āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ā§Ŧ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3102 (1)

#বোকা_ছেলে

-সজল ওঠ বাবা আর কত ঘুমাবি… বেলা যে অনেক হলো… কলেজে যাবিনা…
*
সজলের মা। প্রতিদিন সজলকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। আর অন্যকেউ ডাকতে আসেনা ওকে। কারণটা হলো চলুন দেখা যাক…
তখন সজলের বয়স পনেরো। নবম শ্রেণীর ছাত্র। ছোট হলেও অনেকটা বড় সে। অবশ্য সেটা অন্য সব সাভাবিক ছেলেদের কাছে। কিন্তু সজল তখনও যেন একটা বাচ্চা শিশু। বলতে গেলে খুব সহজ সরল। সকালে সজলের প্রাইভেট আছে তাই সে তার মাকে বলে রেখেছে যে তাকে যেন সকালে ডেকে দেয়। সেদিন সজলদের বাসায় আত্নীয় এসেছিল। সেদিন তারা যায়নি। পরদিন কাজের চাপে আর সজলের মা সজলকে ডাকতে পাঠায় নি। পাঠিয়ে ছিল একটা মেয়েকে…
>আহ্হা আহ্হা… (মেয়েটা)
-….???? (শব্দহীন সজল)
>এই যে শুনছেন আপনাকে ডাকছে…
-আর একটু মা… তারপরই উঠছি…
>খালামনি আপনার ছেলেতো উঠছে না… (চিৎকার করে)
<ওর কাথাটা টেনে ফেলে দাও আপনা আপনি উঠে যাবে… (মা)
*
মেয়েটা আর কোন কিছু চিন্তা না করে সজলের গায়ের কাথাটা টেনে ফেলে দিল…
>ওমা ছিঃ… (চোখে মুখে হাত দিয়ে মেয়েটা)
-একি কে আপনি… আমার মা কোথায়? (সজল)
>সেটা পড়ে যানলেও চলবে। আগে লুঙ্গি পড়েন… (চোখ থেকে দুটো আঙ্গুল ফাঁক করে আবার বন্ধ করে মেয়েটা)
-আমি তো লুঙ্গি পরতে পারিনা। মা আমাকে পরিয়ে দেয়…
>আজ আপনি নিজেই পরেন…
-আপনি পরিয়ে দেন…
>কি আমি পড়িয়ে দিব… (রাগি গলায়)
-ঠিক আছে… কিন্তু লুঙ্গিটা কোথায়…
>শোয়ার সময় ভাল করে পরতে পারেননা…
-ভাল করেই তো গিট্টু দেই কিন্তু কি যে হয় বুঝতে পারিনা…
>ধুরর ছাই…
*
মেয়েটা চলে যায়। আর বোকা সজল সে কথা গুলো আবার সবার সামনে গিয়ে নিজেই বলে। আর তারপর থেকে আর কেউ সজলকে ডাকতে যায় না। ছেলেটাকে বোকা বললে ভুল হবে একটু বেশি সহজ সরল কি না। তাই সব কিছু নিজের মত সহজ মনে করে। আজ সজলের ভারসিটি লাইফের প্রথম দিন। তাই ওর মা ডাকছে ওকে…
*
-ওঠ বাবা আর কত নয়টা বাজে… (মা)
>আর একটু মা… (সজল)
-আচ্ছা তারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে আয়….
*
অতঃপর সজল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে যায়। নাস্তা শেষ করে ভারসিটি যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছে। একটা পায়জামা একটা নীল রং এর র্শাট। মাথায় একদম খাটি সরষের তেল। গলায় পাউডার মেখে বের হয়েছে। ওর মা ওর কপালে ইয়য়া বড় একটা কাজলের ফোটা দিয়ে দিল। যেন নজর না লাগে। ভারসিটি বেশি দুরে নয়। তাই হেটেই যাচ্ছে সে।
কয়েক মিনিট হাটার পর পৌছে গেল সেখানে। চারিদিকটা বেশ মনোরম। সজলের অনেক দিনের শখ ভারসিটির এই মাঠে আসবে। সবার সাথে মিশবে। অনেক বন্ধু হবে ওর। অনেক বার আসতেও চেয়েছিল কিন্তু ওর বন্ধুরা ওকে ভয় দেখিয়ে ছিল যে যদি যোয় তাহলে ওখানে আটকে রাখবে। তাই আর যাওয়া হয়নি। কিন্তু আজ সজলের সেই সুযোগ হয়েছে। তবুও মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে যদি আর আসতে না দেয়।
*
ভারসিটির মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করছে একটা হ্যাবলা মারকা ছেলে। ছেলেটা অন্য কেউ নয় সজল। তাকে কেউ চেনেনা। অনেকটা দেখে শুনে পা ফেলছে। ভেতরে ঢোকার সাথে সাথে…
>এই যে কাকু শুনছেন? (কিছু বড় ভাই)
-আপনারা কি আমাকে বললেন… (সজল)
>হ্যাঁ কাকু আপনাকে…
-ওওও কিন্তু আমি আপনার কাকু নই তো…
>আরে এখানে যারা আসে তারা সবাই কাকু…
-তাহলে বাড়িতে যারা আছে তারা কি ভাই…
>বিশ্বাস হচ্ছে না। ঐ যে দেখছো একজন সোলার ওয়ালা মাথা নিয়ে যাচ্ছে তাকে গিয়ে বলেন সোলার কাকু ঠিক জবাব দেবে…
-তাহলে যাই… এক মিনিট কিন্তু সোলার কই…
>ওনার টাক মাথায় একটা চটাং করে মারবেন বের হবে…
-ঠিক আছে…
*
-এই যে সোলার কাকু… (সজল)
>কে রে বদমাশ ছেলে এই… (টাকওয়ালা লোকটা)
-কাকু একটু এদিকে আসেন…
>ওমা গো মা। আমার মাথা গেল রে… (মাথায় হাত দিয়ে)
-কাকু আপনার সোলার কই বের হলো… আর একটু জোড়ে মারতে হবে মনে হয়…
*
বলেই আর একটা চটাং করে মারল সজল
*
>দাড়া বদমাশ ছেলে তোর খবর করছি…
বলেই লোকটা চলে গেল। আর সজল ঘুরে ফিরে আবার সেই বড় ভাইদের কাছে…
-কাকু কই সোলার তো দেখা গেল না। আর কাকু বলাতে আরো রেগে গেল… (সজল)
>তোমাকে একটা মারতে বলেছিলাম আর তুমি তো দুইটা মারছো তাহলে রাগবে না… (বড় ভাই)
-এখন কি করবো…
>এখন তো সর্বনাশ। প্রিন্সিপালের কাছে নালিশ করবে তখন কি করবে…
-তাহলে আমি এখন কি করবো…
>ওনাকে গিয়ে বল মেয়ে যাবে নালিশ করলে…তাহলেই হলো…
-ঠিক আছে কাকু…
*
অতঃপর…
সজল আবার হাটা শুরু করল। কিন্তু ঐ লোকটাকে আর খুজে পাচ্ছে না। কি আর করার নিজে নিজেই কথা বলছে…
অনেক দেরি হয়ে গেছে। ক্লাশ রুম খুজে বের করতে হবে। কিন্তু রুম খুজবো কোথায়? এখানে তো সব বড় বড় দালান। কোনটাতে আমার ক্লাশ রুম কে জানে? সামনের মেয়ে গুলোকে বলবো কোথায় আমার রুম। কিন্তু আমি তো মেয়েদের সাথে কথা বলিনা। তাহলে কি রুম খুজে পাবো না। নাহ্ কিছু একটা করতে হবে। আমি এত বুদ্ধিমান ঠিক একটা না একটা বুদ্ধি আসবে। কিন্তু বুদ্ধিতো পেটে আছে কিন্তু মুখে আসছে না। হুম পেয়েছি। মাথা নিচে দিয়ে পা কিছুক্ষণ উপরে করে রাখি তাহলে পেটের সব বুদ্ধি মুখে চলে আসবে… তাই করি…
*
বুদ্ধিমান সজল তাই করতে শুরু করল। আর সবাই অবাক হয়ে ওর কান্ড দেখে হাসতেছে। না হাসার তো কিছুই নেই… অনেকে আবার হাসতে না পেরে এস জিজ্ঞেস করছে…
>ভাইয়া কি শরীর চর্চা করছেন…
-না বুদ্ধি পেট থেকে মাথায় বের করে নিয়ে আসতেছি… (সজল)
>আপনার পেটে বুঝি অনেক বুদ্ধি…
-হ্যাঁ অনেক…
>পাগল কোথাকার…
-পাগল তো আপনি আপনার মনে হয় মাথায় বুদ্ধি…
>আজব লোক মাইরি…
*
ওফফ অনেক্ষণ হয়ে গেল এখনও কোন বুদ্ধি মুখে এলো না। মনে হচ্ছে রাস্তায় আটকে গেছে। দেশের এই রাজনৈতিক দল গুলোকে এত বলি যে হরতাল না দিতে তার পরেও হরতাল অবরোধ সব দেয়। এখন আমার বুদ্ধি মনে হয় রাস্তায় হরতালের মুখে পরেছে। নাহ্ আর হবে না। আমার বুদ্ধি আর মুখে আসতে পারবে না। খামখা সময় নষ্ট করে লাভ নেই….
ওহহ্ ওহহ্ বুদ্ধি এসেছে। এখানে তো কোন মেয়ে ছেলে নাই। সবাই কাকু তাহলে আমি ওদের কাছে যেতে পারি আর জিজ্ঞাসাও করতে পারি…
অতঃপর…
-এই যে কাকুরা শুনছেন… (সজল)
>…???
-এই যে নীল কাকু… শুনতে পাচ্ছেন…
>এক মিনিট… আপনি কি আমাদের বলছেন… (কয়েকটা মেয়ে)
-হ্যাঁ আপনাদের…
>আপনার সাহস হয় কি করে আমাদের কাকু বলার। আমাদের কাকুর দেখতে… (একটা মেয়ে)
-এখানে সাহসের কি আছে… সবাই সবার কাকু তাই বললাম।
>সবাই সবার কাকু… কে বলেছে আপনাকে…
-কাকু বলেছে এখানে সবাই কাকু…
>আপনার কোন কাকু এই কথা বলেছে…
-আমি চিনি না।তবে কাকু এটাই বলেছে…
>চেনেন না জানেন না এমনিতেই এক জনের কথায় সবাইকে কাকু বলবেন… আপনার মাথায় কি কিছু নেই…
-না না আছে তো মাথা ভরা চুল। মা বলেছে সরিষার তেল দিলে চুল পরে না। তাই তো আমি প্রতিদিন সরিষার তেল দেই। আপনি দেন না। এ ছিঃ আপনার মাথায় চুল লাল কেন… মা বলে গাভীর ইয়ে চুলে দিলে নাকি চুল লাল হয়। আপনি দিয়েছেন কাকু তাই না…
>কোন বলদের পাল্লায় পরছি যে… (রেগে মেগে আগুন হয়ে)
-না না বলদ না বলদ না। ওটা গাভীর ইয়ে। গরুর স্ত্রী লিঙ্গ।
>ঐ বলদের বলদ এটা গাভীর ইয়ে নারে কালার এটা…. (প্রায় 2500 ভোল্টের রাগী গলায়)
-ঠিকি তো আছে। কালারই তো লাল কালার হয় গাভীর ইয়ে দিলে…
>আমাকে কেউ তোরা ধর নইলে একে আজ শেষ করে ফেলব…
<আর এ ছেড়ে দেনা। এটা তো আস্তো একটা বেকুব। তখন দেখলি পা উপরে তুলে মাথা নিচু করে ছিল। মাথায় মনে হয়না বুদ্ধি শুদ্ধি কিছু নেই… (রাগী মেয়েটার বান্ধবী)
-হা হা হা হো হো হো…
<আবার হাসছেন কেন…
-হাসবো না… বুদ্ধি কোথায় থাকে সেটাই তো জানেন না…
<কোথায় থাকে বুদ্ধি….
-বুদ্ধি থাকে পেটের মধ্যে…
>তাই নাকি এটাও কি আপনার কাকু আপনাকে বলেছে… (রাগী মেয়েটা)
-আমার কি বুদ্ধি নাই নাকি… যে সব কাকুর কাছ থেকে জানতে হবে…
>ওও তাই নাকি আপনার আবার বুদ্ধিও আছে…
-হ্যাঁ অনেক… তাই তো আমি প্রতিদিন এক লিটার ফল আর আধা কেজি দুধ খাই। আর সেটা পেটে গিয়ে বুদ্ধি বাড়ায়…
>ওহ তাই, হেনা তাই না…
<হ্যাঁ তাই… (মেয়েটার বান্ধবী)
>আর তাই আপনি তখন ঐ জন্য পা উপরে করে মাথা নিচু করে ছিলেন…
-হুম। একদম তাই। এই দেখুন না আমি আমার ক্লাশ খুজে পাচ্ছি না। তাই ওমন করে ছিলাম। কোন একটা বুদ্ধির আশায়…
>বুদ্ধি পেয়েছেন…
-না। ঐ রাজনৈতিক দল গুলোর জন্য তো বুদ্ধি পেলাম না…
>কেন কেন…
-ঐ শুধু হরতাল অবরোধ আর তাই জন্য আমার বুদ্ধি রাস্তার মাঝ পথে এসে অবরোধের মুখে পরে আটকে গেছে, কিভাবে আসবে বলুন…
<হা হা হা… (সবাই এক সাথে হেসে উঠল)
>এটাই সুযোগ আমাকে অপমান করার শাস্তি এবার টের পাবি আমি গাভীর ইয়ে মাথায় মাখি… (মনে মনে রাগি মেয়েটা)
-আপনারা কি বলতে পারেন আমার ক্লাশ রুম কোনটা… (সজল)
>ওওও … আপনার ক্লাশ সাত নাম্বার দালানটায়… (রাগী মেয়েটা)
<এটা কি করলি ছেলেটা সহজ সরল আর তুই ওকে… (রাগী মেয়েটার বান্ধবী)
>চেপে যা আমাকে অপমান করার শাস্তি এটা… (রাগী মেয়েটা)
*
বেচারা সজল মেয়েটার কথায় চলতে শুরু করল…
To be continue…
লেখা: লিটন (খচ্চোর)

#বোকা_ছেলে 2

>এই যে সজল ভাই কোথায় চলেছেন… (আমি)
-কেন… সেটা আপনাকে বলতে হবে নাকি… (সজল)
>আরে বলেন না দেখি আমি ঐ দিকে যাই কি না…
-আমার ক্লাশ খুজতে যাচ্ছি…
>ওও এই কথা… তা আপনি ঐ দিকে কোথায় যাচ্ছেন…
-কেন আমার ক্লাশে…
>আরে আপনার ক্লাশ তো এই দিকে…
-আপনি কি করে জানলেন… আমি কি আপনাকে বলেছি আমার ডির্পাটমেন্ট কি…
>আরে আমি সব জানি…
-দাড়ান দাড়ান আমাকে কি আপনার বোকা মনে হয় যে আপনার কথা বিশ্বাস করব…
>আরে মিয়া আপনাকে আমি আবিষ্কার করলাম আর আমি জানবো না…
-আরে পাগল নাকি… আমি কি মোবাইল ফোন নাকি যে আমাকে আবিষ্কার করবেন…
>আচ্ছারে ভাই আমি তোকে আবিষ্কার করিনী… তবে একটা কথা শোন মেয়েরা সোজা কথা বলেনা… যেদিকে বলে তার উল্টো দিকে চলবি…
-ওওও এই বার বুঝতে পেরেছি… আচ্ছা ঠিক আছে…
*
অতঃপর সজল সঠিক পথ ধরে চলতে শুরু করল। শেষমেষ ক্লাশে পৌছেঁ গেল। ক্লাশ শুরু হয়ে গেছে...
-স্যার আসবো… (সজল)
>হ্যাঁ এসো…
*
সজল ভিতরে ঢুকেই…
-ঐ সোলার তুই এখানে কেন… আর তোকে আমি সালাম দিলাম… (সজল)
>কি আমি সোলার তখন আমার টাক মাথায় বাড়ি দিছো কিছু বলিনী এখন আবার বলছো সোলার… (টাকওয়ালা ভদ্রলোক)
-বেশ করেছি মেরেছি… তুই এখানে কেন… আর তোকে আমি স্যার বলছি… বের হহ্ এখান থেকে…
>দাড়াও আজ যদি প্রিন্সিপালের কাছে নালিশ না করি তার পর দেখবে মজা…
-নালিশ করবি করিস… তোর মেয়ে আছে না…
>কি আমাকে হুমকি… দেখতে পাবে…
*
রেগে মেগে ভদ্রলোক চলে গেলেন। আসলে উনি একজন প্রফেসর। সজল আজ গেছে। ক্লাশের সবাই কেমন একটা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে…
না থাকার ও কিছু নেই। প্রফেসরের সাথে যে কাজ করল তাতে সবাই রেগে গেছে।
*
কিছুক্ষণ পর…
একটা মেয়ে রেগে মেগে আগুন হয়ে সজলের ক্লাশের দিকে আসছে…
>কোন বেটার এত সাহস আমার বাবাকে অপমান করার। আবার মাথায় চাটিও মারছে। আমাকে অপহরণ করার হুমকি দিয়েছে। আয় সামনে আয়… (মেয়েটা)
-…??? (কোন কথা নেই)
>এই যে বুদ্ধিমান লোক কে এই কাজ করছে আপনি দেখেছেন… (সজলকে দেখে)
-না না আপনার বাবাকে কে মেরেছে আর আপনাকে অপহরণ করার কে হুমকি দিয়েছে জানিনা… তবে… (সজল)
>তবে কি… (মেয়েটা)
-আমি একটা সোলার কাকুকে মেরেছি সে তার সোলার দেখাই নি জন্য…
>ঐ বলদা রে বদলা আমার বাবার মাথায় সোলার আছে… (সজলের চুল ধরে)
-আরে আরে কি আজব আমার মাথা ব্যথা করছে না তো। আপনাকে চুল টানতে হবে না…
>ঐ বলদা আমি তর মাথার চুল টানতেছি… দাড়া…
-আরে আমি বলদা হব কেন… আমার নাম সজল। তবে মা আমার বুদ্ধি দেখে মাঝে মাঝে বলদ বলে… এটা আমার উপাধি… আপনি বলদ বলতে পারেন…
*
সজলের কথায় সবাই হেসে উঠল। না হাসার তো কিছুই নেই। বেটায় কেমন বলদা নিজেই বলছে সে নাকি বলদ…
>কি করব এই বলদাকে নিয়ে আমি শেষ…
-না না আপনি আবারও ভুল করছেন ওটা বলদা হবে না। বারবার আপনি আ-প্রত্যয় যোগ করছেন কেন… ওটা হবে বলদ… (সজল)
>ওহ্ কার কাছে আসছি রে বাবা….
-কই আপনার বাবা কই আমি বলছি… হ্যালো কাকু আমি সজল মা বলে বলদ। আপনার মেয়ে বলদের কাছে আসছে…
>ওরে মোর জালা… কেউ আমাকে এই বলদের হাত থেকে বাচাও…
-পানি খাবেন…
>না আমি তোকে খাবো…
-মা…. আ আ আ আ… (কেদেঁ কেদেঁ)
>ভ্যাঁ করে কাদাঁর কি আছে…
-কাঁদবো না। আপনি একটা রাক্ষসী আমাকে খেয়ে ফেলবেন…
>কি বিপদে পরলাম যে আমি…
-বিপদে তো পরছি আমি এক রাক্ষসীর পাল্লায় পরেছি। কাকু বাচাও আমাকে… (সজল)
>আমি রাক্ষসী দাড়াও...
-তা নয় তো কি আমাকে খাওয়ার হুমকি দিলেন… আবার বলছেন… আমাকে প্লিজ খাবেন না… আমি এখনো বিয়ে করিনী… (সজল হাত জোড় করে)
*
এবার আর মেয়েটা না হেসে পেলনা। তার সব রাগ যেন এক নিমিষেই উধাও হয়ে গেল। মনে মনে ভাবছে মানুষ বোকা হলে এমমন বোকা হয়। তবে অনেক সহজ সরল এটা মানতে হবে। আর একটু মজা করার ইচ্ছা জাগছে মেয়েটার মনে। সে যে তার বাবার অপমানের প্রতিশোধ নিতে আসছে সেটা অনেকটা ভুলেই গেছে…
>এতই যদি রাক্ষসী ভয় পান তাহলে রাক্ষসীকে অপহরণ করার হুমকি দিয়েছিলেন কেন… (মেয়েটা)
-না না না আমি তো কাউকে অপহরণ করার হুমকি দেইনী… (সজল)
>তাহলে…
-কাকু বলেছিল যে যদি নালিশ করতে চায় তাহলে যেন বলি যে “তোর মেয়ে আছে না”
>এই কথার মানে কি জানেন…
-না কাকু বলেছে তাই বলেছি…
>এই বলদা তোর কাকু যেটা বলবি সেটা করবি… (রেগে)
-আচ্ছা কাকু তাহ আমি যাই। সবাই চলে যাচ্ছে… (সজল)
>ঐ কে তোর কাকু…
-কাকু বলেছে এখানে সবাই সবার কাকু…
>এর সাথে কথা বললে আমি পাগল হয়ে যাব… যান যান চলে যান…
*
সজল ক্লাশ রুম থেকে বের হয়ে চলে আসছে। সজল মনে মনে হাসছে আর ভাবছে, “মেয়েটা রাক্ষসী হলেও অনেক সুন্দর একদম পরীর মত। ছোট বেলায় মা যেমন পরীর বণর্ণা দিযে রুপ কথার গল্প শুনিয়েছে ঠিক তেমন পরী। না না পরী নয় যেস রুপকথার রজকুমারী”। পরী না রাজকুমারীর দন্ড চলছে এই ভেবে সজল লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে।
মনে মনে হাসেতে হাসতে সজল হাটতে হাটতে যাচ্ছে। তবে সেটা বোঝা যাচ্ছে ওর ঠোঁটের কোণার হাসিটা দেখে। আর এটাই যেন কাল হলো সজলের। ভারসিটিতে ঢোকার সময় যে বড় ভাইদের সাথে কথা হয়েছিল তাদের সামনে পরেছে। অবশ্য সজলই আগে কথা বলা শুরু করল…
-এই যে কাকুরা আপনারা এখানে… আর আপনাদের আমি খুজে খুজে হয়রান… (সজল)
>কেন কি হয়েছে কাকু…
-কি হয়েছে আপনারা কি বলেছিলেন… আর আমি তাই করে রাক্ষসীর পাল্লায় পরেছিলাম…
>ওওও তাই নাকি…
-হুম… আমি নাকি কো এক রাক্ষসীকে অপহরণ করতে চেয়েছি… এটা কি হলো কাকু…
>ঠিকি তো তুমি প্রফেসরকে চাটি মারবে আবার বলবে মেয়ে আছে না তাতে রাক্ষসতো আসবে…
-ধুর ছ্যামরা থুক্কু কাকু কোথায় প্রফেসর…
>ওকে নিয়ে একটু মজা করি… (সবাই মিলে আলোচনার মত করে)
-কি ভাবেন নিজেদের মধ্যে… (সজল)
>ঐ যে রাক্ষসী সহ আসছে…
-কি…
আর পিছনে না তাকিয়ে সজল দৌড় শুরু করল। অনেকক্ষণ পর দৌড় থামালো। ভাল করে পিছে দেখে নিল। আর নিজে নিজে কথা বলতে শুরু করল…
যাহ্ বাবা জোড় বাচা বেচেছি। জানিনা রাক্ষসী কবে আমার পিছু ছাড়বে। নাহ্ কালকে মাফ চাইতে হবে। আমাকে কাকুরা এভাবে বোকা বানালো। আমার মত বুদ্ধিমান ছেলেকে কিভাবে ওরা বোকা বানায় না খাওয়া বাড়িয়ে দিতে হবে। দুই হালি দুধ আর আধা কেজি ডিম আরো বোশ করে খেতে হবে। মাকে আজ গিয়ে বলতে হবে।
*
বাসায় আসার পর…
-খোকা আজতো তোর ভারসিটির প্রথম দিন কেমন কাটল বাবা… (মা)
>ওওও খুব ভাল মা। জানো মা আজকে আমাকে না কয়েকটা ছেলে বোকা বানিয়েছে… (সজল)
-ওলে আমার সোনা ছেলেটাকে কারা বোকা বানিয়েছে…
>মা আমি ওদের বোকা বানাবই…. তুমি আজ আমাকে দুই হালি দুধ বেশি করে দিবা…
-হায় আমার কপাল… এমনি তোকে বোকা বানায় নি… (কপালে হাত দিয়ে)
>কেন মা…
-আবার বলছিস কেন… বলদ কোথাকার ডিম কখনও হালি ভাবে বিক্রি হয় রে গাধা…
>ওওও হালি নয় হালি নয় ডজ্জন হিসাবে…
-তোকে যে কেন আমি পেটে ধরেছি… বোকা হলে মানুষ এমন বোকা হয়… দুধ লিটার ভাবে বিক্রি হয়।
>ওও আমারই ভুল হইছে। হালি হালি দুধ থুক্কু লিটার লিটার দুধ…
-হহ্ তুই এখন এইটা ভাল করে শেখ… আমি গেলাম আমার কাজ আছে…
বলেই মা চলে গেল। আর সজল তো ভাবনায় মগ্ন। নানা কথা ওর মনের মধ্যে ঘোর প্যাচ খাচ্ছে। কিভাবে প্যাচ ছাড়াবে তাই ভেবে পাচ্ছে না। মাঝে মাঝে বুদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু ধরতে পারছে না।
*
বিকালে…
সজল বাসা থেকে হাটতে বের হয়েছে। এটা ওর প্রতিদিনের একটা কাজ। এটাই করে প্রতিদিন বিকালে। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে যেদিনই বের হোক না কেন প্রতিদিন কোননা কোন কাজ থাকে। আর সেই জন্য আজও সে হাটতে বের হয়েছে। তাকিয়ে দেখছে চারিদিকটা। বিকালের এই সয়টা সজলের খুব প্রিয়। সোজা এখন সে গিয়ে বসবে একটা বাগানের মধ্যে। ইটের রাস্তার উপর দিয়ে হাটতে হয়। এই রাস্তাটায় আসলে ও পায়ের জুতো জোড়া খুলে হাতে নেয়। খানিকক্ষণ গোধুলীর র্সূযটার দিকে তাকিয়ে চোখ দুটো ঘোলা করে। দশ হাত সামনে বসা একটা ফাকা বেঞ্চের উপর বসে। আজও তাই করল। এখানে আসলে সজল সব কিছু ভুলে যায়। শুধু একটা চিন্তাই করে। কিন্তু আজ বেঞ্চটা ফাকা নেই। কেউ একজন বসে আছে। কাছে যেতেই সজল ওমা করে চিৎকার পিছন দিকে দৌড় দিল। কিন্তু বেঞ্চে বসে থাকা মেয়েটা বুঝতে পারল না কেন? সজল হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বসে পরল দোকানের সামনে রাখা টুলের উপর। সজলকে সবাই চেনে এখানকার। বুদ্ধিজীবি হিসাবে বেশ নাম ডাক আছে তার। হবে না তার যে বুদ্ধি।
অনেকটা সময় পর…
>কি সজল ভাই কি লাগবে আপনার… (দোকানদার)
-হুম… এক কেজি ডিম আর দুই হালি ডিম দেন… (সজল)
>দুর তাই আবার হয় নাকি…
-হয় না মানে… আমার মা স্পষ্ট বলে দিল…
>আরে তোমার মা বলেছে এক কেজি দুধ আর দুই হালি ডিম বোধ হয়…
-এই এই মা টাকি আমার না আপনার যে আপনি বলছেন কি বলছে না বলছে…
<আরে মিয়া আপনিও হইছেন। সজল ভাই যা বলছে তাই দেন… ওনার মাথা কি আপনার মাথার মত… (অন্য একজন)
-হুম আপনি একদম ঠিক বলেছেন। আমার বুদ্ধি আর ওনার বুদ্ধি… (সজল)
>আচ্ছা ঠিক আছে এই নেন আপনার দুই হালি দুধ আর এক কেজি ডিম… (দোকানদার)
-ঠিক আছে…
সজল বাসার দিকে হেটে আসছে। সজলের চোখের ঘোলা ভাবটা কেটে গেছে। এখন সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে তার সামনে কেউ একজন দাড়িয়ে আছে। আর সেটা অন্য কেউ নয় মেয়েটা হল সেই মেয়েটা। যাকে সজল রাক্ষসী বলে জানে। এবার সজল শেষ…
>এই যে মিস্টার বলদ… আমাকে দেখে এভাবে চিৎকার করে দৌড় দিলেন কেন… (মেয়েটা)
-আমাকে মাফ করে দেন রাক্ষসী সাহেবা আমি আর এমন কখনও করবো না। (সজল ভয় পেয়ে)
>ঐ আমি রাক্ষসী আমার নাম ঐশী…
-সে যাই হোক আজ আমাকে ছেড়ে দেন…
>না না আজ আপনার অবস্থা টাইট…
-না না আমাকে খাবেন না। আপনি কাল আমাকে খাইয়েন…
>আচ্ছা ঠিক আছে কাল খাবো
-বেচেঁ গেছি… কাল ঘন্টা ভারসিটি যাব তার পর কেমন খাস দেখবো… (মনে মনে)
To be continue…
লেখা: লিটন (খচ্চোর)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ