একটা সার্থক প্রেমের গল্প
---লেখক:হুসাইন
আমি এখন বসে আছি কুষ্টিয়া রেলিং বাঁধে।এখানে
আসার অবশ্য একটা কারণ আছে আর তাহলো আমার
পরীটার সাথে দেখা করা। দুপুরে ফোন করে বলল জরুরি
কথা আছে তাই এখনে বসে আছি।পরীটা এখনো আসেনি।
আপনাদের তো বলাই হয়নি পরীটা কে??পরীটা হলো
আমার গালফ্রেন্ট। পরীটার নাম হলো মীনা।আর আমি
হুসাইন।ওই তো মীনা আসছে।আমার পাশে এসে বসেই::
মীনা:তোমার সাথে রিলশন রাখা আমার পক্ষে আর সম্ভব
না।
আমি:হঠাৎ এসব বলছো কেন??
মীনা:তোমার সাথে রিলশন রাখবোনা এটাই আমার শেষ
কথা।আমাকে আর কখনো বিরক্ত করবে না।ভালো থেকে।
বাই
আমি ওর কথা শুনে মনে মনে হাঁসছি।মেয়েটা প্রায়ই এমন
করে আবার একটু পরে নিজেই ফোন দিয়ে কাঁন্নাকাটি
শুরু করে দেয়।
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মীনা চলে
গেল।তার চলে যাবার পথের দিকে চেয়ে আছি আর
ভাবছি মেয়েটা সত্যিই খুব অদ্ভুদ। আর কিছুক্ষন বসে
থেকে বাড়িতে চলে এলাম।ভাবলাম হয়ত অভিমন করেছে
একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবে।কিন্ত আমার ধারণা যে ভুল
ছিলো তা একটু পরেই বুঝতে পারলাম ওকে ফোন দিলাম
ফোনটা অফ।মনের মধ্যে অজানা ভয় কাজ করছে।তবে কী
মীনা সত্যিই আমাকে ছেড়ে চলে গেল।তখন যা বললো
তাই সত্যি।এসব ভাবতে ভাবতেই আবার ফোন দিলাম
এভাবে অনেক বার চেষ্টা করেও যখন ফোনটা গেল না
তখনি ভয়টা আরো বেড়ে গেল।ওর বান্ধবীকে ফোন
দিলাম দুবার রিং হবার পরেই ফোনটা ধরলো।
আমি:হ্যালো নীরা মীনার কী হয়েছে??
নীরা:জানিনাতো। কেন ভাইয়া আবার কী রাগারাগি
হয়েছে।
আমি:রাগারাগি হয়নি।বিকেলে দেখা করতে গিয়ে ও
বলল আমার সাথে নাকি রিলেশন রাখবে না। আমি
ভেবেছিলাম হয়তো অভিমান করেছে তাই তখন কিছু
বলনি কিন্ত এখন ফোন দিয়ে ফোন বন্ধ পাচ্ছি।তুমি একটু
ওর বাড়ির ফোনে ফোন দিয়ে দেখেতো।
নীরা:ঠিক আছে ভাইয়া।
কিছুক্ষন পর নীরার ফোন
আমি:হ্যাঁ নীরা বলো।
নীরা::মীনার নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গিছে তাই ও আর
আপনার সাথে রিলেশন রাখতে চাইনা।আপনাকে বলেছে
ওর সাথে আর যোগাযোগ না করতে।
আমি আর কী বলব ভেবে পাচ্ছিনা।বুকের মাঝে কে যেন
হাতুরি পিটাচ্ছে।অনেক কষ্টে নীরাকে বললাম
শেষবারের মত মীনার সাথে দেখা করিয়ে দেবার জন্য।ও
বললো চেষ্টা করে দেখবে।ফোনটা রেখে দিলাম।
নিজেকে খুব একা একা লাগছে।চোখ দুটো ঝাপশা হয়ে
আসছে।রাতে নীরা ফোন দিয়ে বললো ১০টায় রেলিং
বাঁধে আসতে।সারারাত আর ঘুমাতে পারলাম না।নীরার
কথামত জায়গায় এসেছি।অনেকক্ষন হলো দাঁরিয়ে আছি
কিন্তু ওদের আসার নাম নেই।আরো কিছুক্ষন পর দেখতে
পেলাম ওরা আসছে।আমার কাছাকাছি আসতেই নীরা
অনদিকে চলে গেল।আমি মীনাকে বললাম কেমন আছো?
মীনা:ভালো।এখানে ডেকেছো কেন?যা বলার
তাড়াতাড়ি বলো।আমার সময় নেই।
আমি:প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেওনা।আমাদের কথা
তোমার বাড়িতে বলো।
মীনা:আমি পারবো না।
আমি:তাহলে চলো আমরা পালিয়ে বিয়ে করে ফেলি।
মীনা:পারবো না।বাবা মায়ের মনে আমি কষ্ট দিতে
পারবো না।তুমি আমকে ভুলে যাও।বাই।
মীনা আর একমুহুর্তও দাঁড়ালো না।আমি অনেকবার ওকে
থামানোর চেষ্টা করলাম কিন্ত পারলাম না।নিজেকে খুব
একাএকা লাগছে।মাথাটাও প্রচন্ড ঘুরছে।ওখানে আর
কিছুক্ষন থেকে বাড়িতে চলে এলাম।বাড়িতে এসে ঘরের
দরজা বন্ধ করে কাঁদছি আর ভাবছি এই কী সেই মীনা যে
আমার সাথে কথা না বলে এক মুহুর্তও থাকতে পারেনা।
আমি ফোন করে না বল পর্যন্ত কখনো খায়না।আসলে
এসবই কী তার অভিনয় ছিলো।সে কী সময়ের প্রয়োজনে
আমাকে শুধু ব্যবহার করেছে।এসব ভাবছি আর কাঁদছি।।
আজ থেকে ২বছর আগের কথা তখন নতুন কলেজে ভর্তি
হয়েছি।নবীন বরন অনুষ্ঠানে একটা মেয়েকে দেখে আমার
চোখ তার দিকে আটকে যায়।মেয়েটা দেখতে পরীর মত।
টানা টানা চোখ।লম্বা চুলগুলো বাতাসে ওড়ে বেড়াচ্ছে।
আমি তার দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছিনা।বন্ধুরা
আমাকে এভাবে তাঁকিয়ে থাকতে দেখে চিমনি কাটে।
আমি আবার বাস্তবে ফিরে আসিা
খকরুল;:কিরে দোস্ত পছন্দ হয়েছে(আমার বন্ধু)
আমি:হয়ছে।তোরা কী কেউ মেয়েটাকে চিনিস।
শান্ত:মামা আগে পাটি দাও তারপর মেয়ের খোঁজ খবর
দিবো তার আগেনা।
সালারা শুধু সুযোগ খোজে।এখনো মেয়েটার নামই
জানলাম না আবার পাটি।(মনে মনে)
মোমিন:তাহলে সবাই মামার দোকানে চল।
।তারতো আমাকে বাঁশ দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলো।
আমাকে জোর করে পাটি দেওয়ালো। পরে আমার এক বন্ধু
বলল মেয়েটির বাড়ি নাকি তাদের এলাকায়।ওর কাছ
থেকে মেয়েটির ব্যাপারে খোঁজ খবর নিই।জানতে পারি
মেয়েটার নাম মীনা।আমাদের পাশের গ্রামেই বাড়ি।
তারপর থেকে প্রতিদিন মেয়েটাকে ফলো করতাম।
কলেজে আসা থেকে শুরু করে ওর প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে
যাওয়া সব জায়গায় ফলো করতাম।মেয়েটাও কিছুটা
বুঝতে পারে।প্রথমে পাত্তা না দিলেও এক সময় সেও
আড়চোখে তাঁকাতে থাকে।এভাবেই চলতে থাকে।হঠাৎ
একদিন শুনতে পাই ওকে নাকি কলেজের একটা ছেলে
প্রপজ করছে।ছেলেটাকে নাকি ও সবার সামনেই চাটি
মারছে।আমার বন্ধুরা ওকে প্রপোজ করতে বলে।পরেরদিন
সকালে তাকে প্রপোজ করার সিদ্ধান্ত নিই।সকালে তার
প্রাইভেটের সামনে ফুল নিয়ে তার আসার অপেক্ষা করি।
একটু পরে সে আসে।তারপর তাকে প্রপোজ করি।সেও
রাজি হয়ে যাই।তারপর থেকে কলেজ ফাকি দিয়ে ঘুরতে
যাওয়া মোবাইলে রাত জেগে কথা বলা।রাগ অভিমানের
মধ্যে দিয়ে ভালোই চলছিলো।কিন্ত আজ হঠাৎ সব শেষ
করে দিলো।
২.
কাল মীনার বিয়ে।মীনা আমাকে ছেড়ে যাবার পর
থেকে বাড়ির বাইরে বের হয়নি।ফোনটাও অফ করে
রেখেছি।এই কয়দিনে মীনার সাথে অনেকবার যোগাযোগ
করার চেষ্টা করেছি কিন্ত পারনি।মা অনেক বকেছে
তবুও বাইরে বের হয়নি।বন্ধুরাও অনেকে বাড়িতে এসে
বাইরে যাবার জন্য বলেছে কিন্ত যাইনি।নিজেকে
অনেকবার শেষ করে দিতে চেয়েছি কিন্ত পরিবারের
কথা ভেবে পারিনি।
এখন রাত বারোটা।রাত পার হলেই মীনার বিয়ে।বুকের
মধ্যে খুব ব্যাথা হচ্ছে।ফোন অন করে মীনার দেওয়া
মেসেজগুলো পরছি হঠাৎ একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে
ফোন আসে। মীনা নাকি আত্মহত্যা করতে চেয়ছিলো।
আমাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতাল যেতে বলে।আমার এক
বন্ধুকে ফোনে আমার সাথে ডেকে নিয়ে হাসপাতালে
যাই।গিয়ে দেখি ওর বাড়ির সবাই কাঁদছে।আমাকে দেখে
ওর বাবা এগিয়ে আসে।আমাকে সবকিছু বলে।আজ
কয়েকদিন ও নাকি সবসময় মনমরা হয়ে থাকে।আর আজ
রাতে হঠাৎ এমন কাজ করে।ওর বোন জানালা দিয়ে
দেখে ফেলে তারপর দরজা ভেঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে
আসে।পরে আমার নাম্বার নিয়ে আমাকে ফোনদিয়ে
আসতে বলে।
৩.
আমি এখন বসে আছি মীনার পাশে।এখনো ওর জ্ঞান
ফেরেনি।মেয়েটা এই কয়দিনে একদম শুকিয়ে গিছে।
আরো কিছুক্ষন পর ওর জ্ঞান ফেরে।আমাকে ভিতরে
রেখে সবাই বাইরে চলে যায়।
আমি:আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলে কেন।
মীনা:তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারবো না তাই।
আমি :তাহলে সেদিন আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে
কেন
মীনা:বাবা মাকে কষ্ট দিতে চাইনি তাই।কিন্ত
তোমাকে ছাড়া এক মুহুর্তও থাকতে পারছিলাম না।
আমি:আমাকে এতটা ভালোবাসো।
মীনা:অনেক বেশি।
আমি:কিন্ত আমিতো এখন আর তোমাকে ভালোবাসিনা।
(দুষ্টিমি করে)
মীনা:কিবললে।আবার বলো(রাগ করে)
আমি:তুমিতো আমাকে এখন আর ভালোবাসোনা।
আমাকে আরর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই আমাকে
জরিয়ে ধরলো।আমিও শক্ত করে আমার পরিটাকে
জরিয়ে ধরলাম।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧧⧝ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4275
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ģā§§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ