āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧧⧝ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4249 (2)

পরী আর পরীর আন্টি
লেখক:- Hosain Ahmed
-(শেষ পর্ব)
-
নিজের মনকে অনেক শক্ত করলাম।মিলির পরিবারের সবাই আমাকে অনেক বিশ্বাস করে।আমি তাঁদের বিশ্বাসের অমর্যাদা কিছুতেই করবোনা।রুমে বসে এসব ভাবছিলাম এমন সময় রুমে আম্মু এলো
:-কিরে পরীর এখন কী অবস্থা(আম্মু)
:-এখন সুস্থ।(আমি)
:-তোর কী কিছু হয়েছে।মনে হচ্ছে অনেক টেনশনে আছিস।
এই হলো মায়ের মন।কিছু হবার আগেই বুঝে যায়।আমার আম্মুকে আমি সবথকে ভালো বন্ধু ভাবি তাই সবকিছু খুলে বললাম।
:-সবইতো শুনলাম। মিলি কী তোকে পছন্দ করে।(আম্মু)
:-মনে হয়তো করে।(আমি)
:-তাহলে আমার মনে দুজন রাজি থাকলে সমস্যা হবেনা।
:-কিন্তু মিলির বাবা মা যখন ব্যাপারটা জানবে তখন কী হবে।ওনারা বললে ভালো ভেবে পরিবারে জায়গা দিয়েছিলাম কিন্তু সেই সুযোগ নেবে সেটা ভাবিনি।আমি ওকে ভুলে যাবো।
:-তুই কী ওকে ভুলতে পারবি
:-না পারলেও পারতে হবে।
:-আচ্ছা এসব নিয়ে পরে ভাবিস এখন খেতে আয়।
:-তুমি যাও আমি আসছি।
আমি চলে গেলো।আমি আবারো চিন্তায় পড়ে গেলাম কী করবো।মিলিকে কিছুতেই মাথা থেকে নামাতে পারছিনা।আচ্ছা মিলি যদি নিজের থেকে কিছু বলে তখন দেখা যাবে।এখন ক্ষুদা লেগেছে খেতে যায়।ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে আবারর রুমে এসে বসলাম এমন সময়,মিলির ফোন
:-চাচ্চু কোথায় তুমি।আমাকে কখন ঘুরতে নিয়ে যাবে(পরী)
:-এইতো একটু পরেই।তুমি রেডি থেকো আমি গিয়ে নিয়ে বসবো।(আমি)
:-আমিতো সেই কখন থেকেই রেডি।তুমি তাঁড়াতাঁড়ি আসো।
:-আচ্ছা একটু পরেই আসছি।
:-আর তুমি আসার সময় পান্জাবি পড়ে আসবে।
পাশ থেকে মিলি এটা পরীকে শিখিয়ে দিলো এটা ভালো করেই শুনতে পেলাম।
:-আচ্ছা আসবো।এখন রাখছি।বাই
ফোনটা রেখে ভাবছি মাএ এই কয়েকদিনের পরিচয়ে পরীকে কত আপন মনে হচ্ছে।মনে হচ্ছে ওকে যুগ যুগ ধরে চিনি আমি।৪ টার দিকে রেডি হয়ে পরীদের বাড়িতে গেলাম।গিয়ে দেখি পরী রেডি।পরীকে জিঙ্গেস করলাম
:-তোমার আন্টি যাবেনা(আমি)
:-যাবে।রেডি হচ্ছে(পরী)
:-তুমি গিয়ে তাঁড়াতাঁড়ি রেডি হতে বলো।
পরী চলে গেলো।২ মিনিট পরে আবার আমার কাছে ফিরে আসলো।
:-চাচ্চু তোমাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে।আন্টি আজ তোমাকে দেখে ক্রাশ খাবে।
আমি পরীর মুখ চেপে ধরে আমার পাশে বািয়ে বললাম
:-একথা আর কখনো বলবেনা।আবার বললে আমি আর তোমাদের বাসায়,আসবোনা।
:-ঠিক আছে বলবোনা।
:-আমাকে পুরো ২৫ মিনিট বসিয়ে রেখে তারপর মিলি আসলো।আমি মিলির দিকে তাঁকাতেই বড় রকমের ক্রাশ খেলাম।মিলি আজ শাড়ি পড়েছে।মুখে হালকা মেকাপ।হাতে কাঁচের চুড়ি।কানে দুল।এক কথায় ডানা কাটা পরী।আমি মুগ্ধ হয়ে তাঁকে দেখছি।মিলিও এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে।
:-চাচ্চু এভাবে তাঁকিয়ে থেকোনা।এভাবে তাঁকিয়ে থাকলে চোখ নষ্ট হয়ে যাবে।হি হি হি
আমি আর মিলি দুজনেই লজ্হা পেলাম।মিলির দিকে তাঁকিয়ে দেখলাম লজ্জায় ওর মুখটা লাল বর্ন ধারণ করেছে।মেয়েদের লজ্জা পেলে এত সুন্দর লাগে আগে জানা ছিলনা।কেউ যদি আমাকে এখন জিঙ্গেস করে এই পৃথিবীর সেটা সুন্দরী কে আমি এক কথায় জবাব দিয়ে দেবো মিলি।আমরা তিনজন বেড়িয়ে পড়লাম।আজ আর মিলি গাড়ি নিলোনা।বললো রিক্সায় চড়ে ঘুরবে।
তিনজন এখন রিক্সায় বসে আছি।পরী মাঝখানে আর আমরা দুজন দুপাশে। পরী রাস্তায় এপাশে ওপাশে সবকিছু দেখছে আর আমাকে জিঙ্গেস করছে এটার নাম কী ওটার নাম কী।আমি সবকিছুর উওর দিচ্ছি।আমরা একটা শিশু পার্কে এসে থামলাম।পার্কের মধ্যে অনেক লোকজন।পরী ভিতরে ঢুকেই সব বায়না শুরু করে দিলো এটাতে ওঠবো ওটাতো ওঠবো।আমি আর কী করবো একএক করে ওকে সবগুলোতে ওঠালাম।একক্ষণ মিলি একটা কথাও বলেনি শুধু চুপচাপ দেখেছে সবকিছু।পরীর সবকিছু ঘুরে দেখানোর একটা বেন্চে বসলাম।আমি পরীকে বললাম
:-কেউ মনে হয় আমাদের দুজনের উপর রাগ করে আছে।(আমি)
সঙ্গে সঙ্গে কাজ হলো
:-আমি কারো উপর রাগ করে নেই।(মিলি)
আমাদের কথার মাঝে দুজন লোক এসে আমাদের সামনে দাঁড়ালো।একজন পুরুষ আরেকজন মহিলা।
:-আপনাদের বাবুটাতো অনেক সুন্দর(মহিলা)
:-সুন্দর হবেনা।দেখো মা বাবা দুজনেই কত সুন্দর(পুরুষ লোকটি)
:-ইস আমাদের যদি এরকম একটা মেয়ে থাকতো।(মহিলা)
তাঁদের কথা বার্তায় যা বুঝলাম তা হলো ওনাদের কোন সন্তান নেই।
:-আপনাদের দেখে মনে হচ্ছেনা খুব বেশিদিন বিয়ে হয়েছে।এত তাঁড়াতাঁড়ি এত কিউট একটা বেবি।আমার কেনো যানি বিশ্বাস হচ্ছেনা।(মহিলাটি বললো)
:-ওই মিয়া আপনি কে।আপনার বিশ্বাস হলেই কী আর না হলেই কী।এটা আমাদের বাবু।আমি ওর মা আর ওইটা ওর বাবা।বেশি কথা না বলে এখান থেকে ফুটন নাহলে খারাপ কিছু হয়ে যাবে।(মিলি)
মিলির এমন কথা শুনে উনারা তাঁড়াতাঁড়ি চলে গেলো।আমি আর পরী দুজন দুজনার দিকে তাঁকিয়ে আছি।পরী আমার দিকে তাঁকিয়ে মিটমিট করে হাঁসছে। পরীকে এভাবে হাঁসতে দেখে আমি জোরে হেঁসে ফেললাম।।আমার হাঁসিটা মনে হয় মিলির পছন্দ হলোনা তাই
:-হাঁসার কী হলো। আমি জোকার যে আমি হাঁসির মত কথা বলছি।(মিলি)
এমন এক রাগি লুক নিয়ে কথাটা বললো যা দেখে আমার এবং পরীর দুজনের হাঁসি মুহুর্তেই হারিয়ে গেলো।
:-আজ আর ঘুরবো না।বাসায় চলুন
আমাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বললো মিলি।আমিও বাধ্য ছেলের মত ওঠে দাঁড়ালাম।সারা রাস্তায় মিলি একটা কথাও বললো না।এটা দেখে আমি আর পরীও চুপ করে রইলাম।বাসার সামনে আসতেই মিলি রিক্সা থেকে নেমে রাগে কটকট করতে করতে ভিতরে চলে গেলো।আমি পরীকে নিয়ে দিয়ে ওই রিক্সায়ই বাসায় ফিরে আসলাম।বাসায় আসার পর আব্বু তাঁর রুমে ডেকে পাঠালেন।আমি ফ্রেশ না হয়েই আব্বুর রুমে গেলাম
:-আব্বু তুমি নাকি ডেকেছো(আমি)
:-হ্যাঁ বস।(আব্বু)
আমি বসলাম
:-এখন একটু তোর ফুপিদের বাড়িতে যেতে পারবি।
:-এখন এই সন্ধা বেলায়।
:-কাজটা একটু বেশি জরুলী।তুই যদি যেতে না চাস তাহলে আর কী আমাকেই যেতে হবে।
:-আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে তারপর বেড়োচ্ছি।
আমি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম। আব্বু আম্মুকে বিদায় দিয়ে রওনা দিলাম।আমার ফুপির বাসা আমাদের বাসা থেকে অনেক দুরে।তাঁদের বাসায় পৌঁছাতো পৌঁছা ১১:৩০ বেজে গেলো।ফুপির ছেলে আমাকে বাস স্টান্ড থেকে নিয়ে গেলো।ফুপিদের বাড়িতে গিয়ে -----
:-কেমন আছিস। এতদিন পর ফুপির কথা মনে পড়লো।(ফুপি)
:-পড়াশুনার চাপে আসতে পারিনা।
:-এবার যখন এসেছিস কিছুদিন থেকে যাবি।
:-আচ্ছা দেখা যাবে।
ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমানোর জন্য রুমে গেলাম।রুমে গিয়ে পরীর কথা মনে হতেই ফোনটা বের করলাম ও শিট ফোনটা অফ হয়ে আছে।তাঁড়াতাঁড়ি ফুপির কাছ থেকে চার্জার নিয়ে চার্জে দিলাম।কিছুক্ষন পরে ফোনটা অন করেই মিলিকে ফোন দিলাম। প্রথমবার ধরলোনা।দ্বিতীয়ব
ার ধরলো
:-আপনার ফোন অফ ছিলো কেনো।জানেন মিলি আপনার সাথে কথা না বলে কিছুতেই ক্ষেতে চাইছিলো না।পরে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে(মিলি)
:-আসলে আমি বাড়িতে আসার পরেই আব্বু ফুপিদের বাসায় পাঠালো তাই ফোনটা চার্জে দেওয়ার সময় পায়নি।(আমি)
:-ও।বাসায় কবে আসবেন।
:-সঠিক জানিনা।কালকেও যেতে পারি আবার দুএকদিন দেরিও হতে পারে।
:-ও আচ্ছা
মিলির সাথে অনেকক্ষণ কথা বললাম।তারপর ফোনটা রেখে ঘুমিয়ে পড়লাম।সকালে ফুপির ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হওয়ার পরে ফুপি নাস্তা দিলো।নাস্তা করে ফুপিদের বাসার চারপাশ দেখতে লাগলাম।হঠাৎ খেয়াল করলাম একটা মেয়ে আমাকে ফলো করছে।তাই আর বাইরে না থেকে রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে মিলিকে ফোন দিলাম।রিং হবার সাথে সাথে ফোনটা রিচিভ হলো
:-চাচ্চু তুমি কেথায়।তোমাকে অনেক মিস করছি(পরী)
:-এইতো মামনি আমি একটা কাজে বাইরে এসেছি কাজটা শেষ হলেও তোমার কাছে চলে আসবো।(আমি)
:-তোমার কোন কাজ করা লাগবেনা।তুমি আজই চলে আসো।
:-না মামনি কাজটা না করলে আমার আব্বু আমাকে পিটানি দিবে।তুমি খেয়েছো এখন?
:-না খাবোনা।তুমি না আসলে খাবোনা।
:-একটু বোঝার চেষ্টা করো।এইতো আমি যত তাঁড়াতাঁড়ি পারি চলে আসবো।তুমি খেয়ে নাও।
:-না খাবোনা
:-ঠিক আছে তুমি না খেলে আমিও খাবোনা।
:-আচ্ছা খাচ্ছি।তুমিও খেয়ে নাও।
:-ঠিক আছে।এখন লক্ষি মেয়ের মতে খেয়ে নাও।আমি এখন রাখছি আবার পরে কথা হবে।
ফোনটা রেখে পরীর কথা ভাবছি।মেয়েটা আমাকে ছাড়া কিছুই বোঝেনা।সারাদিন নানা ব্যস্ততার মাঝেও পরী আর মিলির কথা একটুও মন থেকে সরাতে পারিনি।যে কাজে এসেছিলাম সেটা একদিনেই শেষ হয়ে গেলো।বিকেলে বাসায় যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে রুমে বসে আছি এমন সময় একটা মেয়ে আসলো।এসে আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে দৌঁড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।আমিতো বোকার মত তাঁর চলে যাওয়া দেখছি।কাগজটা খুলে দেখলাম একটা ফোন নম্বর।নম্বরটা ছিড়ে ফেললাম।মেয়েটা আমাকে ভালবাসে সেটা বুঝা গেছি আছি।এখানে আর বেশিক্ষণ থাকা যাবেনা।ফুপিদের সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম।বাসের ওঠে মেয়েটার নম্বরটা ছিঁড়ে ফেলে দিলাম।আমার মনে শুধু মিলির বসবাস এখানে আর কেউ বসতে পারবেনা।বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধা সাতটা বাজলো।বাসায় এসে ফ্রেশ না হয়েই মিলিদের বাসায়,গেলাম।পরীকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।মিলিদের বাসার মধ্যে গিয়ে প্রথমে দেখা আন্টির সাথে।
:-কেমন আছেন আন্টি(আমি)
:-ভালো আছি।তুমি কেমন আছো(আন্টি)
:-এইতো ভালোই।পরী কোথায়?
:-পরী আর মিলি ছাঁদে।পরীতো সারাদিন শুধু তোমার কথা বলে।
:-জানি।আমি ছাঁদে গেলাম।
:-আচ্ছা যাও
ছাঁদে গিয়ে দেখি পরী আর মিলি বসে বসে গল্প করছে।আমি এসেছি এটা ওরা জানেনা।ওরা কী গল্প করছে সেটা পিছনে দাঁড়িয়ে শুনার চেষ্টা করলাম।
পরী বলছে
:-জানো হুসাইন চাচ্চু খুব ভালো।
:-না ও একটুও ভালোনা।একটা বদের হাড্ডি।আমি ওকে এত ভালবাসি একটুও বোঝার চেষ্টা করেনা।(মিলি)
:-চাচ্চুও তোমাকে ভালবাসে।
:-তুই কী করে বুঝলি?
:-কারণ তুমি যখন চাচ্চুর সামনে থাকো তখন উনি লুকিয়ে লুকিয়ে তোমাকে দেখে।
পরী মামনি
আমার কথা শুনে দুজনেই পিছন ফিরে তাঁকালো।পরী এক দৌঁড়ে এসে আমার কোলে ওঠলো
:-তুমি কখন এলে(পরী)
:-এইতো কিছুক্ষণ হলো(আমি)
:-জানো তোমাকে অনেক মিস করেছি।
:-আমিও।আচ্ছা তুমি নিচে যাও আমি আর তোমার আন্টি একটু পরে আসছি।
:-কী ব্যাপার।সামথিং সামথিং তাইনা
:-এসব কিছুই না।শুধু একটু কথা বলবো।
:-আমি ছোট নেই সব বুঝি
কথাটা বলেই পরী আমার কোল থেকে নেমে দৌঁড়ে চলে গেলো।আমি মিলির পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।আমিই প্রথমে বললাম
:-কেমন আছো?(আমি)
:-ভালো
:-ভালো থাকলেই ভালো।
কিছুক্ষণ দুজনেই চুপচাপ।হঠাৎ করেই মিলি আমাকে জরিয়ে ধরলো।এমন পরিস্থির জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। পরী আমাকে জরিয়ে ধরে কেঁদে দিলো।কাঁদতে কাঁদতে বললো
:-তুমি একটা বিলাই,মহিষ,গরু,বানর। আমাকে শুধু কষ্ট দাও।আমি তোমাকে এত ভালবাসি কেনো তুমি বুঝতে চাওনা।জানো আমি প্রতিদিনই ভাবতাম তুমি আমাকে তোমার ভালবাসার কথা বলবে কিন্তু বলোনি।
আমি মিলিকে নিজের থেকে ছাঁড়িয়ে দিলাম।তারপর বললাম
:-এ হয়না।কোথায় তুমি আর কোথায় আমি।আমার পড়াশুনা এখনো শেষ হয়নি।তাছাড়া তোমরা অনেক বড়লোক তোমার পরিবার এ সম্পর্ক কখনো মেনে নিবেনা।(আমি)
:-আমার ফ্যামিলিকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমার।
:-তবুও এটা সম্ভব না।
:-আজ যদি তুমি আমাকে ভাল না বাসো তাহলে আমি ছাঁদ থেকে লাফ দিবো।
কথাটা বলেই ছাঁদের কোনায় চলে গেলো।ও অনেক জেদী মেয়ে। জেদের বসে সবকিছু করতে পারে।আমি ওর কাছে গিয়ে হাত ধরে ওকে বুকে টেনে নিয়ে বললাম
:-আমাকে কখনো কষ্ট দিবে নাতো?(আমি)
:-না কখনোই না।
:-কিন্তু আমি দিবো।আমাকে ক্যাডবেরি না কিনে দিলে সবাইকে বলে দিবো(পরী)
আমি আর মিলি দুজন দুজনাকে ছেরে দিলাম মিলি এক দৌঁড়ে ছাঁদ থেকে নেমে গেলো।পরী আমার কাছে এসে বললো
:-আমি কিন্তু সব দেখে ফেলেছি।তাঁড়াতাঁ
ড়ি আমায়,ক্যাডবেরি এনে দাও।(পরী)
:-আচ্ছা দিচ্ছি নিচে চলো।
এভাবে ভালোই চলছিলো দিনগুলি।মিলির সাথে রিলেশন।পরীর সাথে আড্ডা সব মিলিয়ে ভালোি চলছিলো দিনগুলি।কিন্তু-

এভাবে ভালোই চলছিলো দিনগুলি।মিলির সাথে রিলেশন।পরীর সাথে আড্ডা সব মিলিয়ে ভালোই চলছিলো দিনগুলি।মিলির পরিবারের একজন সদস্য হয়ে ওঠলাম।এভাবে কেটে যায় ৫ টি মাস।হঠাৎ মিলির আব্বুর বন্ধুর ছেলের সাথে মিলির বিয়ে ঠিক হয়ে যায়।আমি মিলি তখন দিশেহারা হয়ে যায়। কী করবো কিছু বুঝে ওঠতে পারিছিলাম না।আমার আম্মুকে সবকিছু খুলে বলি।আম্মু আব্বুকে বুঝিয়ে মিলির আব্বুর কাছে পাঠায়।মিলির আব্বু আমার আব্বুকে অপমান করে।আমার আব্বুকে বলে আমি যেনো ওই বাড়িতে আর না যায়। মিলির সাথে যেনো কোনরকম যোগাযোগ না করি।রাতে মিলিকে ফোন দিই। মিলির ফোনটা ওর আব্বু ধরে। আমাকে অনেক কথা শুনায় মিলির সাথে কথা না বলে থাকতে পারছিলাম না।বিশেষ করে পরীকে বেশি মিস করছিলাম।পরেরদিন সকালে মিলি গোপনে আমাকে অন্য একটা ফোন দিয়ে বলে পালিয়ে যাওয়ার জন্য।আমি কী করবো বুঝতে পারছিলাম না।একদিকে আমার বাবা মায়ের সম্মান অন্যদিকে মিলির ভালবাসা।অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম মিলিকে ভুলে যাবো।বাবা মায়ের সম্মানের কথা ভেবে নিজের ভালবাসাকে বলি দিলাম।মিলিকে যতই ভুলে থাকার চেষ্টা করি ততই বেশি মনে পড়তে থাকে।এর তিন দিন পরের কথা।
রাতে রুমে বসে পরী আর মিলির কথা ভাবছিলাম।তখন রাত প্রায় ১১ টা।একটা অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে।
:-তুমি কী হুসাইন(ওপাশ থেকে)
:-জ্বি কিন্তু আপনি কে?(আমি)
:-আমি মিলির মামা।মিলি ব্লেড দিয়ে হাত কেটে আত্নহত্যা করতে চেয়েছিলো।পরে আমরা টের পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসি।তুমি তাঁড়াতাঁড়ি হাসপাতালে চলে আসো।
ওপাশ থেকে ফোনটা কেটে গেলো।মিলি হাসপাতালে এটা শুনতেই মাথাটা চক্কর দিলো।তাঁড়াতাঁড়ি রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়লাম।রাস্তায় একটা গাড়িও নেই।কিছুদুর হাঁটার পর একটা গাড়ি পেলাম তাও ডাবল ভাড়া চাইলো।আমার কিছু করার নেই ডাবল ভাড়া দিয়েই রওনা দিলাম।হাসপাতালে পৌঁছে দেখি মিলির পরিবারের লোকজন সহ বাইরের লোকজনও আছে।পরী আমাকে দেখা মাএই আমার কাছে ছুটে আসলো।আমার কোলে ওঠে কাঁদতে কাঁদতে বললো
:-চাচ্চু তুমি এতদিন কোথায় ছিলে।জানো তোমাকে এতগুলা মিস করেছি।জানো চাচ্চু মিলি আন্টি প্রতিটা রাতেই তোমার জন্য কাঁদতো।(পরী)
পরীর কাঁন্না দেখে আমিও কেঁদে দিলাম।পরী আমাকে জরিয়ে ধরে কাঁদছে আর আমি ওকে ধরে।
মিলির আব্বু আমাকে দেখে এগিয়ে আসলো।ওনার এভাবে আসতে দেখে আমি ভয় পেয়ে গেলাম।পরীকে কোল থেকে নামিয়ে দিলাম।মিলির আব্বু আমার কাছে এসে আমাকে জরিয়ে ধরে কেঁদে দিলেন।আমি উনার এমন ব্যবহারে খুব অবাক হয়ে গেলাম।
:-বাবা তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও।আমি নিজের মেয়ের সুখের কথা না ভেবে সবসময় নিজের মান সম্মানের কথা ভেবেছি।আমি যদি তোমাদের সম্পর্কে মেনে নিতাম তাহলে মিলির আজ এমন অবস্থা হতোনা(মিলির আব্বু)
:-না আঙ্কেল আপনার কোন দোষ নেই।আপনিতো মিলির ভালোর জন্যই এমন করতে চেয়েছিলেন।(আমি)
:-রোগির জ্ঞান ফিরেছে আপনারা সবাই ভিতরে যেতে পারেন।(ডাক্টার)
সবাই ভিতরে গেলাম।পরী গিয়ে মিলির মাথার কাছে বসলো।মিলি আমার দিকে একবার তাঁকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলে।মেয়েটা এই কয়দিকে একদম শুকিয়ে গেছে।সারারাত হাসপাতালেই কাঁটালাম।মিলি আমার সাথে একটাও কথা বলেনি।পরেরদিন সকালে মিলিকে বাসায় আনা হলো।মিলির বাবা আমার বাবাকে ডেকে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করলেন।আমারো পড়াশুনা শেষ।একটা চাকরী হয়ে গেলেই আর বেকার থাকবোনা।মিলির বাবা তাঁর এক বন্ধুর অফিসে আমার চারকি ঠিক করে দিলেন।বেতনও ভালো ২০ হাজার।মিলি এসবের কিছুই জানেনা।মিলি বাড়িতে আসার পর ওর সাথে আমি অনেকবার কথা বলতে গিয়েছি কিন্তু ও বলেনি।বিকেলে পরীকে দিয়ে মিলিকে ছাঁদে ডেকে পাঠালাম।
আমি আর মিলি ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছি।
:-আমার সাথে কথা বলছোনা কেনো?(আমি)
:-ইচ্ছা হয়না তাই বলিনা।(মিলি)
:-আমার অপরাধ কী?
:-তোমার কোন অপরাধ নেই।অপরাধ আমি করেছি।তোমাকে ভালবাসাটা আমার অপরাধ।
:-প্লিজ মিলি এসব বলোনা।আমি দুই পরিবারের মান সম্মানের কথা ভেবেই এমনটা করেছিলাম
:-অন্যের মান সম্মানের জন্য নিজের ভালবাসাটাকে বলি দিলে।
:-এসব এখন বাদ দাও।সামনে ১৫ তারিখ আমাদের বিয়ে।
:-কী?আমাদের বিয়ে মানে?
:-মানে তোমার আর আমার বিয়ে।
:-আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা।
:-কেনো পারবেনা?
:-তুমি একটা প্রতারক ঠকবাজ।আমি আজই বাবাকে বলছি এই বিয়ে ভেঙ্গে দিতে।
:-থামো।অনেক হয়েছে আর না।তুমি কী মনে করো নিজেকে?একাই আমাকে ভালবাসো আর আমি তোমাকে ভালবাসিনা।আমিও ভালবাসি।তোমার বাবা আমার বাবাকে অনেক অপমান করেছিলো।আমাকে ভয় দেখিয়ে বলেছিলো আমি যদি তোমাকে ভুলে না যায় তাহলে আমার পরিবারের সমস্যা করবে তাই সবকিছু মেনে নিয়েছিলাম।এই কয়দিন তুমি একাই কাঁদোনি আমিও প্রতিটা মুহুর্তে কেঁদেছি।ঠিক আছে তুমি যখন চাওনা বিয়ে হবেনা।ভেঙ্গে দাও
কথাগুলো বলে মিলিদের বাসা থেকে চলে আসলাম।বাসায়,এসে রুমের দরজা বন্ধ করে কাঁদতে লাগলাম।যাকে এতটা ভালবাসি সেই এমন কথা বলতে পারলো।
-
রাতে আম্মু বললো মিলিদের বাড়িতে আমাদের সবার দাওয়াত আছে।আমি প্রথমে যেতে চাইনি পরে আব্বুর কথায় যেতে হলো।ভাবলাম সবার সামনেই বিয়েটা ভেঙ্গে দিবো।মিলি যখন চায়না তখন এ বিয়ে হবেনা।সবাই রেডি হয়ে মিলিদের বাসায় গেলাম।মিলিদের বাসায় গিয়ে যা শুনলাম তাতে আমার আকাশ থেকে পরার অবস্থা।আমার আর মিলির নাকি এখনি বিয়ে।আর বিয়েটা মিলির ইচ্ছাতেই হচ্ছে।পরীকে ডাক দিলাম
:-তোমার মিলি আন্টি কোথায়?(আমি)
:-উনার রুমে(পরী)
:-আচ্ছা
আমি মিলির রুমের দিকে গেলাম।রুমের মধ্যে গিয়ে দেখি মহারাণী জানালা দিয়ে বাইরে তাঁকিয়ে আছে।আমি ওর হাত ধরে আমার দিকে ঘুরালাম।ওর চোখে চোখ রেখে বললাম
:-আমাকে অনেক ভালবাসো?(আমি)
মিলি কিছু না বলে বাচ্চা মেয়ের মত কাঁদতে কাঁদতে আমার বুকে মাথা রাখলো।এই মেয়েটা আমাকে এতটা কেনো ভালবাসে আমি আজও তাঁর উওর খুজে পায়নি।
--
বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে মিলির বাড়ির সবার থেকে বিদায়,নিয়ে মিলিকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসলাম।সাথে পরীও আসলো।ও মিলিকে ছাড়া ঘুমাতে পারেনা তাই মিলির আম্মু পরীকে আমাদের সাথে দিয়ে দিয়েছে।বাসায় এসে ঘড়ির দিকে তাঁকিয়ে দেখি ১০ টা বাজে।আম্মু মিলিকে আমার রুমে দিয়ে আসলো।আমি রুমে ঢুকে দেখি পরী আর মিলি বসে আছে।আমি গিয়ে মিলির পাশে বসে বললাম
:-পরী কী এখানে থাকবে?(আমি)
:-তো আমি কোথায় থাকবো?আমি আন্টিকে ছাড়া ঘুমাতে পারিনা।(পরী)
:-মিলি আজকে পরীকে আম্মুর কাছে দিয়ে আসো।
:-না আমি যাবোনা।আর শোন আমি তোমাকে দুলাভাই ডাকতে পারবোনা।আমি তোমাকে চাচ্চুই ডাকবো।
এই মেয়ে বলে কী।বাসর রাতটাও করতে দেবেনা। মিলির দিকে তাঁকিয়ে দেখলাম ও মিটমিট করে হাঁসছে।পরী আর কিছু না বলে খাটের মাঝখানে শুয়ে পরলো।আমি মনে মনে ভাবছি আজ থেকে পরী আর পরীর আন্টির জ্বালানো শুরু হলো।নিজের কপাল এখন নিজেই চাপড়াতে ইচ্ছা করছে কেনো যে পরীকে নিয়ে আসতে গেলাম।ওর জন্য বাসর রাতটাও করা হলোনা
--
((সমাপ্ত))

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ