গল্পঃ "মেহেদী"
.
রিন্তি এবার খুব করে বায়না ধরেছে যে, তার হাতে আমাকে মেহেদী দিয়ে দিতে হবে। আমি রাজিও হয়েছি কিন্তু বড় সমস্যা দেখা দিলো মেহেদী দিয়ে দিবো কোথায়, সেরকম জায়গা পাবো কোথায়!
.
পার্কে বসে বসে গার্লফ্রেন্ডের হাতে মেহেদী দিয়ে দিচ্ছি ভাবতেই লজ্জায় মরে শেষ। রিন্তিদের বাসায় গিয়ে দিয়ে আসবো কে না কি মনে করবে আবার আমাদের বাসায় রিন্তি আসবে এটাওতো সম্ভব না।
.
কি করা যায় ভাবতেই আছি এমন সময় রিন্তির ফোন,
- কি কিছু উপায় বুদ্ধি পাইলা?
- নাহ পাইনি, পাওয়া যাবে বলেও মনে হয়না, বিয়ের পর মেহেদী দিয়ে দিবো, এখন এগুলা বাদ দাও কাজিনদের কাছ থেকে নিয়ো
- কি বললা? আবার বলো তো দেখি
- না মানে সম্ভব না তো মিষ্টিপাখি
- হাতে একটু মেহেদী দিয়ে দিবা, তাও পারবেনা তুমি, কি পারো তুমি হা
- আমি তোমার হাত দুটো ধরতে পারি, হাতে চুমু খেতে পারি, হাতে আলতো চাপ দিতে পারি
- চুপ বদমাইশ একটাও কথা বলবানা, তুমি যদি হাতে মেহেদী না দিয়ে দিছো তাহলে এবার ঈদে সারাদিন বাসায় বসে থাকবো, তোমার সাথেও ঘুরতেও বের হবোনা এই বলে দিলাম....
টুট টুট...
.
মহা ঝামেলা, সামান্য একটু জিনিস কে বড় করে নিয়ে ফুটবল খেলাই মেয়েদের কাজ। কাজিন আছে, পাশের বাসায় মেহেদী দেওয়ার মত কতজন আছে, আজকাল পার্লারেও মেহেদী দিয়ে দেয়, তা না উনি আমার কাছেই মেহেদী দিয়ে নিবে। যত্তসব। আমি কি আর ওসব ডিজাইনের কিছু বুঝি আকাবাকা হাবিজাবি যখন একে দিবো তখন যদি আবার আরেক মহাগোলযোগ বাধায় সে টেনশনে আছি।
.
জায়গার কথা পরে ভাবা যাবে আগে মেহেদী ডিজাইন নিয়ে গবেষনা করতে গুগলের আশ্রয় নিলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম হাতে স্টিকার মেরে খুবই সহজ পদ্ধতিতে মেহেদী লাগিয়ে দিবো।
এমন সময় রিন্তির ফোন,
- এই তুমি তাড়াতাড়ি জারিনদের বাসায় চলে আসো, আংকেল আন্টি আর জিসান শপিং করতে গেছে, প্লিজ বাবু তাড়াতাড়ি আসো প্লিজ
- রিন্তি আমি তো একটু বিজি ( একদম মিথ্যা কথা)
- এই টাইমে তুমি কিসের বিজি, প্লিজ আসোনা সোনা প্লিজ, এটাই সুযোগ, হাতছাড়া করা যাবেনা।
- আচ্ছা আসছি
- আমার সোনা বাবুটা তাড়াতাড়ি আসো
.
জারিনদের বাসায় একবার গিয়েছিলাম তার ছোট ভাই জিসানের বার্থডে তে তাই বাসাটা চিনি, রিন্তিদের বাসা থেকে বেশি দূরে না। পৌছে গেলাম কিছুক্ষনের মধ্যে। কলিং বেল টিপতেই রিন্তি দরজা খুলে দিলো।
.
হাতে বেশি সময় নেই, সোফায় বসে আগে রিন্তির হাত দুখানা নরম করে নিলাম, এরপর স্টিকার লাগাতে যাবো কিন্তু সেখানেও বাধা, বাধ্য হয়ে বইয়ের ডিজাইন দেখে মেহেদী দিয়ে দিলাম কোনওমতে। ডিজাইন খুব একটা খারাপ হয়নি।
.
পনেরো মিনিট হয়ে গেলো গল্প করছি, এবার আমাকে উঠতে হবে। এ বাসায় বেশিক্ষন থাকাটা ভাল হবেনা।
- আমি উঠলাম
- থামো, হাত ধুয়ে আসি
- আচ্ছা যাও
- উফফ, এই ওড়নাটা একটু ঠিক করে দাও তো
- এহেম এহেম
- কি হলো, দেখতে পাচ্ছোনা আমার হাতে মেহেদী
.
ওড়না ঠিক করতে গিয়ে রিন্তিকে হালকা জড়িয়েই ধরলাম, ব্যস কেঁপে উঠে আমাকেও সে জড়িয়ে ধরলো,
এই যাহ আমার এশ কালারের শার্ট টার বারোটা বেজে গেলো।
- কি করলা এটা?
- আমার দোষ নাই, সব দোষ তোমার, তুমিই তো...
চুপ বলে তার ঠোটে আঙ্গুল দিলাম এমন সময় জারিন আসলো,
- কি আপা দুলাভাই, আপনাদের রোমান্টিকতা কি এখনও শেষ হয়নাই? আব্বু আম্মুরা আসতেছে , ফোন দিছিলাম
.
তাড়াহুড়ো করে মেহেদী লাগানো শার্ট পড়েই বের হয়ে আসলাম।
.
লিখাঃ আমিম এহসান
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4696
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:⧍⧧ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ