"""""""চড় ওয়ালি""""""""
লেখক:-Hosain Ahmed
টিং টিং টিং
রাতুল:-বলো জানু(ফোনটা রিচিভ করে)
নীরা:-অই তুই আমাকে জানু বলবিনা।ফেবুতে তুই মেয়েদের পোষ্টে কমেন্ট করলি কেন।(তুমি থেকে একবারে তুই।আজকে কপালে শনি আছে।মনে মনে ভাললো রাতুল)।
রাতুল:-পোষ্টটা অনেক সুন্দর লাগলো তাই কমেন্ট করেছি।(ভয়ে ভয়ে)
নীরা:-তোকে আর কত বলতে হবে যে কোন মেয়ের পোষ্টে কমেন্ট করবিনা তার পরও কেন করলি।আজ বিকেলে পার্কে দেখা করবি।আজ তোর একদিন কী আমার একদিন।এই বলে নীরা ফোনটা কেটে দিলো।অপরদিকে রাতুল ভাবছে আজ তার কী অবস্থা হবে তা ভেবেই তাঁর গলাটা শুকিয়ে আসছে।এর আগে একদিন রিক্সায় ঘোরার সময় একটা মেয়ের দিকে তাঁকিয়ে ছিলো আর তাতেই ঠাঁস ঠাঁস তিনটা চড় খেতে হয়ছিলো রাতুলকে।এসব ভাবতে ভাবতে রাতুল ঘড়ির দিকে তাঁকালো।এখন দুপুর ২ টা বাজে।৪টা বাজতে এখনো অনেক দেরী তাই ভাবলো একটু ঘুমিয়ে তাঁরপর দেখা করতে যাবে।
বিকেল ৪টা-----
টিং টিং টিং।ফোনের শব্দ ঘুম ভাঙ্গলো রাতুলের।ফোনটা রিচিভ করতেই ওপাশ থেকে ঝাড়ি শুরু হয়ে গেলো।
নীরা:-ওই বান্দরের বাচ্ছা তুই কই।তোকে ৪টার সময় দেখা করার কথা।তুই এখন যেখানেই থাকিস ৫মিনিটের মধ্যে পার্কে আয়।এই বলেই নীরা ফোনটা কেটে দিলো।রাতুল ঘড়ির দিকে তাঁকিয়ে দেখে ৪টার বেশি বেজে গেছে।তাই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে পার্কের দিকে রওনা দিলো।রাতুলের মেস থেকে পার্কে হেঁটে যেতে ১০মিনিট সময় লাগে।রাতুল রাস্তা দিয়ে হাঁটছে আর ভাবছে আজ কপালে কী আছে তা আল্লাহই জানে।রাতুল ২বছর আগের কথা ভাবতে লাগলো।একদিন সে একটা কাজে তাঁর এক আত্নীয়র বাড়িতে গিয়েছিলো।সেখান থেকে কাজ শেষ করে তাঁড়াহুরা করে শিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে কিছু একটার সাথে ধাক্কা খায়।চোখ তুলে তাঁকাতেই দেখে একটা মেয়ে রাগি লুক দিয়ে তাঁর দিকে তাঁকিয়ে আছে।মেয়েটিকে দেখে রাতুল ক্রাশ বনে গেলো।মেয়েটা খুব একটা সুন্দরী না কিন্ত মেয়েটার মাঝে ভিষন এক মায়া মায়া ভাব আছে যা রাতুলকে পাগল করে দিলো।রাতুল মেয়েটিকে সরি বলতে যাবে তখনি মেয়েটি বলা শুরু করলো।
মেয়েটি:-মেয়ে দেখলেই ধাক্কা খেতে ইচ্ছা করে।চোখটা কী আঁকাশে রেখে হাঁটেন।এই বলেই রাতুলের গালে একটা চড় বসিয়ে দিলো।চেঁচামেসি শুনে রাতুলের খালতো ভাই বাইরে বেড়িয়ে এলো।এসে মেয়েটি বলছে কী হয়েছে ওর সাথে এরকম কথা বলছিস কেনো।তখন মেয়েটি বললো ওই ছেলেটা আমার গায়ে ধাক্কা দিছে।রাতুলের ভাই মেয়েটিকে ওপরে পাঁঠিয়ে দিলো।রাতুলের ভাই রাতুলের সমবয়সী হওয়াই তাঁর কাছ থেকে মেয়েটির সব খোঁজ খবর নিলো।মেয়েটির নাম নীরা।এবার ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়ে।এখানে বাসা ভাড়া থাকে।রাতুল তাঁর ভাইয়ের থেকে মেয়েটার নাম্বার নিলো।রাতে মেসে ফিরে ভাবছে ফোন দিবে কী দিবেনা।এসব ভাবতে ভাবতেই ফোনটা দিয়ে ফেললো। দুরার রিং হবার পরেই ফোনটা রিচিভ হলো।
নীরা:-হ্যাঁলো কে বলছেন।
রাতুল:-আমার চেনা কেউ।
নীরা:-পরিচয় দেন নাহলে ফোনটা রাখেন।অপরিচিত কারো সাথে আমি কথা বলিনা।
রাতুল:-সকালে আপনার সাথে যার ধাক্কা লেগেছিলো সেই ছেলেটাই আমি।
নীরা:-ও আপনি।তা কী মনে করে ফোন দিয়েছেন।
রাতুল :-কথা বলার জন্য।
নীরা আর কিছু না বলেই ফোনটা রেখে দিলো।অপরিচিত কারো সাথে নীরা কথা বলেনা।রাতুল প্রতিদিন এভাবে নীরাকে ফোন দিতো।নীরা প্রথমে বিরক্ত হলেও একসময় রাতুলের সাথে বন্ধুত করে।প্রথম দিকে অল্প কথা বলতো।সময় যত বারতে থাকে তাদের কথা বলার সময়টাও বাড়তে থাকে।একদিন রাতুল নীরাকে প্রপোজ করে আর নীরাও রাজি হয়ে যাই।এসব ভাবেতে রাতুল কখন যে পার্কে চলে এসেছে খেয়ালই কররিনি।রাতুল দেখলো একটু দুরে নীরা বসে আছে।রাতুল একটু একটু সামনে যাচ্ছে আর তাঁর বুকের ধুকধুকানি বেড়ে চলেছে।নীরার পাশে গিয়ে রাতুল বসলো।নীরার দিকে তাঁকাতেই দেখে নীরা তাঁর দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে।নীরা বলতে শুরু করলো
নীরা:+এই তুই এতদেরি করে আসলি কেন।আর ফেবুতে ওই মেয়ের পোষ্টে কমেন্ট করলি কেন।
রাতুলতো ভয়ে চুপসে গেছে।ভয়ে ভয়ে সে বললো
রাতুল :-ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তাই ওঠতে দেরী হয়ে গিছে।আর পোষ্টটা ভালো লেগেছিলো তাই কমেন্ট করেছি।রাতুলকে আর কিছু বলতে না দিয়েই ঠাঁস করে একটা চড় মেরে দিলো রাতুলের গালে।রাতুল গালে হাত দিয়ে বসে আছে আর মনে মনে ভাবছে কেন এই মেয়ের প্রেম করতে গিয়েছিলাম।অন্যদিকে নীরা কাঁদছে আর বলছে
নীরা:-আমাকে আর ভালো লাগেনা তাইনা।
রাতুল:-আমিকি সেটা কখনো বলেছি।
নীরা:-তোমাকে বলতে হবে কেন আমি বুঝে গেছি।আচ্ছা ভালো থেকো।এই বলে নীরা ওঠতে যাবে তখনি রাতুল তাঁর হাত ধরে বসিয়ে দিলো।রাতুল নীরার কাঁধে মাথা রেখে বলছে ""আমি শুধু তোমাকে ভালবাসি আর সারজীবন তোমাকেই বাসবো""
নীরা:-এভাবে সারটা জীবন ভালবাসবে তো।
রাতুল:-হ্যাঁ।আমার পাগলিটাকে আমি অনেক ভালবাি।
নীরা:-আমিও আমার পাগলটাকে ভালবাসি।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ