গল্প(৪৩): গল্পটা এমনি!
লেখক: শেখ আলী(আফরান)
রাস্তার পাশ দিয়ে আপনমনে হেটে চলেছি, আমার গন্তব্যে। হঠাৎই পাশে থাকা ফেরিওয়ালার একটা জিনিসের দিকে চোখ পড়তেই থমকে দাঁড়ালাম। কাছে গিয়ে দেখি এক জোড়া কানের দুল অপ্রত্যাশিত ভাবে পড়ে আছে তার বক্সে।
--মামা,এটা দিন তো?
--এই নেন মামা।
আমি কানের দুলটা হাতে নিয়ে দেখলাম, খুব সুন্দর।এটা আনিকা পড়লে নিশ্চিত অনেক সুন্দর লাগবে।কিন্তু ও কি এই সামান্য জিনিসটা গ্রহণ করবে।
সে যাই হউক!
ফেরিওয়ালা মামাকে টাকাটা দিয়ে আমি হাটা ধরলাম আমার গন্তব্যে।পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে আনিকাকে ফোন দিলাম।
--হ্যালো!
--আফরান সাহেব,কি খবর?
--একটু বাসার নিচে আসতে পারবে!
--কেন?
--আসলেই দেখতে পাবে।
ওদের বাসার সামনে এসেই দেখি আনিকা দাঁড়িয়ে আছে নিচে।আমি কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম।
--হঠাৎ বাসার নিচে,
-(পকেট থেকে কানের দুলের প্যাকেটটা হাতে দিয়ে দিলাম।)
--কি এটা?
--তুচ্ছ একটা উপহার,
--এটা তো অনেক সুন্দর, কোথা থেকে কিনলে।নিশ্চিত মার্কেট থেকে?
--না!
--তাহলে,
--রাস্তার পাশে, ফেরিওয়ালার কাছ থেকে।
(অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে)
--অনেক ভাল হয়েছে।
--এখন আসি।
--চলে যাবে?(অভিমানী কন্ঠে)
--হ্যা,কাল দেখা হবে।
--অব্যশই।
বাসায় এসেই একটা কল করে আনিকাকে জানিয়ে দিলাম, না হলে চিন্তা করতে পারে এই ভেবে।
বসার রুমে আমি বাবা মা বসে আছি। তখনই মোবাইলের আওয়াজ রুম থেকে আসছিল।উঠতে যাব, তখনই বাবা বলে উঠলেন।
--যাও বাবা,না হলে মেয়ে বিদুষী রুপ ধারণ করবে।
--মানে?
বাবা মনে হয় কিছু একটা বলতে চাই ছিলেন,কিন্তু মায়ের মুখের দিকে চেয়ে, মুখে আঙুল দিয়ে বসে আছে।
বাবাও না আজকাল রসিকতা শুরু করে দিয়েছে।
রুমে এসে দেখি তিনটা কল আসছে।মোবাইলটা হাতে নিতেই আবার কল আনিকার নাম্বার থেকে।
--হ্যালো,
--এত সময় লাগল কেন?
--মোবাইল রুমে ছিল,আর আমি বাবা মায়ের পাশে ছিলাম।
--ওহ,
--তোমার কি অবস্তা।
--এই তো,কাল দেখা করবে?
--ঠিক আছে।
পরেরদিন আনিকার সাথে দেখা করার আগে মার্কেট থেকে একটা লাল সুতিকাপড় কিনলাম,আনিকার জন্য।
আনিকার সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় হঠাৎই চোখ পড়ল চুড়ির দোকানের দিকে,
সেখান থেকে এক ডজন লাল চুড়ি কিনলাম,সঙ্গে লাল টিপ পাতা।
আনিকার সাথে দেখা করতে এসে দেখি,মেয়েটা অনেক আগ থেকেই চলে এসেছে। সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।
--কি বেপার,কখন আসলে?
--এই তো কিছুক্ষণ আগে।
--এই নেও (ব্যাগটা এগিয়ে দিলাম)
--কি এসব?
--খোলেই দেখ।
ব্যাগটা খোলে দেখতেছে আর আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।
--পছন্দ হয়নি?
--......মেয়েটা নিশ্চুপ।
--জানতাম পছন্দ হবে না।
--অনেক সুন্দর হয়েছে!
মুখে এক চিমটে হাসি বের হল অজান্তেই।
--চল,উঠা যাক?
--আমাকে একটু পৌছেঁ দিবে!
--চল।
একটা রিক্সা নিয়ে আনিকাকে বাসায় পৌঁছে দিলাম।
দিয়ে আসার পথে...
--আফরান...
--হ্যা,(পিছু ফিরে থাকালাম)
--তুমি আসলেই একটা পাগল!
--তুমি পাগলী!
--কি?
--হ্যা,চল(আনিকার হাতটা ধরলাম)
--কোথায়?
--পাবনা।
--কি????
...............সমাপ্তি।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ