসছি ছোট মা ।
---তাড়াতাড়ি আয় ।
---চল খেতে যাই ।
---পাগল হয়লি নাকি ।
---কেনো রে আমি পাগল হবো মানে ।
---দেখছিস যে লাইট অফ করছি কোন কারণে ।
---ওহ্ আমার তো মনে নাই হাহাহাহা ।
---একদম হাসবি না আর একবার যদি হাসিস তাহলে দেখ কি করি ।
---আচ্ছা আমি যাচ্ছি আর ছোট মাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি ।
---লাইটা অফ করে যাস ।
---ওকে ।
হেসে মাথা গরম করে দিলো । আমি আছি প্যারা আর আমাকে নিয়ে মজা নেয় ।
---লাইট দিবো ।
---আমি কিছু করি নি ।
---কিছু করি নি মানে ।
---কি কি কিছু না মা মামনি ।
---এরকম করছিস কেনো ।
---কই কিছু না ।
---তাহলে একটু আগে যে বললি ।
---ও কিছু না স্বপ্ন দেখেছি মনে হয় ।
---দ্বারা আমি লাইট দেই ।
মামনি লাইট জ্বালিয়ে দেয় ।
---মামনি আমার লাইট ভালো লাগছে না ।
---চুপ করে বস আর গালে কি হয়ছে ।
---সায়েমের সাথে একটু লেগে গেছে ।
---তোরা না এখনো । আচ্ছা এখন খাইয়ে দিচ্ছি ।
---হুম দেন ।
---হা কর ।
---হাআআআআআ ।
আম্মু খাইয়ে দিচ্ছি আর আমি খাচ্ছি । বেশ ভালো লাগছে কিন্তু মাঝখানে সায়েম এসে ভাগ ধরলো ।
কি করা ছোট থেকে এরকম করে ভাগ নেয় ।
আমিও সায়েমকে খুব ভালোবাসি সায়েম আমাকেউ ।
আম্মু বলে তার দুটি ছেলে ।
এখন খাওয়া শেষ এখন ঘুম পারতে হবে ।


সকালে নামাজ পড়ে আসলাম ।
নিহার কথা একটু মনে পরে গেলো । একটু সেই বাড়ির দিকে যেতে চাইলাম কিন্তু কালকের ব্যপারের কথা মনে করে আর গেলাম না ।
আজকে একটু এক জায়গায় যেতে হবে ।

একদিন পর ।

আমি আর সায়েম আজ বিকালে একটু বের হলাম টং এর দোকানের দিকে আড্ডা দেওয়ার জন্য ।

আড্ডা দিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম আমি আর সায়েম ।
কিছুখন হাঁটার পর সেই বাসার সামনে আসলাম ।
একটু উঁকি দিলাম কেউ ছাঁদে আছে কি । কেউ নেই তখন আবার হাঁটা দিলাম । মনে হচ্ছে কেউ পিছন থেকে ডাকছে । আমি পিছনে ফিরে তাকালাম দেখি #গুন্ডী_মেয়ে নিহার বড় বোন । আমি দাড়িয়ে বললাম ।
---আমাকে ডাকছেন আপু ।
---ওই তোরে না তোর পাশের জন্যকে ডাকছি । (চোখ বড় বড় করে)
---তাহলে আপনারা কথা বলেন আমি সাইডে দ্বারাই ।
---ঠাসসসসসস




চলবে পরবর্তী পর্বে।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদির আব্বু )



শীঘ্রই আসবে পরবর্তী পর্ব ।।।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ