āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4676

গল্পঃ "এক জোড়া কানের দুল"
.
লিখাঃ আমিম এহসান
.
.

ছোট বোনের জন্য একজোড়া কানের দুল দামাদামি করছি। এমন মূহুর্তে কোথা থেকে জানি একটা মেয়ে এসে দোকানদারকে বলছে,
.
"ভাই, কালকে যে একজোড়া কানের দুল পছন্দ করে গিয়েছিলাম, ওটা একটু খুজে দিন তো?"
.
আমি মেয়েটার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছি আর দুল হাতে নিয়ে চুপ করে আছি।
.
কিছুক্ষণ দোকানদার আর মেয়েটা, আগেরদিনের পছন্দ করা দুল জোড়া হন্য হয়ে খুঁজে যখন ক্লান্ত ঠিক সে সময় দোকানদার আমার হাতের দিকে ইশারা করে বলে উঠলো,
.
"এই যে এই ভাইয়ার হাতে।"
.
আমি মাসুম বাচ্চার মত দুল জোড়ার দিকে তাকিয়ে দোকানদার আর মেয়েটার দিলে তাকালাম, এমন একটা ভাব করলাম যে আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা,আমি নির্দোষ।
.
মেয়েটা দোকানদারকে কড়জোড় অনুরোধ করে আমার কাছ থেকে দুল জোড়া নিয়ে তাকে দিতে বলছে। দোকানদারও তাই বলা শুরু করলো,
.
"ভাই দেন তো দুল জোড়া, এগুলা তিনি কালকে পছন্দ কর রেখে গিয়েছিলেন।"
.
আমার ঘাড় সোজা-সাপটাই কিন্তু এই মূহুর্তে একটু ঘাড়ত্যাড়া স্বভাব দেখানোর ইচ্ছে হলো কেননা একি মডেলের দুল আর নেই। সে অনুযায়ী বলাও শুরু করলাম,
.
"দুল জোড়া তো আমিও পছন্দ করেছি, আর এই দুল জোড়া আমিই নিবো।"
.
ভেবেছিলাম, সুন্দরী মেয়েটা যদি আমায় অনুরোধ করে তাহলে দুল জোড়া তার কাছেই হস্তান্তর করবো কিন্তু না, সে সরাসরি আমার সাথে কথাই বলছেনা, সে প্রতিবার দোকানদারকে মাধ্যম করেই কথা বলে যাচ্ছে। মেয়েটার এমন দেমাগি ভাব দেখে মেজাজটা গরম হয়ে গেলো।
.
অনেক কথা কাটাকাটির পর এই সিদ্ধান্ত হলো যে, যে বেশি দাম দিবে দিতে পারবে সেইই দুল জোড়া নিতে পারবে। আমি প্রথম বারেই একটু বেশি করেই দাম বলে ফেললাম, মেয়েটা কোনো কথা না বলে আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে চলে গেলো, বুঝলাম তার পার্স এর স্বাস্থ খুব একটা ভাল না।
.
দুল জোড়া নিলাম, আসল দামেই। ফাযিল দোকানদার বাড়ানো দাম ছাড়া দিতেই রাকি হচ্ছিলোনা, অনেক তর্ক বিতর্ক করে শেষমেশ কিনলাম আরকি। মার্কেট থেকে বের হয়ে দেখি সেই মেয়েটা রিকশার জন্য অপেক্ষা করছে।
.
মেয়েটা একটা রিকশা নিলো, আমিও অন্য একটা রিকশা নিলাম। হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যে মেয়েটাকে আমি ফলো করবো কিংবা থামতে বলবো। কেননা একটা ব্যাপার আমি কিছুতেই মিলাতে পারছিলাম না যে মেয়েটা অন্য দুল নিলোনা কেনো!
.
মেয়েটার রিকশা থামলো, আমিও নামলাম, ডাক দিলাম "এই যে শুনছেন" বলে। মেয়েটা  একবার ঘুরে তাকিয়ে আবার হনহন করে হাটা শুরু করলো। আমি একটু দৌড়ে গিয়ে পথ আটকালাম। মেয়েটা বলে উঠলো,
.
"এটা কিন্তু আমার এলাকা, পথ ছাড়ুন।"
"পথ ছাড়বো তবে, এটুকু বলে যান যে, আপনি অন্য কোনো দুল নিলেন না কেনো?"
"আপনার সেটা শুনে কি হবে, আপনি তো টাকার জোর দেখিয়ে দুল জোড়া কিনেই ফেলেছেন।"
.
অনেক জোরাজুরি করে দুল জোড়ার রহস্য জানতে পারলাম। আসলে গতকাল তারা দুইবোন মার্কেটে গিয়ে এই দুলজোড়া পছন্দ করেছিলো কিন্তু অন্যান্য শপিং করায় টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় দুল জোড়া কিনতে পারেনি। তাই "মিথি" তার ছোটবোনকে সারপ্রাইজ করার জন্য আজ দুল জোড়া কিনতে এসেছিলো কিন্তু আমার মত একটা ঘাড়ত্যাড়া ছেলের জন্য সেটা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
.
মেয়েটা দেখতে যেমন নামটাও সুন্দর, মিথি। আমি দুল জোড়া মিথিকে দিলাম যদিও সে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলোনা। এমন সময় আমার ছোটবোনের ফোন,
.
"অমি ভাইয়া..."
"বল।"
"তোমাকে যে কানের দুল আনতে বলেছিলাম তা আর আনা লাগবেনা, আমি কলেজের পাশের কসমেটিক্স থেকে দুই জোড়া কিনে ফেলেছি, তুমি শুধু পাঁচশো টাকা বিকাশ করে দাও।"
"আচ্ছা দিচ্ছি এখুনি।"
"এখুনি দাও। আমার দুল গুলোর উপর অন্যদের নজর পড়ছে।"
"আচ্ছা দিচ্ছি, ফোনটা কাট।"
.
টাকাটা বিকাশ করে দিলাম ছোটবোনকে, এদিকে মিথিও তাদের বাসায় যেতে বলছে, অন্য আরেকদিন যাবো এই বলে ছাড় পেয়ে বাসায় ফিরলাম। আর ভাবতে লাগলাম, মেয়েরা তাদের পছন্দের জিনিস কিছুতেই হাতছাড়া করতে চায়না।
.
সমাপ্ত।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ