"গিরগিটি"
.
ঢাকায় যাবো। অমুক বাসটা আর দশ মিনিটের মধ্যেই ছাড়বে জানি। জলদি করে কাউন্টারে গিয়ে বললাম সিট হবে নাকি? তারা রেডি করা একটা টিকিট দিয়ে বললো যান তাড়াতাড়ি গিয়ে বসেন। ডি ওয়ান এ আমার সিট, ডি টুতে দেখি জানালার পাশে এক সুন্দরী মেয়ে, বাহ ভালই হবে জার্নিটা।
.
মেয়েটা এমন ভাবে ফেসবুকিং করছে যেনো মোবাইল তারই আছে, ফেসবুক তারই আছে আর কারোর নাই তবে হ্যা এমন দামী ফোন খুব কমই আছে। স্যামসাং এর নোট টু হবে হয়তো। আমি আমার কমদামি ফোনটা বের করে শুধু ডাটা কানেকশন দিলাম আর কিছুক্ষন পর শুরু হয়ে গেলো টুংটাং টুংটাং, আরে ফেসবুক মেসেঞ্জারের শব্দ। বাসে উঠার আগে অনলাইনের প্রথম দিকের অনেকজনকে মেসেজ দিয়ে রেখেছিলাম যাতে বাসে যে কারোর সামনে এক্সট্রা ভাব নেওয়া যায়।
.
মেসেঞ্জারের শব্দ কাজে দিয়েছে, মেয়েটা বেশ কয়েকবার আমার দিকে দেখলো আমিও দেখলাম মুচকি হাসলাম সেও হাসলো।
.
- হাই, কই যাবেন?
- বাস তো মনে হয় ঢাকায় যাবে এর বেশিদূর তো না
- সরি, একটা কথা বলব
- হ্যা বলেন
- আমি খুব হেজিটেট ফিল করছি এই ভেবে যে আমার পাশে এত সুন্দরী একটা মেয়ে
- হইছে আর সুন্দরী...
- না, আপনি আসলেই অনেক সুন্দরী
.
.
পুট পুট করে অনেক কথা হচ্ছে, বেশ ফ্রি হয়ে গেলাম। আমি তো সমানে ফ্লার্ট করে চলছি আর মেয়েদের ঘায়েল করার অস্ত্র স্বরুপ রুপের প্রশংসা, ভয়েসের প্রশংসা একের পর এক করেই চলেছি।
.
এই মেয়ে এখন অনেক কথা বলছে যা আমার আর সহ্যই হচ্ছেনা, কিন্তু সহ্য করতেই হচ্ছে কেননা তিনি যে স্বরস্বতী দেবী তাই মুখ চেপে নকল এক্সপ্রেশন দিয়েই যাচ্ছি।
.
রাতের বেলা বাসে সবাই ঘুমায় কিন্তু নাহ এই মেয়ে তো রাত জাগা পাখি মহাভারত শুনাতেই আছে। রংপুর পার হয়ে গেলাম, আমি ঘুমাতে চেষ্টা করতে চাচ্ছি কিন্তু ম্যামসাহেব এবার ফোনে প্রেমালাপ করা শুরু করে দিয়েছে। বুকে যন্ত্রনা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু না তার কথা শুনে মাথাটাই গরম হয়ে যাচ্ছে।
.
আর কিছুক্ষনের মধ্যেই বগুরা পৌছবো, ফুড ভিলেজে গাড়ি থামায় কিছুক্ষনের জন্য সেখানেই নামতে হবে আমাকে এর পিছনে অবশ্য কারন আছে।
.
জয়া যখন ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত ঠিক তখনি রুমাল এ ক্লোরোফরম ঢেলে নিয়েছি। বাম হাতে রুমাল আর ডান হাত টা জয়ার মাথার কাছাকাছি। জয়া বলে ডাক দিলাম, সে ঘুরে তাকালো আর ওমনি আমি রুমাল টা নাকে মুখে চেপে ধরলাম। ব্যস এক মিনিটেই কাজ শেষ, পুরোপুরি অজ্ঞান।
.
আগে স্যামসাং নোট টু টা নিলাম, সাইলেন্ট করাই ছিল আরেকটা জিনিস দেখে খুশি হলাম যে ফোনে স্লাইড লক দেওয়া। এরপর ভ্যানিটি ব্যাগের ভেতর থেকে পার্স বের করলাম দেখলাম আট হাজারের উপর টাকা, সুন্দর করে পাঁচটি হাজার টাকা বের করে আমার মানিব্যাগে ট্রান্সফার করলাম। বাস আর দশ মিনিটের মধ্যেই ফুড ভিলেজ এ পৌছে যাব।
.
আচ্ছা মেয়েটাকে কি পুরোপুরি নিঃস্ব করে দিচ্ছি আমি? যেই ভাবা সেই কাজ, ফোন খুলে সিম দুটো সুন্দর করে ভ্যানেটি ব্যাগের ছোট পকেট টায় ঢুকিয়ে দিলাম।
.
মেয়েটা এতক্ষন আমার কাঁধে মাথা এলিয়ে ছিলো সুন্দর করে জানালায় মাথাটা রেখে দিলাম, ভাগ্যিস হালকা ব্রেকে গাড়ি থামলো। নেমে গেলাম সবার আগে।
.
অপেক্ষা করছি উলটো দিকের বাসের জন্য আর একইভাবে কাউকে একটু নিঃস্ব করার জন্য...
.
বিঃদ্রঃ বাসে ট্রেনে চলাচলে একটু সাবধানে থাকবেন। ব্যতিক্রম ধর্মী গল্পটি গল্পের খারাপ চরিত্র এর দিক থেকে লিখা।
.
লিখাঃ আমিম এহসান...
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4715
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Šā§Ž AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ