āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧧⧝ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4273

বন্ধুত্ব থেকে ভালবাসা
--লেখক::--হুসাইন
নীরা:তুমি ওই মেয়ের দিকে তাঁকালে কেন??
আমি:কোন মেয়ের দিকে তাঁকালাম।
নীরা:ওই লাল পোশাক পরা মেয়েটার দিকে??
আমি:ওই মেয়েতো আমার সামনে দিয়ে গেল তাই চোখ
পরে গেছে।
নীরা;:একদম মিথ্যা বলবানা আমি দেখিছি তুমি ইচ্ছা
করে তাঁকিয়েছো।
আমি::বললাম তো আমি ইচ্ছা করে তাঁকায়নি।
নীরা:তুমি অব্যশই ইচ্ছা করে তাঁকায়ছো।
আমি:দেখো নীরা সব সময় অযথা ঝগড়া করবে না।
মেয়েটা আমার সামনে দিয়ে গেলো তাই চোখ পড়ে
গেছে। আচ্ছা তোমার সামনে দিয়ে যদি কেউ হেঁটে যায়
তার দিকে কী তোমার চোখ পড়েনা।
নীরা:কি বললে আমি সব সময় তোমার সাথে ঝগড়া করি।
আমাকে এই কথাটা বলতে পারলে।আমিতো এখন পুরোনো
হয়ে গেছি তাই আমাকে আর ভালো লাগেনা তাইনা।ঠিক
আছে আমি আর কখনো তোমার সাথে ঝগড়া করতে
আসবো না।আর তুমি ওই লাল মেয়টার সাথেই প্রেম করো।
তোমাকে আর বিরক্তও করব না।বাই ভালো থেকো।
এই বলে নীরা চলে গেল।আমি আর ওকে থামালাম না
কারণ আমি জানি ও আবার একটু পরেই ফিরে আসবে
মেয়েটা প্রতিদিনই কিছুনা কিছু নিয়ে ঝগড়া করবেই।
অবশ্য একটু পরেই ও নিজে থেকেই ফোন দিয়ে সরি বলবে।
আমারো কেন জানি ওর রাগ অভিমানগুলো খুব ভালো
লাগে।আপনাদের তো বলাই হয়নি নীরা কে আর আমি
কে?আমি হুসাইন আর এতক্ষণ যার সাথে কথা বলছিলাম
সে আমার গার্লফ্রেন্ড।ওর নাম নীরা।পার্কে বসে আছি
হঠাৎ একটা মেয়ে সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো সেটা
আমি খেয়াল করিনি কিন্ত আমি যেই সামনের দিকে
তাঁকাই তাতেই মেয়েটার দিকে চোখ পড়ে যায় আর
সেটা নিরা দেখে ফেলে।আর বাকিটা তো আপনাদের
বললামই।নীরা আবার ফিরে আসার আগে আপনাদের
আমাদের অতীত থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি
।নীরার সাথে আমার পরিচয়টা হয়েছিলো অদ্ভুদ ভাবে।
আমি একদিন একটা চায়ের দোকানে বসে ছিলাম হঠাৎ
দেখি বাইরে একটা মেয়ে রিকসা ওয়ালার সাথে ঝগড়া
করছে।আশেপাশের মানুষজন ভালোভাবেই সেটা উপভোগ
করছে কিন্তু কেউ কী হয়েছে সেটা জানতে চাইছে না।
আমি সেখান থেকেই মেয়টার দিকে ভালো করে
তাঁকালাম।মেয়টা দেখতে বেশ সুন্দরী। দেখে মনে হচ্ছে
কোন বড়লোক বাপের মেয়ে।।তারপর আমি চায়ের
দোকান থেকে বেড়িয়ে রিকসাওয়ালার কাছে গিয়ে
জিজ্ঞেস করলাম ভাই কী হয়েছে?
রিকসাওয়ালা:-ভাই দেখুননা আমি কখন থেকে ভাড়া
চাইছি কিন্ত উনি ভাড়াটা দিচ্ছে না।উনি নাকি টাকা
আনতে ভুলে গেছে।
মেয়েটি::আমি সত্যিই টাকা আনতে ভুলে গেছি।বলছি
যে পরে দেখা হলে দিয়ে দেবো কিন্ত উনি শুনছেনই না।
আমি:ভাই ভাড়া কতটাকা হয়েছে(রিকসাওয়ালাকে)
রিকসাওয়ালা:৬০টাকা
আমি;:এই নিন আপনার ভাড়া।(ভাড়াটা দিয়ে একটু মহান
সাজার চেষ্টা করলাম আরকি)
মেয়টি:ধন্যবাদ।
আমি:ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করছেন কেন মানুষই তো মানুষের
উপকার করবে।তারপর মেয়েটার সাথে পরিচিত হলাম।
মেয়েটি: আমি নীরা।অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি(কুষ্টিয়া ই
বি)।আপনি?
আমি:আমি হুসাইন।অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি।আমিও ই বিতে
পড়ি।
নীরা:তাহলে আমি আসি আমার একটা জরুরি কাজ আছে।
বাই।ভালো থাকবেন।এই বলে চলে গেলো।
আমি:আপনিও ভালো থাকবেন।
ওইদিনের ঘটনাটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।এর তিনদিন
পর ইউনিভারসিটি থেকে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরছি
হঠাৎ পিছন থেকে কে যেন ডাকলো।আমি ভাবলাম আমার
নাম ধরে যেহেতু ডাকেনি সেহেতু অন্য কাউকে ডাকছে।
আর কন্ঠটা যখন একটা মেয়ের তখন আমাকে ডাকার
প্রয়োজনই নেই।তাই আবার হাঁটতে থাকলাম।হঠাৎ কে
যেন আমার সামনে এসে দাঁড়ালো।আমি চোখ তুলো
তাঁকিয়ে দেখি সেদিনের সেই মেয়েটি।
নীরা:আপনাকে সেই কখন থেকে ডাকছি আপনি শুনতেই
পাচ্ছেন না।
আমি:আপনি তো আমার নাম ধরে ডাকেননি তাই ভাবলাম
হয়ত অন্য কাউকে কেউ ডাকছে।তা কেমন আছেন?
নীরা:এইতো ভালো।আপনি? আর সেদিনের টাকাটা
(ব্যাগ থেকে টাকা বের করে)
আমি:বন্ধু হিসেবে উপকারটা করেছিলাম।তাই টাকাটা
নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনা।
নীরা:ও ঠিক আছে।তাহলে বন্ধু(হাত আমার দিকে
বাড়িয়ে)
আমিও হাতটা বাড়িয়ে দিলাম।তারপর নাম্বারটা আদান
প্রদান হলো।সেদিনের মত চলে এলাম।রাতে নীরাকে
ফোন দিলাম। হয়ত ফোনটা হাতেই ছিলো।ফোন দেওয়ার
সাথে সাথেই রিচিভ হলো।এভাবে প্রতিদিন আমরা কথা
বলতাম।মাঝে মাঝে দুজন একসাথে ঘুরতেও বের হতাম।
আমরা দুজন দুজনাকে তুই করে বলতাম।তখনো আমার দুজন
দুজনাকে শুধু বন্ধুই ভাবাতাম এর বেশি কিছু না।নীরা সব
সময় আমাকে শাসন করতো।আমিও বাধ্য ছেলের মত সব
মেনে নিতাম।আমরা দুজন দুজনাকে সবকিছু শেয়ার
করতাম।আমারো ওর শাসন গুলো ভালই লাগতো।এভাবেই
কেটে গেল ২টা মাস।একদিন রাতে ওর সাথে ফোনে কথা
বলছি কথাগুলো ছিলো এমন:::::
নীরা:জানিস আমাকে একটা ছেলে আজ প্রপোজ
করেছে।
আমি;:ভালো কথা।তা তুই কী রাজি হয়েছিস।
নীরা:রাজি হয়নি তবে ভাবার জন্য সময় নিয়েছি।
আমি:যা করার ভেবে করিস।
নীরা:ঠিক আআছে।এখন রাখিরে ঘুম ধরেছে।
আমি:ঠিক আছে।বাই
আমি ফোনটা রেখে ঘুমাতে গেলাম।কিন্ত ঘুম আসছে না।
মনে হচ্ছে আমার জীবন থেকে কী যেন হারিয়ে যাচ্ছে।
তবে কী আমি নীরাকে ভালবেসে ফেলেছি।না না এ কি
করে হতে পারে।বারবার নিজের মনকে বুঝালাম নীরা
আমাকে খুব ভালো বন্ধু ভাবে ও এটা মেনে নিবেনা
কিন্ত মনকে সেটা বুঝাতেই পারছি।মনের মধ্যে শুধু
নিরাকে হারনোর ভয় কাজ করছে।নীরাকে কী আমার
মনের কথা বলে দিবো।আমার কথায় ও কী রাজি হবে?এসব
ভাবতে ভাবতেই নিরাকে ফোন দিলাম।ফোনটা ধরার
পর----
নীরা:কিরে আবার ফোন দিলি কিছু বলবি।
আমি:তোকে আমি কিছু কথা বলতে চাই।রাগ করবিনাতো।
নীরা:রাগ করার কী আছে তাড়াতাড়ি বল আমার ঘুম
ধরেছে।
নীরা:আমি তোকে কেন জানি খুব মিস করছি।তোকে
হারনোর ভয় আমার মধ্যে কাজ।তোকে আমি হারতে
চাইনা।আমি তোকে ভালবাসি।
নীরা:কীবললি তুই।আমি তোকে ভালো বন্ধু ভাবতাম আর
তুই আমাকে?ছি:।তোকে এখন আমার বন্ধু ভাবতেও ঘৃনা
হচ্ছে।তুই আমাকে আর কখনোই ফোন দিবি না।এই বলে
নীরা ফোনটা রেখে দিলো।আমি অসহায়ের মত ফোনটা
কানে ধরে বসে আছি।এখন নিজেকে খুব একা লাগছে।
চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করছে নীরা আমি তোকে সত্যি
খুব ভালোবেসে ফেলছি।তোকে ছাড়া আমি বাঁচতে
পারবো না।কিন্ত কথাগুলো মুখের মধ্যেই আটকে গেল।
আজ ২দিন নীরার সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই।এই
দুইদিন বাইরে একবারের জন্যও বের হয়নি।এই দুই দিনে মা
অনেকবার জিজ্ঞেস করেছে কী হয়য়েছে কিন্তু কিছু
বলিনি।শুধু বলেছি ভালো লাগছেনা।আজ দুদিন
ভারসিটিতও যাইনি।ঘরের মধ্যে একা একা বসে নীরার
কথা ভাবছি হঠাৎ খেয়াল করলাম দরজায় কেউ ধাক্কা
দিচ্ছে।আমি দরজা খুলতেই নীরা ঘরে প্রবেশ করলো।
নীরা:কিরে আজ দুদিন ভারসিটিতে যাস না কেন।আর
ফোনটা অফ করে রেখেছিস কেন।জানিস আমি তোকে
কতবার ফোন দিয়েছি।আজ বিধানের(আমার বন্ধু) কাছ
থেকে তোর ঠিকানে নিয়ে এখানে এলাম।শরীলের কী
অবস্থা করেছিস।ঘরটাও অন্ধকার করে রেখেছিস।আন্টি
বলল ঠিকমত খাওয়া দাওয়াও করিস না।এখন ফ্রেস হয়ে
নে আমার সাথে বাইরে যাবি।
আমি:আমি তোর কে যে তোর সাথে বাইরে যাবো।আর
আমার ফোন আমি বন্ধ করে রাখি কিংবা খুলে রাখি
সেটা আমার ইচ্ছা।তুই এখান থেকে চলে যা।
নীরা:ওরে বাবারে বাবুটা রাগ করেছে।রাগ করেনা বাবু
ফ্রেস হয়ে নাও বাইরে যেতে হবে।
আমি:আমি বললাম তো যাবোনা।তুই আমার সামনে থেকে
চলে যা।নীরা আমার আর কোনকথা না শুনে আমাকে
জোর করে ওয়াশ রুমে ঢুকিয়ে দিলো।আমাকে বলল আমি
বাইরে অপেক্ষা করছি তাড়াতাড়ি আয়।হাজার হলেও
ভালবাসার মানুষতো তাই ওর কথাটা শুনলাম।আমি আর
কিছু না বলে ফ্রেস হয়ে ওর সাথে বের হলাম।ও আমাকে
একটা পার্কে নিয়ে গেল।একটা বেন্চে দুজন অনেকক্ষন
হলো বসে আছি কিন্ত কারো মুখে কোন কথা নেই।আমিই
নিরবতা ভেঙ্গে বললাম আমার ভালো লাগছে না আমি
চলে যাবো।
নীরা:আমাকে তুই সত্যিই ভালোবাসিস।
আমি:তোর কী মনে হয়।
নীরা:আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যাবিনাতো।(নীরার এই
কথাটা শুনে অবাক হলাম।)
আমি:একবার ভালোবেসেই দেখনা।
নীরা:আমাকে ভালোবাসিস কিন্ত এখনো তো প্রপোজ
করিসনাই।আমাকে তাড়াতাড়ি প্রপোজ কর না হলে আমি
গেলাম।আমি আর কিছু না বলে নীরার সামনে হাঁটু গেরে
বসে বললাম তুমি আমার স্বপ্নের রানী হবে।আমার বাবুর
আম্মু হবে।নীরা ওর হাতটা আমার হাতে রেখে বললো
তুমিকী আমার বাবুনির আব্বু হবে।আমি ওর কথা শুনে
হেঁসে দিলাম।নীরাও হেঁসে ফেলল।এভাবেইআমার
ভালোবাসার শুরু।এরপর থেকে থেকে অনেক রাগ
অভিমানের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে আমাদের
ভালোবাসা।অনেক মান অভিমান দুজনের হয়েছে কিন্ত
কেউ কাউকে ছেড়ে যেতে পারিনি। পার্কে বসেই এসব
ভাবছি হঠাৎ খেয়াল করলাম কেউ একজন আমার কাঁধে
মাথা রেখে।আমি না দেখেই বলে দিতে পারি এটা
আমার স্বপ্নের পরি।আপনাদের সাথে আবার পরে কথা
বলবো আমার পরীটার সাথে একটু কথা বলে নিই।
আমি:তুমি আমার কাঁধে মাথা রেখেছো কেন।তুমিতো
একটু আগেই আমাকে ছেড়ে চলে গেলে।আর বললে আমি
যেন ওই লাল পোশাক ওয়ালা মেয়েকেই ভালবাসি
তাহলে আবার ফিরে এলে কেন।
নীরা:আমার বাবুটার কাঁধে আমি মাথা রাখবো তাতে
তোমার কী(দেখেছেন কত বড় সাহস আমার কাঁধে মাথা
রেখে আমাকেই ভয় দেখায়)।আর দ্বিতীয়বার যদি ওই
মেয়েটার কথা বলেছো তাহলে তোমাকে মেরে ফেলবো।
আমি:আমি ওই লাল পোশাক পড়া মেয়েকে প্রপোজ
করেছি সেও রাজি হয়ে গিছে।আমিবএখন তোমাকে আর
ভালোবাসতে পারবো না।(দুষ্টুমি করে)
নীরা:তুমি ওকে সত্যিই প্রপোজ করেছো(কাঁদো কাঁদো
কন্ঠে)
আমি:করিনি
নীরা:সত্যি
আমি:হ্যাঁ।আমাকে আর কিছু না বলে নীরা আমার বুকে
মুখ লুকালো।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ