4255

ভুল বুঝাবুঝি
লেখক:-Hosain Ahmed(অভিমানি ছেলে)
-
-
আজকের রাতটাকে অনেক বেশি অসহ্য লাগছে রাতুলের
কাছে।সে এখন আত্মহত্যা করবে।নতুন একটা ব্লেড তাঁর
হাতে।রাতুল ৪ ঘন্টা আগের কথাগুলো আবার মনে করার
চেষ্ট করছে---
রুমির ফোন(রাতুলের গালফ্রেন্ড)
রাতুল:-কেমন আছো বাবুনি।
রুমি:-রাখ তোর বাবুনি।তুই আজ আবার আমার আইডিতে
গিয়ে কয়েকটা ছেলেকে ব্লক মারছিস কেনো।তোকে
আমি নিষেধ করার পরেও আমার আইডিতে কেনো গেলি।
রাতুল এই রকম কথা এর আগেও অনেকবার শুনেছে কারণ এর
আগেও রাতুল রুমীর আইডিতে গিয়ে অনেক ছেলেকেই
ব্লক দিছে।তাই রাতুল স্বাভাবিক ভাবেই উওর দিলো -
রাতুল:-তুমি জানোনা তুমি কোন ছেলের সাথে কথা বললে
আমি সেটা সহ্য করতে পারিনা।
রুমী:-তুই যখন সহ্য করতে পারিস না তখন আমার আইডিতে
না গেলেই পারিস।তাছাড়া তোকে মানা করেই লাভ কী
তুইতো একটা কুকুর আর কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয়না।
এই কথাটা রাতু্লের খুব মনে লেগেছে। রুমী তাঁকে কুকুর
বলবে এটা সে স্বপ্নেও ভাবিনি।সে নিশব্দে কাঁদতে
থাকে আর রুমীর কথার উওর দেয়।
রাতুল:-ব্লক করবো নাতো কী করবো আমি মেসেজ করলে
৩ মিনিট পরে পরে আমার একটা মেসেজের রিপ্লাই দাও।
অথচ অন্য সব ছেলেদের মেসেজের রিপ্লাই খুব
তাঁড়াতাঁড়িই দাও।শুধু আমার ক্ষেএেই সব অবহেলা।
রুমী:-সবার সাথে চ্যাট করেছি খুব ভালো করেছি।আরো
করবো তুই আমাকে বাঁধা দেবার কে।আজ থেকে তুই আর
কখনো আমাকে মেসেজ দিবিনা।আমার সাথে আর কোন
যোগাযোগ করার চেষ্টা করবি না।এই কথাগুলো বলেই
রুমী ফোনটা রেখে দিলো।
রাতুল সাথে সাথে রুমীকে ফোন দেয় কিন্তু রুমীর ফোন
বন্ধ দেখায়।এভাবে অনেক সময় ট্রাই করে কিন্তু
প্রতিবারই ফোনটা বন্ধ পায়।
এর ১ ঘন্টা পরে রুমী তাঁর ফোনটা অন করে।ফোন অন করার
সাথে সাথেই রাতুলের ফোন--
রাতুল:-ফোনটা অফ করে রেখেছিলে কেনো।
রুমী :-তোকে না বলছি আমাকে আর ফোন দিবিনা
তাঁরপরেও কেনো ফোন দিলি।ফোন রাখ।
রাতুল:-সামান্য একটা ছেলের কারণে তুমি আমার সাথে
এমন ব্যবহার করতে পারলে।
রুমী:-এত কথা বলিস নাতো।তোর সাথে রিলেশন করাটাই
ছিলো আমার সবথেকে বড় ভুল।তুই আমার অনেক ক্ষতি
করেছিস আর না।
রাতুল:-আমি তোমার কী ক্ষতি করলাম।
রুমী:-অনেক ক্ষতি করেছিস আর না।এই বলেই রুমী আবার
ফোনটা রেখে দেয়।
রাতুল অঝোরে কাঁদতে থাকে।সে মনে মনে ভাবতে থাকে
রুমী কেনো এমন করে তাঁর সাথে।রুমীকে সে পাগলের মত
ভালবাসে তাঁরপরেও রুমী কেনো তাঁর ভালবাসা বুঝতে
পারেনা।এবার সে মনে মনে কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিয়ে
নেয়।সে আর কখনোই রুমীকে বিরক্ত করবেনা।রুমীকে
সারাজীবনের জন্য মুক্ত করে দিবে।
-
এখন রাত তিনটা বাজে।রাতুল প্যাকেট থেকে ব্লেডটা
বের করে।প্রথমে বাম হাতের রগ বরাবর সজোরে টান
মারে।হাতের রগটা কেটে যাই।প্রচন্ড রক্ত বের হতে
থাকে।আমার ডান হাতের রগটা বরাবর ব্লেডটা চালায়
ডান হাতের রগটাও কেটে যাই।গলা কাটা মুরগির মত
ছটফট করতে থাকে।তাঁর মুখ দিয়ে শেষবার একটা কথা
উচ্চারিত হয় রুমী সুখে থেকো
-
এখন। সকাল ৯ টা। রাতু্লের মা জাহানারা বেগম অনেক
সময় ধরে তাঁর ছেলেকে ডাকছেন কিন্তু কোন উওর
পাচ্ছেন না দেখে রাতুলের বাবাকে ডাক দেন।রাতুলের
বাবা এসে ঘরের দরজাটা ভেঙ্গে ফেলেন।ঘরর মধ্যে
প্রবেশ করতেই দুজনে চমকে ওঠেন।রাতুলের দেহ মেঝেতে
পড়ে আছে।ঘরের চারপাশটা রক্তে ভরে গিছে।
অপরদিকে রুমী ঘুম থেকে ওঠে ফোনটা অন করে।দেখতে
পায় রাতুল তাঁকে মেসেজ করেছে।সে মেসেজটা পড়াতে
থাকে মেসেজটা ছিলো এরকম++++
প্রিয় রুমী আমাকে ক্ষমা করে দিও।তোমাকে অনেক কষ্ট
দিয়েছি।অনেক কাঁদিয়েছি।প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে
দিও।আর কখনো তোমাকে বিরক্ত করবোনা।তোমার
জীবনটা সুখের হোক।
ইতি রাতুল
রুমী মেসেজটা,পড়ে একটু মুচকি হাঁসি দেয় কারণ এর
আগেও রাতুল তাঁকে এরকম মেসেজ দিয়েছে কিন্তু
কখনো এরকম কিছু করেনি।রুমী আবার ভাবে এবার সে
রাতুলের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছে।
রাতুলের কাছে সে ক্ষমা চাইবে।রাতুলের কাছে জলদি
ফোন দেয়।ফোনটা রিচভ হবার পর
রুমী:-রাতুল আমাকে ক্ষমা করে দাও। এমন ব্যবহার আর
কখনোই করবো না।
ওপাশ থেকে কে যেনো উওর দেয় রাতুল আর এই পৃথিবীতে
নেই।কথাটাটি শুনে রুমী চমকে ওঠে।ওপাশের লোকটি
আবার বলতে শুরু করে সকালে রাতুলের মা ডাকতে এসে
অনেকক্ষন ডাকাডাকির পরে রাতুলের কোন উওর না
পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখতে পাই
রাতুল মরে পড়ে আছে।কথাগুলো শুনার পর রুমীর হাত
থেকে ফোনটা পড়ে যাই।সে অঝোরে কাঁদতে থাকতে আর
বলতে থাকে রাতুল তুমি আমাকে কেনো ছেরে চলে
গেলে।কিন্তু এখন আর কেঁদে কোন লাভ নেই কারণ যা
হবার তা হয়ে গিছে।
-
-
বিঃদ্রঃ-আমাদের সবারই উচিত ভালবাসার
মানুষগুলোকে একটু সময় দেওয়া।তাঁর সাথে দুষ্টুমি হাঁসি
ঠাট্টা করা। ভালবাসায় দুষ্টুমি গুলোকে অনেকে
নোংরামি ভাবে কিন্তু এটা কোন নোংরামি নয় বরং
দুষ্টুমিগুলো ভালবাসকে আরো মজবুত করে ।সবসময় আগে
ভালবাসার মানুষটির মেসেজের রিপ্লাই দেওয়া পরে
সময় পেলে অন্য কারো মেসেজের রিপ্লাই দেওয়া।
বিশেষ করে ওই সকল ছেলেমেয়েদের বলছি যারা
ভালবাসার মানুষটি বারবার মেসেজ করার পরেও অনেক
সময় পর মেসেজের উওর দেয় তাঁরা দয়া করে আর এমন
করবেন না।কারণ এখন হয়তো তাঁর ভালবাসাটা বুঝতে
পারছেন না কিন্তু একসময় ঠিকই বুঝতে পারবেন কিন্তু
তখন আর কিছু করার থাকবেনা। ভালো থাকুক সবার
ভালবাসা।