āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4694

গল্পঃ "বিয়ের অনুষ্ঠানে আমার সম্ভাব্য প্রেমের গল্প"
.
দুমদাম পটকার আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। বাড়ির পাশে বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার এই ঝামেলা, শান্তি নাই। লাউড স্পিকারে গান বাজবে আর সময়ে অসময়ে দুমদাম পটকার আওয়াজে অন্তর-বাহির কেঁপে ওঠবে।
.
বিয়েটা হচ্ছে প্রতিবেশী এক ফুফাতো বোনের। দুপুরের দিক বিয়ে বাড়ি থেকে খেয়ে এসে ঘুমিয়েছিলাম। এখন সন্ধ্যা প্রায়, নির্ঘাত বর এসেছে। নতুবা পর পর এত পটকা ফুটানোর কোনো মানে হয়না।
.
চটজলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেস হয়ে নিলাম। রওনা দিলাম বিয়ের অনুষ্ঠানের দিকে, আমার বাসা থেকে মাত্র দুই মিনিটের পথ তবে দৌড় দিলে এক মিনিটের আগেও যাওয়া যাবে।
.
বিয়ে তো জীবনে অনেক দেখেছি কিন্তু আজকের বরযাত্রীদের তো আর দেখিনি। কয়েকবন্ধু মিলে বরপক্ষের লোক দেখার নাম করে খুজে ফিরছি রূপকথার রাজকুমারীদেরকে। বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার এটাই মুখ্য উদ্দেশ্য এটা ছাড়া কোনো গৌণ উদ্দেশ্য আমাদের নেই।
.
পুরো বিয়ের প্যান্ডেল টা কয়েকমিনিটে তন্ন তন্ন করে সার্চ করে দুটো ডানাকাটা পরীর সন্ধান পেলাম। একটা শাড়িপরিহিতা আর একটা সিম্পল ড্রেস পড়া। আমার আবার পেস্ট কালার খুবই পছন্দ আর শাড়ি পরা মেয়েটার শাড়ির কালারও পেস্ট, একদম খাপে খাপ।
.
মেয়েটার থেকে অল্প একটু দূরে এমন একটা চেয়ারে বসলাম যাতে তার সাথে চোখাচোখি হওয়ার সম্ভাব্যতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। চোখের ফোকাস অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়ে সতর্কতার সাথে মেয়েটার দিকে চেয়ে আছি। লক্ষ্য হলো আই কন্টাক্ট।
.
মেয়েটা অনেক সুন্দর, সাজগোজ করার জন্য হয়তো একটু বেশিই সুন্দর লাগছে। সামনের দিকে একগুচ্ছ চুল সুন্দর করে কানের পাশে জোর করে গুঁজে রেখেছে আর সেটা খুব ঘন ঘন মুখের উপর এসে পরছে। আর বার বার সে, সেই চুলগুচ্ছকে কানের পাশে গুঁজে  রাখছে যেটা দেখতে আমার বেগতিক ভাল লাগছে। 
.
কিছুক্ষণ এর জন্য আমি স্বপ্ন রাজ্যে হারিয়ে গেলাম। দেখছি যে মেয়েটা আমার খুব কাছে।  তার অবাধ্য চুলটুকুন গালে এসে পরছে আর আমি বারবার কানের উপর তুলে দিচ্ছি। চুল কানের পাশে গুঁজে  দিয়ে গাল ধরে বলতে লাগলাম- "চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য.....।"
.
এমন সময় আঙ্গুলের তুড়িতে আমার স্বল্পদৈর্ঘ স্বপ্নের ইতি ঘটলো। দেখি আমার চোখের সামনে একটা হাতের তিনটা আঙ্গুল একত্রিত করে আবার শব্দ করে উঠলো যার নাম তুড়ি।
.
- এই যে মিস্টার, জীবনে মেয়ে মানুষ দেখেন নাই?
.
চোখ উপরে তুলে দেখি এতো সেই মেয়ে যার সাথে আমি কিয়ৎক্ষনের জন্য স্বপ্নলোকে বিচরণ করেছিলাম। কি ভাগ্য আমার! চেয়েছিলাম আইকন্টাক্ট করবো কিন্তু মেয়ে  নিজেই আমার কাছে সশরীরে এসে হাজির।
.
- এই যে মিস্টার শুনতে পাচ্ছেন না।
- জ্বি পাচ্ছি।
- তো কথার জবাব দিচ্ছেন না কেনো?
- আপনি কাইন্ডলি সামনের চেয়ারে মাথা ঠান্ডা করে বসুন।
- আমার মাথা যথেষ্ঠ ঠান্ডা আছে, আগে বলুন এমনভাবে আমার দিকে চেয়ে থাকার মানে কি? - আমি বসতে আসিনি, প্রশ্নের জবাব দিন
- প্রশ্নের জবাব তো এ লোকসমক্ষে দেওয়া যাবেনা,  জবাব শুনতে চাইলে একটু সাইডে যেতে হবে
- না,  আপনি এখানেই বলুন
- বড় গেটটার ডানপাশে আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করছি, জবাব শুনতে চাইলে আসিয়েন।
.
মেয়েটাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে আসলাম সেখান থেকে।  বাকি বন্ধুগুলো আমার এখনও ঘুরেই বেড়াচ্ছে। 
.
মেয়েটা এখানে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই তবুও অপেক্ষা করছি, কেন করছি তাও জানিনা। দুই হাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে পা দিয়ে ছোট একটা ইটের টুকরা দিয়ে একমনে খেলছি।
.
- কি ব্যাপার কুতকুত খেলছেন নাকি ফুটবল?
.
আমি যথেষ্ট অবাক হলাম, কেননা আমার চিন্তাধারার অবসান ঘটিয়ে মেয়েটা এসেছে।
.
- আমি অমি, আপনার নামটা জানা যাবে কি?
- হুম, ঈশিতা।
- অনেক সুন্দর তো!
- ন্যাকামো বাদ দিয়ে বলেন,  এখানে ডাকলেন কেনো?
- এখানে ডেকে কি অপরাধ করে ফেলেছি
- হ্যা বড় অপরাধ। আমার ভাই দেখতে পেলে সর্বনাশ হবে
- বড় ভাই না ছোট ভাই?
- ছোট ভাই
- ধুর, এ নিয়ে তুমি টেনশন করিওনা,  এটা আমাদের সালা দুলাভাইয়ের ম্যাটার।
- কি বললেন?
- না মানে.. আরকি...
- কি মানে মানে করছেন? আপনাদের ছেলেদের এই একি সমস্যা, মেয়ে দেখলে মাথা ঠিক থাকেনা, মেয়ে দেখলেই ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকবেন, সিনক্রিয়েট করবেন, অনুমতি ছাড়াই আপনি থেকে তুমি বলে ডাকবেন।
- না মানে,  ভবিষ্যৎ ইয়ে মানে ভবিষ্যৎ প্রেমিকাকে তো তুমি বলে ডাকাই যাই
- বাহ! শখ কত! আমি কি বলেছি যে,  আপনার সাথে প্রেম করবো? এতদূর ভাবলেন কি করে?
- এই যে এখানে আসতে বললাম, এসেছো
- আপনার কথায় এখানে আসছি মানে কি আপনার কথায় প্রেমেও রাজি হয়ে যাবো?
- হুম হবে! তোমার কন্টাক্ট নাম্বারটা দাও,
- আমাকে কি বোকা পেয়েছেন? আপনি চাইলেন আর আমি নাম্বার দিয়ে দিলাম।
.
এমন সময় খুব কাছে খুব জোরে একটা পটকা দুম করে ফুটলো, চমকে গিয়ে ঈশিতা আমার দুই হাত শক্ত করে ধরলো আর বড় বড় নখের জন্য সেটা খামচিতে রুপান্তরিত হলো।
.
আমি তো মহাখুশী, আর এদিকে ঈশিতা সম্বিত ফিরে পেয়ে বার বার সরি বলছে।
.
- এবার তো কন্টাক্ট নাম্বারটা দেওয়া যাবে
.
লজ্জা আর হাসির আভা একত্রিত হয়ে সুন্দর একটা লুক এসেছে ঈশিতার, আর এই লুকেই সে বলে উঠলো,
.
- ইয়ে মানে, আপনারটা দিন।
.
দিলাম, দেওয়ার সাথে সাথে ঈশিতা চলে যেতে চাইলো,  আমি থামালাম
.
- এই দাড়াও দাড়াও
- কি বলবে, তাড়াতাড়ি বলো
- কি?
- সরি, কি বলবেন বলেন?
- হি হি, তোমার চুল টা আমি শুধু একবার কানে গুঁজে দিবো
- না
- শুধু একবার
- কেউ দেখে ফেলবে
.
দেরী না করে মুখের উপর আসা চুলটুকুন গাল থেকে তুলে, কপাল স্পর্শ করে কানের পাশে গুঁজে দিয়ে গালটা আলতো করে ছুঁয়ে  দিলাম।
.
"আপনি একটা ফাযিল " -এই  বলে ঈশিতা দৌড়ে চলে গেলো।
.
নাটকীয় পর্ব শেষ হবার সাথে সাথে বন্ধুরাও  ট্রিট এর দাবি নিয়ে হাজির। ট্রিট দিতে রাজি হলাম।
.
পাঁচ মিনিট পর ফোনে আননোন নাম্বার থেকে একটা মেসেজ- "এটা আমার নাম্বার,সেভ করে রাখিয়েন"
.
লিখাঃ আমিম এহসান

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ