ছোট গল্প
"পরিবর্তন"
.
শব্দ বিহীন বৃষ্টি আনিতার বেদনাতুর মুখশ্রীকে পাল্টে দিতে পারছে না । বিষাদের কষ্ট রেখা যেন স্পষ্ট অবয়বে মিশে আছে । কে বলবে কিছুক্ষণ আগেও আনিতা সুশীলদের ভাষায় একজন ভার্জিন মেয়ে ছিল কিন্তু বাস্তবতার নির্মম কড়াঘাতে পদদলিত হয়েছে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ । কিচ্ছু করার ছিল না অনিতার, সংসারের অভাব অনটন প্যারালাইজ্ড বাবার চিকিত্সা সবকিছু যেন পাহাড় সম ভর নিয়ে অনিতার মাথায় চেপে বসেছিল । সামান্য টিউশনির টাকা সেতো কর্পুরের মতো মাসের প্রথমেই শেষ হয়ে যেত ।
.
বাবার মুখে তার ছাত্রের খুব সুনাম শুনেছিল । বাবা বলেছিল, দেখিস আমার কথা বললেই নির্ঘাৎ একটা চাকরি হয়ে যাবে । চাকরি হয়েছে ঠিকই কিন্তু তার বিনিময়ে তাকে বিলিয়ে দিতে হয়েছে তার নিজের সম্ভ্রম ।
..
প্রথম কয়েক দিন বাবার ছাত্র চাকরির কথা বলে আকারে ইঙ্গিতে কিছু একটা বুঝিয়ে দিয়েছিল । সেটাতে মোটেই পা দেয়নি আনিতা । এরই মাঝে আরো অনেক জায়গায় চাকরির চেষ্টা করেছে আনিতা কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি । বরঞ্চ রাগী বাড়িওয়ালার বিশ্রী কটু কথা তাকে শুনতে হয়েছে । যখন চারদিক থেকে বিপদ আনিতাকে সাপের মতো আঁকড়ে ধরেছে তখন কিছুই করার ছিলনা আনিতার । ছোট একটা চাকরির জন্য বিধ্বস্ত রোহিঙ্গাদের মতো তাকে ফিরে যেতে হয়েছে সেই লম্পট ছাত্রের কাছে । যে কিনা আজ বড় চেয়ারে বড় পদে প্রতিষ্ঠিত ।
.
আনিতার হাতে একটা নিয়োগ পত্র যেটা বৃষ্টিতে ভিজে গেছে অনেক আগেই । না, না তাতে কোন সমস্যা নেই চাকরি হয়ে গেছে, দেহ বলে কথা ।
..
লাজুক আনিতা আর লাজুক নেই । লজ্জা নামের দরিদ্রতা সে অনেক আগেই গা থেকে খুলে দিয়েছে । সে এখন একটা বাড়ির মালিক তাও ঢাকা শহরের কেন্দ্র স্থলে তবে এর অবদান তার শরীর এবং সেই প্রতিষ্ঠিত ছাত্রের ।
..
হুইল চেয়ারে বসে তার বাবা মাঝে মাঝে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে, এটাই কি তার মেয়ে আনিতা, এটাই কি শত সংগ্রামে বেঁচে থাকা একজন সাহসী নারী ? না না এটা কিভাবে সম্ভব ! এই অযাচিত পরিবর্তন সেতো চায়নি । যে পরিবর্তন শুধু আর্থিক স্বচ্ছলতা আনে হৃদয়ে সুখ আনে না ।
.
Azad Abul Kalam
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ