āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧧⧝ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4233

অনুপ্রেরণা থেকে বাঁচতে শেখা
(গল্পটা বাস্তব)
--Hosain Ahmed(আমি হিমু)
-
:-কী করো?(ছেলেটি)
:-বসে আছি। তুমি?(মেয়েটি)
:-আমিও।ডিনার করেছো?
:-করেছি।তুমি?
:-না।তুমি এসে খাওয়ায়ে দিয়ে যাও।
:-ধ্যাত যেটা সম্ভব না সে কথা  কেনো বলো?আমি তোমার থেকে দুরে থাকি সো এসব আর না বললে খুশি হবো।
মনটা প্রচন্ড রকমের খারাপ হয়ে গেলো ছেলেটার।ছেলেটা ভেবেছিলো মেয়েটি বললে-তুমি ভাত নিয়ে বসো আমি আসছি।কিন্তু  তার উল্টো করলো মেয়েটি।কিছু কিছু সময় কাল্পনিক কথা বললেও ভালবাসা বেড়ে যায়।কাল্পনিক বিষয়গুলো থেকেও ভালোবাসা জন্ন নেয়।
:-এখন গিয়ে খেয়ে নাও।আমি এখন বিজি আছি পড়ে ফোন দিও(মেয়েটি)
:-আচ্ছা।(ছেলেটি)
ছেলেটি আর কিছু না বলে ফোন রেখে দিলো।সে চাইনা তার জন্য মেয়েটা বিরক্ত হোক।ছেলেটি অভিমান করে না খেয়ে শুয়ে পড়লো।অভিমানি ছেলে/মেয়েদের মনটা খুবই নরম হয়।অল্প আঘাতেই তাদের চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি ঝরে আবার অল্প একটু ভালোবাসা পেলেই তাদের আনন্দের যেনো সীমা থাকেনা।
ছেলেটার নাম হৃদয়  অনার্স ১ম বর্ষের ছাএ। বাবা মায়ের একমাএ আদরের সন্তান। বাবা বড় ব্যবসায়ী আর মা কলেজের প্রফেসর।হৃদয় বাবা মায়ের চোখের মনি।হৃদয়ের কোন ইচ্ছা তার বাবা মা অপুর্ণ রাখেনা।মেয়েটির নাম বৃষ্টি।বৃষ্টির বাবা সাধারণ কৃষক আর মা গৃহনি।ফেসবুকের নীল সাদার দুনিয়া থেকে হৃদয় আর বৃষ্টির পরিচয়।তাদের রিলেশনের ৩ টি বছর ইতিমধ্যেই পার করে ফেলেছে।কিন্তু এখনো ওদের সামনা সামনি দেখা হয়নি।বৃষ্টির বাসা চট্টগ্রাম আর হৃদয়ের বাসা ঢাকাতে।হৃদয় অনেকবার দেখা করতে চেয়েছে কিন্তু বৃষ্টি দেখা করেনি।

কিছুক্ষণ পর
হৃদয় অভিমান করে বৃষ্টিকে ফোন দেয়নি।বারবার ফোন চেক করছে এই বুঝি বৃষ্টি ফোন করে তার অভিমান ভাঙ্গিয়ে দিবে কিন্তু না ওপাশ থেকে কোন ফোন আসেনা।১ ঘন্টা,২ ঘন্টা,৩ ঘন্টা পার হয়ে যায় তবুও বৃষ্টির কোন ফোন আসেনা।হৃদয়ের মনে আরো বেশি অভিমান ভর করতে থাকে।সেও অভিমান করে ফোন দেয়না।অভিমান বড্ড খারাপ জিনিস।অনেক সময় এই অভিমানের কারণে অনেক রিলেশনের ব্রেকআপ হয়ে যায়।
হৃদয় ফেসবুকে লগইন করলো।নিজের আইডি লগআউট করে বৃষ্টির আইডিতে ঢুকতে গেলো।কিন্তু পাসওয়ার্ড ভুল দেখাচ্ছে।হৃদয় আবারো ট্রাই করলো।এবারো পাসওয়ার্ড ভুল দেখাচ্ছে।হৃদয় ভাবছে পাস ভুলে গেলো নাতো?এটা কীভাবে সম্ভব ৩ বছর ধরে একই পাস দিয়ে বৃষ্টির আইডিতে ঢুকছে আর আজ ভুল হবে কেনো!বৃষ্টি পাস চেন্জ করেনিতো?এটা মনে হতেই হৃদয়ের সব অভিমান রাগে পরিণত হলো।বৃষ্টিকে ফোন দিলো।ওপাশ থেকে ফোন রিচিভ হলো
:-তোমার আইডির পাসওয়ার্ড চেন্জ করেছো কেনো?(হৃদয়)
:-আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই করেছি।কোন সমস্যা?(বৃষ্টি)
:-হ্যা সমস্যা।পাস দাও?
:-আইডির পাস দিয়ে তুমি কী করবে?
:-দিতে বলেছি দাও এত কথা বলো কেন?
:-আমার আইডি পাস তোমার নেওয়া লাগবেনা।আমার সবকিছুতে তুমি এত অধিকার দেখাতে আসবে কেনো?এত শাষন ভালো লাগেনা।মনে রেখো দড়ি দিয়ে বেশি আটকে বাঁধলে সে বাঁধন থাকেনা।
বৃষ্টির কথা শুনে হৃদয় যেনো কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেললো।বৃষ্টি এমন কথা বলতে পারে হৃদয় সেটা মানতেই পারছেনা।রাগ করে হৃদয় ফোন কেটে দিলো। হৃদয় ফোন রেখে বালিশে মাথা গুজে অঝর ধারায় কাঁদছে।অভিমানি ছেলেদের একটাই অভ্যস কেউ যদি তাদের আঘাত দিয়ে কথা বলে তারা উল্টো আঘাত দিতে পারেনা।বালিশের যদি কথা বলার ক্ষমত থাকতো তাহলে সে আমাদের সব কষ্টের কথা প্রকাশ করে দিতো।আমার মতে মানুষের সবথেকে ভালো বন্ধু বালিশ-কারণ তার বুকে মাথা রেখে আমরা এত কাদি তারপরেও সে কিছুই বলেনা।

১ ঘন্টা পর।
হৃদয় এখন আর কাঁদছেনা।চুপটি মেরে শুয়ে আছে।এখনো চোখের পানি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
""হৃদয় বাবা খেতে আয়""
মায়ের ডাক শুনে হৃদয় উওর দিলো
:-আমার খেতে ইচ্ছা করছেনা তোমরা খেয়ে নাও।(হৃদয়)
মিসেস.সেলিনা ছেলের মুখে এমন কথা শুনে অবাক হলেন।অবাক হওয়ার অবশ্য কারণ আছে-কারণ হৃদয়কে খাওয়ার জন্য ডাকলে সে কখনো এমন কথা বলেনি।তিনি আরো অবাক হলেন যখন হৃদয়ের রুমে ঢুকলেন।হৃদয়ের চোখে এখনো কান্নার ছাপ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।ছেলের চোখে পানি দেখলে যে কোন মা বাবাই চিনিন্ত হবেন এটা স্বাভাবিক।
:-কাঁদছিস কেনো?(হৃদয়ের আম্মু)
হৃদয় এবার আম্মুকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো।
মিসেস সেলিনার মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরছে।হঠাৎ করে ছেলেকে এভাবে কাঁদতে দেখে তার নিজেরই কান্না পাচ্ছে।
:-কী হয়েছে বাবা! আমাকে খুলে বল?(হৃদয়ের আম্মু)
হৃদয় তার আম্মুকে সবকিছু খুলে বললো।
:-বৃষ্টির নম্বর দে আমি কথা বলছি।(হৃদয়ের আম্মু)
হৃদয় ওর আম্মুকে বৃষ্টির নম্বর দিলো।
হৃদয়ের আম্মু হৃদয়ের পাশে বসেই বৃষ্টিকে ফোন দিলো।দুবার রিং হওয়ার পর রিচিভ হলো
:-তুমি কী বৃষ্টি?(হৃদয়ের আম্মু)
:-জ্বি।কিন্তু আপনি কে?(বৃষ্টি)
:-আমি হৃদয়ের আম্মু।
:-আসসালামুওলাইকুম আন্টি।কেমন আছেন?
:-ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?
:-ভালো।
:-তোমার আর হৃদয়ের মধ্যে কী হয়েছে?
:-কিছু হয়নিতো।
:-হৃদয় বললো তুমি নাকি ওকে ছেড়ে যেতে চেয়েছো।
:-নাতো।হৃদয় আমার সব ব্যাপারে শুধু বাড়াবাড়ি করে তাই একটু রাগ করেছি।
:-কিন্তু হৃদয়তো অন্যকিছু বলছে।
:-কী বলেছে হৃদয়?
:-তুমি নাকি ওকে অনেক অবহেলা করো?ওকে সময় দাওনা।
:-এসব ও মিথ্যা বলেছে।আমি ওকে ঠিকই সময় দিই।আপনিই বলুন আমি কী সারাদিন ওকে নিয়ে পড়ে থাকবো?আমারতো অন্য কাজও করতে হয় নাকি।
:-আচ্ছা আমি হৃদয়কে বুঝিয়ে বলে দিবো।আর ও আমার একমাএ ছেলে।ওকে কষ্ট দিয়োনা।ও তোমাকে অনেক ভালোবাসে।
:-আচ্ছা।
:-রাখছি এখন।বাই
:-বাই।
হৃদয়ের আম্মু ফোন রেখে দিলেন।
:-আমি বলে দিয়েছি ও আর তোর সাথে এমন করবেনা।এখন চল খেয়ে নে। (হৃদয়ের আম্মু)
:-তুমি টেবিলে খাবার দাও আমি আসছি।(হৃদয়)
হৃদয়ের আম্মু রুম থেকে চলে গেলো।হৃদয় ভাবছে তার আম্মু এত সহজে সবকিছু মেনে নিলো।সে ভাবতে পারেনি এত সহজে মেনে নিবে।যাইহোক এসব পরে ভাবা যাবে এখন যেয়ে খেয়ে আসি মনে মনে বললো হৃদয়।
হৃদয় টেবিলে গিয়ে দেখে ওর আম্মু বসে আছে।হৃদয়ও বসলো
:-আম্মু খাওয়ায়ে দাও।(হৃদয়)
হৃদয়ের এটা প্রতিদিনের অভ্যাস।
:-এত বড় হয়ে গেলি তাও নিজ হাতে খেতে শিখলি না।দুদিন পর যখন বউ আসবে তখন কী করবি।(হাসতে হাসতে বললো হৃদয়ের আম্মু)
:-আম্মু তুমিওনা।
:-বৃষ্টির পিক দেখালি নাতো?
:-দাঁড়াও দেখাচ্ছি।
হৃদয় রুমে গিয়ে ওর ফোন নিয়ে আসলো।বৃষ্টির পিক দেখালো।
:-তোর পছন্দ আছে বলতে হবে।
:-দেখতে হবেনা ছেলেটা কার।
হৃদয়ের ফোনের রিংটন বেজে ওঠলো।বৃষ্টি ফোন করেছে।মা ছেলের কথার মাঝে হঠাৎ করে ফোন আসা একটু বিরক্তিকর বটে।হৃদয় ফোন রিচিভ করলো।
:-হ্যালো(হৃদয়)
:-তোমার আম্মুর কাছে আমার ফোন নম্বর কেনো দিয়েছো?(বৃষ্টি)
:-কোন সমস্যা?
:-সমস্যাতো আছেই।তোমাকে বলেছিলাম ফ্যামিলির কাউকে না জানাতে।জানালে কেনো?
:-জানিয়েছি তো কী সম্যা হয়েছে?
:-তুই আমার সমস্যার কী বুঝিস?আজ থেকে তোর সাথে আমার সম্পর্ক শেষ।আমার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করবিনা।আর যদি করিস তাহলে মনে করবো তুই আমাকে কখনো ভালোবাসিস নাই।আমার পিকগুলোও ডিলেট করে দিবি।মনে থাকে যেনো।

ওপাশ থেকে ফোন কেটে গেলো।
:-কে ফোন দিয়েছিলো?(হৃদয়ের আম্মু)
হৃদয় কোন কথা বলছেনা।চুপ করে বসে আছে।
:-কীহলো কথা বলিস না কেনো?
হৃদয়ের চোখ থেকে এক ফোন পানি গড়িয়ে পড়লো যেটা হৃদয়ের আম্মুর চোখ এড়ালো না।
হৃদয়ের আম্মু হৃদয়ের হাত থেকে ফোন নিয়ে নিলো।এরপর কল লিষ্টে গিয়ে দেখলো বৃষ্টির ফোন ছিলো।
:-বৃষ্টি কী বললো এখন?(হৃদয়ের আম্মু)
হৃদয় কিছু না বলে বসা থেকে ওঠে বাইরে বেড়িয়ে গেলো।হৃদয়ের আম্মু পিছন থেকে অনেকবার ডাকলো কিন্তু শুনলোনা।
মিসেস সেলিনা হৃদয়ের ফোন থেকে বৃষ্টিকে ফোন দিতে গেলেন কিন্তু ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখলেন ফোনে লক পড়ে গেছে।ফোনের লক তার জানা নেই তাই হৃদয়ের ফোন রেখে নিজের ফোন থেকে বৃষ্টির নম্বরে ফোন দিলেন।ফোন বন্ধ।
মিসেস সেলিনা কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।এখন রাত ১০ টা বাজে।এতরাতে ছেলেটা বাইরে গেলো কী না কী জানি করে বসে।তিনি তাড়াতাড়ি হৃদয়ের বাবাকে ফোন দিয়ে সবকিছু বললেন।হৃদয়ের বাবা   অফিস থেকে বেড়িয়ে পড়লেন।তার এখন উদ্দেশ্য হৃদয়কে খুজে বের করা।

হৃদয় এখন বসে আছে মদের আসরে।সে এখন সম্পুর্ন মাতাল।নিজের কোন হুস নেই।হৃদয়ের মা ইতিমধ্যে হৃদয়ের বেষ্ট ফ্রেন্ড নাইমকে ব্যাপারটা জানিয়েছে।নাইমও বেড়িয়ে পড়েছে হৃদয়কে খুজতে।রাত ১২ টা বাজে এখনো হৃদয়ের কোন খোজ নেই।সবাই যখন হৃদয়কে খুজতে খুজতে  ক্লান্ত তখন হৃদয় মদের আসরে নিজের কষ্টগুলোকে উড়ানোর জন্য ব্যস্ত।
অবশেষে হৃদয়ের দেখা পেলো নাইম।নাইম হৃদয়ের বাবাকে ফোন করে আসতে বললো।হৃদয়ের বাবা আসলে সবাইমিলে ধরে হৃদয়কে গাড়িতে তুলে বাসায় আনা হলো।হৃদয়ের কোন হুস নেই বললেই চলে।সে এখন সম্পুর্ন মাতাল।হৃদয়ের মা হৃদয়ের এ অবস্থা দেখে কান্না শুরু করে দিয়েছে।একমাএ ছেলের এ অবস্থা দেখলে যেকোন বাবা মা ভেঙ্গে পড়বে এটা স্বাভাবিক।

রাত ৩টা বাজে।সবাই ঘুমে ব্যস্ত।সবাই ঘুমে ব্যস্ত এটা বললে ভুল হবে কারণ কিছু কিছু মানুষ আছে যারা প্রিয় মানুষটির কথা ভেবে চোখের পানি ফেলছে।আবার কেউ প্রিয় মানুষটির সাথে খুনসুটি ঝগড়াতে ব্যস্ত।হৃদয় এখন ঘুমাচ্ছে।হৃদয় ফ্রেন্ড বাসায় চলে গিয়েছে।হৃদয়ের মা বাবাও তাঁদের রুমে ঘুমোচ্ছে।হৃদয়ের ঘুম ভেঙ্গে গেলো।সে কোথায় আছে সেটা মনে করার চেষ্টা করলো।""আমিতো মদের আসরে গিয়েছিলাম এখানে কীভাবে এলাম?হৃদয়ের মনে অনেকগুলো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।আরে এতো আমার নিজের রুম মনে মনে বললো হৃদয়।ডিম লাইটের আলোয় রুমের সবকিছু বোঝা যাচ্ছে।হঠাৎই হৃদয়ের বৃষ্টির কথা মনে পড়ে গেলো।গভীর রাতের যখন হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কথা মনে পড়ে তখন কষ্টগুলো তিনগুন বেড়ে যায়।হৃদয় তার রুম খুলে এক পা দুপা করে ছাদে ওঠে গেলো।তাঁর এখন প্রচন্ড খারাপ লাগছে।বৃষ্টি তাকে এভাবে ঠকাবে সে কখনো ভাবতেই পারেনি।এখনো শীতের প্রকোপ ততটা পড়েনি।হালকা কুয়াশা পড়ছে।আকাশে চাঁদের আলো ঝলমল করছে।হৃদয়ের কাছে চাঁদের আলো আগে খুব ভালো লাগতো কিন্তু আজ বড্ড অাসহ্য লাগছে এ চাঁদের আলোকে।মানুষের মন যখন খারাপ থাকে তখন যদি তার কাছে পৃথিবীর সুন্দর জিনিসটাও দেওয়া যায় তাহলেও সেটা তার কাছে কুৎসিত লাগবে।
""যাকে এত ভালোবাসলাম সেই যখন চলে গেলো তাহলে আর বেঁচে থেকে কী হবে।""এসব কথা হৃদয়ের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।কিন্তু আত্মহত্যা মহাপাপ বলে আত্মহত্যা করার চিন্তা আপাতত বাদ দিলো হৃদয়।নিজেকে তীলে তীলে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করলো।হৃদয়ের ছাদে থাকতে আর ভালো লাগছেনা তাই রুমে চলে গেলো।তার চোখে ঘুম নেই আজ।আজ তার কাছে সবকিছু অসহ্য লাগছে।অসহ্য লাগাটাই স্বাভাবিক,একটা মানুষের তিনটি বছরের স্বপ্ন যখন ভেঙ্গে যায় তখন খারাপ লাগারই কথা।
সকাল ৮টা।
দরজায় কড়া নারার শব্দে হৃদয়ের ঘুম ভাঙ্গলো।রাতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে তার মনেই নেই।
""হৃদয় বাবা ওঠ""
বাইরে থেকে হৃদয়ের কানে তার মায়ের আওয়াজ ভেষে আসছে।হৃদয় ওঠে গিয়ে দরজা খুলে দিলো।
:-ফ্রেশ হয়ে টেবিলে আয় তোর আব্বু ওয়েট করছে।(হৃদয়ের আম্মু)
:-আমার খিদা নেই তোমরা খেয়ে নাও।(হৃদয়)
:-আচ্ছা তোর খাওয়া লাগবেনা।আমরাও না খেয়ে থাকবো।
হৃদয়ের মা রাগ করে চলে গেলো।হৃদয় তার বাবা মাকে কষ্ট দিতে চাইনা তাই ফ্রেশ হতে চলে গেলো।ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে গেলো।হৃদয়ের বাবা একপাশে আর হৃদয়ের আম্মু একপাশে বসে আছে।একটা ছেলে যত খারাপই হোক তার মধ্যে যদি মনুষ্যত বোধ থাকে তাহলে সে কখনোই বাবা মাকে কষ্ট দিতে পারেনা।হৃদয়কে আসতে দেখে হৃদয়ের আম্মুর মুখে হাসির রেখা দেখা দিলো।আজ হৃদয় নিজেই নিজের প্লেটে ভাত তুলে নিলো।প্রতিদিন হৃদয়ের আম্মু ভাত তুলে খাওয়ায়ে দেয়।হৃদয়ের আম্মু অবশ্য হৃদয়ের এমন পরিবর্তনে অবাক হয়েছেন কিন্তু কিছু বলতে পারছেন না।হৃদয়ের বাবা কিছু বলতে যাবে তখনি হৃদয়ের আম্মু কথা আটকিয়ে দিলো।হৃদয় আজ খেতে বসে একটা কথাও বললোনা নিজের মত খেয়ে ওঠে চলে গেলো।নিজের রুমে গিয়ে রেডি হয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলো হৃদয়। বাইরে গিয়ে দোকান থেকে সিগারেট কিনে বাসায় চলে আসলো।বাসায় এসে নিজের রুমে দরজা লাগিয়ে সিগারেট ধরালো।যেই ছেলেটির সিগারেটের ধোঁয়া নাকে গেলে বমি হতো আজ সে একটার পর একটা খেয়ে চলেছে। কিছু কিছু ঘটনা আমাদের জীবনকে পাল্টে দেয়।প্রিয় মানুষের দেওয়া কষ্টগুলোর গভীরতা সব সময় বেশিই হয়।
দুপুর ২টা বাজে।
মিসেস. সেলিনা মাএ কলেজ থেকে ফিরেছেন।বাসায় ফিরে সর্বপ্রথম গেলেন হৃদয়ের রুমের সামনে।হৃদয়ের রুম ভিতর থেকে আটকানো।হৃদয়কে বাইরে থেকে ডাক দিলেন কিন্তু ভিতর কোন সারা পাওয়া গেলোনা।আরো কয়েকবার ডাকলেন কিন্তু ভিতর থেকে কোন সাড়া এলোনা।মিসেস সেলিনার মনে এক ধরনের ভয় বাসা বাঁধতে শুরু করলো।গেটের দারোয়ানকে ডেকে রুমের দরজা ভাঙ্গালেন।ভিতরে ঢুকার পর যা দেখলেন তাতে মিসেস.সেলিনা অঙ্গান হয়ে পড়ে গেলেন।হৃদয় রুমের ফ্লোরে পড়ে আছে।চারপাশে রক্ত জমাট বেধে আছে।বাদশা(দারোয়ান)তাড়াতাড়ি করে বাইরে চিৎকার করে পাশের বাসার লোকজনকে ডাকলো।সবাই এসে হৃদয়কে হাসপাতালে নিয়ে গেলো আর হৃদয়ের আম্মুকে তার রুমে নেওয়া হলো।ইতিমধ্যেই হৃদয়ের বাবা বাবাকে ফোন করে বিষয়টা জানানো হয়েছে।হৃদয়ের আম্মুর মুখে পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরানো হলো।
:-হৃদয়,কোথায়?(হৃদয়ের আম্মু)
:-হৃদয়কে হাতপাতালে নেওয়া হয়েছে।(বাদশা)
:-আমাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে চলো।
হৃদয়ের আম্মু বাদশার সাথে হাসপাতালে গেলো।হৃদয়ের আব্বু সরাসরি হাসপাতালে এসেছে।হৃদয়ের অবস্থা খুব খারপ।একমাএ ছেলের এমন অবস্থা দেখে হৃদয়ের বাবা মা সম্পুর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে।হৃদয়ের আম্মু বাদশাকে দিয়ে হৃদয়ের নানু বাড়িতে ফোন করেছে।
ওইতো ডাক্টার বের হচ্ছে।ডাক্টারকে দেখে সবাই এগিয়ে গেলো।
:-এখন কী অবস্থা দেখলি?(হৃদয়ের আব্বু)
:-চিন্তার কারণ নেই।এখন ভালো হলে।কিছুক্ষন পরেই জ্ঞান ফিরবে।(হৃদয়ের আঙ্কেল)
হৃদয়ের বাবা মা যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলেন।আল্লাহর দরবারে হাজার কোটি শুকরিয়া জানালেন।
৩ দিন পর।
হৃদয় এখন অনেকটা সুস্থ তবে কারো সাথে কোন কথা বলছেন।হৃদয়দের বাসা ভর্তি মানুষ।হৃদয়ের মামা,নানু,নানি,মামি,খালা সবাই এসেছে।তবে আজ সবাই চলে যাবে।বিকেলে বাসার সব আত্মীয়স্বজন সবাই চলে গেলো।শুধুমাএ হৃদয়ের ১ খালা আর তার মেয়ে থেকে গেলো।হৃদয়ের আম্মু অনেক ভেঙ্গে পরেছে বলা যেতে পারে অনেকটা অসুস্থ তাই উনারা থেকে গেছে।
হৃদয় এখন ছাদের এক কোণে বসে আছে।হৃদয়ের মনে অঝর ধারায় রক্ত ঝড়ছে।কিছু কিছু কষ্ট মানুষকে নিশ্চুপ করে দেয়।হৃদয়ের বেলায়ও তাই হয়েছে।এতদিনের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়াটা সত্যিই খুব কষ্টের।
হৃদয়ের রুমে এখন একটি মেয়ে পায়চারি করছে।মেয়েটির নাম মেঘা। হৃদয়ের খালাতো বোন।মাএ ইন্টার ১ম বর্ষে পড়ে।ইতিমধ্যেই ৩৯টি প্রপোজের মালিক হয়ে গেছে। মেঘার উদ্দেশ্য এখন হৃদয়ের ডায়রি খুজে বের করা। সব জায়গায় খুজেও যখন পেলোনা তখন ব্যর্থ হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পা বাড়ালো।রুমের দরজার কাছে আসতেই দরজার উপরে কিছু একটা দেখতে পলো।দরজার উপরে ছোট্র একটা বক্সের মত সেখানে কিছু একটা রাখা রয়েছে।মেঘা চেয়ার টেনে নিয়ে উপর থেকে দেখো।একটা পেপারে বইয়ের মত কিছু মোড়ানো।মেঘা ওখান থেকে মোড়ানো জিনিস নিয়ে ওর রুমে চলে গেলো।রুমে এসে পেপারটা খুললো।এতো ডায়রি যেটা মেঘা খুজছিলো।মেঘার মুখে হাঁসির রেখা ফুটে ওঠলো।মেঘা ডায়রির প্রথম পাতা উল্টালো। অনেক বড় করে লেখা "" বৃষ্টি+হৃদয়"""
মেঘা পরের পেজ উল্টালো।পরের পেজের লেখাগুলো পড়া শুরু করলো।
২য় পেজ।
আজ একটা মেয়ের সাথে ফেসবুকে কথা হলো।মেয়েটার কথা বলার ষ্টাইলটা অনেক সুন্দর।আচ্ছা মেয়েটাকে আমি চিনিনা জানিনা তাহলে ওর কথা ভাবছি কেনো?ধ্যাত আমি যে কী।আজ আর লেখবোনা।অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমাতে হবে।
এতটুকু লেখা ছিলো ২য় পেজে।মেঘা পরের পৃষ্ঠা উল্টালো।এক এক করে সবগুলো পৃষ্ঠা পড়া শেষ করলো মেঘা।ডায়রিটা পড়ার পর মেঘা যা বুঝতে পারলো সেটা হলো হৃদয়ের সাথে বৃষ্টি নামের একটা মেয়ের রিলেশন ছিলো।মেয়েটা হৃদয়কে অনেক অবহেলা করতো তবুও হৃদয় বৃষ্টিকে পাগলের মতো ভালোবাসতো।মেঘা ডায়রিটা আবার আগের জায়গায় রেখে আসলো।
:-খালা হৃদয় কোথায়?(মেঘা)
:-এই তোর থেকে ৩ বছরের বড় তারপরেও ওর নাম ধরে কেনো ডাকিস?(হৃদয়ের আম্মু)
:-তোমার ছেলে বড় হলো কবে?ওতো একটা পিচ্চি ছেলে।
মেঘার কথা শুনে মেঘার আম্মু আর হৃদয়ের আম্মু হাঁসতে শুরু করে দিলো।হৃদয়ের আম্মু হাসতে হাসতে বললো
:-আমার পিচ্চি ছেলেটার সাথেই তোর বিয়ে দিবো।
:-তোমার ছেলেকে বিয়ে করতে আমার বয়েই গেছে।(মেঘা)
হৃদয়ের উপস্থিতিতে সবাই নিরব হয়ে গেলো।
:-আম্মু আমি বাইরে যাচ্ছি।(হৃদয়)
:-এই সন্ধা বেলায় তোর বাইরে যেতে হবেনা।এখন খেয়ে ঘুমাতে যা।(হৃদয়ের আম্মু)
হৃদয় মায়ের কথা কখনো অমান্য করেনা তাই নিজের রুমে চলে গেলো।
:-আপনার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করা যাবে?
হৃদয়ের রুমে ঢুকতে ঢুকতে কথাটা বললো মেঘা।
হৃদয়ের মনটা খারাপ ছিলো তাই রাগী কন্ঠে উওর দিলো
:-আপনি আমার রুমে এসেছেন কেনো?এখনি বের হন
হৃদয় আর মেঘা খালাতো ভাই বোন হলেও দুজন দুজনকে আপনি করে বলে।কিন্তু মেঘা অন্যদের কাছে হৃদয়ের নাম ধরে উল্লেখ করে।
মেঘার মনটা প্রচন্ড খারাপ হয়ে গেলো।মন খারাপ করে হৃদয়ের রুম থেকে চলে আসলো। হৃদয়ের আম্মু বাইরে থেকে সব শুনছিলেন। মেঘা ওর রুমে চলে যাওয়ার পর হৃদয়ের আম্মু মেঘার রুমে গেলেন।
:-কিরে কী করিস?(হৃদয়ের আম্মু)
:-নিশ্চুপ
:-আমার ছেলেটা আগে এমন ছিলোনা।শুধুমাএ একটা মেয়ের জন্য এমন হয়ে গেছে।
কথাগুলো হৃদয়ের আম্মু কান্না শুরু করে দিলেন।
:-খালা তুমি কেঁদোনা দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে।(মেঘা)
:-কিছুই ঠিক হবেনা।
:-আচ্ছা আমি তোমার ছেলেকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনবো কথা দিলাম
:-সত্যিই তুই পারবি?
:-চেষ্টা করে দেখিতো কী হয়।তবে তোমার হেল্প লাগবে।
:-আচ্ছা করবো

-
রাত ৯ টা বেজে ১৪ মিনিট
হৃদয়ের এখন বাসায় থাকতে ভালো লাগছেনা।বৃষ্টির স্মৃতিগুলো তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।ভালোবাসার মানুষটি যখন আমাদের পাশে থাকে তখন মনে হয় এই পৃথিবীটা স্বর্গের থেকেও সুন্দর আর যখনি সেই ভালোবাসার মানুষটি আমাদের থেকে দুরে চলে যায় তখন পৃথিবীটাকে নরকের চাইতেও খারাপ মনে হয়।হৃদয়ের কাছে আজ পৃথিবীর সবকিছু অসহ্য লাগছে।
:-আপনার চা?(মেঘা)
মেঘার উপস্থিতি দেখে হৃদয় তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে নিলো।
:-আপনাকে চা আনতে কে বলেছে?(রাগী কন্ঠে কথাটা বললো হৃদয়)
:-আপনার আম্মু বলেছে।এখন চা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
:-আপনার চা আপনি খান আর আপনি আমার সামনে আসবেন না।
:-আপনি বললেই আমি শুনবো নাকি!আমার যেখানে ইচ্ছা আমি সেখানে যাবো।
কথাটা বলে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে মেঘা চলে গেলো।হৃদয়ের কাছ মেঘার হাসিটা সবথেকে বাজে মনে হয়েছে।হৃদয় চা ফেলে দিলো।তারপর রুমের দরজা আটকিয়ে শুয়ে পড়লো।
হৃদয়ের চোখে ঘুম নেই।তার এখন সিগারেট খেতে ইচ্ছা করছে কিন্তু সিগারেটতো রুমে নেই।আচ্ছা তাহলে বাইরে থেকে নিয়ে আসি।কিন্তু এত রাতে আম্মু কী বাইরে যেতে দিবে??আম্মুর চোখ ফাকি দিয়ে যাবো।কথাগুলো মনে মনে বলছে হৃদয়।সে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়লো।আস্তে আস্তে বাড়ির গেটের সামনে চলে এলো।গেটের সামনে আসতেই দারোয়ানের সাথে দেখা
:-ছোট সাহেব আপনি কোথায় যাচ্ছেন এত রাতে?(দারোয়ান)
:-একটু দোকানে যাবো।(হৃদয়)
:-কিন্তু আমি আপনাকে বাইরে যেতে দিতে পারবোনা।বড় সাহেবপর বারন আছে।
হৃদয়ের মেজাজটা প্রচন্ড রকমের খারাপ হয়ে গেলো।
:-আমার যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাবো তুই আটকানোর কে?(হৃদয়)
দারোয়ান আর কিছু বললোনা।হৃদয়দের বাসার সামনেই একটা দোকান সেখান থেকে সিগারেট কিনে নিয়ে বাসায় চলে আসলো।রুমে ঢুকে দেখলো তার আব্বু রুমে বসে আছে।
:-আব্বু তুমি এতরাতে?(হৃদয়)
:-কোথায় গিয়েছিলি?(হৃদয়ের বাবা)
:-একটু বাইরে গিয়েছিলাম।
:-একটা মেয়ের জন্য নিজের লাইফ নষ্ট করার কোন মানে হয়?যে চলে গেছে তাকে ভুলে নতুন করে বাঁচতে শেখ।
:-নিশ্চুপ
:-আমাদের জীবনে কিছু কিছু মানুষ এসে আবার হারিয়ে যায়।এই হারিয়ে যাওয়া আমাদের কিছু শিখিয়ে যায়।
:-কিন্তু আব্বু আমিতো
হৃদয়ের কথা শেষ করার আগেই হৃদয়ের বাবা বলতে শুরু করলেন
:-কাল সকালে রেডি থাকিস একটা জায়গায় তোকে নিয়ে যাবো।
এই বলে হৃদয়ের আব্বু চলে গেলো।
হৃদয়ের কোন কিছুই ভালো লাগছেনা।প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে খেতে শুরু করলো।তাঁর মনের ভিতর কষ্টের জোয়ার চলছে যেটা সে কাউকে বুঝাতে পারছেনা।
:-সিগারেট খাওয়া কিন্তু শরীলের পক্ষে ক্ষতিকর।
উপরের কথাটি শুনে দরজার দিকে তাকালো।মেঘা দাঁড়িয়ে আছে।হৃদয়ের মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেলো।মেঘাকে দেখলে কেনো জানি তার রাগটা আরো বেশি বেড়ে যাচ্ছে।
:-আপনাকে তখন বললাম আমার রুমে আসবেন না তবুও কেনো এসেছেন?(হৃদয়)
:-ওই একদম মিথ্যা বলবেন না।আমি আপনার রুমের ভিতর যায়নি।আপনার রুমের বাইরেই আছি।(মেঘা)
:-ওই একি কথা।আপনি আমার সামনে আসবেন না।
:-১০০ বার আসবো তাতে আপনার কী?
যতসব।হৃদয় ওঠে গিয়ে দরজা আটকিয়ে দিলো।
ওপাশ থেকে মেঘা বললে আপনি যতই আমাকে এড়িয়ে চলবেন আমি ততই  আপনাকে জ্বালাবো মনে রাখবেন।
হৃদয় ভাবছে কী মেয়েরে বাবা কেন লজ্জাবোধ নেই।কতবার বললাম আমার সামনে আসবেন না তবুও আসে।এর পরের বার আসলে আচ্ছামত কথা শুনাবো।মনে মনে এসবই বিরবির করছে হৃদয়।
ওদিকে মেঘা নিজের রুমে বসে ভাবছে চান্দু তুমি যতই আমাকে এড়িয়ে চলোনা কেনো আমার প্রেমে তোমাকে পড়তেই হবে।আমি সেই ক্লাস সেভেন থেকে আপনাকে পছন্দ করি।আমার এতদিনের ভালোবাসা মিথ্যা হতে দিবোনা।

পরেরদিন
দরজায় ধাক্কা দেওয়ার শব্দে হৃদয়ের ঘুম ভাঙ্গলো।বিছানা ছেড়ে ওঠে দরজা খুলে দিলো।
:-তোর আব্বুর সাথে নাকি কোথায় যাবি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নে।তোর আব্বু বসে আছে।(হৃদয়ের আম্মু)
:-তুমি যাও আমি আসছি।(হৃদয়)
হৃদয় ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলো।এরপর হাল্কা নাস্তা করে বেড়িয়ে পড়লো।হৃদয়দের নিজের কার আছে সেটাতে সে ওঠে বসলো।হৃদয়ের বাবা ড্রাইভার এর পাশে বসেছে।।হঠাৎ করে গাড়ির দরজা খুলে মেঘা তার পাশে এসে বসলো।
:-আপনি এখানে আসলেন কেনো?(হৃদয়)
:-আমিও আপনাদের সাথে যাচ্ছি।(মেঘা)
:-আব্বু মেঘা গেলে আমি যাবোনা।
হৃদয়ের কথায় কান দিয়ে হৃদয়ের আব্বু ড্রাইভারকে গাড়ি চালাতে বললেন।হৃদয়ের অনেক খারাপ লাগছে।মেঘাকে কেনো জানি তার মোটেও ভালো লাগেনা।
অন্যদিকে মেঘা অনেক খুশি কারণ সে হৃদয়ের কাছাকাছি বসতে পেরেছে।বারবার আড় চোখে দেখছে হৃদয়কে।
৪০ মিনিট গাড়ি চলার পর একটা জায়গায় এসে থামলো।সবাই গাড়ি থেকে নামলো।হৃদয় লক্ষ্য করে দেখলো এটা একটা পঙ্গু হাসপাতাল।এখানে কী জন্য আসলো সেটা হৃদয়ের মাথাতে আসছেনা।সবাই হাসপাতালের মধ্যে প্রবেশ করলো।হৃদয়রা সবাই ৬৫ নম্বর কেবিনে ঢুকলো।কেবিনের ভিতরে ৪ জন মানুষ ছিলো মোট।বেডে একটা ছেলে শুয়ে আছে।ছেলেটার ২টা পা নেই।ছেলেটা হৃদয়ের সম বয়সী হবে
:-আঙ্কেল আপনারা হঠাৎ?(বেডে বসে থাকা ছেলেটি বললো)
:-তোমাকে দেখতে আসলাম।(হৃদয়ের বাবা)
:-এতদিন পর মনে পড়লো আমাদের।
একজন বয়স্ক লোক বললো।
:-হৃদয় এ হলো তোর রহিম আঙ্কেল।আমরা আগে এক সাথেই ব্যবসা করতাম।আর এরা তোর আঙ্কেলের ফ্যামিলির সবাই (হৃদয়ের বাবা)
:-কেমন আছেন আঙ্কেল?(হৃদয়)
:-আর ভালো থাকা!ছেলেটা আজ ২ বছর হাসপাতালে পড়ে আছে।ওর এ অবস্থায় আমরা কেমনে ভালো থাকি!(হৃদয়ের আঙ্কেল)
:-এসব কেমন করে হলো?(মেঘা)
:-একদিন কলেজ থেকে ফিরছিলো এমন সময় পিছন থেকে একটা বাসের ধাক্কায় বাইক থেকে পড়ে যায়।বাসের চাকা দু পায়ের উপর দিয়ে যায় ফলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসার পর ডাক্তার দুপা কেটে ফেলে।(আঙ্কেল)
:-রকি তোমার এখানে থাকতে ভালো লাগে?(হৃদয়ের বাবা)
:-না আঙ্কেল।আমার ইচ্ছে করে বাইরে ছুটে বেড়াতে।ইচ্ছে করে সবার সাথে ক্রিকেট খেলতে কিন্তু কোনকিছুই সম্ভব হয়না।
কথাগুলো বলে রকি কাঁদতে শুরু করলো।
হৃদয় এখন বুঝতে পারছে জীবনটা কত মূল্যবান।হৃদয়ের বাবা আরো কয়েকটা পঙ্গু লোকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।সবাই কোন না কোন দুরঘটনায় পঙ্গু হয়েছে।বিকেলে হৃদয়রা বাসায় ফিরলো।বাসার এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া করে নিলো।

হৃদয় এখন তার রুমে বসে আছে।হাসপাতালের মানুষগুলোর কথা তার মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে।সবাই পঙ্গু হলেও তারা বাঁচতে চায়।মুক্ত পাখির মত এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াতে চায়।হৃদয়ের এখন নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।শুধুমাএ একটা মেয়ের কারণে সে কীনা মরতে গিয়েছিলো।ছিঃ।যেই বাবা মা তাকে এত আদর যত্ন করে মানুষ করলো তাদের কাদালো।হৃদয় ওর বাবা মায়ের রুমে গেলো।
:-আম্মু তোমাদের সাথে কিছু কথা ছিলো।(হৃদয়)
:-বস এখানে।
হৃদয়ের বাবা হৃদয়কে কাছে ডেকে বসালেন।
:-আব্বু আমি নতুন করে বাঁচতে চাই।তোমাদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি আমাকে ক্ষমা করে দাও।(হৃদয়)
:-ছেলেরা মেয়েদের কথায় বাবা মা কখনো রাগ করেনা।(হৃদয়ের আম্মু)
:-তুই তোর নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছিস এটাই অনেক।(হৃদয়ের বাবা)
:- আমি একটু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে যায়?অনেকদিন হলো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিইনা।(হৃদয়)
:-আচ্ছা যা।তবে বেশি রাত করিস না।আর মেঘাকে সাথে নিয়ে যা।মেয়েটা এখানে এসে একদিনও ভালো করে বাইরে ঘুরলো না।(হৃদয়ের আম্মু)
:-আচ্ছা।
হৃদয় ওর আম্মুদের রুম থেকে বেড়িয়ে মেঘার রুমে গেলো।মেঘা বসে গেম খেলছে ফোনে।
:-আপনি কী বাইরে যাবেন আমার সাথে?(হৃদয়)
মেঘা গেম খেলা বাদ দিয়ে হৃদয়ের পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার চোখ বুলালো।
:-আপনি ঠিক আছেনতো?(মেঘা)
:-আমি ঠিকই আছি আপনি রেডি হয়ে নেন তাড়াতাড়ি আমি বাইরে অপেক্ষা করছি।
হৃদয় মেঘার রুম থেকে চলে গেলো।মেঘার মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে।নিজের হাতে নিজে চিমটি কাটলো মেঘা।না সে বাস্তবেই আছে।মেঘা ওঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।ফ্রেশ হয়ে এসে তার খালার রুমে গেলো।
:-খালা তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো।(মেঘা)
:-বল?(হৃদয়ের আম্মু)
:-তোমার একটা শাড়ি দাও।
:-শাড়ি দিয়ে কী করবি?
:-আমার জামায়ের সাথে ঘুরতে যাবো।হি হি হি হি
:-তুই জামাই পেলি কোথায়?
:-কেনো তোমার ছেলে।
:-ওরে বাবা তলে তলে এতদুর।দাড়া তোর বাবা মাকে বলে সব পাকাপাকি করার ব্যবস্থা করছি।
:-তাড়াতাড়ি শাড়ি দাও।ও বাইরে অপেক্ষা করছে।
:-দাড়া আমি তোকে সাজিয়ে দিচ্ছি।

হৃদয় অনেকক্ষণ হলো বসে আছে কিন্তু মেঘার কোন দেখা নেই।তার রাগ হচ্ছে প্রচন্ড।মেয়েদের এই একাটাই সমস্যা সাঁজতে বসলে আর ওঠার নাম থাকেনা।আর যদি সেটা প্রিয় মানুষের জন্য হয় তাহলেতো কথাই নেই।হৃদয় ফোন বের করে ওর ফ্রেন্ডকে ফোন দিলো
:-কই তুই?(হৃদয়)
:-মামার দোকানে।কেনো?(নাইম)
:-আমরা আসছি।
:-আমরা বলতে কে কে?
:-আগে  আসি তারপর দেখিস।
:-আচ্ছা আয়।
হৃদয় ফোন রাখার পরে সামনে তাঁকাতেই চমকে ওঠলো।পরী!!! পরী আসলো কোথা থেকে।হৃদয়ের মনে হচ্ছে কোন পরী ভুল করে মাটিতে নেমে এসেছে।
:-এভাবে হা করে থাকলে মুখে মাছি ঢুকবে।
হৃদয়,মেঘার কথা শুনে চোখ নামিয়ে নিলো।মেঘাকে লাল শাড়িতে এত সুন্দর লাগে তার জানা ছিলোনা।জানবে কী করে এর আগেতো দেখেনি।
:-চলুন?(হৃদয়)
:-চলুন।
দুজন গাড়ির কাছে গেলো।হৃদয় ড্রাইভারের কাছ থেকে চাবি নিল।আজ সে নিজেই ড্রাইভিং করবে।
:-আমি সামনে বসি?(মেঘা)
:-মানা করেছে কে।(হৃদয়)
মেঘা মুচকি একটা হাসি দিয়ে গাড়িতে ওঠে বসলো।মেঘার এই হাসিটাই মেঘার প্রেমে ফেলে দিলো।

হৃদয় একটা চায়ের দোকানের সামনে এসে গাড়িটা থামালো।হৃদয়ের গাড়ি দেখে চায়ের দোকানের ভিতর থেকে হৃদয়ের ফ্রেন্ড বেড়িয়ে আসলো।মেঘা আর হৃদয় গাড়ি থেকে নেমে চায়ের দোকানের ভিতরে গেলো।মেঘার দিকে হৃদয়ের সব ফ্রেন্ডরা হা করে তাকিয়ে আছে।তাকিয়ে থাকাটাই স্বাভাবিক কারণ মেঘা দেখতে এমনিতেই অনেক সুন্দর তার উপর আজ শাড়ি পড়ে সেজেছে।মেয়েরা সাঁজলে তাদের সৌন্দর্য ৩ গুন বেড়ে যায়।
:-সবাই মুখ বন্ধ কর নাহলে মুখে মাছি ঢুকবে।(হৃদয়)
হৃদয়ের কথা শুনে ওর সব ফ্রেন্ডরা লজ্জায় মেঘার দিক থেকে চোখ নামিয়ে নিলো।হৃদয় আর মেঘা দুজনে পাশাপাশি দুটো চেয়ারে বসলো।
:-এহলো মেঘা হৃদয়ের খালাতো বোন।আর মেঘা এ হলো-----সবার সাথে মেঘার পরিচয় করিয়ে দিলো নাইম।নাইম মেঘাকে আগে থেকেই চেনে কারণ এর আগেও সে মেঘাকে দেখেছে।সবার সাথে আড্ডা দেওয়ার পর মেঘা আর হৃদয় বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলো।
:-তোমার বন্ধুরা অনেক মিশুক।যে কাউকে ওরা হাসাতে পারে।আজকের আড্ডাটা আমার জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকবে।(মেঘা)
:-কী ব্যাপার আজ হঠাৎ আপনি থেকে তুমি?(হৃদয়)
এই যা তুমি বলে ফেললাম।আমি যে কী!মনে মনে এসব বলছে মেঘা আর নিজেকে নিজেই গালি দিচ্ছে।
:-কীহলো কিছু বলছো না যে?(হৃদয়)
:-আপনিওতো তুমি করে বলছেন।(মেঘা)
:-ও সরি সরি।ভুলে বলে ফেলছি।
:-তাহলে আমিও ভুলে বলে ফেলেছি।
:-এই ভুলটা যদি সারাজীবন করি তাহলে কী তুমি কী রাগ করবে?
:-জানিনা।
গাড়ি বাসার সামনে চলে এসেছে তাই আর কোন কথা হলোনা দুজনের মাঝে।মেঘা গাড়ি থেকে নেমে সোজা ভিতরে চলে গেলো।হৃদয় গাড়ি পার্ক করে ভিতরে ঢুকলো।হৃদয় ফ্রেশ হয়ে ছাদে গেলো।এখন তার আবারো বৃষ্টির কথা মনে পড়ছে। যতই বৃষ্টিকে ভোলার চেষ্টা করে ততই বেশি মনে পড়ে।এতদিনের সম্পর্কতো আর একদিনে ভোলা যায়না।হৃদয় পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে সিগারেট খাওয়া শুরু করলো।বৃষ্টি তাকে এভাবে ঠকাবে সে কখনো ভাবতে পারেনি।মানুষের মন বড় বৈচিএ্যময় কখন পরিবর্তন হয়ে যায় কেউ বলতে পারেনা।
:-তুমি আবার সিগারেট খাচ্ছো?
পিছন থেকে কারো এমন প্রশ্নে হৃদয় চমকো ওঠলো।কারণ এই সময় সাধারণত কেউ ছাদে আসেনা।হৃদয় পিছন ফিরে দেখে মেঘা তার দিকে এগিয়ে আসছে।
:-তুমি আজ আবারো সিগারেট খাচ্ছো?ফেলো বলছি(মেঘা)
:-কী করবো বলো বৃষ্টিকে ভুলতে পারছিনা।(হৃদয়)
মেঘা আর কিছু না বলে হৃদয়ের হাত থেকে সিগারেট কেড়ে নিয়ে ফেলে দিলো।এরপর রাগী লুক নিয়ে বললো
:-এরপর যদি কখনো সিগারেট খেতে দেখি তাহলে তোমার সাথে ব্রেকআপ।
কথাটা বলে মেঘা ছাদ থেকে নেমে।মেঘার মুখে ব্রেকআপ শব্দটা শুনে হৃদয় অনেক অবাক হয়েছে। মেঘার সাথে তার এখনো তেমন কোন রিলেশনই গড়ে ওঠেনি তার ব্রেকআপ কীভাবে হবে!হৃদয় ছাদ থেকে নেমে সোজা মেঘার রুমে গেলো।মেঘা বসে বসে মোবাইল টিপছে।
:-তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো?(হৃদয়)
:-বলো?(মেঘা)
:-আমি এত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা বলতে পারিনা তাই সরাসরিই বলছি আমি তোমায় ভালোবাসি।
:-তো আমি কী করবো?
:-তুমি আমায় ভালোবাসো না?
:-না।
না শব্দটা শুনে হৃদয় যতটা অবাক হলো তার থেকে বেশি কষ্ট পেলো।
:-কিন্তু একটু আগে ছাদ থেকে কী বললে?
:-ওটাতো মজা করে বলেছিলাম।
:-ও।আচ্ছা এসব বলার জন্য সরি।
হৃদয় মেঘার রুম থেকে নিজের রুমে চলে আসলো।মেঘাকে নিয়ে সে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলো কিন্তু হলোনা।আবার সিগারেট ধরালো।সিগারেট ধরিয়ে যেই মুখে নিয়েছে ওমনি কেউ সেটা কেড়ে নিয়ে হৃদয়ের গালে ঠাস করে একটা থাপ্পর দিলো।সে আর কেউ নয় মেঘা
:-ওই তোমাকে না বলেছি সিগারেট খাবেনা?(মেঘা)
:-আমার লাইফ আমার যা ইচ্ছা তাই করবো।(হৃদয়)
:-না করবেনা।আজ থেকে আমার কথামত চলবে।
:-আপনি কে যে আপনার কথামত চলতে হবে?
:-তুমি কী কিছুই বোঝনা?
:-কী বুঝবো?
:-আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।জানো যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে তোমাকে ভালোবাসি।যখন শুনেলাম তুমি বৃষ্টিকে ভালোবাসো তখন অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম।আবার যেদিন তোমার ডায়রি পড়ে জানতে পারলাম বৃষ্টি তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে সেদিন সবথেকে বেশি খুশি হয়েছিলাম।
মেঘা আরো কিছু বলতে চাইলো কিন্তু হৃদয়,বলার সুযোগ দিলোনা।তার আগেই মেঘাকে নিজের বুকে জরিয়ে নিলো।
:-আমাকে ছেড়ে চলে যাবে নাতো?(হৃদয়)
:-যাবোনা।(মেঘা)
হৃদয়ের মাথায় এখন দুষ্টুমি ভর করছে।
:-তোমার ঠোটের লিপস্টিক খেতে দেবে?
:-তবেরে দুষ্টু।
কথাটা বলে মেঘা হৃদয়ের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে হৃদয়ের বুকে কিলঘুসি শুরু করে দিলো।হৃদয় এবার মেঘার মাথা ধরে মেঘার ঠোটে কিস করলো।মেঘা হৃদয়ের স্পর্শে চোখ বন্ধ করে ফেললো।প্রথম কোন মানুষের ছোঁয়া তাকে শিহরিত করে তুললো।
দরজায় শব্দ হওয়ার সাথে সাথে দুজন দুজনাকে ছেড়ে দিলো।
:-কী হচ্ছে এখানে?(মেঘার আম্মু)
:-কিছুনা।
কথাটা বলে মেঘা দৌড় দিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে চলে গেলো।হৃদয় লজ্জায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
:-আর লজ্জা পেতে হবেনা।খাবার টেবিলে আই তারপর দেকাচ্ছি মজা।(মেঘার আম্মু)
মেঘার আম্মুর পিছু পিছু হৃদয় খাবার টেবিলে আসলো।হৃদয়ের বাবা,মা,খালু সবাই আছে শুধু মেঘা বাদে।হৃদয় একটা চেয়ার নিয়ে বসলো।
:-মেঘা খাবার টেবিলে আয়।
মেঘার আম্মুর ডাক শুনে এসে বসলো।হৃদয়ের ঠিক সামনের চেয়ারটাই মেঘা বসেছে।লজ্জায় কেউ কারো দিকে তাকাচ্ছে না।
:-মেঘা আর হৃদয় একটা অপরাধ করেছে ওদের কী শাস্তি দেওয়া যায়? (মেঘার আম্মু)
:-আগেতো শুনি অপরাধটা কী?(হৃদয়ের বাবা)
:-দুজন দুজনকে ভালোবেসেছে।
:-তাহলে আর কী পড়ালেখা শেষ হলে দুহাত করে দিতে হবে।
:-শুধু এই শাস্তি মানবো না।আমাদের সবাইকে ট্টিট দিতে হবে।
হৃদয় মেঘাকে ইশারায় বললো ছাদে যেতে।
:-আম্মু আমার খেতে ইচ্ছে করছেনা আমি গেলাম।
হৃদয় ওঠে চলে গেলো।মেঘাও একই কথা বলে ওঠে গেলো।

মেঘা আর হৃদয় এখন ছাদে দাঁড়িয়ে আছে।
কারো মুখে কোন কথা নেই।হৃদয়ই নিরবতা ভেঙ্গে বললো
:-তোমাকে একটু জরিয়ে ধরি?
:-মানা করেছে কে শুনি?
হৃদয় আর কিছু না বলে মেঘাকে জরিয়ে ধরলো।
পুর্নতা পেলো তাদের ভালোবাসার।
(সমাপ্ত)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ