ভার্সিটিতে আমরা ৫ জন বন্ধু ছিলাম। আমি, নিতু, তিন্নি, রাশেদ আর অনিক। নিতু ও রাশেদ ওরা দুজন একই ক্লাসের ছাত্রছাত্রী। এরা দুজন দুজনকে ছাড়া এক মূহুর্তও কল্পনা করতে পারতো না। আমি আর তিন্নি একি গ্রুপের ছাত্রী ছিলাম। আর অনিক ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট। পড়াশুনা ছাড়া ও কিছু ভাবতে পারতনা। ও ছিল আমাদের সবার প্রিয়। খুব শান্ত ছেলে ছিল।
একদিন লক্ষ্য করলাম এই ছেলেটার প্রতি আমার দুর্বলতা অনেক বেশি। নিতু আর তিন্নি বিষয়টা জানতো আর আমাকে বলত যেন আমি ওকে এই কথাটা বলে দেই। কিন্তু ভয় লাগত বন্ধুত্বটা যদি নষ্ট যায়। ভার্সিটির নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নিতু এসে জোরাজুরি শুরু করল আজকে বলতেই হবে অনিককে যে আমি ওকে ভালোবাসি। প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম কী বলব? কীভাবে বলব?
হঠাত্ শুনলাম তিন্নি নাকি অনিককে ভালোবাসার প্রপোজাল দিয়েছে আর অনিক সেটা গ্রহণ করেছে। নিতু আমাকে বলল, তিন্নি জেনেশুনে এইটা কীভাবে করলো। ওকে তুই কিছু বলবিনা। নিতুকে আমি বললাম, তিন্নি হয়তো অনিককে আমার থেকেও অনেক বেশি ভালোবাসে। আমি ওদের রেখে অনেক দুরে চলে এলাম।
প্রায় ৩বছর পর আমি মা-বাবার কথায় তাঁদের পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে করি। বিয়ের আগে আমি ছেলের সাথে কোনো কথা বা দেখা করতে চাইনি। বিয়ের দিন যখন আয়নায় আমাদের মুখ দেখা হলো তখন দেখি আমার বর আর কেউনা অনিক। ও আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। সব দুঃখ কষ্ট ভুলে শুরু হলো আমাদের নতুন পথের যাত্রা।পরম করুনাময় আমাদের আলাদা করেও এক করে দিয়েছে।
আমার ভালোবাসা | ফাতেমা বিবি দিশা |
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ