āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4693

গল্পঃ " ঘাস ফুল "
লিখাঃ আমিম এহসান
.
দীর্ঘ এক মাস পর কলেজে গেলাম। ক্লাস করি আর না করি, নিজের ডিপার্টমেন্ট সহ পুরো কলেজটা চক্কর মারাই মূল উদ্দেশ্য। বোটানি ডিপার্টমেন্টটা আমাদের জুওলজি ডিপার্টমেন্ট এর একদম পাশেই,  তাই সর্বপ্রথম বোটানি ডিপার্টমেন্ট এর দিকেই সোহেল সহ গেলাম।
.
পরিচিত কয়েকজনের সাথে হায় হ্যালো করলাম। সোহেল তার মেয়ে দেখার চিরাচরিত কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলো এমন সময়ে কাঠের তৈরী বড় ফ্রেমের দেয়ালিকা টা আমার চোখে পরলো। এগিয়ে গিয়ে ছোট গল্প আর কবিতা গুলো পড়তে লাগলাম।
.
বেশিরভাগই কবিতা। এর মধ্যে একটা কবিতা খুবই আকৃষ্ট করছে আমায়। কবিতাটা চার-পাঁচ বার পড়লাম তবুও শান্তি হচ্ছেনা, আরো দুইবার পড়লাম। কবিতার নাম "ঘাসফুল"। আর কবিতার নিচে সুন্দর করে লিখা "প্রেমাঞ্জিতা দে পূজা- প্রথম বর্ষ"।  ইসস হাতের লেখাটাও কি দারুণ, মনোমুগদ্ধকর। নিজের অজান্তেই এই মেয়ে কবির বড় ফ্যান হয়ে গেলাম। কবিতাটার কয়েকটা পিক তুলে নিলাম ফোনে।
.
সোহেলকে অনেক কষ্টে খুঁজে পেলাম। তাকে কবিতা আর কবির উপরে ক্রাশ খাওয়ার কথা কিছুই বললাম না। শুধু বললাম যে একটা মেয়েকে খুঁজতে হবে। সে তো একপায়ে রাজি।
.
ফার্স্ট ইয়ারের কয়েকজন জুনিয়র আমারও পরিচিত ছিলো কিন্তু তাদের কাউকেও দেখতে পাচ্ছিনা। কিন্তু সোহেল এর কমবেশি সবাই পরিচিত, সালাম এর জবাব আর হ্যান্ডশ্যাক করতে করতে অবস্থা খারাপ।
.
আমি ভাবতেছি যে,  কোনো একটা ছেলেকে ডেকে বুঝি পূজার কথা বলবে। কিন্তু না, আমাদের সোহেল বস এর ব্যাপারটাই আলাদা, ওর পরিচিত একটা মেয়েকে ডেকে পূজার কথা বললো। মেয়েটা বললো তাদের ডিপার্টমেন্ট এ পুজা আছে দুইজন।  আমি সম্পুর্ন নাম জানে কিনা তা জিজ্ঞেস করলাম। মেয়েটা বললো যে একজন হলো পূজা রায় যে আজকে আসেনি আর একজন ওই যে বেলকনির ওখানে , পুরা নাম আমি জানিনা। ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসলাম একাই, সোহেল নাকি আরো কিছুক্ষন থাকবে।
.
দেখি যে, কবি সাহেবান বেলকনিতে দাঁড়িয়ে সুদূরে আকাশের নীলিমায় কি জানি দেখছে। লাল সবুজ থ্রি পিস, সাদা ভ্যানিটি ব্যাগে অসাধারণ লাগছে। আরেকটা জিনিস দেখে আমি আর নিজেকে স্থির রাখতে পারলামনা, দৌড়ে তিনতলা থেকে নিচতলায় নেমে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঢুকে পরলাম। সাইকাস গাছ দুইটার মাঝখানে অসংখ্য ঘাসফুল। খুজে খুজে সতেজ আর বড় কয়েকটা ঘাসফুল নিয়ে আবার তিনতলায় উঠলাম।
.
একচুয়েলি তার চোখে কালো ফ্রেমের চশমা দেখে চরম মাত্রায় ক্রাশ খেয়ে নিজেকে স্থির রাখতে পারিনি। মেয়েটার কাছে গিয়ে কৃত্তিম কাশি দিতেই মেয়েটা ঘুরে দাড়ালো। সাহস করে কথা বলা শুরু করলাম।
.
- তোমাকে কিছু বলতে চাই
- জ্বি বলুন
- চশমাটা খুলো প্লিজ, আমি তোমার দিকে তাঁকাতে পারছিনা
- আমার চশমা আমি পরে আছি, তাতে আপনার প্রব্লেমটা কোথায়?
- এই কালো ফ্রেমের চশমাটা পরার জন্য তোমার সৌন্দর্য্য কয়েকগুণ বেড়ে গেছে, তা কি তুমি জানো
- হয়েছে,  সিনেম্যাটিক কথা বাদ দিয়ে আসল কথা বলুন, আপনি আসলে কে?
- আমি অমি আর তুমি প্রেমাঞ্জিতা দে পূজা,এম আই রাইট?
- হি হি, অদ্ভুত তো! আপনি আমার নাম জানলেন কি করে?
.
হাতের পিছনে লুকিয়ে রাখা ঘাসফুল কয়েকটা সামনে বাড়িয়ে ধরে বললাম,
.
- সব এই ঘাসফুলের অবদান। বন্ধু হিসেবে ফুল কয়েকটি গ্রহণ করলে খুশী হবো কাব্যরাজ্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী।
- আচ্ছা বন্ধু গ্রহণ করলাম, খুশী তো?
- হ্যা অনেক খুশী।
- দেবী না কি জানি বললেন একটা?
- হুম, তুমি কাব্যরাজ্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী।
- হি হি, দুই তিনটা কবিতা লিখতেই অধিষ্ঠাত্রী দেবী বলাটা বেশী হয়ে যাচ্ছেনা মিঃ অমি?
- সবাইকে যায়না কিনা জানিনা,  তবে তোমাকে বলা যায়ই।
- ওহ আচ্ছা বুঝলাম, তা আপনার গল্প লিখার কি অবস্থা? আমাকে নিয়ে আজকের এই ঘটনাটা নিয়েও লিখবেন বুঝি? আপনি তো ছাড়েন না কাউকেই।
- মানে?
- মানে মানে  করে লাভ নাই, আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। আপনি অনেক সুন্দর গল্প লিখেন। আপনার গল্পের নিয়মিত পাঠিকা আমি।
- এমেইজিং, তোমার আইডির নাম কি?
- সেটা তো আমি বলবনা, রাইটার সাহেব।
- উহু, বলোনা
- উহু, বলবনা।
.
সারাদিন দুজনে অনেক ঘুরলাম, গল্প করলাম। এমন  বান্ধবী পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। তবে সে যে সাংঘাতিক তা ঠিকই বুঝতে পারলাম, কেননা এত জোরাজুরির পরেও ফেসবুক আইডির নামটা বলেনি।
.
♦সমাপ্ত♦

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ