āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧧⧝ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4268

একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প
লেখক:--হুসাইন আহম্মেদ

টিং টিং টিং--ফোনটা  রিচিভ করে-
আমি :-কার এত বড় সাহস যে আমার সাধের ঘুমটা ভেঙ্গে দিলো।(কে ফোন করেছে সেটা না দেখেই ঝাঁরি মারলাম)
নীরা:-তুই কী বললি আমি তোর সাধের ঘুৃম ভেঙ্গে দিছি।আজ তুই কলেজে আই তোর একদিন কী আমার একদিন।(কি মেয়েরে বাবা নিজের বয়ফ্রেন্ডকে কেউ তুই করে বলে মনে মনে)
আমি:-সরি বাবু। আমি ঘুমের ঘোরে তোমার নাম্বার না দেখেই এসব বলেছি।
নীরা:-তুই আধা ঘন্টার মধ্যে কলেজে আই।এই বলেই নীরা ফোনটা রেখে দিলো।
আমি আজ শেষ।আজ মনেহয় সারাদিন ওর সামনে দাঁড় করিয়ে রাখবে।এর আগে একদিন একটু রেগে কথা বলেছিলাম বলে আমাকে পুরো ২ ঘন্টা রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলো।এসব ভাবতে ভাবতে ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিলাম।না খেয়েই বেড়িয়ে পড়লাম।আম্মু পিছন থেকে অনেকবার বললো খেয়ে যেতে কিন্ত ওভাবেই বেড়িয়ে পড়লাম।
আজ থেকে ১ বছর আগের কথা।সেদিন ছিলো আমার জীবনের কলেজের প্রথম দিন।বন্ধুদের সাথে কলেজে গিয়ে চারপাশ ঘুরে দেখছিলাম।একসময় দেখতে পায় একটা মেয়ে কলেজের এক কোণায়  একা একা বসে ছবি আঁকছে।মেয়েটিকে দেখে আমি আর চোঁখ ফেরাতে পারছিলাম না।আমাকে সব থেকে বেশি পাগল করেছিলো মেয়েটির চুল।মেয়েটিকে দেখে আমার মনে হচ্ছিলো কোন পরী ভুল করে মাটিতে নেমে এসেছে।
শান্ত:-ওই শালা তোকে সেই কখন থেকে ডাকছি আর তুই একভাবে ওই মেয়েটার দিকে তাঁকিয়ে আছিস।(বন্ধুর কথায় বাস্তবে ফিরলাম)
আমি:-দোস তুই ওই মেয়েটাকে চিনিস?
শান্ত:-চিনি।আমাদের পাড়ায় ওরা নতুন বাড়ি করেছে।
আমি:-দোস প্লিজ মেয়েটার সাথে আমার প্রেম করিয়ে দে।
শান্ত:-ঠিক আছে করিয়ে দেবো এখন চল ক্লাসে চল।
বন্ধুর থেকে জানতে পারি মেয়েটা আমাদের কলেজে মানবিক ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছে।মেয়টির নাম নীরা।আমরা সেম ইয়ার।এরপর থেকে প্রতিদিন মেয়েটার পিছু নিতাম।এর ১ সপ্তাহ পর।একদিন রাস্তায় মেয়েটির জন্য আমি আর আমার বন্ধু দাঁড়িয়ে আছি।একটা বয়স্ক লোক আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালেন।আমার বন্ধু কানে কানে বলল মেয়েটির বাবা।আমি আর আমার বন্ধু একটু ভয় পেয়ে গেলাম।লোকটি বলা শুরু করল তোমরা নাকি আমার মেয়েকে ডিষ্টাব করো।
আমি:-না আঙ্কেল আমরা ওরকম ছেলে না।(ভয়ে ভয়ে)
মেয়েটির বাবা:-তোমরা কেমন ছেলে সেটাতো আমি জানিনা এরপর থেকে আমি যেন তোমাদের আমার মেয়ের পিছনে না দেখি।এই বলেই লোকটা চলে গেল।
আমি আর আমার বন্ধু সস্তি পেলাম।আমার বন্ধু বলল মেয়েটার পিছনে আর না ঘুরাই ভালো।

আমি:-আমি ওই মেয়েটার সাথেই প্রেম করব কপালে যা থাকে।
বন্ধু:-তোর যা ইচ্ছা কর আমি আর এর মধ্যে নেই।
এসবের পরও আমি মেয়েটার পিছনে ঘুরতে থাকলাম।এভাবে আরো ১০ বারো দিন কেটে গেলো।একদিন মেয়েটার পিছু পিছু যাচ্ছি হঠাৎ দেখতে পেলাম সামনে কিছু ছেলে ওকে বাজে টোন করছে।নীরাকে দেখে মনে হলো ও ভয় পাচ্ছে।ওই ছেলেদের মধ্যে থেকে একটা ছেলে ফুল হাঁতে ওকে প্রপোজ করল। নীরা ফুলগুলো মাটিতে ফেলে দিয়ে চলে যেতে চাইলো তখনি ছেলেগুলো ওকে ঘিরে ধরলো।আমি ভাব ভালো না দেখে বন্ধুদের ফোন দিয়ে তাঁড়াতাড়ি আসতে বললাম তারপর ছেলেগুলোর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।
আমি:-ভাই মেয়েটাকে এভাবে ঘিরে রেখেছেন কেন।
ছেলেদের মধ্যে থেকে একজন বলল:-ভাই এটা আমাদের ব্যাপার আপনি এখান থেকে যান।নীরার দিকে তাঁকিয়ে দেখলাম ও খুব ভয় পাচ্ছে।আমি ছেলেগুলোকে বললাম আপনারা  মেয়েটাকে ডিস্টার্ব করছেন কেন।
ছেলেগুলোর মধ্যে থেকে আরেকটি ছেলে বলল:-তুই কেরে যে তোকে বলতে হবে। ভালোই ভালোই এখান থেকে চলে যা নাহলে তোর খবর আছে।একপর্যায় ছেলেগুলোর সাথে আমার হাতাহাতি শুরু হয়ে যাই।ছেলেগুলো আমাকে মাটিতে ফেলে মারতে শুরু করে।জায়গাটা একটু নির্জন হওয়াই এদিকে তেমন লোকজন আসেনা।তাই নীরার চিৎকারে কেউ আসছেনা।এরকিছুক্ষনের মধ্যেই আমার বন্ধুরা চলে এলো।ওদের আসতে দেখে ছেলেগুলো পালিয়ে গেলো।বন্ধুরামিলে আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো।সাথে নীরাও আসলো।আমার এক বন্ধুকে বললাম নীরাকে বাড়ি পর্যন্ত দিয়ে আসতে।ডাক্টার দেখানোর পরে বাড়িতে আসতেই মা আমাকে দেখে কান্নাকাটি শুরু করেদিলো।বন্ধুরা বলল তেমন কিছু হয়নি।আম্মু জিঙ্গেস করল কী করে এমন হলো।আমি বললাম এক্সিডেন্ট করেছি।রাতে বাবা বাড়িতে এসে আমার ওপর রাগারাগি শুরু করে দিলেন।বললেন এতবড় ছেলে এখনো ঠিকমত চলতে পারিসনা।রাতে প্রচন্ড জ্বর এলো।পরেরদিন আর কলেজে যেতে পারলাম না।বন্ধুরা বাড়িতে এসে দেখে গেলো।আজ দুদিন হয়ে গেলো জ্বর কমছে না কিন্ত আমার মনটা নীরাকে দেখার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছে।শুয়ে শুয়ে এসব ভাবছি হঠৎ আমার একবন্ধুর আগমন।্
বন্ধু:-কিরে কী অবস্থা তোর।
আমি:-ভালো নারে দোস।নীরাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।
বন্ধু:-নীরা তোকে দেখতে এসেছে।বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি:-ওকে ভিতরে আসতে বল।আম্মুর প্রবেশ।
আম্মু:-কিরে শান্ত কখন এলি।(বন্ধুর নাম শান্ত)
বন্ধু:-এইতো আন্টি এইমাএ।
আমি:-আম্মু বাইরে আমার এক বান্ধবি দাঁড়িয়ে আছে ওকে ভিতরে আসতে বলো।
আম্মু:-তুইতো বলতিস তোর কোন বান্ধবি নেই তাহলে এইটা কে।
বন্ধু:-আন্টি এইটা আমার চাচাতো বোন।আমাদের সাথেই পড়ে তাই ওকে দেখতে আসছে।আম্মু আরকিছু নাবলে বাইরে চলে গেলেন।একটু পরে নীরাকে সাথে করে ভিতরে এলেন।আম্মু নাস্তা আনার জন্য চলে গেলেন।বন্ধুকে ইশারায় বললাম বাইরে যেতে।
আমি:-কেমন আছো নীরা।
নীরা:-ভালোনা।
আমি :-ভালনা কেন?
নীরা:-আমার খুব কাছের একজন মানুষ অসুস্থ তাই ভালো নেই।(কথার ধরনে বুঝা যাচ্ছে আমাকে বলছে)
আমি:-তা তোমার কাছের মানুষটি কে।
নীরা:-আপনি বোঝেন না।
আমি:-বুঝিনা।কে সে?
নীরা:আপনি।
আমি:-সত্যি।
নীরা:হ্যাঁ।আপনাকে আমার প্রথম প্রথম বিরক্ত লাগত কিন্তু একসময় আমিও আমাকে ভালবাসতে শুরু করি।সেদিন এই ঘটনা ঘটার পর থেকে ভালবাসাটা আরো বেড়ে যাই।এতটুকু বলেই নীরা থামল।
আমি:-আমিই মনে হয় প্রথম ছেলে যাকে কোন মেয়ে প্রথম ভালবাসার কথা বলল।

নীরা:আপনিতো একটা ভিতুর ডিম।সারাজীবন আমার পিছে ঘুরবেন কিন্ত কিছু বলতে পারবেন না।এখনি যদি আমাকে প্রপোজ না করেন তাহলে আপনার সাথে আর কখনো কথাই বলব না।
আমি:আমি এখন বলতে পারবো না।
নীরা:তুই আমাকে এখনি প্রপোজ না করলে তোকে আমি মেরে ফেলবো।(কি মেয়েরে এখনি আমাকে ভয় দেখাচ্ছে পরে নাজানি কী করে)
আমি:-আই লাভ ইউ নীরা(ভয়ে ভয়ে)
নীরা চেয়ার থেকে ওঠে আমার কাছে এলো।আমার খুব কাছে এসে বলল""আই লাভ ইউ টু"।এটা বলেই নীরা চলে গেলো আবার ফিরে ওর ফোন নাম্বারটা দিয়ে বলল পরে ফোন দিতে।এভাবেই আমাদের রিলেশনের শুরু।তারপর থেকে রাগ অভিমান ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের ভালবাসা চলতে থাকে।এসব ভাবতে ভাবতেই কলেজে পৌঁছে গেলাম।ওইতো নীরা আমগাছটার নিছে বসে আছে।নীরার পাশে গিয়ে বসলাম।
নীরা:-এই তুই আমার পাশে বসলি কেনো।এখান থেকে ওঠ।আমার সামনে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকবি।
আমি:-কলেজে এত মানুষের সামনে কান ধরলে আমার মান সম্মানের বারোটা বেজে যাবে।
নীরা:+তুই কান ধরবি কীনা?(ভাব ভালনা)
আমি:-ঠিক আছে ধরছি।এই বলেই কান ধরে দাঁড়িয়ে গেলাম।আশেপাশের ছেলেমেয়েগুলো আমাকে দেখে হাঁসাহাসি করছে।এভাবে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর মহারানীর দয়া হলো।
নীরা:-কান ছেড়ে এখানে বসো।
আমি:+ওকে।
নীরা:-আমাকে এখন তোমার আর ভালো লাগেনা তাইনা।আমি ফোন দিলে বিরক্ত বোধ করো তাইনা।(কিছুটা অভিমানি কন্ঠে)
আমি:-কীবলো এসব তোমাকে আমি খুব ভালবাসি।
নীরা:-আমাকে আর ভালো না লাগলে বলতে পারো আমি চলে যাবো।(কেঁদে ফেলেছে)
আমি:-এই পাগলি কাঁদছো কেন।আমি শুধু তোমাকে ভালবাসি আর সারাজীবন তোকেই বাসবো।এই বলেই নীরাকে জরিয়ে ধরলাম।আর বললাম আমার পাগলিটাকে কখনোই হারিয়ে যেতে দিবোনা।নীরাও আমাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ