āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4672

"একটি গ্রাম্য প্রেমের গল্প"
.
ঝড় শুরু হয়েছে প্রচন্ড ঝড়, তবে এখনও বৃষ্টি
আসেনি। গ্রামের যে বড় দুটি আম গাছ
পাশাপাশি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে
তারই নিচে গোটা গ্রামের
ছেলেমেয়েরা আম কুড়ানোর
প্রতিযোগিতা করছে। আম কুড়ানোর
প্রতিযোগিতায় আমিও একজন প্রতিযোগী।
দুপদাপ করে আম বৃষ্টি হচ্ছে, আর যখনি একটা আম
পড়ছে আমের উপর চার পাঁচ জন হুমড়ি খেয়ে
পড়ছে। এরকম হুমড়ি খেতে খেতে একজনের
সাথে কপালে কপালে লেগে কপাল ফেটে
রক্তপাত। তবে হ্যা আমি খুব একটা ব্যথা
পাইনি। আম কুড়ানোর ব্যস্ততায় মেয়েটিও
বুঝতে পারেনি যে তার কপাল ফেটে
রক্তপাত হচ্ছে। ভিড় থেকে তার হাতটা ধরে
এদিকটায় নিয়ে এসে বলছি- খুব ব্যথা
পেয়েছো রিন্তি? কিঞ্চিত অবাক হয়ে
রিন্তি বলছে- কিসের ব্যথা?
অবাক আমিও হলাম কেননা আম কুড়ানোর
ঘোরে থাকার কারনে কপাল ফেটে রক্ত
পড়ছে তাও বুঝতে পারেনি মেয়েটা। হাত
দিয়ে তার কপাল এর রক্ত হাতে ছুয়ে নিয়ে
তাকে দেখিয়ে বলছি - এই দেখো তোমার
কপাল ফেটে রক্ত পড়ছে। রক্ত দেখার সাথে
সাথে রিন্তি অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম কিন্তু
বৃষ্টি চলে আসায় সেটা কন্ট্রোলে আসলো
আর দৌড় দিয়ে বাসায় চলে গেলো।
.
রিন্তি প্রতিবেশী হিসেবে কাজিন হবে
আমার। দেখতে মোটামুটি ভালই সুন্দরী।
স্কুলের সুন্দরীদের মধ্যে প্রথম সারির একজন
তাই একটু বাংলা সিনেমার মৌসুমির মতো
মুড নিয়ে চলাফেরা করে তবে আমার
সামনে খুব ভালই বিহ্যাভ করে। বৃষ্টি শেষে
রিন্তিদের বাসায় গিয়ে দেখি রিন্তির
কপালে তুলো দিয়ে দুটো ব্যান্ডেজ টেপ
লাগিয়ে ইংরেজি এক্স অক্ষর তৈরি করা
হয়েছে। সেদিন থেকে রিন্তির প্রতি
আলাদা একটা মায়া অনুভব করছিলাম। আপন
করে পেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো তাকে।
.
ঘুমাচ্ছিলো তাই সেদিন তাকে ডাকিনি।
কিন্তু এদিকে আমার ঘুম হারাম হয়ে গেছে,
শয়নে স্বপনে শুধু রিন্তি আর রিন্তি। কাউকে
ভালবাসতে খুব একটা সময় লাগেনা তাই
একপাক্ষিকভাবে রিন্তিকে খুব ভালবেসে
ফেললাম। কিন্তু একি গ্রামে থাকি এমন কিছু
করলে দুজনেরি পরিবারের মানসম্মানে
আঘাত আসবে দেখে প্রেমের ইচ্ছেকে
দমিয়ে রেখেছি সুপ্ত প্রেমকে লুকিয়ে
রেখেছি। কিন্তু এভাবে আর কতদিন!
.
একদিন রিন্তি স্কুলে যাচ্ছিলো আর আমি
সাই সাই করে ফনিক্স সাইকেলটা
চালাচ্ছিলাম। তার কাছাকাছি গিয়ে
বেল টা ক্রিং ক্রিং বাজিয়ে হাইড্রলিক
ব্রেক কষলাম। হালকা ভয় পেয়ে রিন্তি এক
পা পিছিয়ে গেলো। "রিন্তি তোমার
সাথে আমার জরুরী কথা আছে বিকেল
বেলা বড় পুকুর পাড়ে অবশ্যই আসবে"- এই বলে
তাকে কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে
সাই সাই করে ফনিক্স সাইকেলে করে কেটে
পড়লাম।
.
কালো কুচকুচে একটা প্যান্ট আর লাল টুকটুকে
একটা শার্ট পড়লাম। শার্টের আনাচে
কানাচে ঈদের দিনের জন্য ব্যবহৃত
পাকিস্তানি আতর লাগিয়ে নিলাম।
পাশের বাড়ির টিউবওয়েল এর পাশে
লাগানো গোলাপ গাছটা হতে একটা
গোলাপ চুরি করে ঢিলেঢালা প্যান্টের
পকেট টাতে রাখলাম।
.
নিজেকে খুব খুশি লাগছে কেননা আজ আমি
রিন্তিকে ভালবাসার কথা বলবো। নব প্রনয়ে
মেতে উঠবো আমরা দুজনে। কিন্তু আবার ভয়ও
হচ্ছিলো কেননা রিন্তি রাজি হবে কিনা
এই ভেবে। বিকেল বেলা পুকুর পাড়ে
গেলাম, দেখি রিন্তি দাঁড়িয়ে আছে আর
অপেক্ষা করছে আমার জন্য। আসলে কি
বাংলা হিন্দি ছবি দেখে এখন এগুলা
ব্যাপার সবারি জানা।
.
হ্যা সেদিন রিন্তি আমার ভালবাসার
প্রস্তাব গ্রহন করেছিলো। জীবনের শেষ
নিঃশ্বাস টা পর্যন্ত আমরা এক সাথে
থাকবো এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলাম। একি
গ্রামে থাকলেও আমাদের দেখা খুব কম
হতো। দেখা করলেও লুকিয়ে লুকিয়ে করতে
হতো। আমার মনে হয় আমার থেকে রিন্তিই
আমাকে বেশি ভালবাসে।
.
পুকুর পাড়ে দেখা করতাম বেশি আবার তেতুল
তলা, আম বাগান এও দেখা করতাম। কত গাছের
আম লিচু কামরাঙা পাড়ে দিতাম। আর ও
অনেক খুশি হতো আর বলতো অনেক ভালবাসি
গো তোমায়। এই বাক্যটুকু শোনার জন্যই
উদগ্রীব হয়ে থাকতাম। এক শুক্রবারে বাংলা
ছবিতে দেখলাম প্রেমিক প্রেমিকারা
একে অপরকে ভালবাসার বাহুডোরে
জড়িয়ে নেয়, তাই একদিন তার দুটি হাত ধরে
বুকের কাছে নিয়ে আসলাম কিন্তু হাতটা
ছুড়ে এক রাশ লজ্জা নিয়ে সেই যে দৌড়ে
চলে গেলো আর আসেনি কাছে তাই
জড়িয়েও ধরতে পারলামনা কোনোদিন
ভালবাসার মানুষটিকে।
.
আমার ফনিক্স এর পিছনে বসিয়ে স্কুলে
রেখে আসতাম মাঝে মাঝে। দুষ্টামি করে
তাকে সামনে বসতে বলতাম আর ও মিষ্টি
করে হেসে বলতো বিয়ের পর সামনে বসবো
মিঃ নায়ক। কিন্তু তাকে আর সামনে
বসানো হয়নি; এইতো সেদিন দেখলাম
রিন্তিকে তার বড়লোক স্বামীর ফ্রিডম
মোটরসাইকেলে স্বামীর কোমড় জড়িয়ে
ধরে আছে।
.
আমি পড়ালেখা করছিলাম আর স্কুলে
থাকতেই রিন্তির বাবা বড়লোক ছেলের
সাথে বিয়ে দিয়েছেন রিন্তির, আমি
পড়ালেখা শেষে বিয়ে করতে
চেয়েছিলাম কিন্তু এতে কেউই রাজি হয়নি।
দু বছরের প্রেম একদিনেই শেষ হয়ে গেলো;
চলে গেলো রিন্তি শশুর বাড়ি। আর আমিও
শহরে পড়ালেখার জন্য চলে আসলাম। বেশ
কিছুদিন পর বাসায় গিয়ে দেখি ওই ফ্রিডম
মোটরসাইকেলে করে রিন্তির বর রিন্তিকে
নিয়ে শশুরবাড়ি এলো তবে হ্যা মোটর
সাইকেলের সামনের রড টা ধরে লাল
ফ্রেমের চশমা পড়ে থাকা রিন্তির দুই বছরের
মেয়েটাকেও দেখলাম।
.
পুরানো বই খাতা খুজে রিন্তির লিখা
ছন্দগুলো পড়ছি- "মানুষ খায় ভাত গরু খায় খড়,
বিয়ের পর আমি কনে তুমি হবে বর", "জীবনে
আছে সুখ আরো আছে কান্না, তুমি আমার
মানিক রতন তুমি আমার পান্না", "আকাশে
উড়ে মেঘ আরো উড়ে পাখি, তোমার আমার
মিলনে বিয়ে শুধু বাকি", তুমি আমার জীবন
তুমি আমার মরণ, কাছে এসে জড়িয়ে ধরো
করবনাতো বারণ "। ছন্দ গুলো পড়তে পড়তে
দুফোটা চোখের জল বের হলো আর মা
ডাকতে শুরু করলো- এই রুহী দেখ কে এসেছে,
রিন্তির মেয়ে সাবা এসেছে। আর আমি
মনে মনে বলছি- মা এই সাবাই তোমার
নাতনী হতো কিন্তু গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র তা
হতে দেয়নি।
.
বাসার পাশের এক দোকান থেকে সাবার
হাতে পটেটো চিপস কিনে দিয়ে
রিন্তিদের বাসায় রেখে আসলাম। রিন্তির
সাথে দেখা হলো কথা হলো অল্প। শুধু এতটুকু,
-রিন্তি ভাল আছো?
-হ্যা ভালই আছি, তুমি?
-হ্যা আমিও ভাল আছি।
এরিমধ্যে সাবা ওর মাকে ডাকছে আর বলছে,
আম্মু ছিড়ে দাও তিপস..
.
লিখাঃ আমিম এহসান

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ