āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧧⧝ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4265

হারিয়ে খুজে পাওয়া
-
লেখক:হুসাইন
রাতুল এই রাতুল দাঁড়াও।রাতুল টিওশনি থেকে ফিরছিলো হঠাৎ পিছন থেকে কে যেনো তাঁকে বারবার ডাকছে।রাতুল পিছন ফিরে দেখে একটা মেয়ে তাঁর দিকে ছুটে আসছে।কাছে আাতেই দেখে নীরা।নীরার সাথে তাঁর আবার দেখা হবে এটা সে ভাবতেই পারিনি।নীরাকে দেখে সে চলে যেতে চাইলো কিন্ত নীরা তাঁর পথ আগলে দাঁড়ালো।
নীরা:-তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো।
রাতুল:-বলো।
নীরা:-সামনের ওই পার্কটাই যাই।
রাতুল:-ওকে চলো।
১ বছর আগের কথা।নীরার সাথে রাতুলের ৪ বছরের সম্পর্ক ছিলো।সামান্য একটা কারণে নীরা তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো।নীরা সব সময় বলতো সে লেখাপড়া করে বড় চাকরি করবে কিন্ত রাতুল চাইতো বিয়ের পরে নীরা বাড়িতে থাকবে।তাঁর বাবা মায়ের দেখাশুনা করবে কিন্ত নীরা এই ব্যাপারটা মানতেই চাইতো না।তাঁদের মধ্যে যতবার ঝগড়া হয়েছে তাঁরমধ্যে সব থেকে বেশি ঝগড়া হয়েছে চাকরির ব্যাপারটা নিয়ে।রাতুলের মা একটু বেশি অসুস্থ ছিলো।কোন কাজ তেমন একটা করতে পারতো না তাই সে চাইতো নীরা বাড়িতে থাকবে।।তাঁদের পরিচয়টা হয়েছিলো ফেসবুকের মাধ্যমে।রাতুল তখন নতুন ফেসবুক খুলেছে।তাঁর ফ্রেন্ড সংখ্যাও কমছিলো।প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে তাঁর চ্যাটে যারা থাকতো সবাইকে গুড নাইটা জানাতো।তো সেদিনো সবাই গুড নাইট জানিয়ে ফেবু অফ করতে যাবে তখনি ভোরের কুয়াশা নামক একটা আইডি থেকে মেসেজ আছে।সে মেসেজটি ওপেন করে।সেখানে লেখা ছিলো--
ভোরের কুয়াশা:-এত তাঁড়াতাড়িই গুড নাইট।
রাতুল:-আমি তাঁড়াতাড়িই ঘুমাই।এভাবেই তাঁদের কথা শুরু হয়।তাঁরা দুজন দুজনার সম্পর্কে জানতে পারে।তাঁরা দুজনই  ইন্টার ফাষ্ট ইয়ারে পড়তো।তাঁরা পাশাপাশি জেলাতে থাকতো।মেয়েটির নাম নীরা।আস্তে আস্তে তাঁদের সম্পর্কটা গভীর হতে থাকে।এভাবে কেটে যাই ৩টি মাস।একদিন রাতুল নীরাকে প্রপোজ করে বসে।নীরা প্রথমে রাজি না হলেও এক সময় রাজি হয়ে যাই। তাঁরা ফোন নাম্বার আদান প্রদান করে।ফেসবুকের পাশাপাশি তাঁরা ফোনে কথা বলতে থাকে।ফেবুতে দুজন দুজনার ছবি আদান প্রদান করে।দুজনেরই দুজনাকে দেখে পছন্দ হয়।এভাবেই তাঁদের সম্পর্ক শুরু।দেখতে দেখতে কেটে যাই ৪টি বছর।এর মাঝে তাঁরা অনেকবার দেখাও করে।একদিন সকালে নীরার ফোন।
নীরা:+রাতুল তুমি তাঁড়াতাড়ি আমার কলেজের সামনের পার্কে চলে এসো তোমার সাথে কথা আছে।
রাতুল:-এতসকালে কীভাবে যাবো।
নীরা:-কীভাবে আসবে জানিনা তবে এখনি আসতে হবে এই বলেই নীরা ফোনটা কেটে।রাতুল ভাবতে থাকে নীরা কেনো এত জরুরি দেখা করতে বললো।রাতুল একপ্রকার ভয় নিয়েই রওনা দিলো পার্কের দিকে।পার্কে পৌছে দেখে নীরা আগে থেকেই বসে আছে।রাতুল গিয়ে নীরার পাশে বসলো।
নীরা:-রাতুল তোমার সাথে আমি সম্পর্ক রাখতে পারবো না।
রাতুল:-হঠাৎ একথা বলছো কেনো?
নীরা:-আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।সামনের মাসে আমার বিয়ে।ছেলে সরকারি চাকরি করে।আর আমাকে সে বিয়ের পরে পড়াবে এবং চাকরিও করতে দেবে।আমার ইচ্ছা আমি পড়াশুনা করে ভালো চাকরি করবো কিন্ত তুমিতো সেটা চাওনা।সো আজই আমাদের সম্পর্ক শেষ।
রাতুল:-সামান্য একটা চাকরির জন্য আমাকে ভুলে যাবে।আমার এতদিনের ভালবাসার এই দাম তোমার কাছে।
নীরা:-আমি অতকিছু জানিনা আমাদের সম্পর্ক এখানেই শেষ।তুমি আমার সাথে আর যোগাযোগ করার চেষ্টা করোনা।এই বলেই নীরা চলে গেলো।
রাতুল ভাবছে সে হয়ত সপ্ন দেখছে।এখনি কেউ তাঁকে জাগিয়ে দিবে।কিন্ত সেটা মোটেও যে সম্ভব না সে সেটা বুঝতে পারছে।রাতুল ওখান থেকে সোজা বাড়িতে চলে আসে।বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে কাঁদতে থাকে।সে মনে মনে ভাবে যেজীবনে নীরাকে সে পাবেনা সেই জীবন সে আর রাখবে না।অনেকগুলো ঘুমের বড়ি বাজার থেকে কিনে এনে সবগুলো এক সাথে খেয়ে ফেলে।আস্তে আস্তে সে হারিয়ে যাই ঘুমের দেশে।
-
-
রাত দশটা।রাতুল চোখ খুলে দেখতে পাই তাঁর পাশে তাঁর সব আত্নীয় স্বজন। তাঁর মাথার পাশে বসে তাঁর মা কাঁদছে।একটু দুরে তাঁর বাবা দাঁড়িয়ে আছে।সে সবার দিকে একএক করে তাঁকায়।তাঁর বাবা মা জিঙ্গেস করে সে কেনো এমনটা করলো কিন্ত রাতুল কোন উওর দেয়না।আস্তে আস্তে রাতুল সুস্থ হয়ে ওঠে। সে সুস্থ হবার পরে সিদ্ধান্ত নেয় নীরা যদি তাঁকে ছেড়ে সুখে থাকে তবে সে কেনো পারবেনা।সে আবার সবকিছু আগের মত করতে থাকে।
নীরা:-কেমন আছো।
নীরার কথায় সে বাস্তবে ফেরে।
রাতুল:-যেমন রেখে গিয়েছিলে।
নীরা:-এখনো অভিমানগুলো কমেনি দেখছি।বাবা আমাদের সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিলো।তাঁরপর তোমার সাথে আমার সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে।বাবা বলছিলো তাঁদের কথামত না চললে বাবা বিষ খাবে তাই আমার আর কিছু করার ছিলোনা।বিয়ের দিন জানতে পারি ছেলে একটা দাগি আসামি।তখন বাবা বিয়ে ভেঙ্গে দেন।বাবা বলেন তোমাকে ফোন দিতে।কিন্ত আমি ফোন দিয়ে তোমার ফোন বন্ধপাই।তোমার বাড়ির নাম্বারে ফোন করি কিন্ত সেটাও বন্ধ।বাবাকে তোমার বাসার ঠিকানা দিয়ে সেখানে পাঠাই।কিন্ত সেখান থেকে নাকি তোমরা বাসা ছেরে দিয়েছিলে।একনাগারে কথাগুলে বললো নীরা।
রাতুল:-তা এখন আমাকে এখানে নিয়ে আসার কারণ।
নীরা:-এভাবে কথা বলছো কেনো।আমাকে ক্ষমা করে দাও।আমি তোমার জীবনে আবার ফিরে যেতে চাই।প্লিজ আমাকে একটা সুযোগ দাও।
রাতুল:-আমি তোমাকে আর বিশ্বাস করিনা।তোমার সাথে আমি আর কখনোই সম্পর্ক করবো না।তুমি একটা স্বার্থপর।এসব বলেই রাতুল ওখান থেকে উঠে আসতে চাই কিন্ত নীরা রাতুলের পাঁ জরিয়ে ধরে।বারবার রাতুলের কাছে ক্ষমা চাই।কিন্তু রাতুলের মন কিছুতেই নীরাকে আর মানতে পারছে না আবার নীরার কান্নাও সহ্য করতে পারছে না।একসময় নীরার চোখের জলের কাছে হেরে যাই।
রাতুল:-তোমাকে আবার ভালবাসতে পারি একটা শর্তে?
নীরা:-তুমি যা বলবে আমি তাই মেনে নিবো।
রাতুল:-আজ থেকে আমি যা বলবো তাই শুনতে হবে আর বিয়ের পরে তুমি চাকরি করতে পারবেনা।
নীরা:-ঠিক আছে।তুমি যা বলবে তাই হবে।এই বলেই নীরা রাতুলকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।এ কান্না দুঃখের নয়।সুখের কান্না।পুর্ণতা পাই আরো একটি ভালবাসা।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ