āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧧⧝ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4272

ঃহ্যালো
-হ্যা ইরিন,বল
ঃজান,কোথায় আছ তুমি?
আমি বাসায় সোফায় বসে গরম গরম চা পান
করছিলাম,তাই বললাম
-আমি বাসায়
ঃকি!?
-মানে বাসায় বসে বসে চা খাচ্ছি
ঃতো অফিসে জাস নাই কেন!
হঠাৎ এমন ধমক শুনে গরম চায়ের কাপটা হাত থেকে
পড়ে গেল আর পড়ল তো পড়ল শরীরের এমন জায়গায়
পড়ল যে ওই জায়গাটার নামও আপনাদের কাছে বলতে
পারছি না।
কানে ফোন রেখেই যন্ত্রণায় কিছুক্ষণ নাচানাচি
করে উক্ত স্থানে বরফ লাগিয়ে শান্ত হয়ে বসলাম।
-আচ্ছা মানুষের এত মিষ্টি মধুর কণ্ঠ হঠাৎ করে এমন
বেসুরা হয়ে যায় কিভাবে?
ঃহুম,অফিসে যাও নি কেন?
-আর বল না,সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সাথে
সাথেই বৃষ্টি এল তাই অফিসে যাই নি।
ঃতুমি থাক তোমার বৃষ্টিকে নিয়ে,আমি রাখলাম।
টুট...টুট...টুট
শব্দ করে লাইনটা কেটে গেল।
বৃষ্টির দিনে অফিসে না যাওয়ার মজাই আলাদা।
পুরো দিন একা একা স্নিগ্ধ শান্ত প্রকৃতিকে
উপভোগ করা যায়।নিজের মধ্যকার সত্ত্বাকে
জাগিয়ে তোলা যায়।
দুপুর ২টা বেজে ৫মিনিট
ইরিনের কল আসল
ঃকি করো গো বাবু?
-আমি?
ঃহ্যা,তুমি ই।
(এত্ত আদর দেখাইতেছে কেন বুঝতেছি না।)
-এইতো বৃষ্টির সাথে গল্প করছি
ঃকি বললি!!ফোন রাখ!
আবার সেই
টুট...টুট...টুট
লাইন কেটে দিল।
আমার দ্বারা এই মেয়েকে বুঝা সম্ভব না।আসলে
যাদের রাগ বেশি থাকে তারা মানুষকে বেশি
ভালবাসে। ইরিন মেয়েটা আমার এতটাই কেয়ার
করে যে মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে।সপ্তাহে ১বার
ঝগড়া মাস্ট!
প্রথম প্রথম অসহ্য লাগত কিন্তু এখন মানিয়ে
নিয়েছি। আমাদের ৪বছরের রিলেশনশীপ,এখনকার
ছেলে মেয়েদের মত দুই দিনে ভেঙে যাওয়ার মত
বন্ধন না এটা। বন্ধনটা মজবুত কারণ আমরা একে
অপরকে বুঝি যখন ও রাগ করে আমি মানিয়ে নেই আর
যখন আমি রাগ করি ও মানিয়ে নেয়। এভাবেই চলছে।
কিন্তু আজকে মনে হয় একটু বেশি রাগ করেছে।
৪ঘন্টা হয়ে গেল ওর মোবাইল বন্ধ, আমরা একে
অপরের সাথে ১ঘন্টা কথা না বলে থাকতে পারি না
সেখানে চার চারটা ঘন্টা চিন্তা করতে পারেন!
ব্যাপারটা গুরুতর আর বসে থাকা চলবে না।
ইরিনের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
গত ২০মিনিট ধরে ওদের বাসার সামনে দাড়িয়ে
আছি
ওকে দেখা যাচ্ছে না।কিন্তু আমি জানি ও পর্দর
আড়ালে চুপি চুপি আমায় দেখছে কারণ একটু পর পর
পর্দাটা ফাক হচ্ছে আবার স্ট্রেট বন্ধ হচ্ছে,সুতরাং
এটা বাতাসের কাজ না।
ক্রিং...ক্রিং...ক্রিং
ঃওই আমার বাসার সামনে দাড়িয়ে আছ কেন!
-আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই
ঃভাল হবে না বলছি,তাড়তাড়ি বাসায় যাও না হয়
পুলিশে ফোন করব।
-বয়েই গেল আমার বাসায় যেতে,আমার প্রিয়তমা
রাগ করেছে।সে যতক্ষণ না আমার কাছে এসে রাগ
করার জন্য সরি বলছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি যাচ্ছি
না।
ঃপ্লিজ এই আবহাওয়ায় বাইরে দাড়িয়ে থাকলে
ঠান্ডা লাগবে তো,এই!
-লাগবে না,ফোন রাখলাম
বেশি ভাব নিয়ে ফেললাম না তো?
সন্ধ্যা হয়ে গেছে কিন্তু ইরিন আসছে না।এই দিকে
শালার মশা ফ্রি তে রক্ত খাচ্ছে।
-তুমি আসবা?
ঃমরে গেলও না
-কিন্তু আমাকে তো মশা কামরাচ্ছে
ঃকি!!সত্যি!!এত বড় সাহস মশার!
টুট...টুট...টুট
লাইন কেটে গেল,
ঐ দেখা যাচ্ছে ইরিন আসছে।
কাছে আসার পর দেখলাম চোখ দুইটা ফোলা,হয়তো
কান্না করেছে।
ঃকোথায় মশা?
-এই যে এই দেখ এটাকে আমি বন্ধি করে
রেখেছি,ভাবতেছি এখন থেকে মশা পালব
ঃকেন?
-অন্তত সে কোনো দিন আমাকে ছেড়ে চলে যাবে
না
ঃহুহ!তোমার কলিগ বৃষ্টি কোথায়?
-মানে?
ঃযার জন্য অফিসে গেলে না,সারাদিন বসে বসে
গল্প করলা,তিনি কোথায়?আমার কাছে আসছ কেন?
-কেউ আম্রে এক গ্লাস বৃষ্টির পানিতে চুবাইয়া
মাইরালা!
ঃমানে?
-আরেহ আমি তো মেঘ থেকে যে পরে সেই বৃষ্টির
কথা বলছি
:সত্যি!?
-হ্যা গো ইরিন
ইরিন লজ্জায় লাল হয়ে গেল
তার এই লাজুক মুখ দেখে আকাশও ডাকা শুরু করল।
হঠাৎ করে আমাদের দুই জনের মাঝে বৃষ্টি চলে
আসল।
ঃস্যরি
-হুম,ভাবছিলাম ব্ল্যাজারটা পড়ে আসলে মন্দ হত
না
ঃকেন?কেন?
-আশিকি 2 তে দেখ নি বৃষ্টি থেকে কেমন করে
মেয়েদের রক্ষা করতে হয়।
ঃযা শয়তান!
এই বলে ইরিন তার লাজুক মুখের লজ্জা আরো কয়েক
গুণ বাড়িয়ে চন্দ্র বদন লুকিয়ে ছুটে চলল আমার শশুর
মশায়ের বাড়িটার উদ্দেশ্যে।
আর আমি একা একা না মানে বৃষ্টির সাথে কথা
বলতে বলতে বাসার দিকে হাটা শুরু করলাম।
মোরাল অফ দ্যা স্টোরিঃ
বৃষ্টির মৌসুমে ছাতা নিয়ে বের হোন বা নাই হোন
ব্ল্যাজার/জ্যাকেট/রেইনকোট জাতীয় কিছু একটা
সাথে রাখবেন,বলা তো যায় না কোন সময় কি
কাজে লেগে যায়।
লিখাঃআইনস্টানীয় ভানুসিংহ

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ