-হ্যালো রুহী,
-হ্যা নীরব বল,
-বিকেলে তুই ফ্রি আছিস?
-উম... হ্যা আছি তো, ক্যান?
-বিকেলে আমার সাথে তোকে একজায়গায়
যেতে হবে।
-কোথায় যেতে হবে বলবি তো!
-গেলেই বুঝতে পারবি, এখন বলবনা। এখন
রাখি, বাই
-আচ্ছা বাই।
.
নীরব আমার ভাল বন্ধুদের মাঝে একজন।
বিকেল বেলা সে কোথায় নিয়ে যেতে
পারে!.? হয়তো আড্ডা দেওয়ার জন্য কোথাও
নিয়ে যাবে না হয় ছবি তুলার জন্য সুন্দর
জায়গা পেয়েছে। নীরব ছবি তোলার জন্য
প্রায়ই এভাবে ডাকে কেননা ওর ক্যামেরা
আছে ঠিকি কিন্তু ভাল ছবি তুলতে পারেনা
আর আমি ভাল ছবি তুলতে পারি কিন্তু
ক্যামেরা নাই।
.
বিকেল বেলা নীরব আমাকে ওর বন্ধু রনিদের
বাসায় নিয়ে এলো। রনি নামের কোনও বন্ধু
ছিল নীরবের তা আমার জানা ছিলোনা।
গেস্ট রুমের সোফায় বসা মাত্রই আন্টি এবং
রনির ছোট বোন ঢুকলো। নীরব আমাকে
দেখিয়ে বললো- আন্টি এই হলো রুহী, আমার
বেস্ট ফ্রেন্ড। রনির ব্যাপারে সব কিছু খুলে
বলুন ওকে, ও একটা না একটা ব্যবস্থা করে
দিবে। আমি সালাম দিয়ে কুশল বিনিময়
করলাম, রনির বোন রানীর সাথেও কথা
বললাম।
.
-মনোযোগ দিয়ে শোনো বাবা,
-জ্বি আন্টি বলুন শুনছি,
-প্রায় দুবছর ধরে রনি আমাদের অবাধ্য হয়ে
গেছে। আমাদেরকে মূল্যায়ন করেনা।
নিজের ভাল মন্দ নিজেই বুঝেনা, এমন এমন
কাজ করে যেগুলাতে আমাদের মাথা নিচু
হয়ে যায়, বারন করলে উলটা আমাদেরই
শাসায়।
-আন্টি নেশা শুরু করেছে কি?
-হ্যা বাবা নেশা, কিন্তু সিগারেট মদের
না, মেয়ের নেশা।
.
আন্টি কেঁদে ফেলবেন মনে হচ্ছে। মেয়ের
নেশা এই শব্দ টা শুনে কেমন জানি লাগছে।
রানী বলা শুরু করলো,
- আমার অনেক বান্ধবীদের সাথেও ফ্লার্ট
করে রিলেশন করেছে, তারা এখন আমার
সাথে কথাই বলেনা আমাদের পরিবারকে খুব
খারাপ ভাবে। সবসময় ফোনে কোনও না
কোনো মেয়ের সাথে কথা বলে। আব্বু প্রায়ই
রাস্তাঘাটে ভাইয়াকে নতুন নতুন মেয়ের
সাথে ঘুরতে দেখে, আব্বু বুঝাতে চাইলেই
আব্বুকেই মেজাজ দেখায়, হাত খরচের জন্য
অনেক টাকা চায়। আমার ভাইয়া প্লেবয় হয়ে
গেছে একদম। প্লিজ রুহী ভাইয়া আপনি কিছু
করুন, পরামর্শ দিন এভাবে তো আর চলতে
পারেনা।
-সবি তো বুঝলাম। আচ্ছা রনি তোমায়
ভালবাসে তো স্নেহ করে তো?
-করে অনেক করে কিন্তু এসব ব্যপারে কথা
বললে কর্নপাতই করেনা।
-ও আচ্ছা।
.
রনিকে একটু চিনিয়ে দিসতো নীরব।
-আন্টি আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। আমি শুধু
দুইদিন ওকে ফলো করবো। আর মিশন কম্পলিট
করতে রানীর একটু দরকার হবে আর কিছুনা।
.
আন্টি আর রানীকে প্লানিংটা ভাল করে
বুঝিয়ে দিলাম, তারা রাজী হলো।
.
রনিকে দুইদিন ফলো করে বুঝলাম রনির
জলজ্যান্ত দুইটা গার্লফ্রেন্ড আছে, আরেকটা
পেন্ডিং এ আছে আর আমার মনে হয়
ফেসবুকেও কারো না কারোর সাথে চলছে
কেননা ফেসবুকেও তার প্রতি নজর
রেখেছিলাম। দ্বিতীয় দিন বিকেল বেলা
রনি আর ওর এক জিএফ এমন ভাবে জড়াজড়ি
করছে দেখে মনে হচ্ছিলো গিয়ে দুইটা চড়
বসিয়ে দেই। সে কোথায় কোথায় যায় কি
করে সবকিছুর গতিবিধি এখন আমার জানা।
.
রাতে রানীকে ফোন দিলাম,
-রুহী ভাইয়া বলেন,
-কালকে বিকেল বেলা রেডি থাকিও
-আচ্ছা ভাইয়া
-কোনও দেরী করা যাবেনা, তোমার
ভাইয়ার আগে আমাদের পার্কে ঢুকতে হবে।
-আচ্ছা ভাইয়া দেরী হবেনা।
-ঠিক আছে বাই
.
পরেরদিন বিকেল বেলা আমি আর রানী
পাশাপাশি বসে আছি প্রেমিক প্রেমিকার
রোল করছি। গত দুদিন রনি যেখানে
বসেছিলো ঠিক সে জায়গায় বসেছি। হ্যা
এইতো রনি ওর জিএফ কে নিয়ে আসছে
এদিকটায়, আমরা আরেকটু ঘনিষ্ঠ হলাম। বেনসন
টা ধরিয়ে হাতেই রাখলাম, কাশি আসবে
দেখে টানলাম না।
.
রনির নিয়মিত জায়গায় বসার কারনে রনির
মেজাজ একটু খারাপ হয়ে গেলো আড়চোখে
দেখে বুঝতে পারলাম। টাংকিবাজি করার
জন্য আমার কাছে এসে দাঁত ক্যালিয়ে
বলছে- ভাইয়া ভাবিদের বাসা কই? এই কথা
বলে যেমনি রানীর দিকে তাকিয়েছে
সাথে সাথে এত্তগুলো অবাক হলো। আর কিছুই
বললনা আমাদেরকে, পার্ক থেকে হনহন করে
বেড়িয়ে গেলো। কিছুক্ষন পর আমরাও বের
হলাম।
.
গভীর রাতে রানী ফোন দিয়ে
কান্নাকাটি করছে আর বলছে ভাইয়া অনেক
বকা দিয়েছে একটা চড়ও মেরেছে।
- আর আমাকে খ্যাত ও বলেছে তাইনা রানী?
- ভাইয়া আপনি কি করে জানলেন? আপনাকে
যে খ্যাত বলেছে?
- আমার ড্রেস আর আমার খোচা খোচা
দাড়ির জন্য খ্যাত শব্দটা আমি অনেকবার
শুনেছি।
-কিন্তু আপনি তো অনেক ভাল।
-যাই হোক, তোমাকে রনি যেহেতু বকা
দিয়েছে তার মানে কাজ হয়ে গেছে। শুধু
আরেকটা দিন তাহলেই কাজটা কম্পলিট হয়ে
যাবে আশা করা যায়।
.
এই কফি হাউজে রনিকে তার সেকেন্ড জি
এফ এর সাথে প্রায়শই এ সময়ে দেখা যায়।
চোখে পড়ার মত একটা টেবিলে বসে পড়লাম
রানীসহ।
-এই রানী আজকে তোমাকে একটু ছুইতে হবে,
রাগ করিওনা আবার!
-আরে ভাইয়া সমস্যা নাই, ইটস জাস্ট এক্টিং।
কফি হাউজে ঢুকেই রনি আগে রানীকেই
দেখতে পাবে। হ্যা রনি এসেছে কিন্তু এটা
আবার কোন মেয়ে! এটাতো দুই নাম্বারটা
না। যাই হোক রানীর চোখের দিকে
তাকিয়ে আছি বাম হাত দিয়ে তার ডান
হাত স্পর্শ করলাম আর বাংলা সিনেমার
ডায়লগ দিচ্ছি। রনি দেখতে পেয়েছে
রানীকে; রাগে ফুসছে সে, তার টেবিল
থেকে উঠে আমাদের টেবিলের এদিকে
আসছে আর আমি আস্তে করে আমার ডান হাত
রানীর গালে রাখলাম।
.
আমার শার্টের কলার রনির হাতে। রানী
ছাড়তে বলছে আর রনি আমাকে দেখে
নিবে বলছে ওর বোনের গায়ে হাত
দিয়েছি তাই। রানী বললো- ভাইয়া ও আমার
বয়ফ্রেন্ড ও আমার গায়ে হাত দিতেই পারে,
ছেড়ে দাও ওকে, তুমিও তো কত মেয়ের
গায়ে হাত দিয়েছো!
আমার কলার ছেড়ে দিয়ে জোড়ে একটা
ধাক্কা দিলো, সামলে নিলাম। রনি মাথার
চুল টানতে টানতে বের হয়ে গেলো।
.
পরের দিন আন্টি ফোন দিয়ে বাসায় যেতে
বললো। অনেক আইটেমের খাবার রান্না
করেছে আন্টি আর রানী। নীরব আমি আর রনি
একসাথে বসে খেলাম। রনি সেদিন রাত্রেই
সবার কাছে মাফ চেয়েছে আর প্রমিস
করেছে এমন কাজ আর সে কোনওদিনও
করবেনা কিন্তু রানী যেনো আমার মত খ্যাত
এর সাথে প্রেম না করে। পরে আন্টি সব
বুঝিয়ে বললে ব্যাপারটা রনিও বুঝতে
পারে।
.
এখন আমার ভাল বন্ধুদের তালিকায় রনিও
একজন। একসাথে আড্ডা দেই ঘুরি। আর কোনও
মেয়ে দেখলে রনিই বলে যে তাকালে খবর
আছে। সেদিন থেকে কাউকে ইভটিজিং
করতে দেখলেও রনি পোলাপাইনদের সাইজ
করতো।
.
.
আজ রানীর বিয়ে অনেক মজা করছি। রনি
আমাকে বার বার বলছে- সরি রে দোস্ত, সরি
রে দোস্ত। আমি কানটা ধরে বললাম- ওই
বেটা কিসের সরি?
- রানীর সাথে তোর বিয়ে দিলামনা।
- ধুরো বেটা আমি এখুনি বিয়ে করতাম
নাকি?
এই বলে দিলাম দৌড়ানি, ভিতরে চলে
গেলো ও। মনে পড়লো যে রনি প্রায়ই বলতো-
আমার বোনকে তোর সাথে বিয়ে দেবো,
তোর মত ভাল ছেলের কাছে রানী খুব সুখে
থাকবে। আমিও ফাজলামি করে বলতাম তুই বড়
ভাই হয়েছিস তো কি হয়েছে তোকে
তাহলে কিন্তু আমি সালা বলেই ডাকবো।
.
রানীকে কনে বেশে দারুন লাগছে, ফ্যাল
ফ্যাল করে তাকিয়ে আছি, আমার দিকেও
তাকালো সে, চোখ সরিয়ে নিলাম।
.
.
গল্পের নামঃ পরিবর্তন
.
লিখাঃ আমিম এহসান
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4671
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ļā§Ē AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ