আমি আর সে
লেখক:-Hosain Ahmed(আমি হিমু)
-
-
*আত্মহত্যা করবেন?
কথকের দিকে ঘুরে তাকালাম।একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।পড়নে হলুদ থ্রিপিস।মনের মধ্যে এক প্রকার ভয় কাজ করছে।এত রাতে একা এই মেয়ে এখানে কী করছে এটা ভাবতেই আরো বেশি ভয় করছে।ভূত নয়তো?ভূত হলে হলে আজ নিশ্চিত আমি শেষ ।আবার মনে হচ্ছে কোন পরী এই মূহুর্তে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।পরী বলছি এই কারণে প্রথম কারণ মেয়েটি দেখতে অসাধারণ সুন্দরী দ্বিতীয় কারণ রাত ৩টার সময় একা কোন মেয়ের এখানে আসার কথাও না।
:-আপনি কী এখানে আত্নহত্যা করতে এসেছেন?(মেয়েটি)
এক প্রকার ভয় নিয়ে জবাব দিলাম
:-না।
:-তাহলে এত রাতে এখানে কী করছেন?
:-ঘুরতে এসেছি।
:-ও
এতক্ষণে কিছুটা হলেও বুঝলাম এটা কোন পরী কিংবা জিন নয় জলজ্যান্ত মানুষ।
মেয়েটি এখানে কী করছে?জিঙ্গেস করবো?যদি কিছু মনে করে!যা মনে করার করবে।
:-আপনি এতরাতে এখানে কী করছেন?(আমি)
:-আমি আত্মহত্যা করতে এসেছি।
মেয়েটার কথা শুনে একটু নয় অনেকটা অবাক হলাম।এত সুন্দর একটা মেয়ে কিনা আত্মহত্যা করতে চাই।মেয়েটা কেনো আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে সেটা জানার প্রবল ইচ্ছা জাগছে মনের মধ্যে।জিঙ্গেস করেই ফেললাম
:-আপনি আত্মহত্যা করতে চাচ্ছেন কেনো?
:-সেটা আপনাকে বলবো কেনো?
ভ্রু কুঁচকে মেয়েটি জবাব দিলো।ভ্রু কুঁচকে তাকালে মেয়েদের অনেক ভালো লাগে সেই অভিঙ্গতা অনেক আগেই হয়েছে।আমি আর কিছু না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম।
:-আচ্ছা আপনার সাথে বসে কিছুক্ষণ গল্প করা যাবে?(মেয়েটি)
:-কেনো যাবেনা!(আমি)
:-তাহলে রেলললাইনের উপর চলুন বসি।
আমি মেয়েটির কথায় মাথা নাড়ালাম।
মেয়েটি আমার আগে গিয়ে বসলো।আমি মেয়েটির থেকে ৩ হাতের মত দুরুত্ব রেখে বসলাম।
:-আমি রাইসা।আপনি?(মেয়েটি)
:-হুসাইন।(আমি)
:-আপনার বাসা কী এই এলাকাতেই?
:-হ্যাঁ।আপনাকেতো এর আগে কখনো এই এলাকায় দেখিনি।
:-না দেখারই কথা। আমি ঢাকাতে ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি।কিছুদিন হলো এখানে এসেছি।
:-পড়ালেখা করেন না?
:-করি।
:-কিসে পড়েন?
:-অনার্স সেকেন্ড ইয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আপনি?
:-আপাতত পড়ালেখা শেষ।এখন বাবার ব্যবসা দেখাশুনা করছি।
:- মেয়র মনিরুল ইসলামের নাম নিশ্চয় শুনেছেন?
:-শুনেছি।১মাস হলো উনি আর উনার পরিবারের সবাই রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে।
:-সবাই না।আমি বাদে।আমি উনার বড় মেয়ে।
:-তা আপনি আত্মহত্যা করতে চাচ্ছেন কেনো?প্লিজ বলুন।
আমার কথা শুনে মেয়েটি কিছুক্ষণ নিরব থেকে বললো
:-আমার আঙ্কেল আর আন্টির জন্য।
:-বুঝলাম না।
:-আমার আব্বু আম্মু মারা যাওয়ার পর আঙ্কেল আর আন্টি আমাদের সবকিছু দখল করার জন্য আমার উপর চাপ দিচ্ছে।তারা বলছে আমি যেনো সবকিছু উনাদের নামে লিখে দিই।
:-আপনি দিয়েছেন লিখে?
:-না।দিইনি বলে আমার উপর অনেক নির্যাতন করেছে।আর----
:-আর কী?
আবার রাইশা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো ওর চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝড়ছে।
:-আর কী?(আমি)
:-দুদিন আগের কথা।আমি রুমে বসে আছি।এমন সময় আমার আঙ্কেলের বড় ছেলে রুমে ঢুকে বললো ""ভালো মেয়ের মত সবকিছু আমাদের নামে লিখে দে নাহলে তোকে মেরে ফেলবো""আমি উওরে বললাম ""আমি কিছুই দিবোনা""আমি একথা বলতেই আমার কাছে এগিয়ে আসলো সে।তারপর আমাকে বিছানায় ফেলে দিয়ে----
এতটুকু বলার পর আর কিছু বললো না রাইশা।এবার শব্দ করে কান্না করছে।আমার যা বুঝার বুঝে গেছি।রাইশার কান্না কেনো জানি আমার সহ্য হচ্ছেনা।
:-প্লিজ কাঁদবেন না সব ঠিক হয়ে যাবে।(আমি)
:-কিছুই ঠিক হবেনা।এই কলঙ্কয় জীবন আমি রাখবোনা।(রাইশা)
:-আপনার সাথে যা হয়েছে তা অন্যয়।আপনি পুলিশের সাহায্য নিন।
:-গিয়েছিলাম কোন লাভ হয়নি।পুলিশও ওদের পক্ষে।
আমার কিছু বলার ভাষা নেই।কারো জীবন এতটা কষ্টের হতে পারে সেটা আগে শুধু শুনেছিলাম আর আজ বাস্তবে দেখলাম।আমার এখন মনে হচ্ছে ওর আঙ্কেলদের খুন করে ফেলি।
:-আপনি এখন চলে যাবেন?(রাইশা)
:-জ্বি।(আমি)
:-ভালো থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।
:-আপনি কী করবেন?
:-যা করতে এসেছি।
:-প্লিজ এটা করবেন না।বাসায় ফিরে যান দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।
:-কিছুই ঠিক হবেনা।
ট্রেনের শব্দে কানে ভেসে আসায় ওঠে দাঁড়ালাম।রেললাইন থেকে একটু দুরে এসে দাঁড়ালাম।রাইশা এখনো বসে আছে।আমি ওকে ওঠে আসার জন্য বললাম কিন্তু ও ওঠছেনা।ট্রেন প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে।আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে রাইশার হাত ধরে টেনে ওঠিয়ে নিয়ে আসলাম।আমাদের পাশ দিয়ে ট্রেন চলে গেলো।
:-আমাকে কেনো বাঁচালেন?আমি এ জীবন আর রাখতে চাইনা।(রাইশা)
:-আপনাকে বাঁচতে হবে।আপনার উপর নির্যাতনকারীদের শাস্তি দিতে হবে।(আমি)
:-আমার পক্ষে সেটা সম্ভব না।আমার পাশে কেউ নেই।একা কোনকিছু সম্ভব নয়।
:-আমি সাহায্য করবো আপনাকে।
:-আপনি আমার কে হন যে আমাকে সাহায্য করবেন?
:-একজন ভালো বন্ধু ভাবতে পারেন।
:-কিন্তু--
:-কোন কিন্তু নয়।
রাইশা আর কিছু বললো না।এখনো ও কাঁদছে।
:-আমার বাসায় যাবেন?ভয় পাবেন না আমি আপনার কোন ক্ষতি করবোনা।(আমি)
রাইশা কিছুক্ষণ কী যেনো ভাবলো তারপর মাথা নাড়ালো।আমাকে বিশ্বাস করে আমার সাথে যাওয়া ছাড়া ওর কোন রাস্তা খোলা নেই।তবে আমার মনে হলো রাইশা আমাকে পুরোপুরিভাবে বিশ্বাস করতে পারছেনা।অবশ্য বিশ্বাস না করারি কথা!একজন অপরিচিত মানুষকে কেইবা বিশ্বাস করবে।
রাইশাকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলাম।আমার বাসায় আব্বু আম্মু আর আমি থাকি।রাইশাকে নিয়ে এসেছি এর জন্য আব্বু আম্মু আমাকে কিছু বলবেনা এটা আমি জানি কারণ তারা আমাকে অনেক বিশ্বাস করে।তাছাড়া রাইশার বিপদের কথা শুনলে বাবা মা সাহায্য করবে ওকে।
দরজার সামনে এসে বেল বাঁজালাম।আব্বু দরজা খুলে আমার দিকে একবার আরেকবার রাইশার তাকাচ্ছে।
:-হুসাইনের মা বাইরে এসো তাড়াতাড়ি।(আব্বু)
আম্মু ভিতর থেকে বলতে বলতে আসলো
:-কী হয়েছে?(আম্মু)
আম্মু আমাদের দেখে কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো।
আমি সবকিছু খুলে বললাম।রাইশাও বললো।আম্মু আব্বু কী বুঝলো জানিনা আম্মু রাইশাকে নিয়ে ভিতরে চলে গেলো।আর আমি দাঁড়িয়ে রইলাম।
:-কিরে তোকেও কী হাত ধরে নিয়ে আসতে হবে?(আব্বু)
:-না।আসছি।(আমি)
আমি আব্বুর পিছু পিছু ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করলাম।রাইশা বসে আছে সোফাতে।আম্মুকে কোথাও দেখছিনা।আমি একপাশে দাঁড়িয়ে রইলাম।
:-খেয়েছো কিছু?(আব্বু)
:-না।আজ দুদিন হলো আমাকে কোন খাবার দেয়না।(রাইশা)
রাইশা আবার কাঁদতে শুরু করলো।আম্মু খাবার হাতে ড্রয়িংরুমে এসে বললো
:-কেঁদোনা মা সব ঠিক হয়ে যাবে।এখন খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।সকালে তোমার আঙ্কেল তোমাকে নিয়ে কোটে যাবে।(আম্মু)
রাইশা ঘাড় নারালো।
খাওয়া দাওয়া শেষ হলে রাইশার জন্য আম্মু আলাদা একটা রুম ঠিক করে দিলেন।আমিও আমার রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।রাত প্রায় শেষের দিকে এখন না ঘুমালে সারাদিন মাথা ব্যথা করবে তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ফোনে এলার্ম এর শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৮টা বাজে।তাড়াতাড়ি ওঠে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে অফিসে চলে আসলাম।আব্বু নাকি অনেক সকালে রাইশাকে নিয়ে আব্বুর কোন ফ্রেন্ডের কাছে গেছে তাই সকালে রাইশার সাথে দেখা হয়নি।সারাদিন অফিসে কাজের চাপে আর রাইশার কথা মনে পড়লোনা।সন্ধায় বাসায় এসে দেখি আম্মু, রাইশা আর আব্বু একসাথে টিভি দেখতে।রাইশার দিকে তাকিয়ে একটা জিনিস খেয়াল করলাম কাল রাতে ওর চোখে যে ভয় ছিলো তা আর নেই।
আমিও ফ্রেশ হয়ে এসে ড্রয়িংরুমে বসলাম।
:-আব্বু তোমার ফ্রেন্ড কী বললো?(আমি)
:-বলেছে কাল কোর্টে যেতে।(আব্বু)
:-সবকিছু কী পাওয়া যাবে?
:-সঠিক বলতে পারছিনা।কালকেই দেখা যাবে।
:-আম্মু ক্ষুদা লাগছে খেতে দাও।
:-টেবিলে বস আমি খাবার দিচ্ছি।(আম্মু)
:-তোমরা সবাই খেয়েছো?
:-না।আমরা পরে খাবো।
আমি খাওয়া দাওয়া করে ছাঁদে আসলাম।রাতের আকাশ দেখতে আমার সবসময়ই ভালো লাগে।
:-কী করেন?
পিছন ফিরে দেখি রাইশা।
:-ও আপনি?এইতো আকাশ দেখি।(আমি)
:-আমি আপনার থেকে অনেক ছোট। তুমি করে বললে খুশি হবো।(রাইশা)
:-আচ্ছা।
:-একটা কথা জিঙ্গেস করতে পারি?
:-করো।
:-আপনি আমার জন্য এতকিছু কেনো করছেন?
:-এটা আবার কেমন প্রশ্ন?তোমাকেতো কালকে বললামই আমরা ফ্রেন্ড।এক ফ্রেন্ড আরেক ফ্রেন্ডকেতো সাহায্য করবেই তাইনা?
:-হুম।
:-আপনি কী কখনো কাউকে ভালোবেসেছেন?
:-আবার আপনি?
:-সরি সরি।তুমি।
:-ভালোবেসেছিলাম একটা ছেলেকে।প্রায় ২বছরের রিলেশন ছিলো আমাদের। তারপর যখন আমার এই বিপদের কথা শুনেছে তখনি চলে গেছে আমাকে ছেড়ে।
:-ও।
:-আপনি কাউকে ভালোবেসেছেন কখনো?
:-না।সবসময় পড়লেখাটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি তাই এসব নিয়ে ভাবার সময় পায়নি।
:-ও।
:-আমার ঘুম ধরেছে চলুন নিচে যায়।
:-চলুন।
নিচে নেমে আমি আমার রুমে চলে আসলাম আর রাইশা ড্রয়িংরুমে আব্বু আম্মুর কাছে গিয়ে বসলো।
শুয়ে শুয়ে ভাবছি কালকে কী হবে?আচ্ছা যদি রাইশা সবকিছু ফিরে না পায় তাহলে ও কোথায় যাবে?ধুর কী সব ভাবছি।ফিরে পাবেনা কেনো।আব্বু যখন চেষ্টা করছে অব্যশই পাবে।এসব ভাবতে ভাবতে রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে আমি,আব্বু আর রাইশা কোর্টে গেলাম।আজ অফিসে যাবোনা।আমার কেনো জানি অনেক টেনশন হচ্ছে রাইশাকে নিয়ে।
কাল রাতে যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই হলো।রাইশার আঙ্কেলরা সবকিছু পেয়ে গিয়েছে।আব্বুর চেষ্টা সফল হয়নি।রাইশা অনেক কান্না করছে।রাইশাকে অনেক বলেও কান্না থামাতে পারছিনা।
:-তুই রাইশাকে নিয়ে বাসায় যা আমি আসছি।(আব্বু)
:-আমার জন্য আপনার যা করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আর কষ্ট করতে হবেনা আমার জন্য।আমার দুচোখ যেদিকে যায় আমি চলে যাবো।(রাইশা)
:-এসব কী বলছো তুমি?এসব বলা বন্ধ করো।আমার সাথে চলো এখন।
:-না আমি যাবোনা।
অনেক জোরাজুরি করে রাইশাকে নিয়ে বাসায় আসলাম।আম্মু রাইশাকে অনেক বোঝাচ্ছে কিন্তু ও কোনকিছুই বুঝছেনা।
-
আম্মু রাইশাকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে শান্ত করালেন।এমন পরিস্থিতে রাইশার কান্না করাটা স্বাভাবিক।মেয়েটা বাবা মাকে হারিয়ে এমনিতেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে তার উপর আজ সহায় সম্পওিগুলোও হারালো।
আম্মু রাইশাকে নিয়ে তার রুমে গেলেন।আমিও নিজের রুমে চলে আসলাম।আমার মনটাও খারাপ।চোখের সামনে একটা মেয়ের সবকিছু হারাতে দেখে অনেক খারাপ লাগছে।
:-বাবা কী করিস?(আব্বু)
আব্বু রুমে এসে কথাটা বললো।
:-এইতো বসে আছি।(আমি)
:-তোকে কিছু কথা বলবো রাখবি?
:-কখনো তোমার কথার অবাধ্য হয়েছি??
:-হসনি কিন্তু আজকের কথাগুলো শুনে মনে করতে পারিস তোর উপর সবকিছু জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছি।এছাড়া আমার কিছু করার নেই।রাইশাকে তুই বিয়ে কর।মেয়েটা খুব ভালো।নিজের সবকিছু হারিয়ে এখন মেয়েটা ভেঙ্গে পড়েছে।
:-কিন্তু রাইশা কী রাজি হবে?
:-আমি কথা বলে দেখি কী বলে।
:-আচ্ছা।
আব্বু রুম থেকে চলে গেলো।রাইশাকে বিয়ে করতে আমার কোন আপওি নেই।আব্বু যদি আমাকে এই পৃথিবীর সবথেকে কালো মেয়ের সাথেও বিয়ে দেয় তাহলে আমি তাকেই বিয়ে করবো।কারণ আমি কখনোই আমার বাবা মাকে কষ্ট দিতে চাইনা।
বিকেলবেলা আব্বু বাসায় কাজি ডেকে এনে আমার আর রাইশার বিয়ে দিলেন।কয়েকজন আত্মীয়স্বজন এসেছে।আত্মীয়স্বজন বলতে আমার দুই মামা আর দুই চাচা,চাচি।
রাত ১১টা বাজে।
আমি আমার রুমে ঢুকলাম।রাইশা খাটের উপর বসে আছে।আমি কাছে যেতেই বললো
:-আপনি আমাকে জোর করে বিয়ে করলেন কেনো?(রাইশা)
:-আমি করিনি আব্বু জোর করে করিয়েছে।(আমি)
:-মিথ্যা কথা।আপনি রাজি না থাকলে আপনার আব্বু জোর করে বিয়ে করাতে পারেনা।
:-তাই?
:-হ্যাঁ তাই।আমাকে করুনা করছেন?
:-না কোন করুনা করছিনা।
:-আপনি জানেন আপনাকে দেওয়ার মত কিছুই নেই আমার কাছে তারপরেও কেনো বিয়ে করলেন আমাকে?
:-কে বলেছে কিছুই নেই?সবইতো আছে।আমিতো আপনার দেহটাকে চাইনি।আপনার মনটাকে চেয়েছি।
:-কখনো ছেড়ে যাবে নাতো?
:-কখনোই না।
:-দাঁড়ান দাঁড়ান একটা কথা খেয়াল করছি অনেকক্ষণ ধরে আমাকে আপনি করে বলছেন কেনো?
:-এমনিতেই।
:-আবার যদি কখনো আপনি করে বলেছেন তাহলে নাক ফাটিয়ে দিবো।
:-আচ্ছা বলবোনা।
:-হুম।
:-একটা কথা বলি?
:-বলুন?
:-ভালোবাসি।
:-কাকে?
:-আমার সামনে যে বসে আছে।
:-তাই বুঝি?
:-হুম।
:-আমিও ভালোবাসি।
:-কাকে।আমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে।
:-হুম।
:-একটা জিনিস চাইবো দেবে?
:-কী?
:-একটু জরিয়ে ধরবে?
:-হুম।
রাইশা বিছানা থেকে নেমে আমার খুব কাছে চলে এলো।আমি আর দেরী না করে আমার বুকের মাঝে পাগলীটাকে জরিয়ে নিলাম।অনেক পেয়েছে ও আর কোনদিন কষ্ট পেতে দিবোনা।
এভাবেই শুরু হয়েছিলো আমাদের সংসার।এরপর একএক করে কেটে যায় ২টি বছর।দুই বছর পর আমাদের ঘর আলো করে আসে ছোট্র একটি মেয়ে।মেয়েটার নাম আগেই রাইশা ঠিক করে রেখেছিলো।ছেলে হলে রানা মেয়ে হলে রিনি।আমিও মেনে নিয়েছিলাম পাগলীটার আবদার।রিনিকে জন্ন দিতে গিয়ে রাইশা আমাকে ছেড়ে চলে যায়।সেদিন আমি খুব কেঁদেছিলাম।
:-আব্বু আব্বু সবাই চলে এসেছে।তুমি এখনো রেডি হওনি।(রিনি)
:-হ্যাঁ মা এইতো আমি রেডি।তুমি যাও আমি আসছি।
মেয়েটা আমার কপালে ছোট্র একটা পাপ্পি দিয়ে চলে গেলো।
রিনির কথাতে বাস্তবে ফিরলাম।আজ রিনি ৯ বছরে পা রাখলো।ওর জন্নদিনে বড় একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।মেয়েটা ওর মায়ের মতই অভিমানী হয়েছে।
যাই সবাই অপেক্ষা করছে।
*সমাপ্ত*
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ