āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

3985 (2)

#গল্প_ব্রেকাপ (চতুর্থ পর্ব)
লেখক: শেখ আলী

নিজের রুমের মধ্যে বসে আছি। মোবাইলটা পাশে পড়ে আছে। ইচ্ছে হলেও আমি কল দিতে পারছিনা।
তখনই রুমে স্বর্ণা এসে দাঁড়াল!
  -  আসতে পারি?
  -  তারজন্য পারমিশন লাগেনা।
  -  কি করছেন, আপনার থাকে খোঁজে পেলেন?
  -  হারিয়ে ফেলেছি।
  -  মানে?
  -  পেয়েও হারিয়ে ফেলেছি।
  -  ওহ,
  -  যে সম্পর্কে বিশ্বাস নেই,সে সম্পর্ক কখনও ঠিকে থাকেনা। আর..
  -  আর কি?
  -  আমি কখনও কারো কথায় কোন দিন কষ্ট পাইনি, কিন্তু আজ আনিকা একটা কথা বলেছিল যা কষ্ট থেকেও কষ্ট পেয়েছি।
  -  কি?
  -  আমি না কি চোখে কম দেখি।
স্বর্ণা আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।
আজ কিছুই ভাললাগছে না, তাই অপ্রত্যাশিতভাবে  নিজেকে লেলিয়ে দিয়েছি বিছানায়।  ঘুমটাও আজ আমার থেকে চলে গেছে, অভিশপ্তের মত লাগছে নিজেকে।
প্রতিদিনের সকালটা কারো মিষ্টি কন্ঠে নিদ্রাটা ভেঙ্গে যেতে, সেই সকালটা এখন অভিশপ্তের মত লাগে।
ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও আমি ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বের হচ্ছি। মনে একটাই আশা নিয়ে, যদি দেখি একটি বার চোখ দিয়ে থাকে।
ভার্সিটি এসে সব জায়গা খোঁজেও আমি আনিকার খোজ পেলাম না। একটি বার আড়াল থেকে দেখার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল, কিন্তু খোঁজেই পাইনি থাকে।
এক মুহূর্তও আর ভার্সিটি থাকিনি,চলে এসেছি বাসায়।
খুব একা,নিঃসঙ্গ লাগছিল নিজেকে। তাই অন্ধকার রুমের মধ্যে নিজেকে ফেলে রেখেছি। এখন সবকিছু কেমন যেন আলোহীন মনে হয়,চারিদিক অন্ধকারে রুপ নিয়েছে।

তখনই রুমে মা প্রবেশ করলেন!
--কি হয়েছে আফরান!
--.......(নিশ্চুপ)
--কিছু বলছ না যে।
--কিছু হয়নি,যে বলতে হবে।
--তাহলে কেন নিজেকে এই অন্ধকার রুমের মধ্যে রেখেছিস,বাহিরে যা,আড্ডা দে ফ্রেন্ড বন্ধুর সাথে।
--ওসব ভাললাগে না।
--তর যা ভাললাগে তাই কর।
মা চলে গেলেন,আমি ফ্লুরের মধ্যে দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছি। রুমটা আলো থাকলেও জ্বলে না,অন্ধকার করে রাখি।
দরজা খোলার শব্দ পেলাম,দেখি স্বর্ণা দাঁড়িয়ে।
--কি চাই?
--এভাবে নিজেকে শেষ করার মানে কি?
--কিছুই না।
--তাহলে, বের হচ্ছেন না কেন?
--সূর্যের আলোটা এখন আর ভাললাগে না।
--কেন?
--জানি না।
--মেয়েটার কোন খোঁজ পেয়েছেন?
--না।আর খোজতে ও চাই না।
--কেন?
--যে নিজে থেকে একদিন এসেছিল, সে আবার চলে গেছে,কিন্তু যাওয়ার সময় কষ্টটা বেশি দিয়ে গেছে।

আজ পাঁচদিন পর বাসা থেকে বের হয়েছি।সবকিছু কেমন যেন লাগছিল।
ভার্সিটি গিয়েছিলাম, আড়াল থেকে আনিকাকে দেখার জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে মাথাটা আরো খারাপ  হয়ে গিয়েছিল।
আনিকা আরো একটা ছেলের সাথে একসাথে বসে গল্প করছে। আমি না দেখার ভান করে চলে গেলাম।

কষ্টের পরিমাণটা শুধু বেড়েই যাচ্ছে। আর সঙ্গে অভিমানের দেয়ালটাও। আমি হাজারো কষ্টকে বুকে চাপা দিয়ে হাসি মুখে পরিবারের সাথে চলছি,নতুন এক পরিবেশের জন্য। কিন্তু কখনও তাকে ভুলা সম্ভব হয়নি।

যে আমাকে ভুলে, নিজে একটা সম্পর্কে জড়াতে পারে,
সে কি আধ আমাকে ভালবাসতে পারে। আমি নিজেও জানি না। তবে আমি তার মত বিদুষী নই, তাই আর প্রেম করিনি কখনও। তবে তাকে ভুলতে পারিনি,
সবসময় মনে হত।

সেদিন ভার্সিটি শেষে আমি বের হচ্ছিলাম গেইট দিয়ে,
তখনই কোথা থেকে এক মেয়ে এসে পথ আগলে দাঁড়িয়ে আছে।
--কি চাই?
--একটু কথা ছিল,
--বলেন?
--এখানে না।সামনে একটা নদী আছে, ওখানে চলুন!
--এখানে বলেন, আমি অন্য কোথাও যেতে পারব না।
--চলুন না।
--নদী,
--হ্যা
--আমি আপনার প্রেমিক নই,যে নদীর পাড়ে বসে আপনার সাথে গল্প করব।তাই যা বলার এখানেই বলুন
--আমাকে মনে হয়, আপনি চিনতে পারেননি।
--চেনা বা জানার কোনো ইচ্ছে নেই।
--আনিকা,নামটা কখনও শুনেছেন!
--নাহ!(হতাশার নিশ্বাস)
--কয়েক বছরেই  ভুলে গেলেন?
--ভুলা যাওয়ার অভ্যাস করছি।
--কেন?
-- তাতে অত্যন্ত নিজে ভাল থাকব।
--ওহ,
--মনে থাকলে, কষ্ট পেতে হয় অনেক!আর এমনিতেই
কষ্ট রাখার আর জায়গা নেই।
--অর্ধেক আমাকে দিয়ে দিন।
--সম্ভব না।

.......চলবে।

#গল্প_ব্রেকাপ! (পঞ্চম/ অন্তিম পর্ব)
লেখক: শেখ আলী

নদীর পাড়ে এসে দুজনে বসে আছি। আজ পশ্চিমা রক্তিম লাল সূর্যটা খুব ভাল লাগছিল।
--কিছু একটা বলতে চেয়েছিলেন?তাড়াতাড়ি বলুন,আমাকে উঠতে হবে?
--রাগটা কি এখনও আছে?
--আপনি মনে হয় ভুলে গেছেন,যে আমার রাগ বলতে কিছু নেই,যা আছে, তা শুধু অভিমান।
--ওই অভিমানটা কি আছে!
--বলেছিলাম,অভিমানের দেয়ালটা অনেক উঁচু, যা চাইলেই ছুয়া সম্ভব না।
--আমার আসলে অনেক রাগ হয়েছিল সেসময়।
--আমি বলেছিলাম, আমরা দেখি এক,থাকে এক।
--একটা সুযোগ দেয়া যায় না।
--সুযোগ, কিসের সুযোগ।
--তোমাকে ভালবাসার।
--নতুন করে আর স্বপ্ন দেখতে চাই না।
--কেন?
--ভাঙ্গার ভয়ে।
--আমি তো আছি।
--কিন্তু আমি এখন নেই,আর যাকে সামনে দেখতে পারছেন সে সেই আফরান না। পুর্বের আফরান কে গলা টিপে হত্যা করেছি আমি। আসি!!

পিছনে আর চেয়ে দেখা হয়নি মেয়েটা কি করছে।
আমি হাটছি আজ অজান্তেই। চোখ থেকে চশমাটা খোলে,চোখ দুটো মুছে আবার পড়ে নিলাম।
এটা এখানে শেষ হলে তো আর শিক্ষা হল না।

রুমের পাশেই একটা ছোট বারান্দা রয়েছে, আমি সেখানে দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছি। খুব কষ্ট হয়েছিল এতটা বছর। নিজেকে কিভাবে এই কষ্ট থেকে মুক্ত করেছি তা আমি নিজেও জানি না।

পাশে থাকা মোবাইলটা হঠাৎই কেপে উঠে,
হাতে নিয়ে দেখি, চিরচেনা সেই নাম্বার থেকে ফোন।
ধরব কি ধরব না, এসব ভেবেই দুটো কল কেটে গেছে। তিন নাম্বারের সময় ধরলাম।
--হ্যালো!
--কি করছেন?
-- সেটা না জানা ভাল।
--আমি কিন্তু বারান্দার পাশেই আছি।
--অভিশপ্তের কাছে আসবেন না,না হলে হৃদয় পুরার গন্ধে নিজে বশ্য হয়ে যাবেন।
--তবুও আসব! (কলটা কেটে দিলাম।)
দক্ষিণা বারান্দায় মুক্ত আকাশ দেখে চলেছি।
খুব ইচ্ছে করছে এ সময় এক কাপ কফি খেতে।তখনই কেউ একজন কফি হাতে পাশে দাঁড়ালেন।

--এই নিন?
পিছনে চেয়ে দেখি আনিকা কফি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
--আপনি?
--এত অবাক হওয়ার কি আছে!
--তা হঠাৎ এই অভিশপ্তের কাছে, কি মনে করে।
--কেন এসেছি জানেন না।
--যে আমাকে বিশ্বাস করে না,তাকে দ্বিতীয় বার বিশ্বাস করা যায় না।
--আমাকে বিশ্বাস করতে হবে না,শুধু পাশে থাকলেই হবে।
--........
--কিছু বলছেন না যে?
--আমার আর কিছু বলার নেই।
--....(নিশ্চুপ)
অনেকটা সময় নিরবতা,নিস্তব্ধতার পর.....
--তোমার পাশে, আমি অন্য মেয়েদের দেখতে পারিনা,
দেখলে সহ্য হয়না,তাই ওইদিন।
--অতীথ, অতীথই থাক।আর চলে গেলে খুশি হব।

মেয়েটা বারান্দা থেকে চলে গেল।  ভাল লাগছিল না। রাতে ঘুম না হওয়ায়,বিছানায় পড়তেই নিদ্রাটা চলে আসছিল,তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

যখন ঘুমটা ভাঙ্গল,তখন পাশে কোন রমনী ঘুমিয়ে ছিলেন। আমি হতবাক হয়ে সেই রমনীর মুখের দিকে চেয়ে আছি। মেয়েটার মুখের মায়ায় বারবার ওর প্রেমে পড়ছি, কিন্তু এই মেয়ে এখানে কি?
ও তো চলে গেল,এখন যদি মা এসে দেখে নির্ঘাত আমাকে মেরেই ফেলবে। তখনই রুমে মায়ের প্রবেশ!
ওই যে কথায় আছে না,যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই রাত হয়।এই মেয়ে তো আমার জন্য বাঘ স্বরূপ।

--আফরান এই মেয়েকে,আর তর রুমে,এসব কি?
--মা আমি জানি না।
--জানিস না মানে?
মায়ের চিল্লাচিল্লিতে বাঘীর(আনিকার) ঘুম ভাঙ্গল।
--আমি এখানে কি করে?
রাগটা চরম পর্যায়ে চলে গেছে।
--সেটা তো আপনি জানেন,
--এই তুমি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছ!
তখনই মা বলে উঠলেন!
    --তুই চিনিস এই মেয়েকে?
--হ্যা,না, মানে?
--হ্যা না মানে কি?
--চিনি।
--তোদের আজই বিয়ে দিব, মা তোমার বাবার নাম্বারটা দেও তো।
--জ্বি আন্টি।
--মা,এটা চক্রান্ত!
--চুপ একদম চুপ।

মা আনিকার বাবার নাম্বার নিয়ে চলে গেলেন।আর আমি এক বুক হতাশা নিয়ে মেয়ের দিকে চেয়ে আছি।
এই মেয়ের পাগলামির কাছে আমার অভিমানটা তুচ্ছ ছাড়া আর কিছুই না।
--কি হল,?
--এই মেয়ে তোমার সাহস তো কম না।
--সাহসের কি দেখেছ,এখন বিয়ে করব তোমাকে।
--আমি রাজি না।
--রাজি তো তকে করিয়েই ছাড়ব।

আমি নিস্তব্ধ হয়ে চেয়ারে বসে আছি।
--কি ভাবছিস?
--......
--শুন,আমার ভালবাসা আদায় করতে আমি সবকিছু করতে পারি।
--কি?(অবাক হয়ে চেয়ে আছি)
--হ্যা, প্রথমে মাকে পটাইছি, এখন তোকে পটাইয়া বিয়ে করব,আর.......
বলেই মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যাচ্ছিল , আমি গিয়ে ধরে নিলাম।
আমি মেয়েটার মুখের দিকে চেয়ে আছি। আমাকে যেন তার মায়াজালে আটকে নিয়েছে,নিজের অজান্তেই।
আমি মুগ্ধ নয়নে তার ঘুমন্ত মায়াবী চেহারার দিকে চেয়ে আছি অপলক দৃষ্টিতে।
বিছানার মধ্যে শোয়াইয়ে দিলাম,
তখনই রুমে মায়ের প্রবেশ....
--কি হয়েছে?
--অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাচ্ছিল, আমি ধরে বিছানায় শুইয়ে দিয়েছি।
--মাথা গরম কি না দেখ?
মাথায় হাত দিয়ে দেখলাম, গরম নেই!
--মেয়েটার সাথে কি করছিস কে জানে।
--মা,এটা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত,আর আমি সেই চক্রান্তের স্বীকার।
--মুখটা বন্ধ করে নিজের স্ত্রীর সেবা কর?
--বিয়ে তো করলাম না,আর স্ত্রী।
--হ্যা!!
--এই মেয়েকে আমি স্ত্রী  রূপে গ্রহণ করছি না।
--তুই করবি,তর বাবাও করবে।
--বাবা কি দোষ করল!
--একদম মুখ বন্ধ করে বসে থাকবি।

মেয়েটার  দিকে চেয়ে দেখি আমার দিকে চেয়ে বিজয়ের একটা হাসি দিয়ে চুপিচুপি  বলল....
--তুমি আমাকে ভুলতে পারবে না কখনও।

সন্ধ্যার মিটিমিটি আলোয় আমাদের বিবাহটা সম্পূর্ণ হয়ে গেল। আসলে মেয়েটার পাগলামির কাছে মাথা নত করতে হয়েছে নিজেকে,তবুও কিছুটা অভিমান থেকেই যায়।

দুজনে রুমের মধ্যে বসে আছি। কেমন জানি একটা অস্বস্তিকর লাগছিল। আমি উঠে গিয়ে সোফায় বসলাম।
--ওখানে কেন?(বলেই মেয়েটা উঠে আসছে)
--দেখুন আপনি আমার দেহ পাবেন, কিন্তু মন পাবেন না
--এসব বাংলা সিনেমার ডায়লগ কখন শিখলি।
--কি?
--হ্যা,চল আমি ঘুমাব!
--ঘুমান গিয়ে,
--পাশে তুই ঘুমাইবি, না হলে ঘুম আসবে না।
--কি?
--হ্যা।
--আমি পারব না!
--যা ব্রেকাপ!!
--বিয়ের পর তো ব্রেকাপ হয়না,হয় ডিভোর্স।
--কি তুই আমারে ডিভোর্স দিবি?
--হ্যা দেব।

মেয়েটা কেঁদে কেঁদে আমার সাধের বিছানাটা ভিজাইয়া দিল। এখন কান্না থামাই কি করে?
--আমার সাধের বিছানা গেল!
--এরপর তর বউ যাইব!
--তাহলে তো ভাল হয়।
--কি কইলি? যা ব্রেকাপ!!!

       কিছুটা নিরবতা নিস্তব্ধতা!!
হঠাৎই মেয়ে বলে উঠল....
--আমার ক্ষিধে পেয়েছে?
--তো আমি কি করব!
--আমার জন্য কিছু নিয়ে এস?

ফ্রিজের দরজা খোলে দেখি, অবশিষ্ট কিছুই নেই।
--ফ্রিজে তো কিছুই নেই।
--রান্না করে নিয়ে এস!
--এখন রান্না করব!
--হ্যা।
--পারব না।
--কি, কি কইলি তুই?
--পারব না।
--ব্রেকাপ করে দিব, কিন্তু!
--তুই করবি কেন, আমি করছি যা ব্রেকাপ।
এবার লউ টেলা.......
--কি? এত বড় কথা!
--হয় ব্রেকাপ নয় ডিভোর্স দিব।  (মাইয়া অজ্ঞান,)
মাথায় পানি দেয়ার পর জ্ঞান ফিরল...
--সত্যি ডিভোর্স দিবা,
--না ব্রেকাপ!!
কেঁদে কেঁদে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর আমি সেই কান্নাটা উপভোগ করছি। পাশে গিয়েই নিজের বাহুডোরে টেনে নিলাম। এ ভালবাসা শেষ হওয়ার নয়,এটা যে ব্রেকাপের ভালবাসা।
............সমাপ্তি।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ