āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4706


অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে একটা টিউশনি পেয়েছি। আজকেই প্রথম পড়াতে যাবো তাই ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দু হাতে হালকা জেল লাগিয়ে চুল স্পাইক করছি। নাহ, আমি পড়াতে যাচ্ছি আমি তো টিচার আমার মাঝে একটা গম্ভীরতা থাকা দরকার আর এসব স্টাইল মেরে টিউশনি করাতে গেলে স্টুডেন্ট এর প্যারেন্টস অর্ধচন্দ্র দিয়ে বের করে দিতে পারে। তাই সাধারন একটা হেয়ার স্টাইল করে বের হয়ে পড়লাম।
.
আমার স্টুডেন্ট এর বাসা গার্লসস্কুলের কাছেই, আমার মেস থেকে অল্প কিছু দূরে। অটোবাইক নিলাম, অটোবাইক চলতে শুরু করলো আর আমি মহা ভাবনায় মনোনিবেশ করলাম। একটু আগে দামি ব্রান্ডের জেল দিয়ে চুল আঁচড়ালাম কিন্তু সেই ছোটবেলায় যখন স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হতাম মা নিজের হাতে আমার মাথায় সরিষার তেল চপ চপ করে মাখিয়ে একপাশে সুন্দর করে সিথি করে দিতেন। আর এখন কি পরিবর্তন।
.
আর হ্যা ভুলেই তো গিয়েছিলাম। আগে একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে অনেক রাস্তা হেটে যেতে হতো। আমি রিকশা করেও স্কুলে যেতাম,  রিকশাওয়ালার কি খাটুনি। আর এখন অটোবাইকে নরম গদিতে বসে খুব আরামে অটোওয়ালা অটো চালাচ্ছে। আমাদের সুবিধার জন্যই সবকিছুর পরিবর্তন। তাই তো মানুষ বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে, এক্সিডেন্টও হচ্ছে প্রচুর। পনেরো বিশ বছর আগে কই এত এক্সিডেন্ট হতো।  এখন তো রাস্তায় বিড়াল, কুকুর, বাদুড় সহ অনেক কিছুই প্রান হারাচ্ছে এমন করে।
.
স্টুডেন্ট এর বাসার কাছেই চলে এসেছি, অটো থেকে নামলাম এই প্রথমের ফ্লাট টা বাদ দিয়ে পরের চারতলা ফ্লাটের দ্বিতীয় তলায় মিফরাদের বাসা। আশে পাশে শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং খুব বিরক্ত লাগে এমন পরিবেশ অথচ ছোট থাকতে আশে পাশে এরকম দু একটা বিল্ডিং থাকলে মাথা একশ ত্রিশ ডিগ্রি এংগেল করে তাকিয়ে থাকতাম আর কয় তালা তা হিসেব করতাম।
.
দাড়োয়ান কে পরিচয় দিলাম- আমি অন্তু, মিফরার টিচার। ব্যস ঢুকে গেলাম, সিড়ি দিয়ে উঠছি।  বিল্ডিং টা নতুন এখনও কন্সট্রাকশনের কাজ চলছে। কলিং বেল চাপতেই এক সুন্দরী আপু দরজা খুলে দিলো, আমি জানি মিফরা ক্লাস টেনে পড়ে কিন্তু এই মেয়ে তো আমার থেকেও বয়সে বড় হবে।  কি জানি বাবা, এখন গার্লস স্কুল জিলা স্কুল সহ অন্যান্য ভাল ভাল স্কুলে এডমিশন নেওয়ার জন্য অনেকে ইয়ার লস দেয়। আমি যে অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছি আমার চেহেরা দেখে কেউ বুঝতেই পারেনা। অথচ যত বয়স্ক স্টুডেন্ট দেখবেন সব জিলা আর গার্লসে পাওয়া যায়,  সব আংকেল আন্টি।
.
সুন্দরী আপু বললেন- তুমিই অন্তু, মিফরার টিচার?
- জ্বি আপু,  কিন্তু আপনি
- সেটা পরে জানলেও হবে, ভেতরে আসো।
.
সেদিনই অবশ্য জানতে পারি যে তিনি মিফরার বড় বোন ইরা।  সোফায় বসলাম, এসি চালু করাই ছিলো। যখন ফ্যান এসি কিছুই ছিলোনা তখন হাত পাখা ঘুরাতে ঘুরাতে ডাবল ঘামতে হতো।  ইরা আপু পাশে এসে বলছেন- তুমি না অনার্স এ পড়ো, কিন্তু চেহেরা ফিডার খাওয়া বাচ্চার মতো কেন?
- সরি আপু,  কি বললেন বুঝতে পারিনি
- কিছুনা, যাও তুমি মিফরার ঘরে যাও।
.
অল্প একটু সময়ে বিশদ কিছু ভাবতেই পারছিনা, ইরা আপু এমন ভাবে বলছে যেনো আমি তার বোন জামাই, যাও মিফরার ঘরে যাও।  আরে বাবা আমি টিউশনি করাতে আসছি  ,  তবুও মনে মনে ভাবলাম বড় বোন এমন সুন্দরী না জানি মিফরা কতইনা সুন্দরী হবে।
- এই ছেলে বসে আছো কেনো যাও?
- জ্বি আপু, মিফরার রুম কোনটা
- ওই যে ওইটা
- জ্বি আপু
- এই ছেলে দাড়াও, ওই কোনে টেবিলে কি আছে দেখতে পাচ্ছো?
দেখলাম একটা পিসি এর টেবিল, মনিটরে ভিডিও রেকর্ড এর সময় উঠছে, দেখতে পেলাম একটা সুন্দর একটা টেবিল, দু পাশে দুটো চেয়ার, কিছু বই খাতা সাজানো। আমার বুঝতে বাকি রইলোনা যে এটা মিফরার পড়ার টেবিল। সন্দেহপ্রবন টিউশনি মাস্টারের উপর পুরো নজরদারি করার এটা অত্যাধুনিক একটা পদ্ধতি।
.
দরজা খোলাই ছিলো, তবুও নক করলাম। - আসেন ভাইয়া, বসেন।
মিফরা কৃত্তিম বাতাস দিয়ে চুল শুকাচ্ছে। আমি আয়নার দিকে একবার তাকিয়েছি কিন্তু ভালভাবে মিফরার চেহেরা টা দেখতে পাইনি। তাই জড়সড় হয়ে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে আছি। আমাকে একদম স্বামী স্বামী লাগছে, বউ ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে চুল শুকাচ্ছে আর তার স্বামী খুশিমনে তা দেখছে।
- ভাইয়া আপনি কি লজ্জা পাচ্ছেন
- না মানে,  চলো পড়ার টেবিলে যাই
মিফরার চোখ এত সুন্দর কেনো! এই মেয়েকে পড়ানো অসম্ভব। টেবিলে বসলাম, বইয়ের দিকে তাকিয়ে মিফরাকে হাবিজাবি জিজ্ঞেস করছি। মিফরা বললো- ভাইয়া আপনি এমন করছেন কেনো, ফ্রিলি সব বলুন, আর হ্যা আপু মনিটরে মোটেও আমাদেরকে দেখছেনা।
- দেখছেনা মানে, এই যে সি সি ক্যামেরা
- আরে আসেন, দেখে যান
.
দরজার পাশে এসে হালকা গলা বাড়িয়ে মনিটরের দিকে দেখতে বললো, দেখি ইরা আপু পিসির সামনে বসে আছে, কানে হেডফোন,  মনিটরে স্কাইপি, আর স্কাইপিতে একজনকে দেখতে পাচ্ছি। বুঝলাম যে আপু স্কাইপিতে কারো সাথে ভিডিও চ্যাটিং করছেন।
- উনি আমার দুলাভাই, আমেরিকায় থাকে
- আপু, প্রায়ই ভিডিও কলিং করে
- ওহ, বুঝছি
আগেকার সময়ে, স্বামী দূরে থাকলে বউদের যে কি কষ্ট, কি অত্যাচার।  মাসের পর মাস চিঠির অপেক্ষা করতে হতো, আর এখন সরাসরি কথা বলাবলি। মনির খান এর একটা গান আছে- চিঠি লিখেছে বউ আমার ভাঙ্গা ভাঙ্গা হাতে, এই গানের - তুমি দুই টাকার চাকরী ছাড়ি,  চলে আসো বাড়ি; এই লাইনটুকু দারুন লাগে। বউ তার স্বামীর ভালবাসার জন্য অস্থির তাই চাকরী ছেড়ে বাসায় আসতে বলছে আর এখনকার বউরা প্রবাসী কিংবা দূরে চাকরী করে এমন স্বামীকে বাসায় আসতেই দেয়না, বলে যে শুধু টাকা পাঠাও। আসলে ভালবাসার থেকে টাকার মূল্য এখন অনেক বেশি।
.
- এই যে ভাইয়া কি ভাবছেন
- কিছুনা, আজকে আমি উঠি
- সে কি, কিছু তো খেয়ে যান আজকে ফার্স্ট আসলেন
- না, শরীর টা খারাপ লাগছে খুব
কই দেখি দেখি বলে মিফরা আমার কপালে হাত দিলো। কি হচ্ছে এসব আমার সাথে! নিজেও বুঝতে পারছিনা। 
.
চলে আসলাম সেদিনের মত।  তবে ফেসবুক, স্কাইপি, ভাইবার, হোয়াটসএপ সব আইডি মিফরাকে জানিয়ে । আর মিফরাকে পড়াতে যাইনি, হবেনা আমার দ্বারা টিউশনি।
.
মাঝে মাঝে কথা হয় মিফরার সাথে।
.
বেশ কিছুদিন হলো মাঝে মাঝে থেকে ঘন ঘন কথা হচ্ছে মিফরার সাথে।
.
আগের দিনে প্রেম হতো খুব কম, বাবা মার ভয়ে তো কোনো মেয়ে বাইরেই বের হতে পারতনা। তবুও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খাতিরে বের হয়ে দু একটা প্রেম হয়ে গেলেও বেশির ভাগ প্রেমই অপ্রকাশিত থেকেছে , আবার অনেকের বিয়ে হয়ে গিয়ে অনেকে দেবদাস ও সেজেছিলো।
আর এখন সব যান্ত্রিক। যন্ত্র ছাড়া প্রেম অচল।
.
টুং টুং টুং টাং... এই যে মিফরার ফোন.....
____________________________________
গল্পের নামঃ ভাবনায় একাল আর সেকাল
.
উৎসর্গঃ Nazmul Haque
.
লিখাঃ আমিম এহসান..
_____________________________________

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ