-সাগর,,,তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও না কি??
-হ্যা,,জান তোমাকে বিয়ে করবো না তো কাকে বিয়ে করবো বল তুমি?
-খবদ্দার জান ডাকবা না!! বাসায় বিয়ের বিষয়ে কথা বলার
সাহস নাই সে আসছে আমাকে জান ডাকতে।
-এমন করছো কেন।আমি তো বলতে চাই কিন্তু তুমি জান যে....
-কি...হুহহহ..নিজের বাবাকে বিয়ের কথা বলতে পারো না।তার
মুখে বড়ো বড়ো কথা।
-আমি আজ ই গিয়ে কথা বলবো।।প্লিজ তুমি এমন করো না!!
-এই দিয়ে কয় বার আমাকে এই কথা টা তুমি বললে বল তো??
-এই বার বাদে ১২ বার,, আর এই বার দিয়ে ১৩ বার।কিন্তু
তুমি এটা বলছো কেন??
-কারন...এবার যদি তুমি তোমার বাবাকে আমাদের বিয়ের
কথা না বলতে পারছো তো আমি কিন্তু সত্যি সত্যি ঔ হ্যবলা
রাসেল কেই বিয়ে করে নিবো বলে দিলাম!!!
-তুমি এমন কথা বলছো কেন,,তুমি বলছিলে বলে আম্মুকে
প্রথম বারেই বলে ফেলছিলাম আমাদের রিলেশন এর কথা।
-তাহলে তেমার আব্বুকে ও বলে ফেল।। নাই কিন্তু আমাকে
আর পাবে না বলে দিলাম।
-তুমি তো জানোই আব্বুর সামনে গেলে আমার হাটু কাপে
আর কথা বলা তো দূরে থাক।
-এতো কিছু আমি শুনতে চাই না,,,যেটা বললাম সেটা করো।
-ওকে,, আব্বুকে আজই আমাদের কথা বলবো।এবার তো
একটু শান্ত হও।
.
এতো সময় আমি আর রাত্রি কথা বলছিলাম।আমি সাগর
একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি।
আর রাত্রি হলো আমার কলিগ আর বর্তমান জিএফ।
আমি চাকরিতে জয়েন করছি ১ বছর আগে আমার জয়েন
করার ৫ মাস পর রাত্রি জয়েন করে।আমাদের প্রথম দেখা
হয় যখন রাত্রি ইন্টারভিও দিতে আসে।
.
উচ্চপদে থাকার ফলে ইন্টারভিও বোর্ডে আমাকেও থাকতে
হয়।প্রথম যখন ওকে দেখেছিলাম,,তখন রাত্রি একটি নীল
ড্রেস পরে এসেছিলো।আর রাত্রিকে একদম নীল পরীর
মতো লাগছিলো।রাত্রি দেখতেও খুবই সুন্দর। যে কেউ ওর
প্রেমে পরে যাবে।
আর রাত্রির ঠোঠের পাশে একটা তিল ছিলো। আর তিলওলা
মেয়েদের প্রতি আমি ক্রাশড।রাত্রির চোখ দুটো দেখে
মনে হয়েছিলো মায়া ভরা এক জগত।
.
রাত্রির ইন্টারভিও শেষে ওকে চাকরিতে জয়েন করতে
বলা হয়। আর ওর পেষ্ট ছিলো আমার আন্ডারে।
রাত্রি চাকরিতে জয়েন করার পর আস্তে আস্তে ওর সাথে
আমার কথা হতে লাগে।কিন্তু খুবই সাধারন ভাবে।
এভাবেই দুই মাস কেটে যায় আর
একদিন অফিস এর কাজের জন্য আমার একটা জমি
দেখতে আসছি।জমির সব কথা ফাইনাল করে আমি
রাত্রিকে বললাম ঔ দিকে যাবে না কি,,
রাত্রি ও আমার কথায় রাজি হয়ে গেলো।কারন ঔ জমির
থেকে কিছু দূরে সুন্দর পার্ক রয়েছে।
আমরা ওখানে গেলাম তারপর আমার একটি বেন্চে বসলাম।
এই প্রথম আমি আর রাত্রি পাশাপাশি বসে আছি।
আমার মনের ভিতর কেমন যেন ভালো লাগা কাজ করছিলো
আর কিছু দিন যাবত একটা জিনিস লখ্য করছিলাম যে
রাত্রি ও আমার দিকে মাঝে মাঝে আর চোখে তাকাই।
এই কথা ভাবতে ভাবতে আমার কি হলো আমি নিজেও জানি
না আমি রাত্রিকে প্রপোজ করে বসলাম...
.
রাত্রিও একটু অবাক হল,,যে মানুষটা কখনো তার সাথে তেমন
ভালো ভাবে কথা বলে নি,, আর সে আজ প্রপোজ করে
ফেললো। প্রপোজ করার পর রাত্রির চেহারা দেখে মনে
হলো না যে ও বিরক্ত,, মনে হয় রাত্রি ও খুশি ই হয়েছে।
কিছু সময় চুপ থেকে রাত্রি বললো...
-তুমি জানো আজ যদি তুমি এই কথা না বলতে তাহলে
আমিই বলে দিতাম।
আমি ও একটু অবাক হলাম রাত্রির কথা শুনে।তারমানে
রাত্রিও আমাকে পচ্ছন্দ করে।আর এই জন্য ও আমার
সাথে এখানে এসেছে।
.
এখানে আমার সাথে আসার কথা ছিলো রিতুর বাট শেষ
মূহুর্তে রিতু বললো যে সাগর ভাই আমি যেতে পারছি
না আপনি রাত্রির সাথে চলে যান।তারমানে রাত্রি এই
কাজটা করেছে।তারপর রাত্রি আবার বললো
-তোমাকে প্রথম প্রথম দেখার পর থেকে ভাবতাম
সবাই আমার সাথে কথা বলতে চাই কিন্তু
তুমি বলো না কেন আর তেমাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে
কখন যে তেমাকে ভালেবেসে ফেলেছি তা নিজেও জানি না।
-আমি ও তেমাকে প্রথম দেখাই ভালেবেসে ফেলেছি কিন্তু
তোমার সাথে কিভাবে কথা বলবো বা তুমি
কি বললবা এটা ভেবেই আর কিছু বলতে পারি নি।তাই আজ
যখন সুযোগ পলাম আর ওয়েট না করে বলে ফেললাম।
.
এ ভাবেই আমাদের রিলেশন হয়।আর আমার অফিস শেষে
প্রতিদিন চুটিয়ে প্রেম করে বেরাতাম।
একদিন রাত্রি অফিসের দুপুরে লান্স আওয়ারে বললো যে ওর বাসা
থেকে বিয়ের কথা বলছে আর তাই আমাকে ওদের বাসায়
প্রাত্বাব পাঠাটে বললো।আমি আম্মুকে বললাম আম্মু বললো
আমার কেনো সমস্যা
নেই। তুমি তোমার বাবার সাথে কথা বলো।আর তার পর থেকে
আব্বুর সামনে ১২ বার গিয়েছি বলতে কিন্তু বলতে
পারি নি।জানিনা কি জন্য আব্বুর সামনে গেলেই আমার হাটু
কাপা শুরু হয়ে যায়।আর এ জন্য রাত্রি আমার উপর রাগ
করে আছে।ও মেয়ে হয়ে ওর বাসায় বলেছে ওর বাসার সবাই
রাজি আর আমি ছেলে হয়ে বলতে পারছি না।
.
আজ আফিস থেকে আসলাম। এসে ফ্রেস হয়ে ড্রয়িংরুম এ
গিয়ে দেখি আব্বু পেপার পরছে।আমি আব্বুর সামনে
গেলাম।আব্বু বললো
-কিছু বললবা??
-জি..হ্য...আব্বু....
-বলে ফেলো কি বললবা??
এদিকে আামর হাটুর ভিতর এমন কাপা কাপছে মনে হয়
না ভুমিকম্প হলেও এমন হয়,,আর আমার হার্ট এমন
জোরে বাড়ি মারছে মনে হচ্ছে যে একটু পরেই হার্টট বেরিয়ে
আসবে বুকের ভিতর থেকে।
আমি বললাম...
-আব্বু...তেমার শরীল কেমন আছে
-হ্যা,,এখন আগের থেকে একটু ভালোই আছি
-আচ্ছা আব্বু আমি এখন আসি তাহলে
-ওকে,,যাও।। খাওয়া দাওয়া করে বিশ্রাম নেও।
এটা বলেই আমি দ্রুত চলে আসলাম আর আম্মু আমার
অবস্থা দেখে হাসছে।
.
রাতে রাত্রি ফেন দিলো আমি বললাম
-জান কেমন আছো??
-জান টান বাদ দিয়ে বল বলেছো না কি??
-ইয়ে...মানে...
- কি..মানে মানে করছো,,,এর মানে তুমি বলো নাই তাই তো???
-আসলে আমি....
-থাক আর বলতে হবে না আমি বুঝেছি,,তুমি আর
আমাকে ফেন দিবে না।।।
এই বলে ফোন কেটে দিল।আমি ফোন দিলাম কিন্তু ফোন
বন্ধ।কাল অফিসে গিয়ে কথা বলবো এখন থাক
রেগে আছে খুব।
.
আফিসে গিয়ে কথা বলতে গেলাম রাত্রি আমার সাথে কথাই
বললো না।বিকালেও না দেখা করেই চলে গেলো।
এভাবেই ৪ দিন হয়ে গেলো আমার সাথে কথা বলে
না দেখা করে না,, ফোন দিলে তাও রিছিস করে না।
পরেদিন অফিস থেকে এসেছি মাত্র আব্বু আমার রুমে
আসলো পিছনে আম্মু ও আছে।আব্বু বললো যে
তিন দিন পর তোমার বিয়ে প্রস্তুতি নেও।এটা বলেই
চলে গেলো।আমি আম্মু কে বলতে গেলাম আম্মু তুমি তো
,,আম্মু আমাকে বলতে না দিয়ে বললো,, আমি কিছুই করতে
পারবো না।যা করার তুমিই করো আর নাই রাজি হয়ে যাও।
রাত্রিকে ফোন দিলাম বাট ও ফোন রিছিব করছে না।
.
দেখতে দেখতে আমার বিয়ের দিন চলে আসলো।আমি শুধু
একটা ঘোরের ভিতর ই থেকেছি।শুধু এইটুকু মনে আছে
আমাকে কবুল বলতে হয়েছে আর তা বলে দিয়েছি।
কার সাথে বিয়ে হলো বা মেয়ের নাম কি কিছুই জানা
হয় নি।বাসায় আসার সময় গাড়ির ভিতর ভাবলাম মেয়ের
চেহারা দেখবো যে কে,,কিন্তু বড়ো ঘম্টার জন্য দেখতে
পেলাম না।
রাত বারো টা বেজে গেলো বন্দুরা সবাই আমাকে ঠেলে
আমার ঘরের ভিতর ডুকিয়ে দিল।একটা অজানা অচেনা
মেয়ে বসে আসে আামর খাটে।সে না কি আমার বিয়ে করা
বউ।বিষয় টা হাস্যকর লাগছে আমার কাছে।
আমি বিছানার দিকে এগিয়ে গেলাম আর বললাম
-দেখুন আমি এক জন কে পচ্ছন্দ করি আর তাকে ভালোবাসি
সো আপনাকে আমি মেনে নিতে পারবো না
ঘোম্টার নিচ থেকে বলে উঠল
-কিহহহ...বললা তুমি আবার বলো???
আমাকে ছেরে অন্য মেয়ের কাছে যাবা ঠ্যাং ভেঙ্গে দেবো!!!
আমি কন্ঠটা শুনে একটু শকড খেলাম কারন এ তো রাত্রির
কন্ঠ।তাহলে কি রাত্রির সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।
আমি তারাতারি ঘোম্টাটা তুললাম এ তো দেখি রাত্রি।
রাত্রি তখন বললো
-আমাকে ছেরে অন্য কাউকে কল্পনাও করবে না,,,তাহলে
কিন্তু.....
আমি খুশিতে রাত্রিকে জরিয়ে ধরলাম আর রাত্রির কপালে একটা
চুম্বন একে দিলাম।রাত্রি লজ্বা পেয়ে আমার বুকে মুখ
লুকালো।আমি তখন বললাম
-তেমার সাথে আমার বিয়ে হলো কি করে???
-তোমার দ্বারা যে কিছু হবে না তা আমি বুঝে গিয়েছিলাম
তাই আমিই সব ব্যবস্তা করে ফেললাম।আর তোমাকে জানাতে মান করেছিলাম।
তাছারা তোমার আশায় থাকলে আর কিছু ই হতো না।
-তুমি কিন্তু আমাকে অপমান করছি!!!
-তো কি করবো কিছু করাতে পারো না আবার বড়ো বড়ো কাথা!
-দারাও দেখাচ্ছি তেমাকে...!!!
-এই এই কি করছো।
-কি করছি...
-কাছে আসছো কেন???
বলতে বলতে রাত্রির পিঠ দেওয়ালের সাথে লেগে গেলো
আমি ও এগিয়ে রাত্রির একদম কাছে চলে গেলাম।
.
বকিটা ইতিহাস।ইতিহাসের পাতা থেকে নিজ নিজ
দায়িক্তে খুজে নিয়েন।
.
বি:দ্র: ভুল ট্টটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
লেখা : SH Sagor (নিচ্চুপ)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3058
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ģā§Ē PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ