āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧧⧝ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4261

আমার বাবুনি
লেখক:-Hosain Ahmed(অভিমানি ছেলে)

বাইরে প্রচন্ড কুয়াশা পড়ছে।ভাবছি এই কুয়াশার মধ্যে কলেজ যাবোনা।যেই যাবা সেই কাজ।লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম।কিন্তু সাধের ফোনটা ঘুমাতে দিলোনা।যতক্ষণ ফোনটা না রিচিভ করবো ততসময় বেঁজেই যাবে।এই মেয়েটা আমার জীবনটা শেষ করে দিলো।ফোনটা রিচিভ করে নিই তাঁরপর আপনাদের সাথে কথা বলবো।
-
আমি:-হ্যাঁ জানু বলো।
শিলা:-ওই তুই আমাকে জানু বলবিনা তোর ১০ টার সময় কলেজ   আসার কিন্তু তোর কোন খোঁজ নেই
আজ তুই আয় তোর একদিন কী আমার যতদিন লাগে।এই বলেই শিলা ফোনটা কেটে দিলো।
আজ শিলার সাথে দেখা করার কথাছিলো এটা মনেই ছিলোনা।তাড়াতাড়ি ওঠে ফ্রেশ হয়ে কলেজের  দিকে হাঁটা দিলাম।ও আপনাদের তো পরিচয়ই দেওয়া হয়নি।আমি হুসাইন এবার অনার্স ১ম বর্ষে পড়ছি।আর ফোনে যার সাথে কথা বললাম উনি আমার কিউট গালফ্রেন্ড।এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছে।শিলার সাথে প্রথম দেখা হয়েছিলো বাসের মধ্যে। আমি তখন বাড়ি থেকে মেসে ফিরছি।বাসের টিকিট কেটে নিজের সিট খুজছি।আমার সিটে গিয়ে দেখি একটা মেয়ে বসে আছে।আমি মেয়েটিকে বললাম--
আমি:-আপু এটা আমার সিট।
মেয়েটি:-এখানে কারো নাম লেখা নেই।যে আগে বসবে সেটা তাঁর সিট।
আমি:-মগের মুল্লুক পাইছেন যে আগে বসবে তাঁর সিট।আমার সিট ছাড়ুন না হলে খুব খারাপ হবে।
মেয়েটি:-আপনার মত ঝগড়াটে ছেলের সিটে বসার কোন ইচ্ছাই নেই।এই বলেই মেয়েটা ওর সিটে গিয়ে বসলো।আমি বিজয়ের হাঁসি দিয়ে আমার সিটে বসে পড়লাম।মেয়েটার দিকে আরচোখে দেখছি।মেয়েটা দেখতে খুব বেশি সুন্দর না কিন্ত মেয়েটার মধ্যে একধরণের মায়া আছে যা যেকোন ছেলেকে সহজেই তাঁর মায়াই জরিয়ে নিবে।মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে খুব চিন্তিত।তাঁকে কিছু জিঙ্গেস করবো কীনা ভাবতেছি।কিন্ত একটু আগে যে ব্যবহার করলো তাঁতে আর কিছু জিঙ্গেস করার সাহস হলোনা।কিছুক্ষন পর মেয়েটার দিকে তাঁকিয়ে দেখি মেয়েটা তাঁর সিট থেকে পড়ে যাচ্ছে।আমি তাঁড়াতাড়ি করে হাতটা ধরে ফেললাম।মেয়েটা দেখি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।তাড়াতাড়ি বাসের হেলপারকে ডাক দিলাম।তিনি পানি দিয়ে বললেন মেয়েটার মুখে দিতে।আমি তাই করলাম।পানি দেওয়ার সাথে সাথেই মেয়েটার জ্ঞান ফিরলো।আমি মেয়েটাকে বললাম আপনি জানালার পাশে বসুন।মেয়েটা জানালার পাশে বসলো।আমিও ওঠে অন্যসিটে বললাম।কিছুক্ষণ পরে মেয়েটা বলছে--
মেয়েটা:-ধন্যবাদ।আপনাকে প্রথমে যতটা খারাপ ভেবেছিলাম ততটা খারাপ আপনি না।আমি শিলা আপনি (হাত বাড়িয়ে)
আমি:-হুসাইন।তা কোথায় যাবেন আপনি?
মেয়েটি:-রায়পুর।আপনি?
আমি:-আরে আমিওতো সেখানেই যাবো।
মেয়েটি:-তাহলে ভালোই হলো আপনার সাথে গল্প করতে করতে যাওয়া যাবে।মেয়েটার সম্পর্কে সবকিছু জেনে নিলাম।সেও আমার ব্যাপারে সবকিছু জেনে নিলো।মেয়েটা এবার ইন্টার ফাষ্ট ইয়ারে পড়ে।সে তাঁর নানু বাড়ি থেকে বাসায় ফিরছে।আমি যেই কলেজে পরি সেও ওই কলেজে পড়ে।রায়পুর পৌছাতে পৌছাতে অনেক রাত হয়ে গেলো।মেয়েটা বাড়িতে ফোন দিয়ে তাঁর বাবাকে আসতে বললো।বাস যখন রায়পুর এলো তখন রাত এগাড়োটা বাজে।বাস থেকে নেমে শিলাকে বললাম তাহলে আমি আসি।কলেজে দেখা হবে।ওর বাবা এখনো আসেনি তাই আমাকে বললো আর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে।ওর বাবা আরো দশ মিনিট পরে আসলো।ও ওর বাবার সাথে  চলে গেলো।আমিও আমার মেসে ফিরে এলাম।মেসে এসে বাসের ঘটনা ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি মনেই নেই।সকালে রুমমেটের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।ঘরির দিকে তাঁকিয়ে দেখি ৯টা বাজে তাই ফ্রেস হয়ে কলেজের দিকে রওনা দিলাম।
-
কলেজের একপাশে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম এমন সময় দেখি শিলা আমাকে ডাকছে।শিলার কাছে গিয়ে বললাম --
আমি;-কেমন আছো?
শিলা:-ভালো।আপনি?
আমি:-ভালো।
শিলা:-আমার সাথে ওদিকটায় কিছুক্ষণ বসবেন।
আমি:-ঠিক আছে চলো।
শিলা:-আপনার ফোন নাম্বারটা দিয়ে যায়েন?
আমি:-ওকে।
এভাবে কলেজে গিয়ে প্রতিদিন ওর সাথে কথা হতো।ফোনেও মাঝে মাঝে কথা হতো কিন্তু সেটা খুব কম।আস্তে আস্তে আমাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে।একসময় আমি ওর প্রেমে পড়ে যাই কিন্তু বলতে পারতাম না।এভাবে কেটে যাই ছয়টি মাস।একদিন সাহস করে আমার ভালবাসার কথা ওকে বলে দিই ও রাজি হয়ে যাই।তাঁরপর থেকে আমাদের পথচলা শুরু।এসব ভাবতে ভাবতে কলেজে চলে এলাম।কলেজের পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখি মহারাণী গাল ফুলিয়ে বসে আছে।আমি ওর পাশে গিয়ে বসলাম।
আমি:-আমার বাবুনিটা কী রাগ করেছে।
শিলা:-আমি কারো বাবুনি না আর আমি কারো ওপর রাগও করিনি।
আমি:-সরি বাবুনি আর এমন হবেনা।এইযে কান ধরছি।আমার কানে ধরা দেখে শিলা ফিক করে হেঁসে দিলো।আমি মুগ্ধ হয়ে সেই হাঁসি দেখছি।ওর হাঁসিটা যতবার দেখি ততবারই ওর প্রেমে পড়ে যাই।হয়ত বাঁকি জীবনটাও এভাবেই তাঁর প্রেমে পড়বো।
শিলা:-আজ আমাদের ভালবাসার ২ বছর পুর্ণ হলো সেটা কী আপনার মনে আছে।
(আসলেই তো আমার মনে নেই।আমি যে কী।)
আমি:-সরি ভুলে গেছিলাম।
শিলা:-তুমিতো ভুলে যাবেই।কবে জানি আমাকেও ভুলে যাবে(অভিমানি কন্ঠে)
আমি:-সবকিছু ভুলে গেলেও তোমাকে কখনো ভুলতে পারবো না।আজ সারাদিন দুজন ঘুরবো।
শিলা:-সত্যি।ওম্মা।চলো।
আমি:-ঠিক আছে চলো।
রিক্সায় দুজন বসে আছি।শিলা আমার কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে।তাঁর চুলগুলো উড়ে এসে আমার মুকে পড়ছে আর আমি মুগ্ধ হয়ে ওরদিকে দেখছি।
আজ আমরা দুজন সারাদিন ঘুরবো আপনারাও ইচ্ছা করলে চলে আসতে পারেন।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ