āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4716

→গল্পঃ" লৌহ সরীসৃপ "
.
গ্রাজুয়েট কম্পলিট করে চাকরী খুজতে
খুজতে রাফি পাগলপ্রায়। পরিবার,
প্রতিবেশী, সমাজে শুধু তিরষ্কৃতই হয়ে
যাচ্ছে সে। কিন্তু কেউ বুঝেনা
দুর্নীতির এই দেশে টাকা আর মামা
ছাড়া চাকরী কেবল মাত্র আলাদীন এর
দৈত্ত ই দিতে পারে। এসব ঝামেলায়
অতিষ্ঠ হয়ে কাগজের ললিপপ
খাওয়াটাও বাড়িয়ে দিয়েছে সে,
সারাক্ষন হাই ভোল্টেজ এ টেনশন
চলাফেরা করে তার মাথায়।
.
তাইতো প্রতিটা পত্রিকার নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তি বাদ দিয়ে রাফি এখন
জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে ব্যস্ত। পত্রিকার
রাশিফল আর নেট থেকে সবসময় রাশি
সম্পর্কিত জ্ঞান আহরন করে। রাফি
জানতে চায় যে আদৌ তার কপালে
চাকরী আছে কিনা তাইতো
জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে তার এত
ঘাটাঘাটি।
.
হুট করে একদিন নিজের রাশিফলে রাফি
দেখলো যে তার মৃত্যু সরীসৃপ দিয়ে হবে।
মেজাজ গরম হয়ে গেলো তার, এখনও
চাকরী পেলাম না, পরিবারের কাছে
মুখ দেখাতে পারছিনা, বিয়েটাও
করলাম না আর কিনা সাপের দংশনে
পটল তুলতে যাবো। নিজের উপর আর
সৃষ্টিকর্তার উপর খুব রাগ হতে লাগলো
তার। তবে কি, এই সরীসৃপ এ যদি তার মৃত্যু
না হয় অর্থাৎ এ মৃত্যুযাত্রায় সে যদি
বেচে যায় তাহলে সে ভাল একটা
পজিশনে যেতে পারবে, এরকমি কিছু
লিখা ছিল তার রাশিফলে। কেউই
মরতে চায়না, সবাই বাঁচতে চায় তাই আর
সবার মত রাফিও বাঁচতে চায়। তাইতো
অপেক্ষায় আছে সে সরীসৃপ এর আর সাথে
বাঁচার আশার।
.
পুকুরে গলা পর্যন্ত ডুবে আছে রাফি। এই
গরমে গলা পর্যন্ত ডুবে গোসল করার
মজাটাই আলাদা। সারা শরীর এ
শীতলতার মাত্রা বেড়েই চলেছে,
মাঝে মাঝে মাথাসহ ডুব দিয়ে মাথা
ভিজিয়ে নিচ্ছে । এমন সময় রাফি
সামনে কি জানি একটা দেখতে
পেলো, তার দিকে ধীরে ধীরে
এগিয়ে আসছে। ভাল করে লক্ষ্য করে
দেখলো যে একটা বিষহীন সাধারন সাপ
পানি ভেদ করে তার দিকেই এগিয়ে
আসছে। খুব একটা ভয় লাগলোনা তার। আর
অল্পদূরেই সাপটা ঠিক তখনি সে
পানিতে ডুব দিলো। কিছুক্ষন পর উঠে
পিছনের দিকে খেয়াল করলো যে
সাপটা একিভাবে সাঁতরে চলে গেলো।
ঠিক তখনি তার রাশিফলের কথা মনে
পড়লো, ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো,তবে
খুশিও হলো কেননা সাপ টা তো তাকে
কামড়ালোনা।
.
পরেরদিনও রাফি পুকুরের পানিতে ডুবে
আছে, কিছুক্ষন পর খেয়াল করলো যে
তারদিকে একটা বিষধর সাপ এগিয়ে
আসছে। ঠিক একিভাবে সে পানিতে
ডুব দিয়ে কিছুক্ষন পর উঠলো দেখলো যে
সাপ নিজের মত চলে গেছে। ভয়ে
এবারও সে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
.
পরের দিনও সেইম কাহিনী তবে সাপটা
আলাদা, এটা অনেক বড় একটা সাপ
এনাকন্ডা টাইপের। তার দিকে সা সা
করে এগিয়ে আসছে, কাছাকাছি
আসতেই লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে দিলো
ডুব। কিছুক্ষন পর উঠে দেখে সাপ নিজের
রাস্তা বরাবর চলে গেছে।
.
রাশিফলের কথা মনে পড়তেই বিকট
একটা চিৎকার দিয়ে ঘুম ভাঙলো
রাফির। সারা শরীর ঘামে জপজপ করছে
আবার সেলিং ফ্যানের বাতাসে যে
শীতল অনুভুতি হচ্ছে, সত্যিই রাফির মনে
হচ্ছে যেনো সে পুকুর থেকে উঠলো।
বেশ কয়েকদিন যাবৎ রাফি পুকুর আর সাপ
নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু অবাক
ব্যাপার হলো সাপগুলো তার কিছুই
করছেনা। এক রাশ ভয় আর কয়েকরাশ
চিন্তা নিয়ে সর্বদা বিভোর থাকলো
সে।
.
কয়েকদিন যাবৎ এরকম স্বপ্ন আর দেখছেনা
রাফি। সে ভাবলো রাশিফল বুঝি
স্বপ্নের মাঝে এখানেই শেষ, এখন তার
জন্য ভাল কোনও কিছু অপেক্ষা করছে ।
.
রাফি রেল লাইন দিয়ে দৌড়াচ্ছে তো
দৌড়াচ্ছেই,ট্রেনের হুইসেল দিচ্ছে
ট্রেন কিছুক্ষনের মধ্যেই এসে পরবে।
রাফি এখানে এসেছে আত্মহত্যা করতে,
এরকম দুর্বিষহ জীবন তার দরকার নেই। তাই
আজরাইল এর অপেক্ষা না করে নিজেই
আজরাইলের শরনাপন্ন হচ্ছে সে। কিন্তু
সে লেট করে ফেলেছে ট্রেন
কাছাকাছিই চলে এসেছে তাই তাকে
লোকালয়েই মরতে হবে। ট্রেনটা আর
কিছুদূরেই ঠিক তখনি সে দুই রেললাইনের
মাঝখানে লম্বালম্বি শুয়ে পড়লো।
সাথে সাথে ট্রেন উপর দিয়ে যেতে
লাগলো। সময় থাকলে লোকজন হয়তো
তাকে আটকাতো বাট রাফি কাজটা
মূহুর্তের মধ্যেই করেছে। ট্রেন চলে
গেলো, লোকজন এসে রাফিকে তুললো,
ঠিক তখনি সে বুঝতে পারলো সে
মরেনি।
.
ঠিক তখনি কে জানি তার গালে খুব
জোরে একটা চড় বসিয়ে দিলো, গালে
হাত টা রেখেই বিকট একটা চিৎকার
দিয়ে ঘুম ভাঙলো রাফির। খুব জোরে
জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে সে, পাশে
রাখা গ্লাসের পানি খেলো তবুও
কিছুতেই ঠান্ডা হতে পারছেনা। সে
রাতে আর ঘুমাতে পারেনি রাফি ।
.
পরেরদিন ডাকপিয়ন খামে করে একটা
চিঠি দিয়ে গেলো। খাম খুলে দেখে
যে এপয়েন্টমেন্ট লেটার, খুশিতে
বাকবাকুম হয়ে গেলো সে আর গত কয়েক
রাতের রহস্যময় ভীতিপ্রদ স্বপ্ন গুলোর কথা
মনে পড়তে লাগলো। প্রথম কয়েকদিন শুধু
সরীসৃপ আর শেষের দিন লৌহ সরীসৃপ!
সত্যিই পৃথিবীটা আজব!
.
______ লিখাঃ আমিম এহসান

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ