āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§Š āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2894

গল্পঃ--"একটা কথা বলার ছিলো।"

........
--নেহা তোকে একটা কথা বলার ছিলো..
--হ্যা বল।
--আসলে তুই , মানে...
--আমি কি?
--তুই কেমন আছিস?
--এক কথা কয়বার জিজ্ঞেস করবি? বললাম না ভালো আছি।
--উফফ কি বলতে কি বলে ফেলি। কেমন জানি লাগছে।
--তুই ঠিক আছিস?
--হ্যা হ্যা আমি ঠিক আছি।
--রিয়াদ দেরি হয়ে যাচ্ছে, ভাই আমি যাই। কাল দেখা হবে কেমন!
--ওকে, যা
.
নেহা রিক্সায় উঠে চলে গেলো। রিয়াদ ওদিকে তাকিয়ে রইলো। ওর কাঁধে হঠাত্ পিছন থেকে তানভীর হাত দিয়ে বললো
--কিরে আজকেও বলতে পারলিনা?
--নারে দোস্ত, আমি যে আর পারছিনা, ভেতরে সব জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
--তুই ওর সামনে ভয় পাস ক্যান? শুধু একবার বলে দিলেই তো শেষ।
--আরে বেটা ওর সামনে গেলে আমার কেমন জানি লাগে। কিছু বলতে পারিনা।
--তাইলে তুই ওর আশা ছেড়ে দে।
--প্লিজ দোস্ত এভাবে বলিস না। আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না। ওকে আমি অনেক ভালবাসি।
--সেটা আমাকে বলে লাভ কি? ওকে বল। দেখ আমি এতকিছু জানিনা ওর কিন্তু যেকোন মূহুর্তেই বিয়ে হয়ে যেতে পারে তাই যা বলার দ্রুত বলতে হবে। আরে তোর জায়গায় আমি থাকলে হাত ধরেই বলে দিতাম।
--আচ্ছা ঠিক আছে আগামী সপ্তাহে বলে দিবো।
.
রিয়াদ, নেহা ও তানভীর অনার্সে পড়ে। রিয়াদ ও তানভীর থার্ড ইয়ারে আর নেহা ফার্ষ্ট ইয়ারে। রিয়াদ আর তানভীর একে অপরের বেষ্ট ফ্রেন্ড। অপরদিকে রিয়াদ ও নেহা ভালো বন্ধু তারা পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকে। সেই সুবাদেই ওদের বন্ধুত্ব। রিয়াদ আর নেহার পরিচয় প্রায় দেড় বছরের। এতদিন বন্ধু হিসেবে থাকলেও ঈদানিং নেহার সামনে গেলে রিয়াদের কেমন যেন অনুভুতি হয়। সে ধীরে ধীরে বুঝতে পারল নেহাকে সে ভালোবাসে। কিন্তু কিছুতেই বলতে পারছেনা। এটা নিয়ে রিয়াদ খুবই চিন্তিত। আর নেহার বিয়ের বয়স হয়ে গেছে এই নিয়ে সে আরো বেশি চিন্তিত। কি করবে সে ভেবে কুল পাচ্ছেনা। কিন্তু বেশি দেরি করা যাবেনা তাহলে নেহাকে সে হারাবে।
.
রিয়াদ আর নেহা প্রতিদিন বাসে করেই আসা যাওয়া করে। ওদের ফ্ল্যাট রাস্তার পাশে হওয়ায় সুবিধা। কয়েকদিন পর সকালে নেহা গাড়িতে উঠে বসেছে। প্রতিদিন রিয়াদ আর সে একই সাথে উঠে। কিন্তু আজ রিয়াদ বাসা থেকে একটু লেটে বের হয়েছে। বাসে উঠেই নেহার পাশে একটা ছেলেকে বসা দেখে ওর মাথা খারাপ হয়ে যায়। ও গিয়ে ছেলেটাকে কানে কানে কি যেন বলার পর ছেলেটা উঠে যায়। তারপর রিয়াদ নেহার পাশে বসে।
--কিরে আজকে একটু লেট করলি যে?
--ঘুম থেকে উঠতে একটু লেট হইছে তাই।
--আচ্ছা ছেলেটা উঠে গেলো কেন? তুই ওকে কিছু বলেছিস?
--কই নাতো, কিছুই বলিনি।
--ও আচ্ছা।
.
তানভীরের বাসা ওদের বাসা থেকে কিছুটা সামনে তাই সে ওখান থেকেই উঠে। বাস ভার্সিটিতে পৌছানোর পর সবাই নামলো। নেহা চলে যাচ্ছে তখনই তানভীর বললো দোস্ত যা আজকে মনে সাহস করে বলে দে। রিয়াদ ওর পিছনে গিয়ে ডাক দিলো
--নেহা
--কিরে! কি হয়েছে
--তোকে একটা কথা বলার ছিলো।
--গত ৬/৭ মাস ধরেই একই কথা বলে যাচ্ছিস। এবার তোকেও আমার একটা কথা বলার ছিলো, ওটা আমি বলতে ভুলে গেছি। আগে তোরটা বল তারপর আমারটা বলছি,
--না লেডিস ফার্ষ্ট তাই আগে তুই বল।
--ওহ আচ্ছা। তাহলে শোন, আম্মু আব্বু আমার বিয়ে ঠিক করেছে, আগামী পরশু ছেলেপক্ষ আমাকে দেখতে আসবে পছন্দ হলে আংটি পড়িয়ে দিয়ে যাবে বলেছে। বুঝেছিস? এবার তোরটা বল,
--না মানে কিছুনা এমনি দুষ্টুমি করছিলাম।
--যাই করিস না কেন আমার বিয়েতে তোর কিন্তু অনেক বড় দায়িত্ব, ওকে
--কেন নয়? অবশ্যই, আমার প্রিয় বান্ধবীর বিয়ে আর আমি থাকবো না তা কি হয়?
--খুশি হলাম। আচ্ছা এখন যাই।
.
নেহা যাওয়া মাত্রই রিয়াদের চোখ দিয়ে অশ্রুধারা বইতে লাগলো। তানভীর আড়ালে দাড়িয়ে ছিলো ওখান থেকে দেখতে পেলো নেহা চলে গেছে কিন্তু রিয়াদ একা দাড়িয়ে আছে। সে রিয়াদের সামনে আসতেই দেখলো রিয়াদ কাঁদছে।
.
--রিয়াদ কাঁদতেছিস ক্যান?
--দোস্ত আমি শেষ (তানভীরকে জড়িয়ে ধরে)
--কান্না থামা, কি হইছে খুলে বল, (তানভীর চোখের পানি মুছে দিলো)
--দোস্তরে  নেহার বিয়ে হয়ে যাবে।
--তোরে আগেই বলছিলাম, ভালোবাসা মনের মধ্যে চেপে রাখতে নেই। এবার কান্না কর ভালো করে।
.
২ বছর পর
.
বাসর ঘরে বউ সেজে বসে আছে নেহা।  রিয়াদ কাছে আসতেই নেহা সালাম করল। সালাম করার পর রিয়াদ নেহার পাশে বসলো। ঘোমটা তুলে বললো
--একটা কথা বলার ছিলো
--ঐ কথা মুখে আনলে স্বামী টামি মানবোনা, ধরে থাপড়াবো। তোমার এই কথা শুনলে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসতাম জানো? ভাগ্যিস তানভীর ভাই সময়মত সব বলেছিলো নাহলে আমি অন্যজনের ঘরে থাকতাম।
--আমি অনেক বার বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু নার্ভাস ফিল করতাম। আই এম সরি। তো তুমি বলোনি কেন?
--মেয়েরা প্রথমে বলে? আমিতো অপেক্ষায় ছিলাম তুমি বলবা বলে।
--একটা কথা বলার ছিলো
--আবার!
--আই লাভ ইউ,
নেহাঃ--আমারও একটা কথা বলার আছে, আই লাভ ইউ টু..
রিয়াদঃ--হেহেহেহেহেহে

Collected

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ