- 'এই যে ভাইয়া উঠুন, ভাইয়া.., উঠুন না প্লিজ, ভাইয়া..'
.
এত মিষ্টি স্বরে আমাকে কে ডাকতে পারে এটা দেখার জন্যই একপ্রকার ধড়ফড় করে ঘুম থেকে উঠলাম। চোখ ঘষতে ঘষতে সামনে চেয়ে দেখি, নাহ কেউই নেই; তাহলে আমায় ডাকলোটা কে! 'ধ্যাৎ, আজকালের স্বপ্ন গুলোও আমার সাথে দুই নম্বরি করছে'- এই বলে হাত উপরে করে আড়মোড়া দিতে যাবো এমন সময় পিছন থেকে আবার মিষ্টি কন্ঠস্বর ভেসে আসলো।
.
- 'ভাইয়া, আমি এদিকে, আর হ্যা আপনি কোনও স্বপ্নও দেখছেননা, আমিই ডেকেছি আপনাকে।'
.
ঘুরে তাঁকালাম মেয়েটার দিকে। কি অপরূপ! নেশা লাগানো সৌন্দর্য্য! চোখের অক্ষিগোলক দুটির ব্যাসার্ধ বাড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে চেয়েই আছি তার দিকে। মেয়েটার হাতের তুড়িতে আমার দর্শন কার্যে ব্যাঘাত ঘটলো।
.
মেয়ে হয়েও খুব সুন্দর তুড়ি বাজিয়েছে সে! আমার নিজের তুড়িতেও এত সাউন্ড হয়না। আমি নিজে কয়েকবার তুড়ি বাজালাম তারপর মেয়েটাকে বললাম- 'কিভাবে তুড়ি বাজালেন আরেকবার বাজাবেন প্লিজ?'
.
মেয়েটা রেগে গেছে খুব বুঝতে পারছি কিন্তু তার চেহেরায় সে রাগটাকে লুকিয়ে বিরক্তি ভাবটা ডিসপ্লে করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, ব্যাপারটা আমি মেনে নিতে পারলাম না। আবার বলে উঠলাম- 'আপনি রাগই দেখান, সমস্যা নেই, রাগলে মেয়েদের দারুণ দেখায়।' মেয়েটার ধৈর্য্যের বাঁধ খুবই কম ক্ষমতা সম্পন্ন। মেয়েটা এবার বলা শুরু করলো, আমিও তার দিকে মনোযোগ দিলাম এতে করে যাই বলুক না কেনো কথাগুলো বলে সে তৃপ্তি পাবে।
.
- 'আপনাকে আমি পাঁচ মিনিট ধরে ডাকছি কিন্তু আপনার কোনও সাড়াশব্দ নেই। আচ্ছা আপনার কি বাড়িঘর নেই? পার্কের বেঞ্চে মরার মত ঘুমাচ্ছিলেন।'
.
চারপাশটা ভাল করে খেয়াল করে দেখলাম আসলেই তো আমি পার্কের ভিতর। পিঠটা টনটন করে উঠলো, বুঝতে পারলাম স্টিলের বেঞ্চে শুয়ে থাকার ফল এটা। পার্কের আশে পাশে অনেক কপোত কপোতী প্রেম লীলায় মত্ত। আচ্ছা মেয়েটা কি আমার সাথে প্রেম করতে আসছে! এটা ভাবতে ভাবতে মাথার চুলে বিলি কাটছি। মেয়েটা আবার বলা শুরু করলো, মেয়েটার ঠোঁটে হালকা করে লিপস্টিক দেওয়া আছে হয়তো যেটার জন্য কথাগুলো শুনতে একটু অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিলো।
.
- 'আপনি এখন উঠুন, আমি বসবো এখন এখানে।'
- 'এখন তো আর আমি শুয়ে নেই, বেঞ্চে এখন অনেক জায়গা আছে, বসতে পারেন।'
- 'নাহ আপনি উঠুন, একটু পরে ও আসবে।'
.
ভণিতা করে বলাই যেতো যে "ও" আবার কে? কিন্তু আমি তো আর ছোট্ট খোকা নই যে এই "ও" এর মানে বুঝবোনা। তাই খুব অবাক না হয়ে সুন্দর করেই জবাব দিলাম- 'আপনার ও আসলে আমি উঠে যাবো।'
.
মেয়েটা কথা আর পরিস্থিতির যুদ্ধে হেরে গিয়ে বেঞ্চের এক পাশে বসে পড়লো। আমিও চুপ সেও চুপ। বিনে কারণে কথা বলে কি লাভ! অবশ্য মেয়েটা সিংগেল হলে আগ বাড়িয়ে কথা বলার চেষ্টা করাই যেতো।
.
আমি ভাবছি মেয়েটার কথা, মেয়েটা ভাবছে তার বয়ফ্রেন্ডের কথা। আচ্ছা তার বয়ফ্রেন্ডটা এখনও আসছেনা কেনো! তাকে দেখার খুব ইচ্ছে করছে কেন জানি! এত সুন্দরী একটা মেয়ের বয়ফ্রেন্ড হওয়া তো অনেক বড় ভাগ্যের ব্যাপার,আর এই ভাগ্যবান ব্যক্তিটাকে দেখে যদি কিছু শিখতে পারতাম তাহলে নিজেরও একটা গতি করতে পারতাম নিশ্চিত।
.
আমার এমন ভাগ্য কোনোদিন হবেনা এই ভেবে কপালে হাত দিলাম। কিন্তু একি! আমার জ্বর এসেছে বোধ হয়। পেট এ হাত দিয়ে বুঝতে পারলাম পেটটাও ক্ষিদের জ্বালায় অস্থির। নাহ! নিজেকে নিয়ে একটু ভাবা দরকার, কেনো আমি এখানে এলাম!
.
অতঃপর মনে পড়লো সব কথা। সকাল সকাল একটা ব্যাপার নিয়ে আব্বু আম্মু অনেক কথা শুনিয়েছে , এমনকি ভাইয়া আপুরাও কথা শুনাতে কম করেনি। বড়দের সাথে ঝগড়া তথা কথা কাটাকাটি করা ভদ্রতার মধ্যে পড়েনা তাই নিরব রাগ দেখিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি। যদিও পরিবারের সবাই জানে আমার রাগ এর স্থায়িত্বকাল অনেক ক্ষণস্থায়ী। হাটতে হাটতে বাসা থেকে বাঁশেরহাট তারপর মহাসড়ক এর লাইন ধরে কলেজ মোড় পর্যন্ত এলাম। আরও হাটার ইচ্ছে করছে, হেটে হেটে আজ বাংলাদেশ ভ্রমণ করবো এমন একটা মনোভাব নিয়ে নিজের কলেজ দিনাজপুর সরকারি কলেজ পার হয়ে একদম চৌরাঙ্গীতে এসে থামলাম। বুঝতে পারলাম ক্ষিদে লাগতে শুরু করেছে, কিছু খাওয়া দরকার, কিন্তু পকেট হাতড়ে দেখলাম পকেট ফাঁকা।
.
ভালই হবে, না খেয়ে হেটে হেটে নিজেকে কষ্ট দিতে খুব একটা খারাপ লাগছেনা। হাটতে হাটতে একদম বড় মাঠ, বড় মাঠ পার হয়ে দিনাজপুর শিশু পার্কে ঢুকে গেলাম। যদিও এই পার্কে প্রাপ্তবয়স্করাই বেশি আসে। একটা ফাঁকা বেঞ্চে বসে গেলাম, ক্লান্তি আর ক্ষিদের চোটে ধীরে ধীরে শুয়ে পড়লাম। এরপর গভীর ঘুমে যে কখন তলিয়ে গেছি নিজেই জানিনা।
.
বাকিটুকু তো সবারই জানা, এই মেয়েটার মিষ্টি ডাকে ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছে, সাথে সাথে মেয়েটার দিকে তাঁকালাম। মেয়েটা দেখি আগে থেকেই আমার দিকে চেয়ে আছে, সে কিছু জিজ্ঞেস করবে করবে করেও জিজ্ঞেস করতে পারছেনা সেটা তার উৎসুক চোখের দিকে ভাল করে লক্ষ্য করতেই বুঝতে পারলাম।
.
- 'আপনার কিছু জিজ্ঞেস করার ইচ্ছে করলে জিজ্ঞেস করতে পারেন?'
- 'না মানে.... আপনার পরিচয় টা?
- 'আমার নাম এহসান, দিনাজপুর সরকারি কলেজে জুওলজি ডিপার্টমেন্ট এ সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছি, আপনি?'
- 'আপ.. আপনি জুওলজিতে, আমি তো ইংরেজি ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হলাম এবার।'
- 'বাহ! তা ম্যাম আপনার নামটাই তো বললেন না?'
- 'আমার নাম রিন্তি।'
- 'আপনার বয়ফ্রেন্ড এখনও আসছেনা কেন?'
- 'আমি আপনার জুনিয়র, আমাকে তুমি করেই বলতে পারেন।'
.
সাথে সাথেই রিন্তির ফোনে ফোন এলো। রিন্তির কথা শুনে বুঝতে পারলাম প্রেম জিনিসটা আসলেই অনেক ক্যাচালের। আমার সাথে কথা বলা হাসিমুখ টা তার মন খারাপের আকৃতিতে পরিবর্তিত হলো বুঝতে পারলাম। রিন্তি একটু রেগে গিয়েই দু চারটা কথা শোনালো তার প্রেমিককে। রিন্তি কেঁদে ফেললো, ইসস কি বাজে দেখাচ্ছে তাকে। কথা শুনে বুঝতে পারলাম ছেলেটা রিন্তিকে "ক্যারেকটার লেস" সহ আরও অনেক অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে।
.
রিন্তির চোখ লাল হয়ে আছে, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে সে। এই সময় দরজা বন্ধ করে বিছানায় বালিশে মুখ চেপে কান্না করার দরকার। মন খারাপ তথা কান্নার সময় সান্ত্বনা বাক্য শুনিয়ে কোনো লাভ নেই কেননা দামি কথা গুলো তখন খুব বাজে শোনায় আর অসহনীয় হয়ে যায়। আর আমিও চাইনা আমার দামি কথা গুলো কেউ অগ্রাহ্য করুক,অবমূল্যায়ন করুক তাইতো চুপ করে বসে আছি কোনো কথা না বলে। তবে প্রথম দিকে মেয়েটার কান্নারত মুখটা ভাল না লাগলেও এখন খুব ভাল লাগছে। মায়ায় পড়ে যাচ্ছি মেয়েটার বুঝতে পারছি। আমি যদি তার বন্ধু কিংবা কাছের কেউ হতাম, আমি নিশ্চিত সে আমায় জড়িয়ে ধরে কান্না সংবরণ করতে চাইতো। ইস! ভাবতেই শরীরটা শিওরে উঠলো।
.
মেয়েটা টানা পনেরো মিনিট কাঁদলো। আর কাঁদতে পারছেনা সে, হয়তোবা কাঁদতে ইচ্ছেও হচ্ছেনা। ভুল ভালবাসার জন্য হয়তো আর সে চোখের একুয়াস হিউমার খরচ করতে চাচ্ছেনা তাই পুরোপুরি চুপ হয়ে, চোখ মুছে আমার দিকে তাঁকালো।
.
- 'আপনি এখানে ঘুমাচ্ছিলেন কেনো?'
.
কাঁদার পর মনটা উর্বর হয়ে যায়, মেয়েটার মন ভাল করা এখন খুবই সহজ একটা কাজ। এখানে ঘুমানোর পিছনের ইতিহাস সব বললাম রিন্তিকে। রিন্তি তো হেসে কুটি কুটি। সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইছেনা যে আমি বাসা থেকে রাগ করে চলে হাটতে হাটতে এসেছি। কথাগুলো খুব গুছিয়ে বলেছি যাতে মেয়েটা আমার প্রতি একটু হলেও ইমপ্রেস হয় তাহলে এই মূহুর্তে আমার সাথে অনেক ভাল একটা ঘটনা ঘটতে পারে আশা করা যাচ্ছে।
.
আমি পেরেছি, মেয়েটা ইম্প্রেসড। আমাকে অভুক্ত রাখতে সে নারাজ। এক প্রকার টেনে হিচড়ে আমাকে রুস্তম হোটেলে নিয়ে গেলো। ক্ষিদের জ্বালায় পেট অনেকক্ষণ আন্দোলন করেছে আর তাইতো গরুর মাংসের ভুনা দেখে নিজেকে কিছুতেই সংবরণ করতে পারলাম না। একটু দ্রুতগতিতেই খাওয়া শুরু করলাম, আমার সামনে যে একটা মেয়ে আছে এ কথা আমি বেমালুম ভুলে গেলাম।
.
খেতে খেতে মেয়েটার চোখে চোখ পড়লো। হালকা করে কাজল দেওয়া। "ওই তোর মায়াবী চোখ, কাজল হয়ে যাবো.... " গানটা মনে পড়ছে, মেয়েটা আমার গার্ল ফ্রেন্ড কিংবা বউ হলে গানটা গেয়ে শোনাতাম। মেয়েটা লজ্জা পেয়েছে তাই চোখ নামিয়ে নিলো। আমি দ্বিগুণ লজ্জা পেয়ে খাওয়ার গতি কমিয়ে দিলাম কেননা এতক্ষণ আমি বস্তির নিম্নশ্রেণীর মানুষের মত গোগ্রাসে খাবার গিলছিলাম। কথাটা বলা হয়তো আমার ভুল হতে পারে কেননা ক্ষিদে পেলে বাঘ যেমন ঘাস খেয়ে নিম্নশ্রেণীর হয়ে যায়, তেমনি আমরাও।
.
তৃপ্তি সহকারে খেলাম, রিন্তি অবশ্য কিছুই খায়নি। বিলটা দিয়ে দিলো সে, আমি অন্যদিন খাওয়াবো আর তাকে খেতেই হবে এই শর্তেই অবশ্য আমি খেতে রাজি হয়েছিলাম।
.
- 'আপনাকে এখন আমার সাথে গোটা বিকেলটা ঘুরতে হবে।'
- 'কেনো? '
- 'বারেহ আমি আপনাকে খাওয়ালাম আর আমার চাওয়াটুকুনই পূরন করতে চাচ্ছেন না।'
- 'আচ্ছা আমি রাজি তবে একটা শর্তে।'
- 'কি শর্ত শুনি?'
- 'আমায় হাটতে ইচ্ছে করছেনা, বেটার হয় একটা রিকশাতে যদি ঘুরতাম।'
- 'আচ্ছা আমি শর্তে রাজি।'
.
একটু দূরত্ব বজায় রেখে পাশাপাশি বসলাম। রিকশা চলার সাথে সাথে রিন্তিরও গল্প শুরু হলো। চাঞ্চল্যকর কথাবার্তা শুনতে দারুণ লাছিলো। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে বাসায় ফেরা দরকার। ফিরতি পথে সে সুইহারী তে নেমে গেলো আর আমি পল্লীবিদ্যুৎ এর পরিচিত অটো ধরে বাসায় চলে আসলাম। আর হ্যা রিন্তির ফোন নাম্বার আর ফেসবুক আইডিও ইতিমধ্যে নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
.
সুখের সময় দীর্ঘস্থায়ী নয় তাই ভাল লাগার সময় গুলো খুব তাড়াতাড়িই কেটে যায়। আমি হয়তো যেমন করে আজকের কাটানো সময়ের কথা ভাবছি আমার বিশ্বাস রিন্তিও এমন করে আজকের দিনের কথা ভাবছে।
.
.
.
রিন্তির সাথে সুসম্পর্কের আজ প্রায় ছয় মাস হতে চললো, তবে হ্যা তা প্রেম নামক সম্পর্ক না। আমি যে রিন্তিকে পছন্দ করিনা তা না, ওমন মেয়েকে পছন্দ করা দোষের না কিন্তু রিন্তি আমাকে খুব পছন্দ করে, খুব কাছের করে নিতে চায় আমাকে যা তার আচরণ এই পরিষ্কার বোঝা যায়। আমি রাজি হয়নি কেননা যুগ এর আবহাওয়া অনেক চ্যাঞ্জ হয়েছে, সম্পর্কগুলো বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনা, অল্পতেই ভেঙ্গে যায়। তবুও খুব কম সম্পর্কই নানান চড়াই উৎরাই এর মধ্যে টিকে আছে গভীর ভালবাসার কারণে যা খুবই বিরল ব্যাপার।
.
রিন্তি একদিন সরাসরি বলেই ফেললো- 'আমি তোমাকে ভালবাসি, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবনা।'
.
আমি তার পুরোনো সম্পর্কের কথা মনে করে দিয়েছিলাম। আর বলেছিলাম- 'প্রেম তো দমকা বাতাসের মত, ক্ষণিকের জন্য এসে সব লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যায়। আমি চাইনা এমন নিচুমানের প্রেম। চাইনা আমার মনের রাজ্য প্রেমের জন্য লণ্ডভণ্ড হয়ে যাক।'
.
সেদিন রিন্তি খুব কেঁদেছিলো আর বলেছিলো- 'আমি তোমার প্রয়োজনীয় বাতাস অক্সিজেন হয়ে তোমায় ভালবাসতে চাই।'
.
আমি পাষণ্ড তার কথায় কিছুতেই মন গলেনি। অনেক অভিশাপ দিয়ে, নিজে মরে যাবার কথা বলে সেই যে রিন্তি চলে গেলো, আজ প্রায় ছয় মাস হলো রিন্তি আমার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। আমাকে সব জায়গায় ব্লক করে রেখেছিলো। তার বাসায়ও গিয়েছিলাম কিন্তু আমার সাথে সে কথা বলেনি। যাক মেয়েটা প্রেম নামক মায়াজাল থেকে রক্ষা পেয়েছে কেবল মাত্র আমার জন্যই এ ভেবে গর্ববোধ হচ্ছিলো।
.
.
.
আজ রিন্তির বিয়ে, দাওয়াত পাইনি। কিন্তু বিয়েতে আমি উপস্থিত বন্ধুর ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে। আমি খুব একটা ভাল ছবি তুলতে পারিনা তাই বিয়ে বাড়িতে ক্যামেরাম্যান বন্ধুর এসিস্টেন্ট হয়েই বিয়ে বাড়িতে রয়ে গেলাম।
.
দুই মিনিটের জন্য রিন্তির সাথে কথা হয়েছিলো। সে বেশি কিছু বলেনি শুধু তাদের জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য দোয়া করতে বলেছে। ওর হবু হাজব্যান্ড এর কথা শুনলাম, এমন স্টাবিলিশড হাজব্যান্ড থাকা রিন্তির জন্য অনেক বড় ভাগ্যের ব্যাপার, অনেক সুখে থাকবে মেয়েটা।
.
এমনটি করেই তো আমিও সুখে আছি রিন্তিও সুখে আছে। আবেগের বসে যদি তার সাথে আমার প্রেমটা হয়েই যেতো এত শান্তি কেউই খুজে পেতাম না। অশান্তি আর বেদনায় জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে যেতো। সব আবেগ তো আর পরিপূর্ণতা পায়না, কিছু আবেগকে এমন করে ঝড়ে যেতে দিতে হয়। সব স্বপ্ন তো আর পূরন হয়না, কিছু স্বপ্ন এমন করে ভেঙে যেতে দিতে হয়। পৃথিবীতে টিকে থাকতে গিয়ে এমনি করেই জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হয়, স্বল্পকালের জীবনে এতেই তো অনেক সুখ, অনেক আনন্দ।
.
.
সমাপ্ত
.
.
গল্পের নামঃ "এইতো জীবন"
.
লিখাঃ আমিম এহসান
.
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4675
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ļā§Ŧ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ