āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4746 (6)

#ভাড়াটে_গার্লফেন্ড

পর্বঃ ষষ্ঠদশ ( ১৬তম )



রাতের খাবার খেয়ে ছাদে আসছি । আজ সায়েমের কথায় বিশ্বাস হচ্ছে না । এরকম করতে পারলো মিষ্টি । আসলে কি আমাকে ভালোবেসে ছিলো নাকি টাইম পাস ।
ফোনটা কেঁপে উঠলো । পকেট থেকে ফোনটা বের করে দেখি সায়েম ফোন দিচ্ছে ।
---হ্যালো ।
---হ্যা বল ।
---আসলে তখন ওভাবে কথাটা বলা ঠিক হয়নি আমার কিছু মনে করিস না দোস্ত ।
---ঠিক আছে ।
---আসলে তোকে কতো বার বলেছি তুই ওকে ভুলে যা কিন্তু তুই ওকে ভুলতে পারছিস না কিন্তু ও তোকে ঠিক ভুলে সংসার করছে ।
---আর শুনতে মন চাইছে না প্লিজ আর কিছু বলিস না ওর সম্পর্কে ।
---হুম যা আর কিছু বলবোনা আর শোন ।
---বল ।
---যে মেয়েটা তোর সাথে গার্লফেন্ডের অভিনয় করেছে তার কোনো বয়ফেন্ড আছে ।
---মনে হয়না আছে কারণ আজ পযন্ত বলেনি তার কোন বন্ধু আছে কেনো ।
---তাকে বিয়ে কর ।
---তুই পাগল নাকি ।
---ভেবে দেখিস ।
---হ্যালো ... হ্যালো ..
.
ধ্যাত ফোনটা কেটে দিলো ।
.
কিছুখন দাড়িয়ে থেকে ছাঁদ থেকে নেমে আসবো তখন পিছনে ফিরে দেখি মাহি । কিছুটা ভয় খেলাম সব শুনেছে নাকি । আমার দিকে তাকিয়ে আছে । আমার দিকে তাকিয়ে আছে কেনো কিছু হয়েছে ।
---আপনি কার সাথে কথা বলছিলেন ।
.
সে দাড়িয়ে সব শুনছে নাকি ।
---কেনো ।
---সে আমার সম্পর্কে কি বলেছে ।
.
সে তো সব শুনেছে । কি করি এখন ।
---কি ভাবছেন ।
---কই কিছু না তো ।
---তা হলে বলেন ।
---না মানে বলছিলো ।
---কি বলছিলো ।
---আপনার যদি বয়ফেন্ড না থাকে তাহলে আপনাকে বিয়ে করতে ।
.
আমার কথাটা শুনে মাহি আমার চোখের দিকে তাকালো ।
---কে ।
---সায়েম বলেছে ।
---ও ।
.
আমি আর কিছু বললাম না মাহি কথাটা শোনার পর আমার দিকে কেমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।
.
মাহি আমার দিকে এগিয়ে আসলো । মেয়েটার মতলব কি আমার দিকে এগিয়ে আসলো কেনো ।
আরে হাত ধরবে নাকি ।
এটা কি করলো আমার হাত ধরলো কেনো ।
---আপনি কি....
.
হাতটা দিয়ে মুখটা চেপে ধরলো ।
---চুপ ।
.
মাহির চোখে দুষ্টুমি ভাব  এরকম করছে কেনো ।
আমি ঠিক থাকতে পারছিনা । শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে । ঘেমে যাচ্ছি আমি । এরকম হচ্ছে কেনো আমার ।
---লিমিট ক্রস করছেন কিন্তু ।
---পিছনে তাকিয়ে দেখেন কে ।
---কে ।
---আপনি দেখুন ।
.
আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি মারজিয়া দাড়িয়ে । আরে এখানে কি এক এক করে সব এসে জমা হবে নাকি ।
___এখা... এখানে কেনো ।
___কিছু না বলে অভিনয় করে যান না হলে মিঃ মাহিম ধরা পরে যাবেন ।
___কি... কিহ্ ।
___কি না হ্যা ।আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি মারজিয়া দাড়িয়ে । আরে এখানে কি এক এক করে সব এসে জমা হবে নাকি ।
___এখা... এখানে কেনো ।
___কিছু না বলে অভিনয় করে যান না হলে মিঃ মাহিম ধরা পরে যাবেন ।
___কি... কিহ্ ।
___আপনি...
___আপনি না তুমি ।
.
এই মেয়ে কি চায় । কেমন জানি পাল্টে গেছে ।
.
মারজিয়া কাছে এসে কাশি দিলো । তখন মাহি আমাকে ছেড়ে দিলো ।
এমন ভাব করছে যেন সত্যি কিছু হয়েছে আমাদের ।
___ভাইয়া স্যরি ঠিক সময়ে এসেগেছি আমি ।
..
মারজিয়া কথাটা বলেই চলে যেতে লাগলো ।
___আরে কই যাস ।
___রুমে যাই এখানে থাকা ঠিক হবে না ।
___মানে ।
___যা চোখে দেখলাম ।
___আসলে তুই যা দেখেছিস সেটা হলো অ....
.
কথাটা বলতে দিলোনা মাহি তার আগে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলো আর বললো ,
___এই তুমি এতো বেহায়া কেনো  তুমি এসব কি বলছো মারজিয়াকে । সব কথা বলতে হবে নাকি আমার লজ্জা করে না । তোমার মুখে কি কিছু আটকায় না আমরা কি করছি সব বলে দিতে হবে ।
.
এমা এই মেয়ে কয় কি সব কিছু মানে । আমরা তো কিছুই করি নি । মেয়েটা খুব সিরিয়াস রে বাবা কি বলছে এসব ।
মারজিয়াকে বললো ,
___এই তোমার কি লজ্জা করে না বড় ভাই আর ভাইয়ের গার্লফেন্ড কি করছে সব শুনতে হবে মাথা কি গেছে নাকি ।
___আসলে ভাবি আমি....
___আমি ভাবি না এখন যখন হবো তখন বলবে ।
___আসলে আপু আমি তো শুনতে চাইনি ভাইয়া তো বললো ।
___তোমার ভাইয়া এক গাধা প্রেমিকার সাথে কি করছে সব বলে দিচ্ছে আর তুমি শুনতে চাচ্ছো  ।
___আসলে মারজিয়া এসব মিথ্যা কথা ।
___কি বললে মিথ্যে কথা হু ।
___ভাবি ... ধ্যাত আপু আমি বুঝতে পারিনি ।
___এখন বুঝতে পেরেছো তো এখন দাড়িয়ে কেনো যাও ।
___হুম যাচ্ছি ভাবি .... ধ্যাত আপু ... আমি আপু বলতে পারবোনা ভাবি বলবো ।
___ঠিক আছে যাও এখন তোমার ভাইয়া রেগে আছে রাগ ভাংঙ্গাতে হবে ।
___হুম যাচ্ছি ভাবি আর ভাইয়াকে একটু বেশি ।
___কিহ্ ।
.
মারজিয়া ভোঁ দৌড় দিলো ।
.
মাহি তখন হাতটা ছেড়ে দিলো ।
মেজাজটা গরম করে দিয়েছিলো । কিছু করার নেই সামনে ছোট বোন থাকাতে কিছু বলতে পারি নি ।
হাতটা ছেড়ে দিয়ে দাড়িয়ে আছে । মুখে ভয়ের ছাপ মনে হচ্ছে একটা লাগিয়ে দেই কিন্তুু তা আর পারলাম ।
---আপনার সাথে কথা আছে রুমে আসেন ।
.
আমার কথাটা শুনে চুমকে উঠলো । হঠাৎ এই কথা বলে উঠলাম ।
---কেনো ।
---বেশি কথা পছন্দ করি না ।
---না মানে বলতে চাইছিলাম যে কথা এখানে কথাগুলি বলা যায় না ।
---না । আমার রুমে আসেন ।
.
বলেই চলে এলাম । আসার সময় মাহির মুখটা ভয়ের ছাপ আছে ।
আমি ছাঁদে থেকে রুমে চলে এলাম ।
একটু পর দেখি মাহি আসলো ।
আমি গিয়ে দরজা আটকে আসলাম । আমার দরজা আটকানো দেখে বললো ,
---আপনি দরজা দিলেন কেনো ।
.
আমি কিছু বললাম না । তার দিকে স্থির পায়ে যেতে লাগলাম । মাহি দেখি খুব ভয় পাচ্ছে কিছু ভেবে পাচ্ছে না মনে হচ্ছে । তার এই অবস্থা দেখে আমি আরও কাছে যেতে লাগলাম মাহি আরও ততো ভয় পেতে লাগলো ।
আমি ধিরে ধিরে মাহির কাছে যেতে লাগলাম মাহি ধিরে ধিরে পিছুতে লাগলো ।
আমি যতো তার দিকে যাচ্ছি মাহি ততো ভয় খেয়ে পিছুতে লাগলো । পিছনে কি আছে সেটার খেয়াল করছে না বরং কিছু ভাবছে না ।
পিছুতে পিছুতে খাটের সাথে পা লেগে খাটের উপরে বসে যায় । অনেক ভয় পাচ্ছে মেয়েটা । আর কেনই বা পাবে না এরকম একটা ছেলে ঘর আটকিয়ে তার দিকে এগুতে লাগলে যে কারও ভয় পাবে ।
মাহি কিছু বলতে চায়ছে ঠোঁট দুটি কাঁপছে কিন্তুু বলতে পারছে না । অনেক টেনশনে আছে একবার আমার দিকে তাকায় আবার আশে পাশে তাকায় ।
তখন মাহি ঠোঁট দুটি কেঁপে উঠছে কিছু বলতে চায়ছে মনে হচ্ছে ।
---আপনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেনো ।
---আপনাকে আমি ।
.
কথাটা বললাম না পুরোপুরি কারণ দেখি কি করে ।
মাহি ভয় পেয়ে গেছে কথাটা শুনে ।
---আপনি আ..আমাকে কি..কি করবেন ।
.
আরে কাজে লেগেছে আইডিয়াটা ।
---হাহাহাহাহা ।
---এমন করে হাসছেন কেনো ।
---আরে এমনি ভয় খেয়েছো নাকি ।
.
আমার কথাটা শুনে সাভাবিক হয়ে গেলো ।
তবুও ভয়ের একটা ছাপ আছে তার মাঝে ।
---আরে ভয় খেলে নাকি ।
---না মানে ।
---আরে ভয় কেনো পাচ্ছো ।
---আপনার ইয়ে দেখে ।
---আরে... ধ্যাত বাদ দাও ওসব কথা ।
.
আমার একথা শুনে আরও অবাক হলো । এটা কি হচ্ছে  বুঝতে পারছে না ।
---আরে কথা বলো না কেনো আর ভয় নাই তুমি চিন্তা করোনা । আমি এমন কিছু করতে চাই না যাতে তোমার কোন কিছু হয় ।
---নিশ্চুপ ।
---আরে মজা করছিলাম এতখন দেখি কি রকম ভয় পাও ।
---নিশ্চুপ ।
.
আমি কথা বলছি আর মাহি শুধু তাকিয়ে আছে আমার দিকে কোনো কথা বলছে না । আমি এরকম অবস্থা দেখে বুঝলাম অনেক ভয় পেয়েছে ।
---আরে ভয় কেনো খাচ্ছো ।
---নিশ্চুপ ।
---আচ্ছা আমি বুুঝতে পেরেছি তুমি অনেক ভয় খেয়েছো ...  বাদ দাও যেটা বলতে চাইছি সেটা শোন । এমন কিছু করতে  যেওনা যাতে আমি সেটা সহ্য করতে পারি । তোমাকে সেই প্রথম দিন বলেছিলাম আমি মিষ্টিকে ছাড়া কাউকে চাইনা সো আমাকে সেভাবে ব্যবহার করবে । আর এমন কিছু করবে না যাতে আমি কষ্ট পাই মিষ্টিকে ভেবে তোমাকে কিছু করে ফেলি সো এতে তোমার কাছে খারাপ লাগতে পারে । আর বিশেষ করে #ভাড়াটে_গার্লফেন্ড  তুমি সেটা মাথায় রাখবে । আর সব সময় ভেবে চিন্তে কিছু করবে যাতে তোমার স্পর্শে আমার সেই স্মৃতি ভেসে আসে এতে আমার অজান্তে কিছু করে ফেলি । সো আমি চাইনা আর কিছুদিন আছে এতে দুজন কষ্ট পাই । সো আমার কথাগুলি মনে থাকে যেনো । আর পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিবে এরকম ব্যবহার করার জন্য ।
.
কথাগুলি বলে রুম থেকে বের হয়ে অন্য রুমে চলে এলাম শুয়ে পরবো ।
আসার সময় লক্ষ করলাম দেখি মেয়েটা কাঁন্না করছে ।
আমার কিছু করার নেই মেয়েটা হয়তো আমাকে পছন্দ করে কিন্তুু আমি যে মিষ্টিকে ছাড়া কাউকে ভাবতে পারি না ।
.
রুমে এসে শুয়ে পরলাম । ভাবতে লাগলাম কাজটা ঠিক করি নাই । আরে আমি কেন করলাম বুুঝতে পারলাম না । তার প্রতি কোন দূর্বলতা কাজ করে না ।
ধ্যাত এগুলি ভাবতে ভালোলাগছে না  ঘুমিয়ে গেলাম ।
.
সকালে খেতে বসেছি । সবাই খেতে বসেছে সবাই খাচ্ছে কিন্তুু মাহি খাচ্ছেনা সেটা কেউ দেখছেনা । মামনি লক্ষ করছেনা আমি আর চোখে দেখলাম । আরে রাতে মনে হয় খুব কেঁদেছে বুঝতে পারছি চোখ দুটি দেখে ঘুম পারে নি ।
এটা লক্ষ করলো কেবল তখন মামনি বলে উঠলো ,
---কি রে মা খাচ্ছিস না কেনো কোন সমস্যা ।
.
মামনির কথায় চুমকে উঠে মাহি ।
---না আন্টি ।
---তাহলে খাচ্ছিস না কেনো ।
---খাচ্ছি তো আন্টি ।
---তাহলে খা মা ।
.
কথাগুলি শুনে বুঝতে পারলাম কাল রাতের কথায় কষ্ট পেয়েছে । আমার কিছু করার নেই ।
মারজিয়ার কথায় ভাবনা গুলি ছেঁদ পরলো ,
---কি রে ভাইয়া তুই ভাবির দিকে তাকিয়ে কি ভাবছিস ।
.
মারজিয়ার কথা শুনে সবাই আমার দিকে তাকালো ।
---আরে কিছু না ।
.
তখন মাহি বলে উঠলো ,
---আন্টি একটা কথা বলতে চাইছিলাম ।
---হ্যা মা বল ।
---না মানে বলতে চাইছিলাম যে ।
---আরে কি বলবি বল সমস্যা নেই বলে ফেল ।
---আমি না গেলে হয় না ।
.
মাহির কথা শুনে আমার দিকে সবাই তাকালো । সবাই ভাবছে আমি কিছু বলেছি নাকি । তখন মামনি বলে উঠলো ,
---হঠাৎ একথা বললি কেনো  মা নাকি মাহিম কিছু বলেছে ।
.
খাইছে আমারে যদি সব বলে দেয় তাহলে আমি শেষ ।
মাহি আমার দিকে তাকালো । আমি চোখটা সরিয়ে নিলাম তার চোখে থেকে । তবুও আর চোখে দেখছি আমার দিকে তাকিয়ে বললো ,
---না আন্টি আমার ভালো লাগছে না ।
.
যাক বাবা বাঁচা গেলো যেটা ভেবেছিলাম সেটা আর হলো না ভয়টা কেটে গেলো ।
---তুই তো ভয়ে মিথ্যা বলছিস না মা ।
---না আন্টি মিথ্যে বলবো কেনো ।
---আরে মা তুই একবার যা দেখবি খুব ভালো লাগবে ।
---আমার ভালো লাগছে না আন্টি ।
---আরে ভাবি চলো দেখবে ভালোলাগবে ।
---আরে তুই ভাবি বলছিস কেনো ... মা তোর যদি ভালো না লাগে তাহলে জোর করবোনা ।
---বারে কয়দিন পর তো ভাইয়ার বউ হবে তখন তো ভাবি হবে সেই জন্য আগে থেকে ডাকছি আর ভাবি তুমি না গেলে আমিও যাবোনা মামি ।
.
কথাটা শুনে মাহি আমার দিকে তাকালো । আমি তো আগে থেকে তাকিয়ে আছি । চোখের কোণে পানি এসেগেছে । আসলে মারজিয়া যেটা বলেছে সেটা হবে না কারণ মাহি তো #ভাড়াটে_গার্লফেন্ড নির্দিষ্ট একটা টাইম আছে সে পযন্ত আমার সাথে থাকবে তারপর কি করবে সে জানে ।
---আরে তোর আবার কি হলো মারজিয়া ।
---যাকে নিয়ে যেতে বলেছে তাকে না নিয়ে আমরা ইম্পসিবুল ।
---আরে মাহির ভালোলাগছে না তাই যাবে না ।
---আমি ভাবিকে ছাড়া যাবোনা ।
.
মাহি তাকিয়ে আছে আমার দিকে । আমি কিছু বলছিনা শুধু শুনে যাচ্ছি । আমার দিকে থেকে  চোখ সরিয়ে খাবারে প্লেটের দিকে তাকিয়ে মাহি বললো ,
---ঠিক আছে আমি যাবো ।
.
আমার দিকে থেকে চোখ নামিয়ে খেতে লাগলো ।
---সত্যি  বলছো ভাবি ।
---মা তুই মনে হয় মারজিয়ার জন্য বলছিস । শোন যেখানে তোর যেতে ইচ্ছে করবেনা সেখানে যাবিনা জোর করে ।
---না আন্টি আমি ইচ্ছি  করে যেতে ।
---কিন্তুু তুই যে বললি প্রথমে  যাবি না ।
---একটা কাজ ছিলো তাই যেতে চাচ্ছিলাম  কিন্তুু সেটা পরে করলে হবে ।
---যদি তোর কাজ থাকে তাহলে না গেলে হবে ।
---না আন্টি সমস্যা নেই সেটা পরে কররলে হবে ।
.
কথাটা বলে আমার দিকে তাকালো । আমি কি বলবো কিছু বলার নেই 
যদি কিছু বলি তাহলে কি বলবো আর কি বকা খায় কে জানে তাই চুপ হয়ে আছি ।
---ভাবি থ্যাংক ইউ ।
---তাহলে খেয়ে রেডি হয়ে বের হবি  ।
---জ্বী আন্টি ।
---মাহিম তুই তাড়াতাড়ি রেডি হবি তুই তো সব সময় ধেরি করিস ।
---ঠিক আছে ।
.
খেয়ে রুমে আসলাম মাহি আসলো । আমি বললাম ,
---তাড়াতাড়ি রেডি হন ।
---আমি রেডি আছি  ।
---এই অবস্থায় যাবেন ।
---হ্যা এই অবস্থায় যাবো ।
---আপনার মিথা ঠিক আছে ।
---মাথা তো ঘাড়ের সাথে আছে বুঝতে পারছি ।
---কি মুসকিলে পরলাম রে বাবা ।
---কার পারলায় পরেছিরে বাবা ।
---ধ্যাত ।
---দূর ।
.
রাগ করে চলে এলাম অন্য রুমে ।
আসার সময় শার্ট-প্যান্ট আরও পোশাক নিয়ে আসলাম ।
দেখি হাসছে মেজাজটা গরম করে দিচ্ছে । থাক কিছু বলবোনা মামনির কাছে বলেনি সে কথা । রুম থেকে চলে আসলাম ।
.
চলে এলাম রুমে ।
ওয়াশ রুমে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে ।
.
রেডি হয়ে বের হলাম রুম থেকে ।
.
নিচে এসে দেখি দুই জন একজনের বের হয়নি ।
মামনি সব সময় বলে তুই আগে রেডি হবি , তুই আগে ওটা করবি , তুই আগে এটা করবি ব্লা ব্লা.....
মাথাটা গরম করে দেয় কিন্তুু কিছু বলার সাহস বুকে নেই ।
কি আর করা কত সময় লাগবে সাঁজগোজ করতে কিছু করার নেই । তাই ফোনটা বের করে জিটা ভাইসিটি গেম খেলতে লাগলাম ।
.
কয়েকটা মিশন শেষ করলাম ।
কিন্তুু এখনো রেডি হয়ে বের হয়নি । মামনিকে বলি তাই তাড়াতাড়ি করে রেডি করে দিবে ।
---মামনি  ।
---কোন সাড়া নাই ।
---মামনি ও মামনি ।
---কি হয়েছে চিলাচ্ছিস কেনো ।
---বারে আমি ডাকলাম আর বলছে চিলাচ্ছিস কেনো ।
---বল কি জন্য ডেকেছিস ।
---আপনি তো শুধু আমাকে বলেন তাড়াতাড়ি আর এখন ।
---ছেলেদের শুধু প্যান্ট-শার্ট পরলে হয়ে যায় কিন্তুু মেয়েদের অনেক সময় লাগে বুজলি গাধা ।
---হুমমমম ।
---তোর চুল এরকম কেনো ।
.
কাম সারছে দেখে ফেলেছে ।
---কেনো মামনি কি হয়ছে ।
---দাড়া আমি চিরুনি ( চুল আচরানোর জিনিস )  আনছি ।
---মামনি এটা চুলের ইস্টাইল ।
---ইস্টাইল দেখাচ্ছি ।
.
বলেই রুমের দিকে গেলো ।
নিজের বাশ নিজে নিছি এতে কিছু করার নেই ।
.
একটু পর মামনি এসে তেল দিয়ে চুল আচরে দিলো ।
২০ মিনিট ধরে ইস্টাইল করছি আর ২মিনিটে শেষ ।
নিজের বাশ নিজেই খাইছি তাই কিচ্ছু করার নেই ।
.
একটু পর দেখি মাহি আর মারজিয়া এসেগেলো ।
বাহ্ দুজনে ভালো সাঁজগোজ করেছে । যে কেউ ক্রাস খাবে ।
---এতখন লাগে ।
---তুই বুজবিনা সেটা ভাইয়া ।
---কি আর করা না বোঝায় ভালো ।
---কিছু করার নেই চল ভাইয়া ।
---মামনি আসছি ।
---দেখে যাস তোরা ।
---ওকে মামনি ।
---পৌঁছে ফোন দিস ।
---জ্বী মামনি ।
---চল ভাইয়া ।
---চল । 



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।



ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )

#ভাড়াটে_গার্লফেন্ড

পর্বঃ সপ্তদশ ( ১৭তম )



গাড়ির ভেতর বসে আছি ।
আজ আমি ড্রাইভিং করছিনা । আমি বসে আছি আর আমার পাশে মাহি বসে আছে আর মাহির পাশে মারজিয়া বসা ।
তখন আম্মুর জন্য ভালো করে কিছু বলতে পারিনি ।
আমার পছন্দের শাড়ী পরেছে নীল শাড়ী । হয়তো মারজিয়া বলেছে আমার পছন্দের কথা ।
দুজন এতো সেজেগুজে বের হয়ছে যে কেউ ক্র্যাস খাবে ।
কিছু চুল সামনে দিয়েছে , মুখে হালকা মেকআপ , ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপিষ্টিক , নীল শাড়ী সাথে ম্যাসিং করে কানে দুল , নাকেরটা ও হাতে নীল চুরি সাথে নখে লেলপালিশ লাগিয়েছে বাহ্ সব মিলিয়ে একদম সুন্দর লাগছে একদম আমার মনের মতো করে ।
কিন্তু কি যেন দেখি নি মনে হচ্ছে ... এখন মনে পরছেনা পরে দেখলে বলবো ।
মারজিয়া তো কোম সুন্দরী না আর মাহি কোম না বরং দুইটি অপ্সরী ।
.
চলে এলাম গার্লফেন্ডের বাসায় ... আরে কি ভাবছেন গার্লফেন্ডের বাসায় মানে মিষ্টিদের বাসায় আরে না এটা আমার নানুর বাসায় ।
.
গাড়ি থেকে নেমে দেখি নানু দাড়িয়ে আছে ।
আমি নানুর কাছে যেতে লাগলাম তখন মারজিয়া বলে উঠলো ,
---কি রে ভাইয়া ব্যাগটা নিবে কে ।
.
দাড়িয়ে পরলাম মেজাজটা গরম করে দিচ্ছেনা । আমি কি এই ব্যাগ নিতে আসছি ।
---আমি কিছু নিতে পারবোনা তোরা এনেছিস তোরা নি ।
---ভাবি তুমি বলোতো ।
.
কথাটা শুনে নানু বললো ,
---থাক আমি নিয়ে আসছি ।
.
নানু গাড়ির কাছে এগিয়ে এলো ।
---আরে নানু আপনি কেনো ময়দার বস্তা নিবেন আমি নিজেই নিতে পারবো ।
.
কথাটা জোরে বললাম । মাহি আর মারজিয়া চোখ দুটি বড় বড় করে তাকালো ।
---কি রে নানুভাই ময়দা এনেছিস ।
---আরে না নানু ।
---তাহলে কি বললে ।
---আপনি বুঝবেন না চলেন ।
---চলো ।
.
কি আর করা আমাকে নিতে হলো । আমি থাকতে নানু নিবে এটা বিবেকে বাধা দিলো তাই নিজেই ব্যাগটা নিয়ে নানুর সাথে বাড়ির ভেতর ঢুকে গেলাম ।
.
আমি আর নানু ঘরে ঢুকে দেখতে পেলাম নানুভাই মাহমুদুল আর রাফিয়া আর দুই অপ্সরী এসেই আড্ডা দিচ্ছে ।
নানুর কথায় ঘোর কাটলো ।
---কি নানুভাই দাড়িয়ে না থেকে চলো ।
---ও হ্যা চলেন ।
.
আমি আর নানু রুমে যাচ্ছি তখন পিছন থেকে নানুভাই বলে উঠলো ,
---নানুভাইয়া আমাকে কিছু না বলে উপরে যাচ্ছো ।
.
নানুভাই এর কথা শুনে চুমকে গেলাম ।
কেমনে দেখলো আমাকে সে তো গল্প করছে ।
কথায় আছে না স্যার/ম্যাডামের চোখ কয়েকটা তেমনি তার চোখ ও কয়েকটা ।
দেখতে হবে না মেয়ের চোখ কয়েকটা আর তার চোখ আরও বেশি হবে ।
---না মানে নানুভাই আপনি গল্প করছেন সেখানে সাইড নক করার করার কোনো মানে হয় না ।
---নানুর কাছে দিয়ে দাও নিয়ে যাবে ।
---না থাক আমি রেখে আসি নানুভাই ।
---আচ্ছা যা ফ্রেশ হয়ে আয় এক সাথে খাবো ।
---ওকে নানুভাই ।
.
মারজিয়া আর মাহিকে বললো ,
---তোমরাও যাও ফ্রেশ হয়ে এসো এক সাথে খাবো ।
---ওকে নানু ।
---যাও উপরে মাহিমের সাথে ।
---জ্বী নানু....ভাবি চলো ।
---আচ্ছা চলো ।
.
আমি একটু তাড়াতাড়ি আসলাম ব্যাগটা ওজন খুব কি আছে রে বাবা ।
.
চলে এলাম রুমে । ব্যাগটা রেখে আমি অন্য রুমে গেলাম ।
দেখি মাহমুদুল শুয়ে আছে ।
---কি রে শুয়ে আছিস কেনো তোকে তো নানুভাই এর কাছে দেখলাম ।
---হ্যা ভাইয়া ভালো লাগছেনা ।
.
আমি খাটের উপর বসে পরলাম ।
---কেনো কি হয়েছে ।
---রাফিয়া বলে তুই ডাক্তার হতে পারবিনা আমি হবো ।
---এই জন্য ।
---জানো আরও বলে তুই আমার সাথে কখনো পারবিনা কোনো কিছু তে ।
---এতে রাগ করে শুয়ে থাকলে কি চলবে ।
---তাহলে কি করবো আমি ভাইয়া ।
---তুমি ওর চেয়ে বেশি পড়াশোনা করবে তাহলে তুমি ডাক্তার হতে পারবে ।
---সত্যি বলছো ভাইয়া ।
---হুমমম সত্যি বলছি ।
---আমার পড়তে মন চায়না ।
---তাহলে তো হতে পারবেনা ।
---ওকে... ভাইয়া তুমি এই বুদ্ধি রাফিয়াকে দিবে না । আমি ডাক্তার হলে আগে রাফিয়াকে ইনজেকশন দিবো তখন বলবো দেখ কেমন লাগে এখন বলেছিলি না আমি ডাক্তার হতে পারবোনা এখন কেমন লাগে ।
---হাহাহাহা ।
.
মাহমুদুলের কথা শুনে খুব হাসি পেল । সবে মাত্র ক্লাস থ্রিতে পড়ে তাই ডাক্তার হবে এই স্বপ্ন নিয়ে ঝগড়া ।
---ভাইয়া হাসছো কেনো ।
---এমনি । আম্মু আব্বু কোথায় গেছে ।
---ভাইয়া তুমি এখনো জানো না ।
---না তো কেনো কি হয়েছে ।
---আজকে দাদা আর দাদী বিবাহ বার্ষিকী সেই জন্য চাচ্চু , ছোটমা , আব্বু আম্মু  কেক আর কিছু জিনিস আনতে গিয়েছে ।
---ও সেই জন্য কাউকে দেখছি না ।
---হুম আমাদের নিয়ে যাই নি ।
---ফ্রেশ হয়ে নাও এক সাথে খাবো ।
---ঠিক আছে ভাইয়া ।
---গুড বয় ।
---ভাইয়া মারজিয়া আপুর সাথে একটা আপু এসেছে কে সে ।
---ওটা তোমার আপু হয় ।
---ওকে ।
.
আমি আর কিছু না বলে ওয়াশ রুমে চলে এলাম ।
.
খাবার টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছি ।
---আপু ।
.
মারজিয়া বলে উঠে ,
---হ্যা বলো ।
---তোমাকে না ওই আপুকে ।
---হ্যা বলো ।
---আপু তোমার নাম কি ।
.
রাফিয়া মাহমুদুলের কথা শুনে বলে উঠলো ,
---ওই মাহমুদুল তুই যেনে কি করবি ।
---ভাইয়া দেখছো কেমন করে ।
---ওই ভাইয়া কি দেখবে হু ।
---রাফিয়া তুমি এরকম করে কথা বলো কেনো ।
---বারে কেমন করে বললাম ।
.
নানুভাই বলে উঠলো ,
---নানুভাই সারাখন শুধু ঝগড়া করে দুজন ।
---একা একা থেকে অভ্যাস হয়েছে তো তাই ।
---ভাইয়া আমি বাসায় যাবো চুন্নির সাথে বাসায় থাকবোনা ।
---আরে যা যা আঙ্কেলকে বলে তোকে বাসায় রেখে আসতে বলবো ।
---রাফিয়া এতো বেশি ভালো না ।
.
মাহমুদুল চলে যেতে লাগলো ।
---তুমি কোথায় যাচ্ছো ।
---আমি খাবো না বাসায় যাবো ।
---আরে রাগ কেনো করছো ।
.
মাহি তখন বলে উঠলো ,
---আমার কাছে এসে বসো ।
---আমিও বসবো ।
---তুমি আমার এই পাশে বসো ।
.
নানু উঠে আমার কাছে এসে বললো আর মাহমুদুল মাহির পাশে বসে পরলো আর পিচ্চি ঝগড়াটে মাহির বাম পাশে বসে পরলো ।
---আমার নাম জিঙ্গেস করেছিলে না তুমি আমার  নাম মাহি ।
---খুব সুন্দর নাম ।
---তোর মতো পঁচা না ।
---আপু দেখছো আবার কি বলে ।
---শোন রাফিয়া ভাইয়াকে এগুলি বলতে নেই ।
---ও আমার ভাইয়া না ও আমার ১০ দিনের ছোট তাই ভাইয়া বলতে পারবোনা ও আমাকে আপু বলবে তাই আমি শাসন করি ।
.
সবাই হেসে উঠলো । রাফিয়া লজ্জা পেয়েছে ।
---আর এভাবে শাসন করতে হয় না ।
---তা হলে কেমন করে আপু ।
---পরে বলবো ।
.
রাফিয়া আর কিছু বললো না ।
মাহমুদুল বলে উঠলো ,
---আপু তুমি কোন ক্লাসে পড়ো ।
---আমি মেডিকেলে পড়াশোনা করছি ।
---আচ্ছা আপু ডাক্তার হতে হলে কি করতে হবে ।
---ভালো করে পড়াশোনা করতে হবে ।
---আমার না পড়তে ইচ্ছে করে না ।
---তাহলে তো ডাক্তার হতে পারবেনা ।
---আচ্ছা আমি যদি এখন তোমার সাথে গিয়ে মেডিকেলে গিয়ে পড়াশোনা করি তাহলে কি তোমার সাথে ডাক্তার হতে পারবো ।
.
কথাটা শুনে না হেসে পারলাম না ।
---পারবে কিন্তু তোমাকে যে ডাক্তার হতে কি কি শিখতে হয় সেগুলি জানতে হবে ।
---কেমনে শিখবো তুমি তো শিখেছো একটু শিখিয়ে দাও ।
---আমি তো ভালো করে পারি না ।
---কে পারে তাহলে আপু ।
---শিক্ষকরা ।
---আমি তার কাছে গিয়ে শিখবো ।
---আরে এভাবে তো শিখাবে না ।
---তাহলে কেমন করে শিখাবে ।
---তুমি কোন ক্লাসে পড় ।
---থ্রি তে ।
---রোল কতো ।
---২ ।
---গুড কিন্তু আরও ভালো করে পড়াশোনা করবে আর রোল ১ করার চেষ্টা করবে তার সাথে জিত করে পড়াশোনা করবে ।
---তাহলে হতে পারবো ।
---থ্রি থেকে ফোরে উঠবে এভাবে এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে উঠবে এভাবে ইন্টারমিটেড শেষ করে তার পর মেডিকেলে ভর্তি হবে তারপর যদি আরও ভালো ডাক্তার হতে চাও তাহলে বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করে একজন ভালো ডাক্তার হতে পারবে ।
---সত্যি বলছো আপু ।
---হ্যা এখন  তাড়াতাড়ি খেয়ে উঠো ।
---ওকে আপু বিকেলে গল্প করবে কিন্তু ।
---আচ্ছা ঠিক আছে ।
.
কথাগুলি নানু আর নানুভাই শুনতে ছিলো শুধু দুজন না আমরাও শুনছিলাম ।
.
খাওয়া শেষ করে রুমে এসে শুয়ে পরলাম ।
শুয়ে ভাবতে লাগলাম । মাহি আসলে অনেক ভালো বুদ্ধি অনেক ।
কেমন জানি মাহিকে এখন ভালো লাগে । এটা কি লাভ না এটা তার প্রতি ভালোলাগা । একটু ঘুমানো দরকার তাই ঘুমিয়ে পরলাম ।
.
সন্ধ্যায় ছাঁদে এসেছি । অনুষ্ঠান আমার একদম সহ্য হচ্ছে না ।
এমন কেনো হচ্ছে মনটা কিছু ভালোলাগে না ।
.
কে জেনো পিছন থেকে ডাক দিলো ,
---এই যে আপনি এখানে ।
.
পিছনে তাকিয়ে দেখি মাহি ।
---কেনো কিছু হয়েছে ।
---কিছু না কিন্তু আপনার চোখে পানি কেনো ।
.
ভাবতে ভাবতে কখন চোখে পানি এসেগেছে খেয়াল নেই । চোখের পানি মুছে ফেললাম ।
---চোখে কি জেনো পড়েছিল ।
---আচ্ছা আপনি এতো মিথ্যা কথা বলেন কেনো ।
---কি জন্য এসেছেন ।
---আপনি তো আজিব মানুষ যেটা বলি সেটার কোন উত্তর না দিয়ে টপিক চেন্জ করেন ।
---আশা করি আর জিঙ্গেস করবেন না ।
---মানে ।
---সেই প্রথম থেকে এক প্রশ্ন করে যাচ্ছেন কিন্তু কোন উত্তর পান নি তবুও কেনো জিঙ্গেস করেন ।
---আমি কাউকে কোনো কিছু প্রশ্ন করলে উত্তর না নিয়ে তাকে ছাড়িনা শুধু আপনাকে ছাড়া ।
---আমার থেকে আশা করি পাবেন না ।
---সেটা দেখা যাবে ।
---কি জন্য এসেছেন সেটা বলেন ।
---আপনার আম্মু-আব্বু আসছে ।
---মামনি আর আব্বু আসছে ।
---হ্যা চলেন ।
---চলেন ।
.
আসতে লাগলাম তখন হাতটা ধরে বললো ,
---একটু দারান ।
---কেনো ।
---একটু ঠিক ভাবে দাড়িয়ে থাকেন তো ।
---কেনো ।
---যেটা বললাম সেটা করেন ।
.
আমি ঠিক হয়ে দারালাম ।
মাহি আমার শার্টের বোতাম আটকিয়ে দিলো ।
বোতাম খোলা ছিলো বুঝতে পারিনি । তার স্পর্শে আমার শরীর সিওরে উঠে ।
আমি মাহির দিকে তাকালাম । এরকম কেনো হচ্ছে আমার ।
মাহির দিকে বেশিখন তাকিয়ে থাকতে পারলাম না ।
---চলেন ।
---আর একটা কথা ।
---বলেন ।
---আপনি নয় তুমি করে বলতে হবে না হলে সবাই বুঝে ফেলবে আর আপনি তো মামনিকে খুব ভয় পান সো মনে থাকে জেনো কথা ।
.
ছাঁদে থেকে চলে আসলাম ।
এসে দেখি সবাই রেডি হয়ে দাড়িয়ে আছে মনে হয় ।
.
মামনি কাছে এসে বললো ,
---এতো দেরি হলো কেনো ।
---মানে উনি কথা বললো ফোনে তাই ।
---চল তাড়াতাড়ি ... মাহিম তুই আয় ।
.
মামনি চলে গেলো ।
আমি আর মাহি নানুভাই এর কাছে যেতে লাগলাম ।
---হাতটা ধর ।
---আপনি পাগল নাকি ।
---আবার ।
---তুমি পাগল নাকি ।
---সবাই দেখছে সো হাতটা ধরতে বলেছি ধরেন ।
---আসলে...
---সেটা বাদ দাও যেটা বলছি সেটা করো ।
.
ইচ্ছা না থাকাও সত্যে মাহির হাতটি ধরলাম ।
কেমন জানি শরীর সিওরে উঠলো । মাহির চোখের দিকে তাকালাম চোখ দুটি কি যেন বলছে আমি সে ভাষা বুঝতে ব্যর্থ ।
---গুড বয় চলো এখন ।
.
চলে গেলাম মাহির হাত ধরে নানু আর নানুভাই এর কাছে ।
মামনি আমাদের দেখে অনেক খুশি ।
নানুভাইয়ের কানে কানে কি জেনো বললো মামনি ।
চলে এলাম নানুভাইয়ের কাছে । আমাদেরকে দেখে নানুভাই বললো
---জানু আমার পাশে আয় ... আর মাহি তুমি নানুর পাশে দারাও ।
---নানুভাই পাশে ছোট জানু আছে একটা আর নানুর পাশে ছোট বউ আছে তাছাড়া আমাদেরকে লাগবে ।
.
নানুভাই , নানু , মামা সবাই হেসে উঠলো ।
.
দুজন দুজনের পাশে গিয়ে দারালাম ।
নানু আর নানুভাই ম্যারেজ ডে কেক কাটলো ।
আমাকে আর মাহিকে খায়ে দিলো নানুভাই ।
মাহমুদুল আর রাফিয়াকে খায়ে দিলো ।
কেক সবাইকে খেতে দিলো ।
বেশি মেহমান ছিলো না । নানুর কিছু বন্ধু ।
একটু পর সবাইকে খেতে দেওয়া হলো ।
.
রাতে খেয়ে শুয়ে পরেছি পাশে মাহমুদুল গেম খেলছে ।
কপালটা গরম হয়ে এসেছে । একটু শীত শীত করছে ।
---
কে জেনো দরজায় নক করছে ।
---ভেতরে আসেন ।
.
মাহি আসলো রুমে ।
হাতে পানি কেনো ।
আমার কাছে এসে বললো ,
---এই নাও ঔষুধ ।
---আরে ঔষুধ কেনো ।
---একবার হাতটা কপালে রাখো ।
.
এই মেয়ে দেখছি আমাকে সেভ রাখছে । কখন কি হচ্ছে , কি দরকার সব করছে নাকি আমাকে ভালোবেসেছে । সেতো জানে আমি একজনকে লাভ করি আর তাকে ছাড়া আমার পক্ষে সম্ভব না । এটা জেনে যদি ভুল করে এতে কিছু করার নেই ।
---কি ভাবছো ধরো খেয়ে নাও জ্বর সেরে যাবে ।
---আপ...
---আবার ।
---তুমি বুঝলে কেমনে ।
---বোতাম লাগানো সময় হাতটা শরীরের টাচ লেগেছিলো তখন বুঝতে পেরেছিলাম ।
---ও ।
---খেয়ে শুয়ে পর ।
.
আমি ঔষুধ খেয়ে নিলাম ।
একটা ব্যাপার বুঝছিনা মাহমুদুল কিছু বলছেনা ।
---এখন ঘুমিয়ে পর আমি যাচ্ছি ।
.
বলেই চলে গেলো ।
---ভাইয়া আপু তোমাকে খুব ভালোবাসে তাই না ।
---তুমি ভালোবাসা বোঝ ।
---হ্যা ছবিতে এরকম করে নায়কা এসে ঔষুধ খায়ে দেয় ।
---এতো বোঝ তুমি ।
---হ্যা ভাইয়া ঘুমিয়ে পর আমি গেম খেলি ।
---আচ্ছা আমি ঘুমিয়ে পরলাম আর গেম খেলে রেখে দিও ফোন ।
.
এই টুকু ছেলে অনেক কিছু বোঝে থাক এসব কথা ঘুমিয়ে পরলাম ।
.
কপালে ঠান্ডা অনুভবে ঘুম ভেংগ্গে গেলো । চোখটা খুলে দেখি মাহি জলপট্টি করছে ।
---কি করছো ।
---দেখতে পারছো ।
---ভাইয়া জ্বর সেরেছে ।
---হ্যা মাহমুদুল আমার তো কিছু হয়নি ।
---কিছু হয়নি মানে চুপ করো ।
---মামনি কোথায় ।
---বাসায় চলে গেছে ।
---ও ।
---তুমি ঘুমাও নি ।
---হ্যা ।
---তাহলে এখানে যে ।
---কতো বাজে জানো ।
---কতো বাজে ।
---১১টা বাজে ।
.
ঘড়ির টাইম শুনে কেমন জানি হয়ে গেলাম ।
---১১ টা ।
---হুমমম ৪০ মিনিট ধরে জলপট্টি করে যাচ্ছি । জ্বরের কারণে আবল-তাবল বলছিলেন ।
.
এতো জ্বর উঠেছিলো ।
---সকালে জ্বর ছিলোনা এই ১০ টার দিকে মাহমুদুল আমাকে বলছে ভাইয়ার খুব জ্বর উঠেছে তখন আমি এসে দেখি আবল তাবল কথা বলছেন ।
.
নানুভাই ডাক্তার নিয়ে এলো ।
.
ডাক্তার জ্বর মেপে দেখলো এখন তেমন জ্বর নেই কয়েকটা ঔষুধ খেলে সেরে যাবে ।
.
তারপর ডাক্তার চলে গেলো ।
রুমে সবাই বসে আছে ।
মাহি এদিকে আমায় সেবা করে যাচ্ছে ।
.
এভাবে চলে গেলো দিনটা ।
সন্ধ্যায় আবার জ্বর এসেছিলো রাতে ঔষুধ খাওয়াতে কমেগেছে ।
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখি ৮ টা বাজে ।
ফ্রেশ হতে ওয়াশ রুমে গেলাম ।
.
সকালে সবার সাথে খেতে বসেছি ।
নানুভাই বলে উঠলো ,
---জ্বর কমেছে ।
---হ্যা নানুভাই ।
---আজকের দিনটা থেকে যা মাহিম ।
---না নানুভাই মাহির কলেজে কাজ আছে আর আমার এখানে ভালো লাগছেনা ।
---কেনো কোনো সমস্যা ।
---না নানুভাই কোনো সমস্যা নাই ।
.
মামি বলে উঠলো ,
---মাহি তোমার খুব জরুরি কলেজে যাওয়ার ।
---স্যার ভালো জানেন ।
---আরে স্যার কেনো বলছো মামা বলতে পারো ।
---ঠিক আছে ।
.
মামা বলে উঠলো ,
---আজকে সাক্ষর দেওয়ার লাষ্ট ডেট ।
---ও তাহলে অন্য একদিন সময় নিয়ে মাহিমের সাথে এসো ।
.
কথাটা শুনে মাহি আমার দিকে তাকালো । আমি তার দিকে না তাকিয়ে খাবার খেতে লাগলাম ।
---ইনশা আল্লাহ আসবো ।
---আচ্ছা আপু কবে আসবে ।
---বলতে পারবোনা মাহমুদুল ।
---কেনো আপু ।
---রাফিয়া সামনে আমার পরীক্ষা তাই ।
---ও ।
---পরীক্ষা শেষ হলে আবার আসবো ।
---তখন কিন্তু অনেক দিন থাকতে হবে ।
---যাও তখন এসে অনেক দিন থাকবো ।
---সত্যি বলছো ।
---হ্যা সত্যি বলছি ।
.
অনেক কথা হলো ।
খাওয়া শেষ করে রুমে চলে এলাম ।
.
বাসায় যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি ।
.
রেডি হয়ে বের হলাম রুম থেকে ।
নানুভাইয়ের রুমে চলে এলাম দেখি মনটা বার করে আছে ।
---নানুভাই মনটা বার করে আছো কেনো ।
---নিশ্চুপ ।
---আরে কথা বলো ।
---তুই দুইদিন থেকে চলে যাবি ।
---আবার আসবো ।
---কবে আসবি বল ।
---কয়েক দিন পর আবার আসবো তাহলে হাসি দাও তো ।
.
একটু মুচকি হাসি দিলো ।
---চল দেরি হয়ে যাচ্ছে ।
---ওকে নানুভাইয়া ।
.
নিচে এসে দেখি মামি ও মাহি আর মারজিয়া বসে আছে  ।
---মামি ওদেরকে নিয়ে কবে আমাদের বাসায় আসবে ।
---তোমার মামার ছুটি হলে যাবো ।
.
---মামি মাহিমের সাথে আমার বাসায় যেতে হবে ।
---মাহি যাবো যাও ।
.
মারজিয়া বলে উঠলো ,
---আমারও কি বলতে হবে মামি ।
.
সবাই হেসে উঠলো ।
---না না তোমারও বলতে হবে ।
---আমাদের বাসায় যেও মামি ।
---হুমমম দেখে যেও ।
---মাহিম ।
---জ্বী নানুভাই ।
---গিয়ে ফোন দিও ।
---আচ্ছা নানুভাই আল্লাহ হাফেজ ।
.
সবাইকে বলে নানুর বাসা থেকে বের হয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
.
.
.
এই পর্বটা অনেক বড় করে পোস্ট দিলাম ।
দুই পর্ব একসাথে করে দিলাম ।



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।



ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )

#ভাড়াটে_গার্লফেন্ড

পর্বঃ অষ্টাদশ  ( ১৮তম )



বাসায় এসে নানুভাইকে ফোন করলাম ।
---নানুভাই আমি এসেছি ।
---কোনো সমস্যা হয়েছে কি ।
---না নানুভাই ।
---মাহি কোথায় ।
---কলেজে নামিয়ে দিয়ে এসেছি এখন খুব ক্লান্ত ।
---তাহলে একটু শুয়ে থাক ।
---ওকে নানুভাই আল্লাহ হাফেজ ।
.
ফোনটা কেটে  আমি ঘুমিয়ে পরলাম ।
.
ঘুম থেকে উঠে দেখি ৩ বাজে । এতো ঘুম পেরেছি আমি ।
ফোনের দিকে তাকাতে দেখি মাহির ফোন করেছিলো বেশ কয়েকবার ।
উঠে ফ্রেশ হওয়ার জন্য চলে গেলাম ।
.
বিকালে সায়েমের ফোনে চলে এলাম আড্ডার স্থানে ।
---কি রে মাহিম কেমন চলছে তোদের প্রেম ।
---মানে প্রেম কার সাথে ।
---আরে বুঝিস না ওই মেয়েটার সাথে ।
---আবির তুই কি পাগল হইলি নাকি ।
---দোস্ত পাগল হমু কেনো ।
---তুই জানিস না মেয়েটার সাথে কয়েক দিনের জন্য অভিনয় করছি  ।
---ভাই জানি কিন্তু মেয়েটার হেব্বি চেহারা তোর সাথে ভালো দেখাবে । শোন যদি মেয়েটা সিঙ্গেল থাকে তাহলে তুই তাকে বলে দে তুই ওকে ভালোবাসিস ।
---তুই কি পাগল হয়ছিস নাকি আমি তো...
.
কথাটা পুরোপুরি বলতে না দিয়ে সায়েম বলে উঠলো ।
---মাহিম তোকে সেদিন বললাম তাও আবার । আসলে তুই ওকে লাভ করিস কিন্তুু দেখ সে না । সেদিন ফোন করে তোকে সব বললাম তবুও তুই আসলে তুই না একটা পাগল যাকে হাজার বলছি কিন্তুু বিশ্বাস করছিস না সত্যি আমার খুব লাগছে আমি যদি হতাম তাহলে ওকে দেখিয়ে দিতাম শুধু তুই পারিস না আমিও পারি ।
---মাহিম একটু ওকে ভুলে নিজের প্রতি নিজে কনফিউশন থাক যদি সে তোকে ভালোবাসতো তাহলে সেদিন দেখা করতে বলেছিলি করেছে বল । আসলে মেয়ে মানুষকে চেনা বড় অপায় । শোন দোস্ত একটা কথা কি তুই নিজেকে একটু চেন্জ কর সব অতীত ভুলে যা নতুন করে আবার সব শুরু কর দেখবি আবার তুই নতুন করে বাঁচতে পারবি ।
---আমি যে পারছিনা ভুলতে ।
---হাহাহা মাহিম তুই আমাকে হাসালি যে তোকে ভালোবাসে না তুই তাকে ভুলতে পারছিস না হ্যা... আবির তুই দেখ মাহিম কি বলে । শোন দোস্ত একটা কথা হলো তুই নিজেকে যত ভাবিস আমি সার্থবাদি হবি না কিন্তুু তুই তো সার্থবাদি না । তোর একটা সংসার আছে তোর আম্মু কি একটু কাজ থেকে মুক্তি চায় না সে তো দিরে দিরে বয়স বেশি হয়ে যাচ্ছে তাকে একলা কতো সহ্য করতে হয় একটু ভেবেছিস । জানি এগুলি বলে কোন লাভ নেই তোর কানে কিচ্ছু যাচ্ছে না ।
.
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না ।
আবার আবির বললো ,
---সায়েম মাহিম যদি এগুলি না শোনে আমাদের কিছু করার নেই শুধু একটা কথা হলো আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট করতে চাই না ।
---আরে নষ্ট হলে হোক মাহিম এখন বলুক আমরা ভুল পরামর্শ দিচ্ছি বলুক ।
---দেখ আমরা কতো কথা বলে যাচ্ছি আর ও শুনে যাচ্ছে ।
---মাহিম আর একটা কথা হলো সব বাবা-মা চায় তার ছেলে-মেয়ে শুকে থাক তাই তোকে বিশ্বাস করছে কিন্তুু একদিন তো সব শুনতে পারবে তখন তো এটা সহ্য করতে পারবেনা যদি সে হার্ট...
---সায়েম না প্লিজ একথা বলিস না ।
---তাহলে যদি আবার বুঝতে পারে যে তুই মাকে খুশি করার জন্য সব করছিস তখন তো এটা সহ্য করতে পারবেনা ।
---তখন যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যায় তখন কি তাকে আগের অস্থাতে নিয়ে আসতে পারবি না পারবি না তখন দুইটা শেষ হবে তখন কেউ বিশ্বাস করবে না  প্লিজ এরকম করিস না তুই ওকে ভুলে আবার নতুন করে জীবন শুরু কর শুধু আন্টির জন্য মনে করে মিষ্টিকে ভুলে যা আমরা চাই না আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হোক আমাদের বন্ধু কষ্টে থাকুক প্লিজ এই টুকু আন্টির জন্য কর নাহলে আন্টি মারা...
---আবারও এটা বলছিস তোরা ।
---আরে আমরা না হয় বলবো না ।
---সব বাবা-মা চায় তাদের সন্তানের ছেলে-মেয়ে মানে নাতি নাতনির মুখ দেখতে কিন্তুু এটা থেকে আন্টি দুরে তাই তুই আন্টির জন্য এই টুকু কর ।
---যা তোদের কথা রাখবো মামনিকে আর কষ্ট দিবোনা ।
---সত্যি বলছিস তো দোস্ত ।
---হ্যা সত্যি বলছি ।
---হাতের উপর হাত রাখ ।
---এই নি হয়ছে ।
---হয়ছে ।
---আচ্ছা তুই থাক আমি বাসায় যাচ্ছি আমার ভালো লাগছেনা ।
---আচ্ছা যা আর মন খুলে কাঁন্না কর ।
.
আমি আর কিছু না বলে চলে এলাম বাসার দিকে ।
.
সন্ধার সময় বাসায় আসলাম ।
আজ সন্ধ্যা সময় বাসায় আসা দেখে মামনি বললো ,
---কি রে আজ এতো তাড়াতাড়ি আসলি বাসায় ।
---ভালো লাগছেনা মানে শরীর খারাপ নাকি আবার জ্বর এসেছে ।
---না মামনি এমনি ভালো লাগছেনা ।
---আচ্ছা রুমে গিয়ে শুয়ে থাক ভালো হয়ে যাবে ।
.
আমি রুমে চলে গেলাম ।
.
শুয়ে ভাবতে লাগলাম আবির আর সায়েমের কথা । আসলে ঠিক বলেছে আমি কেনো পারবোনা ভুলে থাকতে । যদি সে পারে তাহলে আমাকে পারতে হবে তাকে ভুলে থাকতে । তাকে দেখিয়ে দিতে হবে আমিও পারি ।
আচ্ছা আমি যদি ভুলে যায় নতুন কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি তাহলে কি আমি কি তাহলে সার্থবাদী বলবে নাতো  লোকে ।
যদি অন্য কারও সাথে জীবনটা পার করে দেয় তাহলে কেউকে হৃদয়হীনা বলবে নাতো  ।
ধ্যাত এতো ভাবাভাবি চলবেনা মামনিকে হারাতে চাই না আমি ।
.
ফোনটা ভের করে মাহিকে ফোন দিলাম ,
একবার রিং হয়ে বেজে কেটে গেলো ধরলো না ।
আবার দিলাম আবার রিং হচ্ছে কিন্তু ধরছে না ।
আমি আর ফোন দিলাম না ।
.
একটু পর ফোনটা বেজে উঠলো । ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি মাহি ফোন দিছে ফোনটা রিসিভ করলাম ,
---হ্যালো ।
---হ্যা বলেন ।
---না ।
---না কি ।
---কিছু বলার নেই ।
---ও তাহলে কি জন্যে ফোন দিয়েছেন ।
---আপনি দুপুরে ফোন দিয়েছিলেন তাই ভাবলাম কোন কিছু বলবেন নাকি তাই ফোন দিয়েছিলাম ।
---ও আমি তো ভুলে গেছি বলতে ।
---কি ।
---বলতে চাইছিলাম যে আপনি ৪ মাস #ভাড়াটে_গার্লফেন্ড অভিনয় করতে বলেছিলেন ।
---হ্যা ।
---বলতে চাইছিলাম যে আমার অনেক পড়া বাকী আছে তাই আমাকে এই ২ মাস আমাকে অনেক পড়তে হবে । এক্সিডেন্ট এর কারণে কিছুদিন পড়তে পারি নি আর আমার পক্ষে ১ মাস টাইমে সব কম্পিলিট করা সম্ভব হবে না তাই এই কয়েক মাস আমি পড়তে চাই  যদি আপনার আম্মা আমাকে দেখতে চায় তাহলে আমি গিয়ে দেখা করবো তাছাড়া আর কিছু পারবোনা । পরীক্ষা শেষ হলে কয়েক দিন আমি অভিনয় করবো কিন্তু তার মধ্যে আপনাকে একটা ব্যবস্থা করতে হবে ।  আমি আব্বুকে বলেছি সে কিছু বলে নাই । আর এতো পড়া বাকী তাই আমি আপনার আম্মার সাথে দেখা করা ছাড়া আর কিছু করতে পারবোনা  কোথাও যাওয়া , কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়া ।
.
একবারে সব বলে ফেললো ।
আমি কি বলবো বুুঝতে পারছিনা । আর মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না ।
মাহি আবার বললো ,
---কি হলো কথা বলছেন না কেনো । আসলে আমি বুুঝতে পারি নাই তাই হুট করে বলে দিয়েছিলাম ।
---ঠিক আছে সমস্যা নেই কিন্তুু মামনিকে নিয়ে সমস্যা ।  আচ্ছা ঠিক আছে মামনিকে বুঝিয়ে বলবো ।
---খেয়েছেন ।
---না আপনি ।
---না একটু পরে খেয়ে পড়তে বসবো ।
---ও আচ্ছা তাহলে বসেন ।
---আচ্ছা আপনি এরকম কেনো ।
---কি রকম ।
---কোনো কথা বলতে পারেন না ফোনে আর সামনা সামনি কথা বলতে পারেন না কেনো ।
---ও এই জন্য আসলে কি জানেন এক সময় ফোনে অনেক কথা বলতাম আর সামনা সামনি তো অনেক কিন্তুু সময়ের পরিবর্তনে আমি এখন অনেক কম কথা বলি আর কি বলবো সেরকম তো কেউ নেই আর কাউকে বলতে ইচ্ছে করে না ।
---আচ্ছা কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন না ।
---না ... আচ্ছা মামনি ডাকছে খাবার খেতে ।
---এই শোনেন ।
---কি বলবেন বলেন তাড়াতাড়ি ।
---আচ্ছা যান ।
.
ফোনটা কেটে মামনির কাছে চলে এলাম ।
টেবিলে আব্বু বসে আছে খাবার খাবো এখন ।
.
রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পরলাম ।
.
সকালে উঠে খাবার খেয়ে অফিসে চলে গেলাম ।
সারাদিন অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরি সন্ধ্যায় ।
রাতের খাবার খেয়ে মাহির সাথে কথা হয় অল্প অল্প ।
.
এভাবে কাটতে থাকে দিন ।
একদিন করে যাচ্ছে আর আমার আরও  বেশি ভয় করছে । এদিকে মাহির পরীক্ষা এসে যাচ্ছে । মাহি বলেছে পরীক্ষার পর কয়েক দিন অভিনয় করতে কিন্তুু তারপরে কি হবে বুুঝতে পারছিনা ।
প্রচুর ভয় করছে সায়েমের সেদিন কার কথা । আমি এটা ভাবিনি তারপরে কি ঘটবে কিছু ভাবিনি আমি ।
এরকম আমি কমন সেন্স কেনো বুুঝতে পারি না ।
.
কাটতে দিন আর আমার ভয় সামনে আসে ।
মাঝে মাঝে রাতে ঘুম হয় না টেনশনে । এতো কষ্ট কেনো আমার অন্যদের মতো কেনো সার্থপর হতে পারি না । মাঝে মাঝে সারারাত জেগে কোন উত্তর পাই না ।
কি হবে যখন শুনবে মাহি আমার #ভাড়াটে_গার্লফেন্ড ছিলো । কি বলবো তখন মনে হয় নিজে হারিয়ে যায় পৃথিবী ছেড়ে যেখানে কোনো দুঃখ কষ্ট কিছু থাকবেনা । কিন্তুু কেনো জেনো পারি না ।
.
রাতে খাবার খেয়ে পরেছি তখন মনে হলো মাহির সাথে কয়েক দিন ধরে কথা হচ্ছে না তাই একটু ফোন দেয় ।
ভাবতে ভাবতে মাহির ফোনে দিয়ে বসলাম ।
ফোনটা দেওয়ার সাথে ফোনটা রিসিভ করে ।
---হ্যালো ।
.
ফোনের উপর পান্তে কাঁন্নার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে । মাহি কেনো কাঁদে ।
---আপনি কেনো কাঁদতেছেন ।
---( নিশ্চুপ কিন্তুু কেঁদে যাচ্ছে )
---আরে কি হয়েছে সেটা বলেন ।
---পরীক্ষা যদি খারপ হয় ।
---আরে এই জন্য কাঁদে নাকি পাগলী ।
---তুমি জানো এখন কিছু  পড়া বাকী আছে ।
---আর কয়দিন পরে পরীক্ষা ।
---তিন দিন পর ।
---মন দিয়ে পড়াশোনা করবেন  । আমি জানি ইনশা ভালো হবে পরীক্ষা । কোন টেনশন করবেন না শুধু মন দিয়ে পড়বেন ।
---একটা কথা বলতে চাইছিলাম তোমাকে ।
---আচ্ছা বলেন ।
---যদি কাল অফিসে না যাও তাহলে কালকে আমাকে একটু নিয়ে ঘুরে আসবে ।
---কোথায় থেকে বলেন ।
---আমার এক বান্ধুবীর কাছে থেকে আমার কিছু নোট নিয়েছে সেটা আনতে হবে ।
---আচ্ছা বের হয়ে ফোন দিয়ে দিয়েন ।
---আর তোমাকে একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম ।
---আচ্ছা বলেন ।
---কিছু মনে করবেন নাতো ।
---না বলেন ।
---প্রমিস ।
---প্রমিস ।
---থাক পরীক্ষার পরে বলবো ।
---আচ্ছা আপনার যখন খুশি তখন বলবেন ।
---হুমমম ।
---আর কিছু বলবেন ।
---কেনো সমস্যা হচ্ছে ।
---না ভালো লাগছেনা ।
---ও ঠিক আছে ।
---এখন মন দিয়ে পড়েন অনেক বাকী পড়া আপনার ।
---হুমমম ।
.
ফোনটা কেটে দিলাম । জানি কথা বললে অনেক কথা বলবো । এতে মাহির পড়তে ইচ্ছে করবেনা ।
কয়েকদিন ধরে মাহি কথা কেমন জানি লাগে । কিছু কিছু কথা বলতে গিয়ে বলেনা ।
ভাবতে ভাবতে দরজা নক করে বললো ,
---মাহিম এখন কি ঘুমিয়ে গেছিস নাকি ।
---ভেতরে আসেন মামনি ।
.
মামনি এসে আমার পাশে বসলো আর বললো ,
---মাহিম মাহিকে কালকে নিয়ে আয় তো ।
---কেনো মামনি ।
---অনেক দিন ধরে দেখিনা মেয়েটাকে তুই একটু নিয়ে আয় পরীক্ষার মধ্যে তো দেখতে পারবোনা  ।
---মাহি খুব টেনশনে আছে ৩ দিন বাধে পরীক্ষা অনেক পড়া বাকী আছে বললো ।
---ও তাহলে থাক ।
---ঠিক আছে মামনি ।
---তাহলে ঘুমিয়ে পর ।
---মামনি কালকে আব্বুকে অফিসে যেতে বলবেন আমি কাল যেতে পারবোনা ।
---আচ্ছা ঠিক আছে.... গুড নাইট ।
.
মামনি চলে গেলো ।
আমি ঘুমিয়ে পরলাম ।



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।



ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ