āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4699

গল্পঃ "দস্যি মেয়ে"
.
প্রখর রোদের মাধ্যমে সূর্য তার ক্ষমতা দেখাচ্ছে, আর আমি সেই রোদে সূর্যস্নান করতে করতে বাসায় ফিরছি, হাতে রয়েছে স্টুডেন্টদের জন্য কোয়েশ্চিন এর  ফটোকপি। ইচ্ছে করলেই রোদ থেকে মুখ ও চোখকে বাঁচাতে ফটোকপি পেইজ গুলা ব্যবহার করতে পারি কিন্তু না, আমি সূর্যের প্রখর তাপ পঞ্চইন্দ্রিয়  এর সাহায্যে উপভোগ করছি।
.
রাস্তায় হুট করে এক বেগুনী পরী দেখে নিজের শার্টের কলার আর চুল ঠিক করে নিলাম। হাতের আস্তিন দিয়ে গাল মুখের ঘাম মুছে নিলাম। এলাকায় নতুন এসেছি তাই নতুন মানুষজনের সামনে একটু ভদ্র আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকাটা খুবই জরুরী। সানগ্লাস থাকলে চোখে দিতাম কিন্তু আমি সানগ্লাস ইউজ ই করিনা। গোলফ্রেম হোক আর চারকোনা ফ্রেম হোক, সানগ্লাস পরলেই আমাকে অন্ধের মত দেখা যায়। তাই সানগ্লাস চোখে দিয়ে পার্ট নেওয়াটা নিজের স্বভাব থেকে বাদ দিয়েছি।
.
লাল পরী নীল পরী অনেক দেখেছি, কিন্তু বেগুনী পরী ফার্স্ট টাইম দেখতে পেয়ে আমি সত্যিই অভিভূত এবং অনেক গর্বিত। হ্যা মেয়েটাকে চিনতে পেরেছি মেয়েটার নাম খুশি, নিশ্চয় প্রাইভেটে যাচ্ছে। আপুদের নতুন বাসা এর পাশের বাসায় থাকে মেয়েটা। আপু আর দুলাভাই আগেই এই মেয়ের সম্পর্কে বলেছিলো যে এই মেয়ের পাল্লায় পরিস না, একটু ড্যাঞ্জারাস আর ঢংগি টাইপের। মেয়েটা দেখতে ভালই সুন্দরী, সাদা আর লালের মিশ্রনে তার সৌন্দর্য্যটা। খুব ইচ্ছে করছে ম্যাগনিফ্লাইং গ্লাস দিয়ে তার গাল দুটো পরীক্ষা করতে যে এটা আল্লাহর দান নাকি মেকাপ বক্স তথা আটা ময়দার দান, কিন্তু এ পরীক্ষা সম্ভব নয় তাই ওখানেই ক্ষান্ত গেলাম।
.
আচ্ছা মেয়েটার সাথে একটু কথা বললে কেমন হয়! যেই ভাবা সেই কাজ।
- আপু এ রোদে ছাতা ছাড়া বাইরে বের হয়েছেন যে?
পাল্টা জবাবে সে বললো,
- আপনার কোনো সমস্যা?
- না, সমস্যা তেমন নেই। কিন্তু এত রোদে ছাতা ছাড়া চললে তো আপনার স্কিনের প্রব্লেম হয়ে যাবে।
- আমার স্কিন নষ্ট হবে আমার হবে তাতে আপনার কি?
- শুধু আমার না,  আমাদের সবার জন্যই অসুবিধা
- কেমন অসুবিধা শুনি?
- এই যে আপনার এত সুন্দর নুরানী চেহারা, এটা যদি রোদের কারনে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আমার মত আমপাবলিকেরা কিভাবে দিনে দুপুরে আকাশের পরী দেখতে পাবে বলেন?
- আপনি অনেক বাড়িয়ে বলছেন আমু ভাইয়া,
- একি, তুমি আমার নাম জানো কি করে?
- বারেহ, আমাদের এলাকায় এসে কোচিং এ টিচারি করছেন আর আমরাই জানবনা?
- ওহ আচ্ছা, শুনলাম আপনাদের এলাকার মেয়েগুলা খুবই ডেঞ্জারাস?
- আমাকে দেখে কি তাই মনে হচ্ছে?
- না না, আপনি তো দেখতে একদম মায়া বনো বিহারিণী.. হরিণী
- আপনি আবারো বাড়িয়ে বলছেন ভাইয়া। আর হ্যা আমি আপনার অনেক জুনিয়র আমাকে তুমি করেই বলতে পারেন সমস্যা নাই। - আচ্ছা চেষ্টা করবো
- আর হ্যা ভাইয়া, আপনি কিন্তু অনেক ভাল লেকচার দেন,  আমাকে পড়াতে পারবেন?
- তুমি আমার লেকচার কোথায় শুনলা?
- বারেহ, আমাদের বাসার পাশে ক্লাস নিচ্ছেন আর আমিই জানবনা, আপনি যে সেদিন গানটা শুনাচ্ছিলেন আপনার স্টুডেন্টদের, সেদিন তো পুরো গানটাই শুনেছি আমি।
- হ্যা, স্টুডেনটরা শুনতে চাইছিলো আরকি
- লজ্জা পাচ্ছেন নাকি? আপনি কিন্তু অনেক ভাল গাইতেও পারেন।
- ওহ আচ্ছা
- ভাইয়া কিছু মনে না করলে, আপনার কন্টাক্ট  নাম্বারটা কাইন্ডলি যদি দিতেন...
.
যাচে আলাপ করতে গিয়ে মহা মসিবতে পরে গেলাম, আসলেই তো এই এলাকার মেয়েরা ডেঞ্জারাস। মস্তিষ্কের হাজার হাজার নিউরন দিয়ে অজুহাত খুজতে লাগলাম অবশেষে পেলাম ও।
.
- কি হলো ভাইয়া দেওয়া যাবেনা?
- হ্যা হ্যা নাও, 01.................
- থ্যাংকু ভাইয়া
.
আর দু একটা বিদায়ী কথাবার্তা বলে বাসায় এসে পৌছলাম। কানে হাত ধরলাম আর কোনোদিন এ মেয়ের সাথে কথা বলা যাবেনা।
.
রাত প্রায় বারোটা,  ফেসবুকিং করছি এমন সময় পরিচিত একটা নাম্বার থেকে ফোন। আমার বন্ধু সোহেলের ফোন,
- হ্যালো আমু
- হ্যা সোহেল বল
- ওই সালা কোন ছেমড়ি আমারে ফোন দিয়া তোর কথা কয়? হেতির নাম নাকি আবার খুশি
- হে হে দোস্ত, পটায়া নে হেতিরে
- সালা, আমার কথা কিছুই শোনেনা শুধু আমু ভাইয়া আমু ভাইয়া কইয়া কান ঝালাপালা কইরা দিছে ,  আমি আবার তোর নাম্বার দিয়া দিছি
- সালা, হারামি, কুত্তা
সোহেলের সাথে কথা চলাকালিন অচেনা একটা নাম্বার থেকে ফোন, বুঝলাম এটা খুশি ছাড়া কেউ না, আর সে আমার নাম্বারটা ওয়েটিং পাচ্ছে।  সোহেলকে সাথে সাথে বলা শুরু করলাম,
- দোস্ত আমার, আমার জানের জিগার, কি করিস?
- হুট কইরা চ্যাঞ্জ হইয়া গেলি যে
- না দোস্ত, তোর সাথে তো অনেক দিন কথা বলিনা, আজকে একটু বলি
- তা আমার টাকা দিয়ে,  আমাকে বাশ দিয়েই পিরিতির আলাপ শুনাইতেছিস
- দোস্ত তোরে লোড দিয়া দিমু,  নাকি আমার ছাত্রীর নাম্বার নিবি বল
- সুন্দরী আছে? নাকি সব ক্ষ্যাৎ?
........

এভাবে আধঘন্টার মত সোহেলের সাথে আজাইরা আলাপ করলাম। ফোন কেটে দিয়ে দেখি আঠারো মিসড কল। মনে মনে খুব খুশি হলাম, খুশির সাথে দেখা বা কথা হলে ডিরেক্ট বলে দিব যে আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছিলাম এত ডিস্টার্ব দিচ্ছিলা ক্যান সেদিন? ব্যস। খেল খতম। মেয়ে আর দ্বিতীয় বার ধারে কাছেও ঘেষবেনা।
.
বিঃদ্রঃ এরকম মেয়ে থেকে সাবধানে থাকবেন, এরকম কিছু মেয়ে আছে যারা আমাদের মত সহজ সরল  :-P ছেলেদের ফাঁসানোর ধান্দায় থাকে।
.
লিখাঃ আমিম_এহসান

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ