গল্পঃ আমি ইভটিজার বলছি
.
বিকেল চারটা, টিংটিং করে দপ্তরি ছুটির ঘন্টা বাজালো। আমিও বাইকটা সাইড করে সানগ্লাসটা বুকে ঝুলিয়ে দুইবার চুলে হাত চালিয়ে চুলটা ঠিক করে নিলাম।
.
আমি এখন গার্লস স্কুলের সামনে, আমার পরিচয় আমি এলাকার একজন প্রসিদ্ধ ইভটিজার। উঠতি বয়সের বিভিন্ন ফ্লেভারের মেয়েদের দর্শন ই আমার চিরাচরিত কাজ। শুধু দেখেই ক্ষান্ত নয়, হট, সেক্সি, চিকনে চামেলি, বিভিন্ন নাইকাদের নাম ধরে ডাকা, বাজে কমেন্ট করা, শিটি বাজানো ইত্যাদি এমনকি মাঝে মাঝে কিশোরীদের হাত আর ওড়নাও আমার হাত থেকে রেহাই পায়না।
.
বাবা অনেক আগেই গত হয়েছে , বাসায় মা আর ছোটবোন ইরা। তাদের অনেক বাঁধা,বারন, আহাজারি সত্বেও এ পথ থেকে আমি ফিরতে পারিনি বরং উলটো তাঁদের ধমক আর রাগ দেখিয়ে দমিয়ে রাখি। নানান জনের তো নানান ধরনের নেশা, কারো সিগারেটের নেশা, কারো আড্ডার নেশা, কারো চা পানির নেশা কিন্তু আমার নেশা মেয়ের নেশা, মেয়েদের নিয়ে খেলার নেশা। মেয়েদের ফ্লার্ট করা, ইভটিজিং, ফ্লাটে নিয়ে গিয়ে উপভোগ করা তারপর তাদেরই উপর নাক ছিটকানো নিত্তনৈমত্তিক কাজে পরিনত হয়েছে আমার।
.
কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়, তাইতো মেয়েদের হাতের চড়, তাদের বড় ভাইদের হুমকি ধামকিও হজম করতে হয় আমায়। অনেকবার হেডটিচার,প্রিন্সিপালরাও ডেকে পাঠায় কিন্তু আমি থেমে যাবার পাত্র নই। অদ্ভুত এ নেশায় বিভোর থাকি সারাক্ষন গার্লস স্কুল, মহিলা কলেজ আবার বিভিন্ন শপিং মল এও।
.
রীতিমত আজকেও টিজ করার জন্য সাময়িক প্রস্তুতি নিয়ে আছি, নতুন বছরে স্কুলে নতুন নতুন আইটেম। হটাৎ চোখ আটকে গেলো এক
আল্ট্রা মডার্ন রুপসীর উপর। আহ কি ফিগার, শুধুমাত্র টপস আর টাইট জিন্সে অসাধারন লাগছে মেয়েটিকে, তা দেখে তো আমার মাথা পুরা ভেজাফ্রাই। কোমল ঢং এ ব্যাকসাইড দুলিয়ে দুলিয়ে আমারি কাছাকাছি চলে আসলো। এতক্ষন থ মেরে ছিলাম যেমনি কাছাকাছি এলো তেমনি সম্বিত ফিরে পেয়ে আগে একটা শিটি দিলাম এরপর চুমকি থেকে শুরু করে চিকনে চামেলি, হ্যাপি সব বলে কঠোর ইভটিজিং করা স্টার্ট করে দিলাম।
.
কালো সানগ্লাস যখন নামিয়ে চোখ উঠিয়ে আমার দিকে দেখলো তখন তো আমি দিশেহারা হয়ে খপ করে হাতটা টেনে কাছে নিয়ে আসলাম, রাগে দুঃখে কটমট করছে সে। ছাড়েন প্লিজ, কি করছেন এসব, আমাকে আপনি চেনেননা আমি পুলিশ সুপারের মেয়ে এসব বলে রোনাজারি করতেই আছে সে। ওত শত কথাতে গুরুত্ব না দিয়ে গায়ের বিভিন্ন জায়গায় হাত টা বেশ কয়েকবার বুলিয়ে নিলাম, ইচ্ছে করছে এই আইটেমকে এই খোলা প্রান্তরেই গিলে খাই।
.
এমন সময় সাঁ করে পাশে একটা পুলিশ ভ্যান এলো, একজন অফিসার নেমে এসে আমার দুগালে আগে কষে দুটো চড় বসিয়ে দিলো। বুঝতে বাকি রইলোনা যে মৌচাকে ঢিল মেরে বড্ড ভুল করে ফেলেছি। সাথে সাথেই কি জানি লিখলো তাদের খাতায় ব্যস, অমুক তারিখে হাজিরা দিতে বলল থানায়, না হাজিরা দিলে যেখান থেকেই হোক তিনি আমাকে আটক করবেন এই হুমকি দিয়ে মেয়েকে নিয়ে চলে গেলেন।
.
দুইদিন হালকা পাতলা ভয় পেলেও তিন দিনের দিন ঠিকি আগের মত অপকর্ম চালিয়ে যেতে লাগলাম।
.
তো এক বিকেল বেলা যাবতীয় অপকর্ম শেষ করে, বাসায় ফিরলাম। দেখি আমাদের বাসায় অনেক লোক, হটাৎ করে এত লোকের সমাগম কেনো মাথায় আসছেনা। এক এক করে লোক সরিয়ে যখন ভেতরে ঢুকছি তখন আম্মুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। বুকের ধকধক টা বাড়তে লাগলো, মাকে দেখে আর মায়ের পাশে ছোট বোন ইরার নিথর দেহ টা দেখে ভয়ে দেহটা কুকড়ে আসলো। আম্মু আমাকে দেখতে পেয়ে কান্নার মাত্রা দিগুন করে বলতে লাগলো, আমাদের সব শেষ হয়ে গেলোরে রাফি, তোর বোনকে ওরা শেষ করে ফেলেছে। মুখের রক্ত, ছিন্নভিন্ন জামা দেখে বুঝতে বাকি রইলোনা যে কি হয়েছে আমার বোনের সাথে। দিকবিদিক হারিয়ে পিশাচের দলকে খুজে খুজে কেটে কেটে টুকরো করতে ইচ্ছে হচ্ছে।
.
পুলিশ আসলো, ময়না তদন্তের জন্য লাশ নিয়ে গেলো, বাধা দিলাম কিন্তু রেইপ কেইস তাই আমার বাধা শুনলোনা।
.
আম্মু আজও মনমরা, মন খুলে কোনও কথা বলেনা, গর্হিত ভাবে সন্তান হারিয়ে তিনি আজ সর্বশান্ত। আমিও দিশাহীন, উদ্ভ্রান্তের মত সারাদিন ঘুরাফিরা করি অনুতাপে, নিজের কৃতকর্মের কথা ভেবে। নেশা চ্যাঞ্জ করে ফেলেছি, নিকোটিন এখন আমার বড় নেশা।
.
কেইস চলছেই কিন্তু আমার বোনকে রেইপ করা পশুদের আজও খুজে বের করতে পারেনি পুলিশ। সঠিক সময়ে থানায় হাজিরা দেইনি তাই হাজতও খেটেছি ছয় মাস।
.
সর্বশান্ত আজ আমি আমার পরিবার, আম্মুকেই কোনোভাবে বুঝ দিতে পারিনা।
.
এমনিভাবেই মৃত্যুর প্রহর গুনছি...
.
বিঃদ্রঃ গল্পটি খারাপ চরিত্রের দিক থেকে লিখা তাই আসল মেসেজ টুকুন বুঝার চেষ্টা করবেন, অযথা ফাউল প্যাচাল পারবেন না।
.
লিখাঃ আমিম এহসান
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4712
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Šā§Š AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ