2886

গল্পঃ--- ভালবাসার মৃত্যু

.............
..................
ব্রেকআপের কিছুদিন পর মেয়েটি
ছেলেটিকে অনলাইনে দেখতে পেয়ে
.
--কেমন আছো  সোহেল (সানজিদা)
--এই তো আল্লাহ্ যেমন রাখে, তুমি?(সোহেল)
--আছি, অনলাইনে আসো না যে?(সানজিদা)
--তোমার সাথে ব্রেকআপ হওয়ার পর অনলাইনের
প্রতি ঘৃণা তৈরী হয়ে গেছে তাই আসিনা,
--আচ্ছা আমি তোমার সাথে কিছুক্ষন চ্যাট করতে
পারি (সানজিদা)
--না ( সোহেল)
--কেন (সানজিদা)
--মনে আছে তুমি আমার কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়ার
আগে কতক্ষন চ্যাট করেছিলে?আর তুমি লাস্ট টাইম
আমায় কি দুঃসংবাদ দিলে,তখন থেকে অনলাইনে চ্যাট
করাটাই ছেরে দিয়েছি (সোহেল)
--তোমার টাইম লাইনে এত কষ্টের পোস্ট কারন কি?(সানজিদা)
--কারনটা তোমার ভালোই জানার কথা ( সোহেল)
--হুম জানি তবে আগে তো তোমার টাইম লাইনে এত
কষ্টের পোস্ট দেখিনি তাই একটু অবাক হচ্ছি (সানজিদা)
--অবাগ হওয়ার কি আছে? আগে তুমি ছিলে তাই
আমার কোন কষ্ট ও ছিল না এখন তুমি নাই কষ্টগুলো
আমায় ঘিরে ধরেছে, তাই একটু আটটু নিজের টাইম
লাইনে প্রকাশ করি (সোহেল)
--আজব তো টাইম লাইনে লিখলে কি কষ্ট কমে যাবে? (সানজিদা)
--একটা জিনিস খুব জানতে ইচ্ছে করছে বলবা? (সোহেল)
--হুম বলো-(সানজিদা)
--আচ্ছা তুমি আমায় ছেরে চলে গেলে কেনো? আমি
তো সবসময় তোমার সুখের জন্য যা চাইতে তাই দিতাম। যানি হয়তবা আমার প্রশ্নের উত্তর যানা নাই তোমার, কারন তুমি তো কখনো আমাকে মনে প্রানে
ভালোবাসতে পারোনি,ফেইসবুক রিলেশন বলে আমার
ভালোবাসার সাথে প্রতারণা করেছো, নতুন মানুষটার
সাথে নিচ্ছয় অনেক সুখেই আছো?(সোহেল)
--হুম (সানজিদা)
--জানো! তুমি চলে যাওয়ার পর অনেক কেঁদেছি, তবে এখন আর কাঁদি না, মনে মনে ভাবি আমার কষ্ট গুলো
যদি কখনো বুজতে পারতে তাহলে কখনো আমাকে
ছেরে যেতে না (সোহেল)
--এখনো কি পাগলের মতো হাসো?(সানজিদা)
--না (সোহেল)
--সে কি তুমি তো কোন কারন ছারাই পাগলের মত
হাসতে (সানজিদা)
---কারন তখন তুমি ছিলে পুরো পৃথিবীটা আমার ছিল
হাসার কোন কারন লাগত না, এখন তুমিও নাই হাসতে
ভুলে গেছি  ((সোহেল)
---সত্যি আমি অনেক বড় ভুল করেছি এবং অনেক বড়
অন্যায় করেছি তোমার সাথে, একটা মানুষের নিস্পাপ
ভালোবাসা নিয়ে খেলা করেছি, ক্ষমা করা যায়না
আমাকে? (সানজিদা)
--তুমি এসব বলছো কেন? আমি তো ব্যার্থ আমার
ভালোবাসাকে রক্ষা করতে, হয়তবা আমি তোমার
ভালবাসার যোগ্য ছিলাম না। (সোহেল)
---তুমি তো আগে অনেক গুমরো মুখো মেয়ে ছিলে সারাক্ষন আমি ফোনে বকবক করে যেতাম, তুমি শুধু হুম
হা বলে যেতে, এখন দেখি অনেক চঞ্চল ও কথা
শিখেছো...  কে শিখিয়েছে এত্তসব?(সোহেল)
---কেউ না বাস্তবতা শিখিয়েছে (সানজিদা)
--ওহ তাই? (সোহেল)
--হুম!দেখছি তুমি অনেক বদলে গেছো আগের থেকে (সানজিদা)
--হুম নিজেক অনেক বদলে ফেলেছি...মিথ্যা স্বপ্ন নিয়ে বেচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভাল...তুমি ছিলে আমার
কাছে একটা মিথ্যা স্বপ্ন, তুমি চলে চাওয়ার পর ভেঙ্গে
পড়েছিলাম, তখন লক্ষ করলাম পাখিদের উপর, বন
জঙ্গল থেক খড়কুটা এনে বাসা বানায়, ঝড় বৃষ্টিতে
সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়, তারা আবার নতুন করে সৃষ্টি
করে, সেখান থেকে নিজেকে পরিবর্তন করে নিলাম (সোহেল)।
--তোমাকে এই মুহুত্যে একটা ভিডিও কল দিতে পারি? (সানজিদা)
---না (সোহেল)
---কেন?...তোমাকে খুব দেখার ইচ্ছে করছে, ভিডিও তে
দেখতে না দেও প্লিজ এই মুহুত্যে একটা সেলফি তুলে দাও।
---আচ্ছা ওকে দিচ্ছি (সোহেল)
আত:পর সোহেল তার একটা সেলফি তুলে সানজিদাকে দিলো।
---এ কি আবস্থা তোমার শরিরের? আর তুমি কি নেশা করা শুরু করেছো নাকি (সানজিদা)
---হুম প্রতিদিন নেশা ছারা আমার চলেই না (সোহেল)
---সব কিছু আবার নতুন করে শুরু করতে..?(সানজিদা)
---বিশ্বাসী মানুষটা যখন বিশ্বাস ভেঙ্গে দেয়, আর
কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না।
--তুমি কি আমায় এখনো আগের মত ভালোবাসো,,,?? (সানজিদা)
--না বাসি না, তোমাকে ভালোবাসার ইচ্ছেটা মরে গেছে (সোহেল)।
--আমরা কি আগের মত হতে পারি না-(সানজিদা)।
--সুযোগটা রাখোনি (সোহেল)
--তুমি কি আমায় একটু ভালোবাসো না,,?(সানজিদা)
--না বাসি না,,(সোহেল)
--ওকে তাহলে আমি চলে যাচ্ছি বাই,,?(সানজিদা)
--ওকে বাই(সোহেল)
সানজিদা অনলাইন থেকে চলে যাচ্ছে সোহেল দেখছে আর
চিতকার করে কাঁদছে কারন সে চাইলেও আর সানজিদাকে তার জীবনের সাথে জরাতে পারবেন না, সানজিদার সাথে ব্রেকআপ হওয়ার কিছুদিন পর সোহেলের পরিবার   সোহেলের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাদের
পছন্দের মেয়ে জলির সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়।
সোহেল সানজিদাকে তার মনে যায়গা দিতে না পারলেও
সানজিদার ভালোর কথা চিন্তা করে তাকে ফিরিয়ে দিছে
।
কারন অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে সোহেল তার জীবনের প্রায় শেষ অংশে এসে পৌছায় গেছে,তাই
তার অপরিপূণ্য জীবনে সানজিদা কে জড়িত করেনি।

Collected