āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4686

গল্পঃ "দীপ্তিময় প্রেম"
.
লিখাঃ আমিম এহসান
.
.
রিমোট হাতে, কটকটিময় একটা লুক নিয়ে সিরিয়াল দেখছে দীপা। দীপা হলো আমার বন্ধু দীপুর ছোটবোন। আব্বু আম্মুর সাথে রাগ করে দীপুর বাসায় এসেছি, দীপুর সাথে থাকবো বলে।
.
টিভি রুমে টিভি দেখছি আমি আর দীপা।  দীপা সিরিয়ালে মনোযোগ দিয়েছে, আর আমি দীপার মুখশ্রী দর্শন করছি। ব্যাপার টা সে খেয়াল করছে কিনা জানিনা কিন্তু আমি ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়েই আছি।আমি চাই ওর কাছে ধরা খেতে, কিন্তু না; সে মনোযোগ দিয়ে সিরিয়ালই দেখছে। এবার তার দিকে একটু ঝুকেই চেয়ে রইলাম।
.
ইয়েস, কাজ হয়েছে।
.
দীপাঃ রুহী ভাইয়া কখন আসলে?
.
আমি হা করে চেয়ে আছি, এই মেয়ে বলে কি?
দশ মিনিট আগেই এসে তার দিকে এতক্ষন চেয়ে ছিলাম, আর সে কিনা খেয়ালই করেনি।
.
দীপাঃ কি ভাইয়া কোথায় হারালে? শুনতে পাচ্ছো কি?
.
বাব্বাহ এমন সিরিয়াল খোর আমি আগে কখনও দেখিনি।
.
.

দীপু এতক্ষন পড়ছিলো।
আমি টিভি রুম থেকে এসে একসাথে ডিনার করলাম।
.
দীপুর রুমে এসে বিছানায় বালিশে হেলান দিয়ে, হিমু-১ পড়ছি। প্রায় এগারোটা বেজেছে দীপু মনে হয় টিভি দেখতে গেছে। আপনমনে বই পড়ছি। দীপা আস্তে করে এসে বিছানার এক প্রান্তে বসলো,আমি বুঝেও না বোঝার ভান করে বই পড়ছি তো পড়ছিই। মেয়েটা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে  আর চুপ করে থাকতে পারলনা,
.
দীপাঃ ভাইয়া কি পড়ছেন এত মনোযোগ দিয়ে?
.
আমিঃ হিমু-১ এর কভার দেখিয়ে, এই যে নাম্বার ওয়ান সাকিব খানের বই
.
দীপাঃ আসলে ভাইয়া একটা কথা,
.
দীপার তো হাসার কথা ছিল কিন্তু হাসলোনা কেন! অবাক হইনি অবশ্য।
.
আমিঃ হুম বলো,
.
দীপাঃ টিভি রুমে তুমি আমায় ওইভাবে দেখছিলে কেন ভাইয়া?
.
আমিঃ না মানে ইয়ে, তুমি তাহলে বুঝেও না বোঝার ভান করছিলে?
.
দীপাঃ রুহী ভাইয়া, আমি আর ছোট্ট খুকি নেই,সব বুঝি, সব
.
আমিঃ আচ্ছা কি কি বুঝো বলো তো?
.
দীপাঃ তুমি আমায় পছন্দ করো আমি মনে হয় বুঝিনা....
.
আমি তো থ,  কিছু একটা বলতে যাবো এরি মধ্যে দীপু এসে বলে কিরে কি নিয়ে কথা হচ্ছে শুনি?
.
পড়ালেখা, হাবিজাবি বলে সঙ্কটাপন্ন সময় সামাল দিলাম।
.
চলে যাওয়ার সময় দীপা আমার দিকে চশমার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে এমন ভাবে মুচকি হাসি দিলো যে,  সারারাত আমার ঘুমই হয়নি।
.
.
-এই ওঠো, আর কতক্ষন ঘুমাবা? এত বেলা করে কেউ কি ঘুমায়? এই কি হলো ওঠো......
এই বাবুর আব্বু, এই.....
.
ধ্যাৎ,  সারারাত এমনিতেই ঘুমাতে পারিনি কেবল ঘুমালাম এরি মধ্যে ডাকাডাকি! চোখ ঘষতে ঘষতে দেখি দীপা ডাকছে,
.
-এই ভাই সাহেবেরা উঠেন, আপনাদের জন্য বেড টি নিয়ে এসেছি।
.
বাহ, স্বপ্নটা তো দারুন ছিল। আড়মোড়া দিতে দিতে চা নিলাম, দীপু অঘোরে ঘুমোচ্ছেই।
.
দীপাঃ ভাইয়া বলোনা চা কেমন হয়েছে, আমি নিজে বানিয়েছি।
.
মেয়েরা রাগলে নাকি অনেক সুন্দর দেখা যায়, তাই তাকে রাগানোর জন্যই বললাম,  খুব একটা ভাল হয়নি.. 
.
দীপাঃ কি বললেন ভাইয়া? আপনি এত্তগুলা পচা..
.
আমিঃ আচ্ছা দীপা,  তুমি আমাকে কখনও আপনি আবার কখনও তুমি,  এই মিশ্র সম্বোধন এ ডাকো কেন?
.
দীপাঃ ভাইয়া এটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার। তোমায় বলবো কেন?
.
আমিঃ আচ্ছা দীপা তুমি আমায় প্রতিটাদিন চা বানিয়ে খাওয়াতে পারবে?
.
আমায় আম্মু ডাকছে, এই বলে দ্রুতগতিতে দীপা প্রস্থান করলো...
.
দুপুর বেলায় আমি বাসায় চলে আসি, কিন্তু মাথায় কিছু মূহুর্ত ঘুরপাক খাচ্ছে। নিরবতা ও কিছু না বলাকে অনেকে মৌনসম্মতি হিসেবে নিয়ে ভুল করে কেননা এর অভ্যন্তরে অনেক রহস্য লুকিয়ে থাকে।
.
জানিনা দীপার প্রতি এত দুর্বল হয়ে যাচ্ছি কেনো, মীম এর বিয়ে হয়ে যাবার পর পণ করেছিলাম আর কোনও রিলেশনে জড়াবনা। কিন্তু এটাও চাই যে, দীপাকে আমি হারাতে চাইনা যদিও ঠিক কতটা পেয়েছি তাকে জানিনা।
.
সম্পর্ক গুলো হুটহাট করেই চলে আসে, এ সময় সম্পুর্ন আবেগিকতার উপর নির্ভর না করে সন্তপর্নে সামনে এগিয়ে যেতে হয়।
.
আমি জানি দীপা না করতে পারবেনা, কিন্তু সেও যদি মীমের মত হারিয়ে যায় এরকম উদ্ভট উদ্ভট চিন্তা ভাবনা করতে প্রহর কেটে যাচ্ছে। দিশাহীন আমি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি প্রতিটা সময়।
.
.
একশত তিন একশত চার, জ্বর টা এর মধ্যেই উঠানামা করছে। তিন দিন ধরে জ্বরে, বিছানায় পড়ে আছি। ফোন টা ভাইব্রেট হতে লাগলো, দীপুর ফোন। বিকেলের দিক আসতে চাইলো সে।
.
আমি রক্তগরম চোখে এই সেই ভাবছি, ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছি কখন জানিনা। কপালে অপেক্ষাকৃত একটু ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেয়ে ঘুম টা ভাঙলো, ডান হাত দিয়ে সেই হাত চেপে ধরেছি অসম্ভব মোলায়েম নরম হাত। আস্তে আস্তে চোখ মেলে দেখি দীপা, আমার কপালে হাত দিয়ে জ্বর পরখ করছে। 
.
দীপু পাশে দাড়িয়ে ; লক্ষ্য করিনি, হাত টা সরিয়ে নিলাম। দীপাকে খুব অস্থির দেখাচ্ছে,
.
দীপাঃ ভাইয়া তুমি তিন দিন থেকে জ্বরে পড়ে আছো আর আমায় জানাওনি কেন?
.
দীপু ব্যাপার বুঝে রুম থেকে চলে গেলো, আমি তো আর খারাপ ছেলে না; আমার হাতে তার বোনকে তুলে দিতে তার কোনও ভয় নেই।
.
দীপাঃ এই বলোনা কেমন লাগছে তোমার?
.
আস্তে আস্তে ভাইয়া ডাক বিলুপ্ত হচ্ছে,জানি হবেই।
.
দীপাঃ এই খুব কি খারাপ লাগছে? মাথায় হাত বুলিয়ে দেবো?
.
অনুমতির অপেক্ষা না করে কপাল আর চুলে হাত বুলাতে লাগলো দীপা।
.
আমিঃ দীপা আমি বুঝি মরেই যাব, আমার কিছু ভাল লাগছেনা...
.
দীপাঃ চুপ, একদম চুপ (আমার ঠোটে আঙুল চেপে) চড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিবো এরকম কথা বললে...
.
দীপা তো দেখি আমার বিয়ে করা বউ এর মত আচরন করছে, তাকে যে আমি ভালবাসি এ কথাটা তো তাকে এখনও বলিইনি, এতেই এতকিছু! মেয়েটা বুঝি অনেক ভালবেসে ফেলেছে আমায়। চাশমিস এর অভিমানী চোখের দিকে চেয়ে আছি।
.
দীপাঃ আমাকে ফেলে চলে যাবা স্বার্থপরের মত।
.
তার দুই হাত একসাথে হাতে চেপে ধরে আলতো করে একটা চুমু খেয়ে বললাম,
.
-আচ্ছা রাজকন্যা, তোমার হাতটি ছেড়ে কোথাও যাবোনা (আমি প্রচন্ড ঘামছি, হয়তো জ্বর ছেড়ে যাবে)
.
দীপাঃ প্রমিস (চোখের কোনে পানি চলে এসেছে তার)
.
আমিঃ হুম প্রমিস।
.
এক বাটি নুডুলস হাতে নিয়ে দীপা বলছে,
.
-ভাইয়া বললো তোমার নুডুলস নাকি খুব প্রিয়, তাই নিজের হাতে বানিয়ে এনেছি,  হা করো তো খাইয়ে দেই...
.
আমি ধীরে ধীরে খাচ্ছি আর তাকে দেখছি।
খাওয়া শেষে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে দীপা বললো,
.
-ঘুমিয়ে পড়ো,  ঘুম না আসলেও ঘুমানোর চেষ্টা করো, দিস ইজ মাই অর্ডার..
.
অনিচ্ছা শর্তেও চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করছি আর দীপার কথা ভাবছি। এমন করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি তা নিজেও জানিনা।
.
ঘুম ভাঙলো রাত এগারোটার দিকে, জ্বর মনে হয় সেরে গেছে কিন্তু অনেক দুর্বল আর ক্লান্ত লাগছে। উঠে ফ্রেস হয়ে চাঁদের আলোয় একটু হাটাহাটি করছি আর দীপার কথা ভাবছি।
.
রুমে এসে ফোন হাতে নিয়ে দেখি একটা মেসেজ অচেনা নাম্বার থেকে, মেসেজ টা এরকম ছিলো,
.
কালকে ভালভাবে সুস্থ হয়ে যাবে আশা করি। পরশুদিন বিকেল বেলা আমার সাথে অবশ্যই দেখা করবে।
- দীপা।
.
আমি রিপ্লায় দিলাম,
.
পরশুদিন না কালকেই আমি দেখা করতে চাই।
-রুহী।
.
রিপ্লায় আসেনি আর।
.
দুইটা বিশ মিনিট এ ফোন আসলো দীপার।
কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে ঘুমের দরজা দিয়ে স্বপ্নজগৎ এ প্রবেশ করলাম, স্বপ্নের জগৎ এ শুধু দীপা আর আমি আর কেউ নেই।
.
.
সমাপ্ত

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ