থ্রিলার গল্পঃ "মাগুরমাছের রাজকীয়
খাবার"
.
হালকা স্বচ্ছ পানিতে মাগুরমাছ গুলো ভালই
দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ পুকুরের এ প্রান্ত
থেকে ওপ্রান্তে ছুটোছুটি করছে, কেউ
থেমে আছে আবার কেউ পানির উপর নাক
উঠিয়ে পেটে বাতাস ভরছে। এই মাঝারি
আকারের পুকুরটাতে এখন মাছ আছে
তেরোটা তবে ছেড়েছিলাম পনেরোটা।
পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না
পেরে আর উচুমানের খাবারের অভাবে
দুটো মাছ চার মাস হলো মারা গিয়েছে।
মাছ দুটোকে যেদিন তুললাম, মাছ দেখে তো
সবাই অবাক! একটা পাঁচ ফুট এর মত আরেকটা
চার ফুটের মত। আর এখন যে মাগুর মাছ গুলো
পুকুরে আছে এরা তো সাত আট ফুটের কম
হবেনা। কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় যে এরা
বেশ কয়েকদিন ধরে ভাল খাবার পাচ্ছেনা।
.
আমি ড. হাসান। এম.বি.বি.এস, এফ.সি. পি.এস
(সার্জারী), সার্জারী বিশেষজ্ঞ ও
ল্যাপারোস্কপিক সার্জন, দিনাজপুর
মেডিকেল কলেজ। নিজস্ব ক্লিনিক এর
পিছনে মাঝারি আকারের একটা পুকুর তৈরী
করেছি আর তাতে বিদেশী মাগুরমাছ আবাদ
করছি। শত ব্যস্ততার মাঝেও যখন একটু ফ্রি হই
তখন পুকুর পাড়ে এসে বসি, সন্তান প্রিয়
মাছগুলোর সাথে সময় কাটাই।
.
একিভাবে ব্যস্ততম ডাক্তারি লাইফ থেকে
অল্প একটু ফুরসত পেয়ে আজও মাছপ্রেম করতে
এসেছি, এমনি সময়ে ড. আজহার এর ফোন।
আমার মুখে খুশির আভা, মাছগুলোকে ইঙ্গিত
করে বললাম, শিঘ্রই তোদের স্পেশাল
খাবারের বন্দোবস্ত হচ্ছে। ড. আজহার
কাজের মানুষ, দুই জোড়া করে তিনটা অর্গান
অর্ডার করলেন। প্রায় এক মাস বিশ দিন পর
আবার এরকম কাজ করবো ভাবতেই ভেতরের
পশুটা নড়েচড়ে উঠলো, হাত এর আঙ্গুল আর
দাঁতগুলোতে শিহরণ উঠলো, গায়ের সব লোম
উত্তেজনায় দাঁড়িয়ে গেলো।
.
রাতে ঘুমাতে গেলাম কিন্তু ঘুমই আসছেনা,
অল্প একটু ঘুম আসলেও উলটাপালটা স্বপ্ন আর
নানান রকম চিন্তা ভাবনা করে রাতটুকু পার
করলাম। বিকেলের আগেই ড. আজহার উনার
অর্ডার বুঝে নিবেন আর সাথে সাথে আমিও
আমার পেমেন্ট বুঝে নিবো। তাই দেরী করা
যাবেনা, আমাকে এখুনি বের হতে হবে।
কাজ কম্পলিট হয়ে গেলে সাথে সাথে ড.
আজহারের লোককে ফোন দিতে হবে এবং
সাথে সাথে মাল ডেলিভারি দিতে হবে।
.
আগে ক্লিনিকে গিয়ে সব কিছু ঠিকঠাক
রাখতে হবে, এসিসট্যান্ট কে বলে রেখে
ক্লিনিকের দিকে রওনা দিলাম।
ক্লিনিকে ঢুকার পথে দেখি দুটো সাত আট
বছরের ছেলে ফুল বিক্রি করছে। ফুল নেওয়ার
কোনও ইচ্ছে নেই তাই তাদের পাশ কাটিয়ে
চলে গেলাম। কিন্তু এই অল্পক্ষনেই ভাবলাম
যে এদের দ্বারাই কাজ হবে, ড. আজহার কম
বয়সী হলে পেমেন্ট দশ পার্সেন্ট বাড়াবেন
বলেছেন। খুশিতে মুখটা ভরে গেলো কিন্তু
কি জানি অজানা এক ভয়ে খুব দিশেহারা
হয়ে উঠলাম। গাড়ি একটু পিছনে করে তাদের
দুজনকে ডাক দিলাম।
.
- এই কি নাম তোদের?
- স্যার আমার নাম বশির আর ওর নাম বাশার
- ও
- আমরা দুই ভাই স্যার
- তোদের এখানে কতটাকার ফুল আছে? আমি
সব নিতাম
- সত্যি স্যার সব নিবেন?
- হ্যা, কিন্তু আমি মানিব্যাগ বাসায় ফেলে
এসেছি, তোরা আমার সাথে ভেতরে চল,
টাকা নিয়ে আসিস আবার চলে আসিস।
.
প্রথমে তারা রাজি হচ্ছিলোনা কিন্তু
দুজনকে পাঁচশো পাঁচশো একহাজার টাকা
দিতে চাইলাম তাই তারা ভেতরে যেতে
রাজি হলো। আসলে টাকাই সবকিছু তাইতো
টাকার লোভেও আমিও এই ছেলে দুটিকে
ভেতরে নিয়ে যাচ্ছি। ছেলে দুটির মুখে
অনেক হাসি, হয়তো এতগুলো টাকা কামাই
করে আজ বাসায় গিয়ে মা বাবার কাছে
গর্ব করে বলবে, আজ এতটাকা কামিয়েছি ;
নাহয় বাসায় অসুস্থ্ও কেউ থাকতে পারে যার
জন্য ওষুধপত্র কিনবে। এসব ভাবতে ভাবতে
আমার চেম্বারে ঢুকে গেলাম। অপারেশন
থিয়েটারে ছেলে দুটিকে নিয়ে গেলাম,
আমার এসিসট্যান্ট যন্ত্রপাতি-লাইট ইত্যাদি
ঠিক করছিলো, তাকে দেখিয়ে বললাম- এই
আংকেল তোমাদের টাকা দিবে।
.
আমার এসিসট্যান্ট এগিয়ে এলো, আমি দরজা
লাগিয়ে দিলাম। দুই ভাই এবার ভয় পেয়েছে,
পরস্পরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করছে। দুই
জনেরই মুখে শক্ত করে কসটেপ লাগিয়ে
দিলাম, আর একজনকে চেয়ারের সাথে শক্ত
করে বাঁধলাম কেননা একসাথে তো আর
দুইজনেরই অর্গান নেওয়া সম্ভব না। এসব কাজে
দেরী করতে নেই তাই তাড়াতাড়ি কাজে
লেগে পড়লাম। বড় ভাইকে দিয়ে শুরু করেছি
আর ছেলেটা খুব হাত পা ছুড়াছুড়ি করছে
বাধ্য হয়ে অজ্ঞান এর ইঞ্জেকশন পুরো শরীরে
দিতে হলো। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে
আসছে তার দেহ আর এদিকে আমি পুরো দমে
ঘামতে শুরু করলাম। বুক থেকে নাভির নিচ
পর্যন্ত পুরোটা চিরে দিলাম। ঘাড় ঘুড়িয়ে
ছোট ভাইটাকে দেখলাম যে কাঁদতে
কাঁদতে চোখ লাল হয়ে গেছে, নিজের
সামনে বড় ভাইয়ের এরকম অবস্থা সে কিছুতেই
মেনে নিতে পারছেনা। খুব বাঁচতে ইচ্ছে
হচ্ছে হয়তো ওর, আসন্ন বিপদ উপলব্ধি করতে
পেরে। অনেক সতর্কতার সাথে কিডনী আর
লাঞ্চ বের করলাম। হৃৎপিন্ড টা সংকুচিত
হচ্ছে আর প্রসারিত হচ্ছে তা দেখে নিজেরই
হৃৎপিন্ডটা কেমন করে উঠলো। এসিসট্যান্ট
বললো- স্যার হার্ট টা আমি কেটে কুটে
সাইজ করি? আমি বললাম- গাধা, চোখ তুলবে
কে? ওহ স্যরি বলে চোখ এর কাছে গেলো
সে। চোখ এর ক্ষেত্রে খুবি সতর্ক থাকতে হয়,
একটু এদিক সেদিক হলে এই চোখ আর অন্যকারো
চোখে প্রতিস্থাপন করা যাবেনা। অনেক
রক্তনালী কেটে যাওয়ায় রক্তের বন্যায়
ভেসে যাচ্ছে জায়গাটা, এসিসট্যান্ট
সাইজ করে সব রক্ত একটা বালতি তে জমা
করছে। এসিসট্যান্ট আবার বলছে- স্যার ব্রেইন
টা একটু খুলে দেখি। ধমক দিয়ে বললাম আগে
ছোট টারে নিয়ে আয়।
.
কসটেপ মারা মুখের অস্ফট ভাষায় মনে হচ্ছে
সে বলছে আমাকে ছেড়ে দিন স্যার। আমার
বাসায় মা বাবা ছোটবোন না খেয়ে আছে
হাবিজাবি। কিন্তু এসবে দেখলে কি আর
আমার মাগুর মাছগুলো খাবার পাবে!আর
আমিই বা কেমন করে টাকার কুমির হবো! বড়
ভাইয়ের মত ছোট ভাইটিকেও ডিসেকশন করে
অর্গান গুলো আলাদা করলাম। স্পেশাল
ফ্রিজিং বক্সে সব রেডি করে ড. আজহারকে
ফোন দিলাম, তার লোক এসে ডেলিভারি
নিয়ে গেলো আর আমার হাতে টাকা ভর্তি
স্যুটকেস।
.
এবার শুরু হলো আমাদের স্পেশাল
কাটাকাটি। দুজন মিলে দুইটা দেহের মাথা
থেকে পা পর্যন্ত কুচি কুচি করে কেটে বস্তা
ভর্তি করলাম। বস্তা নিয়ে পুকুর পাড়ে এলাম,
মানুষের কাঁচা মাংসগুলো ছড়িয়ে
ছিটিয়ে দিলাম আমার সন্তান প্রিয়
মাগুরমাছ গুলোকে।
.
আজ অনেকদিন পর আমার মাছগুলো
তৃপ্তিসহকারে রাজকীয় খাবার খাচ্ছে।
.
বিঃদ্রঃ গল্পটি ৯৫% সত্য।
.
লিখাঃ আমিম এহসান
.
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4703
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:⧍ā§Ģ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ