2884

...... ৩০ মিনিটের গল্প......
,
টং টং টং
,
তিনটা ঘন্টা বাজার পর সব বন্ধ হয়ে গেল।
সাথে সাথে আমাদের হার্টবিটও।
কারণ,
এখনই আসবে আমাদের ক্লাসে
আজম স্যার।
যদিও আমরা সবাই উনাকে
অনেক অনেক ভালবেসে যম স্যার বলেই ডাকি।
ঐটা ভালবাসা না কি তা উনার রেকর্ড শুনলেই বুঝবেন।
উনার ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে
৩ জনকে হাসপাতালে
৭ জনকে টিসি দিছেন।
আর ক্লাসে মারার কথা বলি নাি কেন জানেন,
কারণ, তার মার খেলে ৭ দিন ওই জায়গা অবশ হয়ে যায়।
তাই ডাক্তারের ভাত মারতে চাই না বলে বলতে চাই নাই।তবুও বলে ফেলছি ত ফেলছি।
যাই হোক,
যম স্যারের আগমন
মাইরের জন্য রেডি হন।
,,
স্যার: এই ক্যাপ্টেন কি পরা ছিল?
দুইদিন বন্ধ ছিল,
স্যার এসেই পড়ার কথা জানতে চাওয়া। বুঝাই যাচ্ছে,
আজ রেকর্ড আরেকটা হবে।
স্যারের মেজাজ দেখে ভাল মনে হচ্ছে না।
শুনেছি উনার বউ আবার খুব বালা মানুষ।
দুইদিন বাসায় থেকে ভালই ফাইটিং হইছে মনে হয়।
আজ আমাদের সাথে ফাইটিং হবে।
ক্যাপ্টেন : স্যার, Deforestation
.
স্যার এবার বেতটা টেবিলে রেখে বলল:
যারা যারা পড়া শিখিস নাই
দাঁড়িয়ে পর।
পরে পড়া ধরার সময় না পারলে
তিনগুণ মাইর।
এ কথা শুনেই
অর্ধেক দাঁড়িয়ে গেল।
ইতোমধ্যে,
১০ মিনিট চলে গেছে।
আমি নিজেও পড়া পারি না।
তবুও বসে ছিলাম।
মনে মনে ভাবতেছি,
কি করব,
এখন যদি টয়লেটের কথা বলে
বাইরে যেতে পারতাম।
কি যে শান্তি।
পরে ভাবলাম এখন স্যারের সামনে গেলেই বিপদ,
তাই
বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে গেলাম।
,
,
পিছন থেকে বল্টু
কিরে তুই বেঞ্চের নিচে কিরস
,
উফফফফ
এই মালটা যে পিছনে দেখিই নাই।
ক্লাসে আমার শত্রু বলতে
এটাই,
রাগে গজগজ তরতে বললাম,
আরেব্যাটা কলম পরছে
দেখস না।
না আজ আর রক্ষা নাই।
এদিকে
স্যার ওই সব গুলাকে বাইরে বের করে
পাটানো শুরু করে দিছে।
আল্লা আল্লা করতেছি
ওদের পিটিয়েই যেন ক্লাস
শেষ হয়ে যায়।
এক একটার পিটানোর শব্দ
সব গুলা বুকে এসে লাগতেছে।
না জানি আমার কপালে কি আছে।
কিন্তু আট মিনিটেই সব শেষ।
আরও আছে,
১২ মিনিট।
ইশশ এখন যদি ঘন্টা পরে যেতো।
পেটে খুদাও লাগছে
এর পর টিফিন। মাইর খেলে আর অন্য কিছু খাওয়া লাগবে না।
,,
এদিকে স্যার এবার একজনকে পড়া ধরাও শুরু করে দিছে,
তারপর আরেকজন।
এদিকে আস্তে আস্তে
স্যার আমার দিকেই পড়া ধরতে ধরতে আসছে।
আর আমারও
হার্টবিট ১৮০ হয়ে গেছে।
পড়া ধরলে কি বলব,
দুই দিন কিছুই পড়ি নাই।
,
কাম সারছ,
হঠাৎ স্যর বলল,
এই তৌফিক দাঁড়া।
পড়া বল,
আর উপর ঠাডা পরল।
,,
দাঁড়িয়ে স্যারের দিকে একবার তাকিয়ে ব্যাগের দিকে তাকিয়ে আছি,
ব্যাগে নিডুস আছে,
আর মনে হয় খাওয়া হবে না।
,,
তবুও সাহস নিয়ে বলতে লাগলাম,
আমি: স্যার প্রথম থেকে বলব
না শেষে থেকে।
ওই ব্যাটা ইয়ারকি করস নাকি,
প্রথম থেকেই বল।
আমি:
Ddddddforestasoon
ddefoestaton
কি
বলা শুরু করছস
ভালকরে বল।
,
তখনি ম্যাডামের আগমন
শুভেচ্ছা স্বাগতম।
,
ম্যাডাম: স্যার আপনার বেতটা দেন তো,
কয়েটারে পাটাতে হবে বেত পাইতেছি না।
,
স্যর আমার দিকে তাকাতে তাকাতে
বেত দিয়ে দিল,,
,,
স্যার হাতে কখনও মারে না।
আর রিস্ক নাই
টাইমও প্রায় শেষ
মন আমার তখন,
লুঙ্গি ডান্স দিচ্ছে
,,
তিরিশ মিনিট শেষ
টং টং টং টং
চারটা ঘন্টা বেজে গেছে
এখন টিফিন,
আহ কি আনন্দ আকাশে
বাতাসে
আর টিফিনের বক্সে।
,,
,,
তবু পড়া শিখে যাওয়া টা
সব ছাত্রের প্রধান দায়িত্ব মনে রাখবা।
,,
,,
লেখা: MI Towfiq(বড় ছেলে).