āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§Š āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4179

আগামী পরশু আমার বিয়ে। আপনার সাথে আমার হয়ত আর কথা হবে না। কখনো এই নাম্বারে আর ফোন দিয়েন না। যদি দেখার বিশেষ ইচ্ছে হয়, তাহলে বিয়ের দিন আমাদের বাসায় আসবেন। আমার বন্ধু হিসেবেই। প্রথম ও শেষ দেখাটা নাহয় সেদিনই দেখে যাবেন। ভালো থাকবেন!’
মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে মেসেজটা বারবার পড়ছি আমি। কোথায় যেন একটা দীর্ঘশ্বাস এসে আঁছড়ে পড়ছে। নীতু তো আমার ভালোবাসার মানুষ না! তবুও আমার এত কষ্ট হচ্ছে কেন? বুকের বামপাশটায় কেমন যেন চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন, অনেক মূল্যবান একটা জিনিস হারিয়ে ফেলতে যাচ্ছি আমি। এমনটা হওয়ার কারণ কী? এটার কি কোনো ব্যাখ্যা আছে?
একটা রং নাম্বারের কী অদ্ভুত ভাবেই না নীতুর সাথে পরিচয় হয়েছিল আমার। এখনো যেন সবকিছু চোখে ভাসে। এইতো বছর খানেক আগের কথা। সেদিন ছিল ফ্রেন্ডশিপ ডে। অপরিচিত একটা নাম্বার থেকে কল আসল আমার ফোনে। আমি ভ্রু কুঁচকে কল রিসিভ করলাম।
‘হ্যালো কে বলছেন?’ ‘আমি আপনার বন্ধু।’ ‘আমার বন্ধু? কোন বন্ধু? নাম কী? ‘নীতু।’ ‘সরি, নীতু নামে আমার কোনো বন্ধু নেই।’ ‘মনে করুন আজ থেকে হলো। আমি আপনার নতুন বন্ধু! হি হি হি...
পরে জানতে পারলাম, সেদিন ফ্রেন্ডশিপ ডে ছিল। নীতু সেদিন মজার ছলেই মনগড়া একট নাম্বার তুলে ডায়াল করেছিল। তার নাকি ইচ্ছা ছিল, প্রথম কলটা যার কাছেই যাবে, তাকেই সে বন্ধু বানাবে। যদি দুই বাচ্চার বাবা টাইপ কারও কাছেও যায়, তাকেও সে বন্ধু বানাবে। লোকে বলে, প্রেম কোনো বয়স মানে না। আসলে কথাটা ভুল। বন্ধুত্ব কোনো বয়স মানে না। সেই কলটা এসেছিল আমার নাম্বারে। যার কী না বাচ্চাকাচ্চা দূরে থাক, এখন পর্যন্ত বিয়েই করেনি। বিয়ে তো দূরে থাক, কখনো সে প্রেমও করেনি!
তখন থেকেই আমাদের কথা শুরু হলো টুকটাক। প্রথম প্রথম মেয়েটাকে আমি কিছুটা ইগনোর করতাম। আমার আনইজি লাগত। আমি গুছিয়ে কথাও বলতে পারতাম না। আমার এই অপারগতা দেখে নীতু খিলখিল করে হাসতো। আমাকে নাকি যাদুঘরে রেখে আসা উচিত। আজকালকার যুগে আমার মত ছেলে নাকি যাদুঘরেই শোভা পায়।
প্রথম প্রথম আমার খারাপ লাগত এসব কথা শুনে। রাগও হতো। পরে কীভাবে যেন মেয়েটার ঐ খিলখিল করা হাসি আমার ভালো লাগতে শুরু করল। একটা মেয়ের হাসি এত বেশি সুন্দর হয় কী করে? সে আমাকে যাদুঘরে রেখে আসার কথা বললে, তখন সেটাও শুনতে আমার আর রাগ লাগে না, ভালো লাগে। তার নিষ্পাপ টুকরো টুকরো হাসি আমাকে মুগ্ধ করে। আমি চোখ দুটো বন্ধ করে কান পেতে মেয়েটার হাসি শুনি।
এর আগে ওইভাবে কোনো মেয়ের সংস্পর্শে আসা হয়নি আমার। ছোট বেলা থেকেই মেয়েদের কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলাম কেন জানি। হঠাৎ করেই আগন্তকের মত আমার জীবনে আসা নীতু মেয়েটা আমাকে যেন পুরোপুরি বদলে দিলো! মেয়েটাকে নিয়ে আমি মনের অজান্তেই স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। প্রথম কাউকে নিয়ে ভাবা। প্রথম অনুভূতি। হয়ত প্রথম ভালোবাসাও। কী হাস্যকর! মেয়েটা তো আমার বন্ধু। বন্ধুকে কি ভালোবাসা যায়? এই প্রশ্নের উত্তরটা আমি পাচ্ছিলাম না। কিন্তু আমার মনে হতে লাগল, এই মেয়েটির উপর ভরসা করা যায়। হ্যাঁ, সত্যিই এই মেয়েটির উপর ভরসা করা যায়। এই মেয়েটিকে সারাজীবন পাশে আগলে রাখা যায়। কী দারুণ মায়ায় আচ্ছন্ন মেয়েটির প্রতিটা কথা! একটা মানুষের বাহ্যিক চেহারা যতটা না মুগ্ধ করে, তার চেয়েও বেশি মুগ্ধ করে তার মায়াভরা কথা গুলো। এই মেয়েটিকে যদি সারা জীবনের জন্য পাশে রাখা যেত! সত্যিই আর কিছু লাগতো না আমার!
অথচ তখনও আমি মেয়েটাকে দেখিনি। এই সময়টায় আমার মনে হচ্ছে, ভালোবাসায় চেহারা আসলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার না। ভিতর থেকে যে ফীলটা আসে, সেটাই আসল। সেটাই ভালোবাসা। শুধু তাকিয়ে থেকে নয়, চোখ বন্ধ করেও ভালোবাসা যায়।
নীতুর শেষ মেসেজটার দিকে আমি তাকিয়েই আছি। চোখ দুটো ক্রমেই ঝাপসা হয়ে আসছে আমর। মানুষের জীবনটা এমন কেন? গোলক ধাঁধাঁর অদ্ভুত এক ছকে বাঁধা সব সময়!
মেয়েটাকে আমার মনের কথাটাও জানাতে পারলাম না। একটা ছেলে তাকে নিয়ে মনের গহীনে কতশত স্বপ্ন বুঁনেছে, মেয়েটা কোনোদিনও সেটা জানতে পারবে না। কী জটিল একটা সমীকরণ! আহা জীবন! নাহয় না জানল, সে-ই ভালো। নীতুকে হয়ত কোনোদিনও আমার পাওয়া হবে না। না পাওয়ার বেদনা মধুর। তবে মেয়েটাকে একটা পলক দেখতে ইচ্ছা করছে আমার। খুব ইচ্ছা করছে। জীবনের প্রথম ভালোবাসাটা যদি অদেখাই থেকে যায়, সে যন্ত্রণা আমায় কুঁড়েকুঁড়ে খাবে সারাটা জীবন।
আজ নীতুর বিয়ে। আমি দাঁড়িয়ে আছি নীতুদের বাড়ির সামনে। পাঁচতলা বাড়ি। সারা বাড়ি রঙিন আলো ঝিকমিক করছে। হয়ত আর কিছুক্ষণ পরই বরের দামি গাড়ি এসে নীতুকে তুলে নিয়ে যাবে। পুরো বিয়ে বাড়ি ব্যস্ত।
আমি বাড়ির নিচে এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছি। তাকিয়ে তাকিয়ে লাইটিং এর ঝিকমিক আলো উপভোগ করছি। চোখের পাতা গুলো অসহ্য ভারী হয়ে আসছে আমার। পকেটে রাখা ফোনের মেসেজ টোনটা বেজে উঠল হঠাৎ করে।  নীতুর মেসেজ।
‘কই আপনি? এসে গেছেন?’ ‘হ্যাঁ।’ ‘আচ্ছা একটু দাঁড়ান। আমি আসছি।’
মেয়েটা আসলেই অন্যরকম। আজ ওর বিয়ে, অথচ কথায় ছটফটে ভাবটা কমেনি এতটুকুও! আমি যে ওর এই চাঞ্চল্যতার প্রেমেই পড়েছিলাম।
মিনিট দশেক পরই একটা মেয়ে ছটফট করতে করতে আমার সামনে এসে দাঁড়াল! দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে রইল আমার দিকে। ভালোবাসলে অনেক কিছুই টের পাওয়া যায়। আমার বুঝতে বাকি রইল না মেয়েটা কে! নীল শাড়ীতে কী সুন্দর-ই না লাগছে নীতুকে! তাকিয়ে থাকতে কষ্ট হয়, এমন সুন্দর। কল্পনায় যেমনটা ভেবেছিলাম, তারচেয়েও সুন্দর।
‘আপনিই জাহিদ?’ ‘জি।’ ‘কী ব্যাপার, এত হ্যাংলা কেন আপনি? খাওয়া দাওয়া করেন না নাকি ঠিকমত? আপনার কন্ঠ শুনে তো ভেবেছিলাম মোটকু টাইপের হবেন। অথচ পাতলু টাইপ। হি হি হি।’
নীতু আবারও হাসছে। মুঠোফোনের এপাশ থেকে কান পেতে যে হাসিটা শুনতাম, সেই হাসি। অবশেষে তার দেখা তো পেলাম। জীবন্ত তার হাসিটাও শুনলাম। এই প্রাপ্তিটুকু দিয়েই হয়ত কাটিয়ে দিতে পারব বাকিটা জীবন!
‘আসুন ভিতরে আসুন। রোস্ট দিয়ে পেট ভরে খাবেন। আপনি না রোস্ট খেতে অনেক পছন্দ করেন? আমার কিন্তু মনে আছে।’
‘না থাক। আমি বরং যাই। দেখা তো হলোই। ভালো থেকো।’
নীতুর এই প্রশ্নের আমি কোনো উত্তর দিতে পারলাম না। মনে হচ্ছে কে যেন আমার গলাটা চেপে ধরে রেখেছে। কী বলব এখন আমি? এমন একটা মুহূর্তে কী বলা যায়? আমি জানি। এখন যেকোনও কিছু বলাই অর্থহীন। তারচেয়ে বরং চুপচাপ চলে যাওয়াটাই শ্রেয়।
আমি চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েছিলাম, ঠিক তখনই নীতুর এই কথাটি শুনে থমকে দাঁড়ালাম! ভুল কিছু শুনছি না তো? আমি ঠোঁট চেপে মুখটা হাসি হাসি করে বললাম, ‘না!’
নীতু বলল, ‘সত্যিই বাসেন না? চোখ ছুঁয়ে বলেন?’
বলেই নীতু আবারও হেসে ফেলল। আমি চুপ করে রইলাম।
নীতু বলল, ‘আচ্ছা ভালো নাহয় না বাসলেন। অসুবিধা নেই। ভিতরে চলুন। খাবেন পেট ভরে। আমি জানি আপনি কাচ্চিবিরিয়ানিও অনেক পছন্দ করেন। সব ব্যবস্থাই করা আছে। আহা কী হলো আসুন তাড়াতাড়ি! সময় নেই। বরযাত্রী একটু পরেই আপুকে নিয়ে যাবে।’
আমি চোখ বড় বড় চোখ করে নীতুর দিকে তাকালাম! নীতু মুচকি হেসে বলল, ‘জি ঠিকই শুনেছেন। বিয়েটা আমার নয়। আমার বড় আপুর। আপনাকে বলেছিলাম না আমার একটা বড় আপু আছে। আপুর এখনো বিয়ে হয়নি। বলেছিলাম না? বড় আপুর আগে ছোট বোনের কখনো বিয়ে হয়? এই সিম্পল ব্যাপারটাও বোঝেন না? বুদ্ধু কোথাকার! আপনাকে আসলেই যাদুঘরে রেখে আসা উচিয়।  হি হি হি।
নীতু আবারও হাসছে। আমি তখনও চুপ। খানিক বাদে নীতু বলল, ‘কী ভেবেছেন? বন্ধুত্বটাও আমি করেছি, আবার ভালোবাসার কথাটাও আমাকেই বলতে হবে? ওগুলো পুরুষ মানুষের কাজ বুঝেছেন? পুরুষদের দিয়ে করাতে হয়। আজ ভাবলাম আপনার সাথে একটু মজা করি। ভালোবাসেন কি না সেটাও একটু যাচাই করে নেই। হি হি হি...’
নীতু হাসছে। এই মেয়ের নিশ্চিত হাসির রোগ আছে। তবে আমি মনেপ্রাণে চাচ্ছি মেয়েটার এই হাসির রোগটা কোনোদিন না সারুক। এই হাসিতে সুখের আগুনে জ্বলেপুড়ে ছাড়খাড় হতে থাকি বাকিটা জীবন। নীতু আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে খিলখিল করে হাসছে। অন্যরকম এক মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সে হাসি। আমি ঠায় দাঁড়িয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মত নীতুর হাসি দেখছি। সে হাসির সঙ্গে  আমার বুকের জমানো ব্যথা গুলোও ধীরেধীরে  মিলিয়ে যাচ্ছে বাতাসে...

নীতুর জন্য ভালোবাসা | কাওসার আহমেদ

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ